বিজিবির সদস্য হত্যার নেপথ্যে

লিখেছেন লিখেছেন বটতলার বাউল ০১ জুন, ২০১৪, ১১:১৪:০৫ রাত

যদিও অনেক দিন

ধরে মিয়ানমারের

সাথে বিজিবির গন্ডগোল

চলে আসতেছিল,

সাম্প্রতিক সময়ে এটা প্রকট

আকার ধারন করে। ফল স্বরুপ

এক বিজিবি সদস্যের নিহত

হওয়ার ঘটনা। তবে এর

পিছনে বিজিবির কোন

হাত নেই। এর পেছনের

কারন

হচ্ছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন

বা RSO.।

রোহিঙ্গা সরনার্থী শিবিরে বেরে উঠা মিয়ানমারের

এই মুসলিম সংগঠন দিন দিন

মাথা ব্যথার কারণ

হয়ে উঠতেছে মিয়ানমারের

বর্ডার গার্ড পুলিশের

(বিজিপি) জন্য।

মিয়ানমারের বর্বর মুসলিম

নির্যাতনের প্রতিশোধ

বা প্রতিবাদের জন্য RSO

বাংলদেশ মিয়ানমার

সীমান্তে প্রতিনিয়ত

লড়াই

করে যাচ্ছে বিজিপির

সাথে। সর্বশেষ গত 17 ই

মে চারজন বিজিপির

সদস্যকে হত্যা করে অজ্ঞাত

অস্ত্রধারী মিলিশিয়ারা।

মিয়ানমার

মনে করতেছে বাংলাদেশ

বর্ডার গার্ডের প্রত্যেক্ষ

সহযোগিতা পাচ্ছে RSO।

আর আমরাতো সবাই

জানি এই আওয়ামী লীগ

সরকার নির্যাতিত এই

রোহিঙ্গাদের কতটুকু

সহযোগিতা করতেছে !!

এটাই হচ্ছে আমাদের

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

বিবৃতির সেই

ভুলবোঝাবুঝি।

বিজিবি বৈঠকে বিজিপিকে হয়ত

বোঝাতে সক্ষম

হয়েছে যে RSO র

সাথে বিজিবির কোন

সম্পর্ক নাই। আর সেজন্যেই

হয়ত বিজিপির দয়াপরবশত

বিজিবি সদস্যের লাশ

ফেরত পেয়েছে।

যেখানে বাংলাদেশ

কে মিয়ানমারের ভয়

পাওয়ার

কথা সেখানে ঘটনা ঠিক

তার উল্টো। নতজানু সরকার

উচিৎ জবাব তো দেয় নি,

উল্টো দেখা যাবে মিয়ানমারের

চাপে RSO

দমনে নামবে সরকার। দু

একদিনের মধ্যে যদি আইন

শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোহিঙ্গা শিবিরে হানা দেয়

তাহলে এই দুর্বল সরকারের

পশ্চাদপদ নিতী আরও স্পষ্ট

হবে। নিচে একটা লিঙ্ক

দিলাম।

এটা মিয়ানমারে প্রকাশিত

একটি নিউজ এজেন্সির এই

ঘটনা নিয়ে করা রিপোর্টের

লিঙ্ক। পড়লে পুরা ঘটনাই

ক্লিয়ার হবে।

http://www.irrawaddy.org/burma/member-bangladeshi-border-guard-killed-burmese-police.html

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

229278
০১ জুন ২০১৪ রাত ১১:৪২
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : আপনি বলেছেন- (যেখানে বাংলাদেশ কে মিয়ানমারের ভয় পাওয়ার কথা সেখানে ঘটনা ঠিক তার উল্টো।)
ভয় পাবে কেন! মিয়ানমার বাংলাদেশের খায়? না পরে??

দেখুন- প্রতিবেসির বিরুদ্ধে ফৌজি/জেহাদী উন্মাদনা কখনো হতদরিদ্র বাংলাদেশের জন্য কল্যান বয়ে আনবে না। বরংচ সুপ্রতিবেসি সুলভ আচরন, বলিষ্ঠ পররাষ্টনীতি, শক্তিশালি অর্থনীতি এবং সুশিক্ষিত জাতিই কেবল পরস্পর প্রতিবেশিদের মোকাবেলা করার একমাত্র হাতিয়ার।

নিজেদের মাঝে বিভাজন, রাজনৈতিক ধান্ধা, সস্তা আবেগ আর শহীদ হওয়ার কাল্পনিক বাসনা প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের কপালে ইরাক, আফগানিস্তান ছাড়া ভাল কিছু জুটবে না।

ইসলামের ঝাড়ফুক সুরা দোয়া মোনাজাতে হবে না। সবার আগে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ চাই। তারপর প্রতিবেসির সাথে পাল্লা। ধন্যবাদ।
229293
০২ জুন ২০১৪ রাত ১২:০৯
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File