আমাদের মন্ত্রীরা/আওয়ামি মন্ত্রীরাঃ পর্বঃ ০২(“মখা”)

লিখেছেন লিখেছেন বটতলার বাউল ২৩ মে, ২০১৩, ০৬:৪১:০৮ সন্ধ্যা



সন ২০১৩

সময়টা জুন মাসের মাঝামাঝি।বর্ষাকাল।সারা দেশে জলাবদ্ধতা দেখাদিল।অনেকদিন যাবৎ জলাবদ্ধতা রয়ে গেল।এই নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নানা মন্ত্রী ,এম পি বিবৃতি দিলেন।সব বিবৃতি ছাপিয়ে যে বিবৃতিটা অধিক আলোচিত হল,বলা যায় টক অব দ্যা কান্ট্রি হল সেটা হচ্ছে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি।

উনি বললেন গত কয়েকদিন আগে বিএনপি জামাত জোটের কিছু লোক সকালে উঠেই রাস্তার ধারে দাঁড়াই কথা বলতেছিল।এসময় তাদেরকে তাদের নিজের লুঙ্গি নাড়াচাড়া করতে দেখা যায়।আমরা ধারনা করতেছি তারা ওখানে একযোগে হিসু করার প্ল্যানিং করতেছিল এবং বেগম জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে তাদের এই বিসর্জিত হিসুর কারনেই দেশের এই জলাবদ্ধতা।আর এটার পিছনে জামাতের কোন নাশকতা মূলক ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেছে সরকার।আংগুল না চুষে দুষ্ক্রিতিকারিদের ধরার জন্যে আমরা আমাদের ফুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি ।এত হিসুর উৎস কি এবং কোথায় তা খুজে বের করবে সরকার।সমবেত হিসুর কারনে দেশের এই জলাবদ্ধতা।তাই দেশের স্বার্থে আগামী একমাস হিসু করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

…………………………………..

“মখা”এখন সময়ের আলোচিত নাম।শিশু, বৃদ্ধ ,যুবক ,আবাল,বনিতার মুখে মুখে আজ একটাই নাম, “মখা”।

আমি শাকিল আর আবিদ নামের দুজন ছাত্র পড়াই।আলহামদুলিল্লাহ তারা উভয়েই রাজনীতি সচেতন এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।তো প্রসঙ্গক্রমে “মখা”র কথা উঠলে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য বলি।তারা বলল ভাইয়া “মখা”তো “মখা”ই।কখন কি করে,কি বলে তার কোন আত্তাপাত্তা আছে নাকি?তখন শাকিল উপোরল্ল্যেখিত ঘটনাটি বলে বলল আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি যে এটা ঘটলেও ঘটতে পারে।

আপনি প্রতিটি গ্রামে গ্রামে,প্রতিটি জায়গায় গিয়ে,প্রতিটি মানুষ কে জিজ্ঞেস করেন,সবাই বলবে, ও ! “মখা”? “মখা”তো “মখা”ই।

“মখা”এখন আলোচিত,সমালোচিত,মুটামুটি জনপ্রিয় একটি শব্দ।“মখা”র জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে বাংলা অনেক শব্দই এখন “মখা”দ্বারা প্রতিস্থাপিত হইছে।ভয় হয়,অদূর ভবিষ্যতে “মখা”শব্দটি কতগুলো বাংলা শব্দকে ডিকশনারি থেকে ডিলেট করে না দেয়।

আমরা বন্ধুরা সবাই কাওকে ফান করে বলতাম “অ” তে অমুক,তুই রাজাকার তুই রাজাকার।আর এখন বলি “অ”তে অমুক তুই “মখা”,তুই “মখা”।

মাল খেয়ে মাতলামি করলে আগের মত কেউ বলে না যে মাল খেয়ে টাল হয়ে গেছিস। এখন বলে মাল খেয়ে “মখা” হয়ে গেছিস।

আবোলতাবোল বকলেই এখন সবাই বলে ওই দেখ!দেখ! “মখা”র “মখা”গিরি শুরু হয়ে গেসে,কেমন “মখা” “মখা” বকতেছে দেখ।

কেউ পাগল হলে বলে অমুক “মখা”হয়েগেছে।তাকে “মখা”গারদে নিয়ে যাওয়া হইছে।চারিদিকে শুনি “মখা”রে “মখা” তুই“মখা”,বা “মখা” “মখা” ! বড্ড“মখা” প্যারোডি গান।প্রেমিক প্রেমিকাকে আর বলে না যে তোমার প্রেমে পরে আমি ছাগল হয়ে গেছি,এখন বলে তোমার প্রেমে আমি “মখা”হয়ে গেছি।

বাংলাদেশের মানুষ এখন জানে Clear মানে পরিষ্কার ,Very Clear মানে সেরাম পরিষ্কার আর Very Clear মানে সেরাম পরিষ্কার ভাবেই জানে যে

“মখা” মানে মাতাল,Very “মখা”মানে সেরাম মাতাল!

“মখা”মানে গন্ডগোল,Very“মখা”মানে সেরাম গন্ডগোল!

“মখা”মানে পাগল, Very “মখা”মানে সেরাম পাগল!

“মখা”মানে খারাপলোক, Very “মখা”মানে সেরাম খারাপলোক!

“মখা”মানে ছাগল, Very “মখা”মানে রামছাগল।

এবার একটু “মখা”র উৎপত্তি আর “মখা”র “মখা” হয়ে উঠা নিয়ে আলোকপাত করব।“মখা”র উৎপত্তিটা কোথা থেকে হয়েছে এটা এক অর্থে সবাই জানেন।হ্যা আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সংক্ষিপ্ত নাম “মখা”আলমগীর। এখান থেকেই “মখা”র উৎপত্তি।উনার কর্মগুনেই “মখা” এখন “মখা”পর্যায়ে চলে গেছে।উনার জীবন কুন্ডলী এনালাইসিস করলে দেখা যাবে জনাব “মখা” আজীবন স্বজাতি গাদ্দার,চুতিয়া টাইপের ব্যক্তি।উনার জীবনটাই কেটেছে বাংলাদেশের জনগনের বিরুদ্ধে কাজ করতে করতে।৭১ সালে সবাই যখন যুদ্ধে লিপ্ত তখন উনি পাক খানসেনাদের আনুগত্যে নিজেকে একদম উজার করে দিয়েছিলেন।প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজাকার,আলবদর বাহিনী গঠন করে স্বজাতিদের বিরূদ্ধে তাদের মদদ দিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালে প্রজাতন্ত্রের চাকর হয়েও একটি গনতান্ত্রিক সরকার ও রাষ্ট্রের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেও পিছপা হন নি।আর এখন ২০১২-১৩ সালে এসে তিনি বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী নিয়ে বাংলাদেশেরই সাধারণ মানুষের বিরূদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধই করতেছেন। সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট রাষ্ট্রীয় গনহত্যা উনার হাত ধরেই হয়েছে।দমন পীড়ন,গুম,হত্যা,মামলাবাজি,পুলিশের অপব্যবহার এসব তিনি এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে তার রেকর্ড আগামী ২০বছরে কেউই ভাঙ্গতে পারবে না।কথা হচ্ছে এসব কারনে তো উনার দানব,হিটলার বা কসাই জাতীয় উপাধি পাওয়ার কথা,কিন্তু তিনি হঠাৎ “মখা”হয়ে উঠলেন কেন?কারণ উনি এতো কিছু করার পরেও নির্লজ্জের মত দোস অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্যে শত শত মিথ্যা বানোয়াট এমনকি গ্যেদা ছেলের মত কথা বলতেও সামান্যও কুন্ঠিত হন না।সাগর-রুনি নিয়ে অশালীন বক্তব্য,বিরোধীদল নিয়ে মনগড়া মা মাসির গপ্পো,রানা প্লাজার নাড়াচাড়া তত্ত্ব প্রভৃতি উনাকে “মখা”হিসেবে জনপ্রিয় করে তুলেছে।তিনি এখন টিভির সামনে কথা বললেই দর্শকের চোখে দেখা দেয় তার নাড়াচাড়াকৃত ঠোঁট আর কানে বেজে উঠে ঘেউ ঘেউ ঘেউ !অনেকে উনাকে পাগল বলেন।আচ্ছা ভাই !পাগল বলে আপনি উনার কৃতকর্মের দায়ভার কি কমাতে চাচ্ছেন?মনে রাখবেন এ হিসাব একদিন দিতে হবে।বাংলার মানুষ একদিন তার প্রতিটি কাজের হিসেব নিবে।তখন আমি পাগল ছিলাম বলে পাড় পেয়ে যেতে পারবেন না মি’“মখা”।

জানি না একটি সভ্য দেশে কি করে উনার মত “মখা” সরকারের গুরুত্ত্বপুর্ন পদে আছেন।আর এই সরকারে কত জন যে “মখা”আছেন একমাত্র তাদের আর আমাদের উপরওয়ালাই জানেন।“মখা”রা কিন্তু ধর্মনিরেপেক্ষবাদি,আল্লাহ খোদা মানেন না,তাই তাদের উপরওয়ালা আর আমাদের উপরওয়ালা ভিন্ন।আমাদের উপরওয়ালা এক আল্লাহ।আর তাদের উপরওয়ালা কে বলুন তো?হ্যা !হ্যা ! তিনিই!যিনি“মখা” দের“মখা” গিরি করতে মাঠে ছেড়ে দিছেন। তিনিই তো সবচেয়ে বড় “মখা”।

বিষয়: রাজনীতি

২২২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File