মহাসেন রে লইয়া দুই খানা Co-incident ! মজা পাইলেও হাসনের দরকার নাই।
লিখেছেন লিখেছেন বটতলার বাউল ১৭ মে, ২০১৩, ১১:৫৯:৪৭ সকাল
১।
একদা একজন অত্যাচারি রাজা বাস করিতেন।রাজা একদিবসের প্রাতসময়ে নৌকা ভ্রমনে বাহির হইলেন।উনার সহিত উনার উজির নাজিরেরাও ছিলেন।নৌকা যখনি মাঝদরিরায় পৌছায়ল ,অমনি রাজার প্রচন্ডবেগে হিসু পাইল।উনি চিৎকার চেঁচামেচি করিতে লাগিলেন।উজির নাজিরদের হুংকার দিতে লাগিলেন।উনি সহসা নৌকা তীরে ভিরাইতে আদেশ করিলেন।উজিরেরা সবাই চিন্তা করিয়া পাশের রাজ্যে নৌকা ভিরানোর জন্যে মনস্থির করিলেন।পাশের রাজ্যে খবর পাঠানো হইল যে রাজা মহাশয় আপনাদের রাজ্যে আসিয়া হিসু প্রদান করিবেন এবং এই জন্যে আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানাইতেছি।এই শুনিয়া পাশের রাজ্যে ধুম পরিয়া গেল।কারণ রাজার রাজ্য পাশের রাজ্য থেকে অনেক ধনী ছিল।তাই পাশের রাজ্যের লোকেরা রাজার মন জয় করিবার নিমীত্তে ঘটি বাটি লইয়া রাজাকে সসম্মানে হিসু করাইবার সমস্ত এন্তেজাম সম্পন্ন করিলেন।সবাই অধির আগ্রহে পাড়ে দাঁড়াইয়া রাজার জন্যে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন।কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর রাজার নৌকাখানি দেখা গেল।কিন্তু একি ! তীরে না ভিড়াইয়া তাহাদিগকে পাশ কাটাইয়া রাজার নৌকা রাজার নিজ রাজ্যের দিকে চলিতে লাগিল।এই দেখিয়া সবাই আশ্চার্যান্বিত হইল।পরে খবর আসিল রাজা হিসুর বেগ চাপাইতে না পারিয়া পথিমধ্যেই কাপড়েচোপড়ে হিসু করিয়া নিজে শান্ত হইল আর সবাইরে শান্তি দিল।এই শুনিয়া পাশের রাজ্যের লোকেরা মন খারাপ করিয়া চলিয়া গেল।উল্লেখ্য সেই রাজার নাম ছিল “মহাসেন”।
২।
মহাসেন নামক এক যুবক একদা একটি মেঠো রাস্তা ধরিয়া হাটিয়া যাইতেছিল।হঠাৎ করিয়া তাহার প্রচন্ডরকমে হিসুর চাপ পরিল।হিসু করিবার জন্যে সে তাহার লুঙ্গি উল্টাইয়া রাস্তার ধারে বসিয়া পরিল।ঠিক তখনি ওই পথ ধরিয়া কিছু মাইয়ালোক যাইতেছিল।এই দেখিয়া মহাসেন হিসু না করিয়া শুধুমাত্র একটি পাদ (বা পিপ যাই বলেন না কেন) মারিয়া উঠিয়া গেল।মাইয়াগুলা এটা দেখিতে পাইল এবং হাসিতে হাসিতে মহাসেন কে উদ্দেশ্য করিয়া বলিল “যত গর্জায়ল।তত বর্ষায়ল না কেন?”
তখন মহাসেন বলিল আপনাদের অদৃষ্টে জল নাই তো আমার কি দোষ?
বিষয়: বিবিধ
১৭৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন