সংগঠন নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার মানব ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:৪৭:১৮ দুপুর

জাতীয় রাজনীতিতে সংগঠন

ছাড়া কখনো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না।

রাজনীতি বলতে গেলেই সংগঠন প্রয়োজন।

আপনি একটি সংগঠন করতে গেলে আপনার প্রয়োজন

হাতিয়ার, এই হাতিয়ার আবার অস্ত্র হাতিয়ার নয়।

আপনার সংগঠনকে কোন দিক

থেকে ঠেকানো না যাওয়ার মত হাতিয়ার একমাত্র

হলো বর্তমানে উর্ধত্ব শক্তি। প্রথমেই জাতীয়

রাজনীতির দিকে আসা যাক। জাতীয় রাজনীতির

সংগঠনে আমাদের উচ্চস্থ পর্যায়ের সকল মানুষ

জড়িত, প্রষাশন+সমাজের মান্যগন্য

ব্যক্তি +প্রভাবশালী +সমাজের বিভিন্ন জনগন।

আপনি একজন সাধারন জনগন হয়ে হয়ে আপনার উপর

বিপক্ষতার প্রভাব পড়বেই , এটা স্বাভাবিক।

তবে এই নয় যে আপনার উপর বিপক্ষ আঘাত

হানলে আপনি বসে থাকবেন, কেননা আপনিও

সংগঠনের একজন। আপনাকে সাহায্য করবে আপনার

সাথে জড়িত আপনার সংগটনের স্বার্থে আপনার

সংগঠনের বিভিন্ন

দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া সমাজের বিভিন্ন

গন্যমান্য ব্যক্তিগন। যদি তাদের আওতায়

না থাকে তবে প্রভাবশালী দ্বারা আপনার সমাধান

হবে, যদি প্রভাবশালী কারোও আওতায়

না থাকে কিংবা তাদের মেটার না হয় তবে আপনার

সমস্যা সংগঠের স্বার্থে সবাই মিলে সত্যের

লড়ায়ে প্রশাষনের সহযোগিতায় আপনার সমস্যার

সমাধান অবশ্যই হবে।

আমি এখানে সংগঠনের কোন কর্মীর কোন এক

সমস্যা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সাংগঠনিক

সহযোগিতার কথাই শুধু উল্লেখ করছি শুধুমাত্র

সামান্য কিছু উদাহরণ দিয়ে। এবার আসি আঞ্চলিক

রাজনীতিতে , অনেকেই আঞ্চলিক রাজনীতির অর্থ

বুঝতে চায়না কিংবা বুঝেওনা তবুও সংগঠনের অর্থ

একই। আঞ্চলিক রাজনীতিতে বর্তমানে আপনি যত

প্রভাবশালী হন ততই আপনার প্রাধান্য বেশী।

আমি পার্বত্য এলাকার

রাজনীতি নিয়ে একটি কথা লিখছি। পার্বত্য

এলাকায় আপনারা সবাই জানেন ৩০০০০ হাজার

বাঙালী হত্যাকারী সেই সন্তু লারমার কথা, সেই

সন্তু লারমা আজ বর্তমান সরকারের সাথে ঐ

দিকে হাত মিলিয়ে পার্বত্য এলাকায়

কি না উন্নতি করছে, উন্নতির ফল দেখুন >> তার

নিজ্বষ্য সংগঠন জেএসএস, যার কাজ প্রতিনিয়তই

অস্ত্র ব্যবসা, খুন গুম, চাদা আদায়, অপহরন, আদিপত্য

বিস্তার নিয়ে জোর করে এলাকা দখল করা, এক কথায়

সন্ত্রাসী সসস্ত্র সংগঠন। তার মত আরোও

কয়েকটি সংগঠন একই অবস্থায় পার্বত্য এলাকায়

আছে। আমি একটিরই উদাহারণ দিলাম। তার সংগঠনের

মুল উৎস বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, সরকার, ভারত

সরকার , এবং স্বার্থের প্ররোচনায় বিভিন্ন

বাঙালী নেতাকর্মীরা, যারা শুধুই নিজেদের

স্বার্থের জন্য এই সসস্ত্র সংগঠনের সাথে লিপ্ত।

যাই হোক আসল কথায় আসি, আমি এইসব তুললাম কারন,

এখনো অনেকেই মনে করে সংগঠন আমি আর

আপনি কিংবা বুদ্ধিজীবী কাউকে নিয়ে সংগঠন

তৈরী হয়ে যায়। ভাইরে আমার জীবনে আমি অনেক

সংগঠন নিয়ে খেলা খেলে আসছি, প্রতিনিয়তই

সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করি এখনো।

""আপনি পাড়া পর্যায়ে হোক মাট পর্যায়ে হোক যত

ধরনের সংগঠন করুননা কেন তার উপরের লেবেল

যদি প্রশাষনিক সহযোগিতা এবং সরকারি দলের

কারও সহযোগিতা না থাকে কিংবা তাদের

ছাড়া করেন, আপনাকে যে কোন

ষড়যন্ত্রে আটকালে আপনাকে কে সহযোগিতা করবে??

"" অল্প কথায় ভালো যাদের সাংগঠনিক কোন

অভিজ্ঞতা নেই তারা মনে করে তারা নিজেরাই

অনেক কিছু, পরবর্তীর কথা চিন্তা করেনা। আরে ভাই

যে সংগঠন করে আপনার ক্ষতি দেখবেন

তা আপনি কেনইবা থাকবেন।

হ্যাঁ আপনি একত্রিতা সিন্ডিকেট করতে পারেন

তবে সংগঠন নয়। কেউ কি আজ পর্যন্ত

দেখাতে পারবেন যে সংগঠন সরকার সহযোগিতা আর

প্রশাষনের কোন মানুষ দ্বারা কিংবা সমাজের

উর্ধ্বতন কেউ ছাড়া সংগঠন টিকে থাকতে পারছে??

যাই হোক অতসব আলোচনা করার দরকার নেই, মোট

কথায় একটি সংগঠন মানেই একটি বল ,শক্তি।

যদি এই শক্তিকে কাজে লাগাতেই হয়

তবে ষড়যন্ত্রের তোপে নয়

রাজপথে কাজে লাগানো দরকার। কেননা রাজপথের

শক্তি দিন দিন

কমতে আছে আমরা আপনারা যদি রাজপথের সাংগঠনিক

শক্তিকে আরোও শক্তিশালী করে না তুলি তবে অন্য

সহযোগিতা সংগঠন ষড়যন্ত্রের তোপের মুখে পড়বে।

আরেকটি কথা, আমি প্রতিবাদী মানুষ আমার দেশের

সুখের জন্য সেখানে যদি কারোও

কথাতে দেখি নিজের একান্ত স্বার্থের জন্য অন্য

আরেকজনকে নিজে সাদুবাদ সেজে উস্কিয়ে দেয়

কিংবা যেটা না জেনে হিট লাগিয়ে বোকার মত

কথা বলে তাদের কাছ থেকে আমি বিরত

থাকতে ভালোবাসি।।।।

ধন্যবাদ।

বিষয়: বিবিধ

১০৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File