পার্বত্য এলাকার আরেক ধাপ মায়াকান্না জড়িত মানুষ

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার মানব ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ১০:০৫:৪৭ রাত

"না আমি খাইতামনা" "মাগো আমার যদি অত

টাকা থাকতো তোর জন্য এই রুটি না আইনা ভাত

নিয়া আসতাম" হঠাৎ যেন চোখের এক

কোনে পানি এসে আমাকে কোন এক মায়াকান্নায়

কাঁদিয়ে দিলো , রাঙামাটির গভীর এক এলাকার কিছু

বসতির মাঝে গড়ে ওঠা কুতুকছড়ি বাজার নামক

একটি বাজারের কোন এক গাছের

নিছে বসে মা মেয়ের কিছু আজ

বিকালে কথা শুনছিলাম আমি তাদের পাশে একজন

মানুষের জন্য অপেক্ষায় থাকা অবস্থায়। ((মেয়ে :

মা কি আনছো? মা : এই ল তোর লিগা তিনখান

রুটি কিইনা আনছি। ল খাইয়া ল। মেয়ে : সকাল

বেলা কিছু খাইনাই এখন এ কট্টু খানা, আমার পেট

ভরতোনা, খামুনা, তুমি খাও। )) চাইছিলা কিছু

টাকা দিই, যাও মানিব্যগটি বাহির করলাম তখনই

মেয়েটি মায়ের সাথে জেদ করে বিলের

দিকে চলে যাচ্ছে আর তার মা তার পেছন পেছন দৌড়

দিল। নিজের উপর কেমন জানি একটি খারাপ লাগলো।

পাশের দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম

"হাক্কা তারা মা জি ইদু হি গড়ে? তারা আদাম হুদু

ইদুনাহি?" উত্তর

দিলো মানুষটি "সারা দুনিয়ে ছাড়ি ইদু মরের

হিত্তে হভর ন পাং, তে আমি এ আদাম

এছ্ছংগে বানা দি বজর, ছক্কেত্তন দিগংর তারা এ

বাজারগানত থয়, তা নেক্কোরে যতদুর মুই হভর পাং,

সান্তিবাহীনি নাহি হি এক্কান বেজাল

গরিনে মারি ফেলে জিয়েগোই, বানা দাগলর হুব

পেইয়ি তা গাত "" যাই হোক তার সাথে যতদুর

কথা বলে জানলাম, দোকানদারটি আসছে বছরখানেক

আগে,

তারা মা মেয়ে এখানে বাজারে ভিক্ষা করে খায়

সে আসার আগ থেকেই, শুধুই সে জানে তার

স্বামীকে সান্তিবাহীনির মানুষেরা কোন এক

সমস্যা হওয়াতে মেরে ফেলেছে সেই

থেকে মা মেয়ে দুইজনই ভিক্ষার হাত ছাড়া আর

কিছুইই পায়না। তবে মাতৃভুমির ভালোবাসায়

তারা হয়তো এলাকাটি ছেড়ে কোথাও যায়না এতটুকুই

বলে আর কোন কথা বললোনা আমাকে মানুষটি।

এলাকাটি চিনলেন কিনা জানিনা, রাঙামাটির

একাংশয় পড়ে, কুতুকছড়ি,

যেখানে বর্তমানে ইউপিডিএফের চাদাবাজির

আওতাভুক্ত একটি চিহ্নিত এলাকা।

খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি গাড়ি যোগাযোগের

একাংশ। যাই হোক অতসব আজ আলোচনা করবোনা। শুধুই

মাথায় কিছু কথা ঘোরে, পার্বত্য এলাকায় আমার

বয়সে একজন উপজাতি গরীব ভিক্ষুক কখনো দেখিনি,

অতচ পার্বত্য এলাকার আনাচে কানাচে এমনকি গভীর

অরন্যে 1975 সাল

থেকে বসবাসকারি স্থায়ী বাঙালি হিসেবে মাতৃভুমি

উপজাতি কিছু সন্ত্রাসীদের কবলে পরে কতোজনেই

ভিখারি হচ্ছে পরিস্তিতির স্বীকার হয়ে সে খেয়াল

কি কেউ রাখছে,। কোন অবস্তায়

তারা ভিখিরী হলো কেনইবা হলো তা কি আজ পর্যন্ত

কোন

লাইসেন্সধারী বিদেশী সংস্থা সেখানে কাজ করেও

তাদের দিকে হাত বাড়িয়েছে??? সরকারের কি কোন

অধিকার নাই যে পার্বত্য এলাকায় এই ধরনের

গরীবদুখীদের কোন সহায়তা করার। পার্বত্য এলাকায়

এখনো ৫ ভাগের ১ ভাগ মাত্র জনবসতী। সেই

গরীবদুখীদের কি আর ৪ ভাগের এক বিন্দু পরিমান

জায়গা দিয়ে আশ্রয় দিয়ে তাদের দুঃখ সমাধান

করা যায়না?? যেন এক আমগাছে আম ধরলো আর

পারা প্রতিবেশীরা তা ভাগাভাগি করছে, কিন্তু

গাছে যে পানি দিয়ে বড় করলো তার কোনই অধিকার

নেই। হায়রে সংবিধান।।।। আমরা পার্বত্য এলাকার

সকল বাঙালী এখনো মনে করি এইসব

সমাধানে সরকার অবশ্যই সমাধান করে ৭১ এর

স্বাধীন মানুষগুলোকে তাদের কষ্ট দুর করবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File