পার্বত্য এলাকার ইউপিডিএফ

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার মানব ৩০ জুন, ২০১৩, ১১:৫৩:৫৫ রাত

ইউপিডিএফ বলেন জেএসএস বলেন এরা কি পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি চায় মনে করেন আপনি, , এত বর্বরতার পরও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কোন প্রশাসনিক তদারিক দেখছিনা,,

ভাই, আলোচনা করতে গেলে এক পর্যায় দেখা যায়, লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেলো, আপনার আর পড়তেও ইচ্ছে করে না বড় লিখা দেখে, যাই হোক ছোট হোক বড় হোক ইচ্ছে করলে আলোচনা করতে পারেন এটাই স্বাভাবিক, কারন আমার এই কথাগুলো অত্যন্তই প্রয়োজন,

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ এটা গর্বের বিষয়।

এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলেমিশে বসবাস করে।

কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতীয় নেতাদের মধ্যে এই

ঐতিহ্যকে সম্মান করার প্রবণতা অপেক্ষাকৃত কম।

বাঙালিদের উচ্ছেদ ছাড়া তারা কিছু ভাবতেই পারে না।

তাদের একতরফা ভাবনা সংবিধানের ৩৬ ধারার বরখেলাপ

অর্থাৎ “জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত

বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা,

এর যে কোনো স্থানে বসবাস ও বসতি স্থাপন

এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করিবার

অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।” স্বাধীনতার পর

দেশের উন্নয়নে উপজাতীয়দের অবদানের চেয়ে পার্বত্য

অঞ্চলে বাঙালিদের অবদান কম নয়। শুধু ক্ষুদ্র

জাতিসত্তার অধিকার নিশ্চিতের জন্য দেশের এক-দশমাংশ

জমি ছেড়ে দেয়া কতটুকু যৌক্তিক তা বিবেচনার দাবি রাখে।

বাংলাদেশে সমতলের জনসংখ্যার ঘনত্ব

প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১৪৭ জন এবং পার্বত্য অঞ্চলের

জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০১.৫৪ জন।

সেখানে কোন বিবেচনায় জনসংখ্যার ভারে ভারাক্রান্ত সমতল

এলাকায় লাখ লাখ বাঙালি স্থানান্তর বাস্তবসম্মত

তা সুধীজনদের ভেবে দেখার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

রক্তপাত চাই না শান্তি চাই, পার্বত্য সন্ত্রাসী টহরঃবফ

চবড়ঢ়ষবং উবসড়পৎধঃরপ ঋৎড়হঃ (টচউঋ)-এর হাত

থেকে মুক্তি চাই। এটা খাগড়াছড়ি অঞ্চলের একজন

শিক্ষকের বক্তব্য। শিক্ষক শ্রেণী সমাজের সম্মানীত

ব্যক্তি। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে ইউপিডিএফ-এর চাঁদাবাজির

পরিমাণ এতই প্রকট এবং অবাধ যে, ব্যবসায়ী, সরকারি-

আধা সরকারি কর্মচারী, ড্রাইভার, কুলি-মজুর, কৃষক

এবং সাধারণ জনগণÑ কেউই এই চাঁদাবাজির নাগপাশ

থেকে মুক্ত নয়। চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-খারাবি এখন

পার্বত্য অঞ্চলের নৈমিত্তিক ঘটনা। এগুলোর অধিকাংশই

জাতীয় দৈনিকে স্থান পায় না। আসলে পার্বত্য চট্টগ্রামের

মানুষের কান্না এবং কষ্টের কথা কেউ জানতে চায় না।

ইউপিডিএফ স্বায়ত্তশাসন দাবি করে বিভিন্ন সভা,

সেমিনারে বক্তব্য দেয়। দেশকে দ্বিখ-িত করতে চায়।

ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ তো রাষ্ট্রদ্রোহীÑ দেশের শক্র এদের

কেন বিচার হয় না? এরা কেন নিষিদ্ধ হয় না? অনেক

রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিত্বের

সাথে এদেরকে সভা-সমিতিতে একই

টেবিলে বসতে দেখা যায়। ইউপিডিএফ পার্বত্য

অঞ্চলে কোনো ধরনের জাতীয় দিবস পালন করতে দেয় না।

এত স্পর্ধা এদের কোথা থেকে হলো? স্থানীয় প্রশাসনও

কি এদের হাতে জিম্মি? এই সন্ত্রাসী দল সম্পূর্ণ

নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার পূর্বেই এদের ধরতে হবে।

প্রতিদিন পার্বত্য এলাকায় অপহৃত হয়, মুক্তিপণ আদায় হয়,

মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে জীবন থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

অপহরণকারীদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর। যারা অপহরণ হয়

তাদের অধিকাংশই কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত

নয়, এদেরকে শুধু আঞ্চলিক দলের অন্তর্কোন্দলের

খেসারত দিতে হয়। পার্বত্য অঞ্চলের বর্তমান

সন্ত্রাসী কর্মকা- পার্বত্য উন্নয়নে বড় বাধা। দেশের

সর্বহারারা যেভাবে সাধারণ

জনগণকে জিম্মি করে রাখে ইউপিডিএফ পার্বত্য অঞ্চলের

জনগণকে ঠিক সেইভাবে জিম্মি করে রেখেছে।

এরা সর্বহারাদের হিংস্রতাকেও হার মানায়। পার্বত্য

অঞ্চলে শান্তিচুক্তি হয়েছে কিন্তু সন্ত্রাস থেমে নেই। এই

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার নয় আঞ্চলিক পরিষদ, নয়

কোনো জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এভাবে চলতে থাকলে পার্বত্য অঞ্চল আবার অশান্ত হবে,

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বৃদ্ধি পাবে, স্বায়ত্তশাসনের

দাবি জোড়ালো হবে। সঠিক সময়ে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর

ব্যবস্থা না নিলে পার্বত্য অঞ্চলের

সন্ত্রাসীরা হয়ে উঠবে বেপরোয়া, তখন এদের দমন

করা হয়তো সুদূরপ্রসারী হয়ে উঠবে। স্বায়ত্তশাসনের দাবির

অর্থ দেশের অখ-তা বিনষ্ট করা, তাহলে এরা কিভাবে মুক্ত

হয়ে ঘুরে বেড়ায়?

বিষয়: বিবিধ

১৭৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File