ক্ষুদ্র গল্প

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার মানব ৩০ মে, ২০১৩, ০২:৫৯:৫৯ দুপুর

অনেকদিন পর এক স্কুল জীবনের বন্ধুর সাথে দেখা, অনার্স

ফাইনাল করেই আল্লাহর

রহমতে ভালো একটা চাকরি পেয়েছে সে বিএসআর এম এ.

সুখের দুখের কাহীনি অনেক হলো, ,,

মধ্যখানে কিছু জোকস এর কথা বলে শেষ করলাম ওর

সাথে কতোপকোথন,,

একটি জীবনের আসল জোকস তাই মনে পড়ে আপনাদের সাথেও

শেয়ার করছি,,

তখন দুইজনই মাত্র নতুন দশম শ্রেনীতে শাহ বহুমুখী উচ্চ

বিদ্যালয়ে পড়ছি, খুব দুষ্টু ছিলাম,

আমাদের এক টিচার, নিখুন্জন তঞ্চঙ্গ্যা,

খুব সরল সিদা, ভালোকে ভালো বলবে খারাপকেও ভালো বলবে,

চোখে একটু সমস্যার কারনে পাওয়ারি চসমা লাগিয়ে বই একধম

চোখের কাছাকাছি নিয়ে পড়ে,

সেই সরলতার সুযোগ নিয়ে আমি খুব ফাজলামো করতাম ওনার

সাথে,,

ক্লাসে এসে যদি বলতো, ওমুক প্রশ্নের উত্তরটা খাতায়

লিখে আমাকে পাচ মিনিটের ভিতর দিতে হবে, নয়তো পিঠের

চামরা একটাও রাখবোনা,

আমি, আমি অনেক্ষন বসে থেকে একটু পরে খাতায় লিকতাম

>>> টযজটকহজ জজহটয টজ্হট টহহয্ হআজচয জটকহটজ

যজটহয _______________ এভাবে খাতা ভরিয়ে ফেলতাম

ইচ্ছেমত লিখে,,

আর আমার বন্ধুটি, সে ভয়ে ভয়ে উত্তরটা লিখতো কোন ভুল

যেন না হয়,,

অতছ, খাতা দেওয়ার পর তিনি কিছু না দেখেই শুধু ভরাট লেখার

পৃষ্টা দেখে সাইনটা দিয়ে দিতো,,,

বেপারটা পুরোই জোকসের মত হয়ে যেত,,,,,

আসলে এটা এটা জোকস ছিলোনা, এটা ছিল জীবনের একটা বড়

ভুল, যার মাসুল সহজে সুদ্রায়না,

আর বেশি কিছু লিখার ইচ্ছে জাগছেনা, শুধু একটাই আপনাদের

বলতে ইচ্ছে করছে,

যারা এখনো পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত আছেন,

কখনো পড়ালেখাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখবেননা...

যদিও আমি যে কোন একটি পরিস্থিতির স্বীকার

হয়ে পড়ালেখা ছাড়লাম অনেক আগেই তবুও মনে করবেন

এটা উপদেশ নয়, এটা একটা ক্ষুদ্র কথা,

আপনারা আমার ফেইসবুকের আপন মনে করেই আপনাদের

সাথে শেয়ার করলাম,,,

মনটা যেন হালকা হয়ে গেল আমার

ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার বকবকানিগুলো পড়ার জন্য ....

বিষয়: বিবিধ

১৭৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File