দালাল সম্প্রদায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার মানব ৩০ মে, ২০১৩, ০২:৫৫:০৪ দুপুর
পার্বত্য চট্টগ্রামে নিড়িহ বাঙ্গালিরা আজ অসহায় । বর্তমান
সরকারের একটি অসাংবিধানি সিদ্ধান্ত বাঙ্গালিদের
অস্তিত্ব্যে হানা দিয়েছে ।
বিদেশী চক্রান্তকারী এবং উপজাতী সন্ত্রাসীদের কাছে সরকার
মাথা নত করে দেশের সার্বোভৌমত্বে আঘাত হেনেছে । আর
বাঙ্গালীদের অন্তিম মুহূর্তে আন্দোলনের নামে গোটা পার্বত্য
বাঙ্গালি জাতীকে নিয়ে ব্যবসায়
নেমেছে বাঙ্গালি নামঘারী দালালরা ।
বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের নামে ১৯৯১ সাল হতে কাজ
করে যাচ্ছে পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদ । সূচনাতে এই
সংগঠন যতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল গোটা পার্বত্যবাসীর
কাছে আজ তা নির্থক প্রমানিত হয়েছে । এই সংগঠনটি জাতীয়
রাজনৈতিক দল তথা জামাত শিবির ও দালালদের কারনে আজ
নিস্ক্লীয় । বর্তমানে যারা আছে তারাও এই জামাত শিবিরের
চক্রান্তের স্বীকার । তিন জেলাতে যারা এই
সংগঠনটি করছে তারা জামাত শিবিরের কর্মীবলে চিহ্নিত । তাই
হচ্ছে না জোরালো আন্দোলন ।
২০০৪ সালে সারা পার্বত্যবাসীকে নতুন মাত্রায় আন্দোলনের
পথ দেখালো সাবেক এম পি ও উন্নোয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান
জননেতা, আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া । কিন্তু তার ক্ষমতা শেষ
আন্দোলনও শেষ । তার ক্ষমতায় থাকাকালীন সহচর এবং সম-
অধিকার আন্দোলনের নেতারা আজ ব্যাংক ব্যালেন্স
বাড়িয়ে পালিয়েছে । কেউ কেউ ওয়াদুদ সাহেবের
অবর্তমানে আজ সম-অধিকারকে টুকরা টুকরা করে ভিত্তিতাই
ধ্বংষ করে দিচ্ছে ।
এবার বাঙ্গালি আন্দোলনের প্রধান দালালকে আপনাদের
কাছে তুলে ধরছিঃ-
পার্বত্য বাঙ্গালিদের আন্দোলনের
নামে বাঙ্গালি জাতীকে নিয়ে বড় ধরনের
ব্যাবসা করছে রাঙ্গামাটির জাহাঙ্গির কামাল
ওরফে ত্রিপুরা কামাল । ওয়াদুদ সাহেব যখন ক্ষমতায় ছিল এই
জাহাঙ্গীর কামাল ছিল তার প্রধান সহচর । সেই সাথে সম-
অধিকার আন্দোলনের রাঙ্গামাটি জেলার সাধারন সম্পাদক
এবং পরে কেন্দ্রীয় সমান্বায়ক কমিটির সদস্য হন ।
বাঙ্গালি আন্দোলনের জাবতীয়
টাকা পয়ষা এবং কর্মসূচি আয়োজনের দায়িত্ব ছিল তার উপর ।
সেই সুযোগে সুকোশলে সম-অধিকার আন্দোলন ও ছাত্র
পরিষদের ফান্ডের যাবতীয় টাকা আত্বসাত্ করে তিনি আজ
কোটিপতি । এমনকি যখন ওয়াদুদ সাহেব ক্ষমতায় ছিল তখন
এই দালাল ওয়াদুদ সাহেব ছাড়া কিছু বুঝত না । যখন ওয়াদুদ
সাহেব ক্ষমতা হাড়াল তার পর হতে ওয়াদুদ সাহেবের সাথে এই
দালাল সম্পর্কচ্যুত্ করে । বর্তমানে এই জাহাঙ্গীর কামাল
তার জন্মদাতা ওয়াদুদ সাহেবকেই ছোবল মারছে । যাই হোক
এটাই ওয়াদুদ সাহেবের প্রাপ্য বলে আমি মনেকরি । এবার
বলি অন্যকথাঃ
বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে সম-অধিকার আন্দোলন ও ছাত্র
সংগঠনের যে গ্রুপিং তার জন্য প্রধান দায়ী এই জাহাঙ্গীর
কামাল । ছাত্র সংগঠন পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ ,
বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদ , পার্বত্য যুব ফ্রন্ট , একক
নিয়ন্ত্রনে ওয়াদুদ সাহেবকে বাদ দিয়ে সম-অধিকারের কেন্দ্রীয়
কমিটি তার অবৈধ টাকার ফল । প্রতিটা কমিটিই তার
সৃষ্টি যার প্রমান পত্র পত্রিকা এবং নিরবে ডোনারও
তিনি নিজে । অর্থাত্ ওয়াদুদ সাহেব ক্ষমতায়
থাকতে বাঙ্গালি আন্দোলনের সমস্ত সঞ্চয় আত্ব্যসাত্
করে নিজের নামে করে নিয়ে আজ সেই
টাকা দিয়ে বাঙ্গালী আন্দোলনকে বিভক্ত
করে বাঙ্গালি আন্দোলনের সর্বনাশ করছে । আজ
বাঙ্গালি সংগঠনগুলো দলেদলে বিভক্ত থাকার কারনে কোন
জোরালো আন্দোলন হচ্ছে না । এতে কার লাভ ? এতে এই
দালাল জাহাঙ্গীর কামালের লাভ ।
কিভাবে তা বলছিঃ প্রশাসনকে হাতে রাখার জন্য সে সকল
প্রশাসনকে বলে বেড়ায় সমস্ত বাঙ্গালি সংগঠন তার
নিয়ন্ত্রনে । অপর দিকে পাহাড়ে ব্যবসা করার জন্য
বাঙ্গালী সংগঠন বিভক্ত করে সন্তু লারমার কাছ
থেকে পাচ্ছে মোটা অংকের টাকা ও ধন্যবাদ ।
পার্বত্য বাঙ্গালী আন্দোলনের আজ এই মুহূর্তে এই
নেতা নিশ্চুপ । যেখানে গোটা বাঙ্গালি জাতী কমসূচি চায়
সেখানে তার এবং তার সৃষ্ট সম-অধিকার শুধু মাত্র বিবৃতি দেয়
। এতে কি বোঝেন ? দয়া করে এমন নেতার হাত
থেকে জাতীকে বাঁচান ।
বিষয়: বিবিধ
১১০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন