রামগড়ে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে অপপ্রচার এবং পাহাড়ের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার মানব ২৩ মে, ২০১৩, ০২:১৩:৪৮ দুপুর
গত ২২ মে উপজাতীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অনলাইন
নিউজে "রামগড়ে সেনাবাহিনী কর্তৃক বৌদ্ধবিহারের জিনিসপত্র
তছনছ, বুদ্ধমূর্তি চুরি" শীর্ষক সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও
উদ্দেশ্য প্রনোদিত একটি নিউজ ছাপা হয় ।
সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন
এবং সত্যকে আড়াল করে মনগড়াভাবে উক্ত
সংবাদটি ছাপা হয়েছে যা পাহাড়ের এমন শান্তিপূর্ণ
সহাবস্থানে কারোরই কাম্য নয় ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের
ম্রাইলা কার্বারী পাড়ায় আনোয়ার
ইন্জিনিয়ারের ক্রয়কৃত জমিতে বহুদিন ধরেই
উপজাতি একটি সন্ত্রাসীগ্রুপ পরিকল্পিতভাবে নতুন
বসতি নির্মানে লিপ্ত রয়েছে ।
এব্যপারে জানতে চাইলে ভূমির মালিক আনোয়ার ইন্জিনিয়ার
বলেন "অনেক দিন ধরেই কিছু অস্ত্রধারী উপজাতির
মদদে আমার ভূমিটি দখলের চেষ্টা চালায় ।
এমনকি ওরা আমার জায়গাটি অপদখলের জন্য নতুন
বসতি স্থাপন, গাছের চারা রোপন, বাঁশের বেড়া নির্মানসহ
নানা অপকৌশল অবলম্বন করে "।
তিনি আরও বলেন "ওদেরকে মৌখিকভাবে বার বার নিষেধ
করার পরও ওরা বসতি স্থাপন বন্ধ করে নি,
বরং উল্টো তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে "।
এব্যাপারে উনার প্রশাসনিক পদক্ষেপ
সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান "উক্ত বিষয়টি সমাধানের
জন্য আমি উপজাতী ও বাঙ্গালী উভয় সমাজের বিভিন্ন
নেতৃবৃন্দসহ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিহিত করি । এরই
পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি মিমাংসার জন্য গত ১৩মে সোমবার
রামগড় থানার OC, UNO আমিনুল, মেজর আমিনুল,
UPচেয়ারম্যান আলমগীর এবং উপজাতীদের পক্ষ
থেকে এলাকার দোঅংপ্রু কার্বারী, ক্যাউআচ মার্মা,
উহ্লাতাই মার্মা, মোহন ত্রিপুরাসহ
স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে একটি মিমাংসা বৈঠকও
হয়েছিল
।"
উক্ত বৈঠকের ব্যাপার পাতাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম
(আলমগীর) এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান "ওদের
সাথে যে বৈঠকটি হয়েছিল সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক
কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থিত উপজাতি ও
বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দের সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়ে ছিল
যে, উপজাতীয়দের কেউ যদি ঐ ভূমির মালিকানা দাবি করতে চায়
তাহলে আগামী ৩দিনের মধ্যে যেন প্রকৃত
দলিলাদি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এবং উপজেলা পরিষদে হাজির
হয় "।
তিনি আরো বলেন "নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর উক্ত ভূমির
মালিকানা দাবী করে কোন উপজাতীই কোন
দলিলাদিতো দেখাতে পারলোইনা, বরং তারা কালক্ষেপন
এবং প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ৪র্থ দিন ১৭ তারিখ
থেকে কিছু অস্ত্রধারী উপজাতী সন্ত্রাসীদের
উপস্থিতিতে পুনরাঃয় পার্শ্ববর্তী কালাপানি,
হাফছড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন নতুন
২০/২৫টি উপজাতী পরিবারকে এনে বসতি স্থাপন করে।
এব্যপারে সিন্দুকছড়ি আর্মি জোনের এক সেনাসদস্যের
সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার
স্বার্থে তিনি জানান "প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে কিছু
অস্ত্রধারী উপজাতী সন্ত্রাসীর উপস্থিতিতে সেখানে নতুন
করে বসতি নির্মান চলছে, এমন সংবাদ
পেয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য
উক্তস্থানে একটি সেনাবাহিনীর টহলদল যায় । কিন্তু
সেনা টহলটি শুধুমাত্র টহল শেষেই খুব দ্রুত
জোনে ফিরে আসে "।
এদিকে সেনাবাহিনীর টহলদল আসার আগাম খবর
পেয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য পরিকল্পনার অংশ
হিসাবে ঘটনাস্থলের একটি ঘরের ভিতর
কয়েকটি মূর্তি রেখে দিয়ে 'উপস্থিত বৌদ্ধ মন্দির'
বানানো হয়এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায় ।
যদিও সেনা টহলটি শুধুমাত্র
পর্যবেক্ষণ শেষেই ফিরে আসে, তার
পরও কিছু দুঃষ্কৃতিকারী উদ্দেশ্য
প্রনোদিত হয়ে সেনাবাহিনীর
ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার এবং পাহাড়ের পরিস্থিতি উতলে দেয়ার
জন্য নানা রকম নাটক তৈরি করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ।
এদিকে ভূমির প্রকৃত মালিক আনোয়ার
ইন্জিঃ এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ
ধরণের মিথ্যাচার ও ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানিয়ে প্রশাসনের নিকট ঘটনার
সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচারের
দাবি জানানো হয় ।
বিষয়: বিবিধ
১০১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন