হাল্লার উপাখ্যান
লিখেছেন লিখেছেন চক্রবাক ০৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৬:২৯:৫৪ সন্ধ্যা
অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক যে ছিল হাল্লা রাজ্য। রাজ্য নয় হে, এ যে রাজত্ব। যেখানে কিছু আজব প্রাণী বাস করতো তারা দেখতে অনেকটা মানুষের মতো, কিন্তু মানুষ নয়। কান আছে কিন্তু কালা, মুখ আছে কিন্তু বোবা, শুধু বোবাই নয় হাবা…! হাব ভাব দেখে মনে হয় সঙ সেজেছে। ড এর কান মুচোলে যেমন ঙ হয়। তেমনি রাজার মাথায় ঘোমটা দিলে রানী হয়। এ আর এমন কি এতো হামেশাই হচ্ছে। রুমাল যদি বেড়াল হতে পারে, শেয়াল কেন মুরগী খেতে পারবে না ?
মুরগী পরে খাওয়া যাবে, আগে রাজ্যে আসা যাক। এমন এক রাজ্য যে রাজ্যে রাজা ছিল না-ক, ছিল শুধুই রানী, সুয়োরানী এবং দুয়োরানী। সুয়োরানী রাজকর্ম করতো অগত্যা দুয়ো-রানী সুয়োপোকা সাজতো। সে এক উল্টো রাজ্য। পা উপরে মাথা নিচে এমন নয় হে, রানীর কথাও তো ভাবতে হবে ? এমনটি ঘটলে রানীদের কি হাল হবে আমার ভেবেই জল এসে গেছে। ভাবছেন কি মশাই… আপনারও জল এসে যেতে পারে…… চোখে !! রানীদের ছিল ইয়ে… বড় বড় পেট, কিন্তু পেট থাকলে কি হবে মশাই তারা যে শুধু ফুটেজই খায়। শুধু খাচ্ছেই কিন্তু গিলছে না…! সুয়োরানী ম্যারাথন দৌড় খুব ভালো বাসতেন। যে চ্যাম্পিয়ন হত তাকে তো মন্ত্রিত্বই দান করতেন। সেই মন্ত্রীদের নামের কি শ্রী… ! টাক্লু মন্ত্রী, মাল মন্ত্রী, শুঁড় মন্ত্রী, বাঁশ মন্ত্রী, সঙ মন্ত্রী আরও কত কি ! এদের নামের সাথে কামেরও পাক্কা মিল। টাক্লু মন্ত্রী পাঠশালা নিয়ে থাকতেন এতে তার বিরাট অভিজ্ঞতা। তিনি তো পাঠ খুব ভালো বাসতেন। পাট দেখলেই তার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যেত। ছোটবেলায় পাটের শলায় অগ্নিস্ফুলন ঘটিয়ে কত কি যে করেছেন… তা আর বলতে নেই ! পাঠশালার বাচ্চাদের এতো কষ্ট করে পড়তে দেখে তার খুব মায়া হতো। তাই তিনি পরীক্ষার আগে ছেলেদের কষ্ট লাগোব করতে প্রশ্ন উম্মোচন করতেন। বাচ্চারা তো তার বিশাল ফ্যান। তখন তো আর ফেইসবুক ছিল না, তাই বাচ্চারা শুকপাখির মাধ্যমেই তাকে উইশ করতো। তারা শুকপাখির সাথে কোথা কইয়া সুখ পেত। শুকপাখিই ছিল বার্তা আদান প্রদান করার একমাত্র মাধ্যম। শুকদের উপর নজরদারির জন্য সুয়োরানী একজন আপা নিযুক্ত করলো। যার নাম মিষ্টি আপা। মিষ্টি আপা টেলিকাইনোসিস জানতেন পাখিদের দ্বারা দুয়োরানীর ভক্তরা কোন রকমের আকাম কুকাম করার চেষ্টা করলেই মিষ্টি আপা তার টেলিকাইনোসিসের প্রয়োগ ঘটাতেন, যাদুতে শুকপাখিদের বস করতেন। এছাড়াও ছিলেন বাঁশ মন্ত্রী। ছোটবেলা থেকেই তিনি বাঁশ ভালো বাসতেন। যাকে তাকে বাঁশ দিতেন। এমনকি তিনি সাত সমুদ্দুরদের উপর বাঁশ দিয়ে সেতু তৈরির প্রকল্পও হাতে নিয়েছিলেন। বাঁশ-মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মাল-মন্ত্রী যিনি ইনফ্রেজি নামক এক প্রাচীন ভীষণ ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তিনি রাজ্যের সকল কাজ ইনফ্রেজি ভাষায় পরিচালনা করতেন। তিনি ছিলেন খুব উদার লোক, যাকে তাকে বিনা ইন্টারেস্টে মাল দিয়ে দিতেন। না। এটাকে বলে কর্জে-হাসানা। অনেক সময় সেই মাল ফেরতও নিতেন। সুয়োরানীর এতো সব দক্ষ মন্ত্রী থাকা শর্তেও দুয়োরানী - সুয়োকে দেখতেই পারতেন না। সুয়োরানীকে প্রজারা এতো ভালবাসত যে তারা তাকে হারাতেই চাইতো না। কিন্তু দুয়ো-রানী সবসময় সুয়ো পোকার মতো সুয়ো-রানীর পেছনে কাটি করে বেড়াতো। সুয়োরানীর বিরুদ্ধে প্রজাদের উসকে দিত । দুয়োরানী এরকম কুটনি হওয়া শর্তেও সুয়োরানীর কিছুই করতে পারেনি। কারণ দুয়োরানী খুব অলস ছিল সারাদিন সুয়ে বসে থাকতো। সাজুগুজু করে ঈদের অপেক্ষা করতো। কিন্তু সেই ঈদ আর আসে না দুয়োরানীর ঘুমও আর ভাঙ্গে না। এই রাজ্যের মানুষের অবস্থাও দুয়োরানীর মতো চোখ আছে কিন্তু আঁন্ধা, কান আছে কিন্তু কালা, মুখ আছে কিন্তু বোবা, শুধু বোবাই নয় হাবা…! মাসি-গো মাসি, পাচ্ছে হাসি। হাসির চাপে দিচ্ছি কাশি। নিমের ডগায় ধরেছে শিম, কাগের বাসায় বগের ডিম…! কাগের বাসায় বগের জন্ম হামেশাই হচ্ছে কিন্তু কিন্তু হাল্লার মুল্লুকে “মানুষের” জন্ম আদৌ কি হবে ?
বিষয়: বিবিধ
৩০১৯ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বলবেন কি আপনার লেখার প্রথম অংশ কি ভাবে কালার করেছেন এটা কি ভাবে করে ?
শিখতে চাইলে W3 Schools এ যান। and enjoy it...
This is a Heading
াকিুবাু সে তকু
This is a paragraph.
ািুাব ;ািদু;াি ুািদতকু তদািদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন