পড়ুন চোখ খুলে, হাসুন প্রাণ খুলে (১৫+)
লিখেছেন লিখেছেন চক্রবাক ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৯:৩৮:৫৬ রাত
=>হাসলে যাদের সিনামিন খেতে হয় তারা ১০ হাত দূরে থাকুন
১।
এক মাওলানা আর একদল পাঙ্কু একই সাথে ট্রেনে যাচ্ছে। তো এক পাঙ্কু ঠিক করছে মওলানারে একটু বিরক্ত করবে। কি নিয়ে বিরক্ত করা যায় খুজতে যায়ে দেখে যে হুজুরেরর মাত্র সাতটা লম্বা লম্বা দাড়ি থুতনির কাছে। আর একটাও দাড়ি ওঠেনাই।
:হুজুর আমার মনে হয় আপনার মত পরহেজগার লোকের দাড়ি যদি সাথে রাখি তাহলে আমার আর কোন অসুখ হবে না। আমারে একটা দাড়ি দেন।
হুজুরও কিছুতেই দাড়ি দেবে না, সেও ছাড়বে না। এরকম করতে করতে শেষ পর্যন্ত হুজুর কইছে ঠিক আছে, একটু পরে। তো একটু পরে সে সত্যি সত্যি একটা দাড়ি দিয়া দিছে। পোলা তো মহা খুশি। কিন্তু গুইনা দেখে যে হুজুরের দাড়ি সাতটাই আছে।
:একটা দিলেন তারপরও আপনার দাড়ি সাতটা থাকে কেমনে?
: আরে এইটা তো শো রুম। আপনারে গোডাইন থাইকা দিছি।
২।
রোগীঃ আশ্চর্য ব্যাপার ডাক্তার, আপনার নার্সের স্পর্শেই আমি অনেকটা সুস্থ!
ডাক্তারঃ হুম, স্পর্শের শব্দ আমি রুমের বাইরে থেকেই শুনতে পেয়েছি।
৩।
বাবাঃ মামণি এবার ঈদে কি নেবে?
ছোট্ট মেয়েঃ একটা ছোট ভাই।
বাবাঃ ঈদের তো মাত্র এক মাস বাকি! এত তাড়াতাড়ি তো ছোট ভাই আনা যাবে না।
ছোট্ট মেয়েঃ বেশি লোক লাগিয়ে দাও।
৪।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে একজন রোগী......
ডাক্তার সাহেব আমি আজ ছয় মাস যাবত বিছানায় ঘুমাতে পারি না। খাটের উপর শোবার পর মনে হয় খাটের নিচে কেউ লুকিয়ে আছে আবার নিচে গিয়ে ঘুমালে মনে হয় খাটের উপর কেউ শুয়ে আছে! এভাবে সারা রাত আমার কাটিয়ে দেতে হয়,একবার উপর...... আবার নিচে.........।
সব কিছু শুনে ডাক্তার বললেন সমস্যা ভয়াবহ তবে চিকিৎসা যোগ্য। আপনাকে প্রতি মাসে চারবার করে টানা ছয় বছর এসে চিকিৎসা নিতে হবে এবং প্রতি সিটিং এর জন্য ১০০০ টাকা করে দিতে হবে।
এরপর এক বছর পর রোগী সাথে ডাক্তারের দেখা ।
কী ব্যাপার ? আপনি সেই যে গেলেন আর আসলেন না কেন?
আপনি প্রতি সিটিং এর জন্য ১০০০ টাকা করে ছেয়েছিলেন কিন্তু আমি ৩০০ টাকা খরচ করে আমার সমাধান করে ফেলেছি।
ডাক্তার জানতে চাইলেন কিভাবে ?
রোগী বলল একটা করাত কিনে খাতের পাগুলা কেটে ফেলে দিয়েছি।
আইজ এই পর্যন্তই না হাসলে কন সুড়সুড়ি দেই
বিষয়: বিবিধ
৪৩১৫ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দাড়ি ইসলামের শাআইর এবং ওলামায়ে কেরামের ফতোয়া অনুযায়ী ওয়াজিব। (মতপার্থক্য আছে)
এটা অনেক বড় সুন্নত আমাল।
আর রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) সুন্নত নিয়ে বিন্দুমাত্র ঠাট্টা করতে রাজী নই।
আল্লাহ ক্ষমা করুন।
মনে কষ্ট নিয়েন না ভাই, জরুরী বিধায় একটু বক্র ভাষায় বললাম।
আজ কিছু কৌতুক শোনাবো.................আশা করি এমন মজার কৌতুক অন্য কোথাও পাননি।
সরাসরি রাসূল (সাঃ) থেকেই শিখে নিন কিভাবে কৌতুক করতে হয়।
সময় নষ্ট করতে
ইসলাম সব সময় নিরুৎসাহিত করেছে আর জোকস তো পরের বিসয়। এই ক্ষেত্র টা আবার কথায় ?? @চিরবিদ্রোহী
আবু হুরাইরা (রাযি.) বর্ণনা করেন, সাহাবারা (রাযি.) রাসূল (সাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)! আপনি কি আমাদের সাথে কৌতুকও করেন?" রাসূল (সাঃ) উত্তর দিলেন, "হ্যাঁ, কিন্তু আমি কখনো মিথ্যা বলি না।" (শামাইয়লে মুহাম্মাদিয়া, অধ্যায়-৩৬, হাদীস নং-২৩৭)
নিশ্চয়ই রাসূলের (সাঃ) চেয়ে কেউ দ্বীন বেশি বুঝে যায় নি, যেখানে রাসূল (সাঃ)ও বিনোদনের স্বার্থে কৌতুক করতেন, সেখানে আমাদের করতে সমস্যাটা কোথায়? রাসূলের এই কথায় সাধাসিধা কৌতুকের পক্ষে কি উৎসাহ যোগায় না?
আমার দেয়া লেখার রেফারেন্সগুলো দিয়ে দিচ্ছি, দেখে নিবেন।
এবার একবার বলবেন, আপনি যে উপরে কৌতুক গুলো পেশ করলেন, আপনার কথা থেকেই তো বুঝা যায় ইসলামে এগুলোর মনে হয় কোন স্থানই নেই, তাহলে কেন করলেন?
আমরা সঙ্কীর্ণচেতা তাই তাই ইসলামের মধ্যে আগাছা ঢুকাতে কুণ্ঠাবোধ করি। মশাই বোধয় নিজেকে খুব জ্ঞানী ভাবেন তাই কথার মধ্যে বাঁশের কঞ্ছির চেয়েও ধারাল কিছুর অবস্থান লক্ষণীয়। এটাও বোধয় ইসলামকে আমিষ বানানোর একটা অভিপ্রায়। আমি ভেজিটেরিয়ান নই আবার ননভেজিটেরিয়ানও নই, তাই কথার মধ্যে আমিষ এবং ভেজিটেবলের সংমিশ্রণ থাকে। তা মশাই ইসলামের মধ্যে কৌতুক মেশালেই সেটা আমিষ সমৃদ্ধ হবে এই ফতোয়া আপনাকে কে দিয়েছে ? ইসলাম বোধয় সমৃদ্ধ হয়ার জন্য কৌতুকের কাছে দায়বদ্ধতা রেখে এসেছে ! রাসুলের চলাফেরার মাঝে কোন কথার মধ্যে হাস্য রস থাকতেই পারে তাই বলে কৌতুকের একটি ধারা তইরি করে ফেলতে হবে সেটা আপনাকে কে বলেছে। আপনি মাঝে আবার রোবটের কথাও বলেছেন। মশাই বোধয় ভুলে গেছেন রোবট মানুষের সি ল্যাংগুয়েজে চলে, আপনি তার মধ্যে যে ডাটা এন্ট্রি করবেন তার আউটফুট সে রকম হবে। আপনের যখন "সহিহ কৌতুক" শোনার এতই খায়েশ তো ডাটা এন্ট্রি করলেই তো পারেন, ইসলামকে রবোটিক বানাতে হবে কেন ? হস্য রস করতে পারেন সেটাতে ইসলাম বাধা দিবে কেন ? বরং ইসলামের কিছুটা অংশ নিয়েই নিয়েছে আবেগ সেখানে আছে হাসি কান্না, ভালবাসা, মানবিকতা। তাই বলে যে কৌতুকের আসর খুলে বসার মত বোকামি করে বসবেন সে ক্ষমতা ইসলাম দেয়নি! ইসলাম সব সময় সময় সচেতনতা তইরি করে।
এই কথাটার উত্তর দেবার ক্ষমতা কেবল আমি তখনি রাখি যখন আপনি আমার উপরের কথাগুলোর সাথে একমত পোষণ করেন! @বিদ্রোহী
ঢেকি যে স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, আর ছাগল যত আলিশান মহলেই থাকুক বা কোন মহাজ্ঞানীর আশ্রয়ে হাজার বছর থাকুক সে যে ছাগলই থাকে, এই কথাগুলো স্কুলে বা অন্য কোথাও প্রমানের জন্য আপনাকে আসলেই একটা জীবন্ত প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা উচিত।
ব্লগে যখন আসেন, তখন কি আক্কেল না নির্দিষ্ট কোথাও গচ্ছিত রেখে আসেন নাকি? নাকি জন্মগত প্রভিভায় এমনটা হয়েছেন? কবে কোথায় আপনাকে বলা হলো যে কৌতুকের আসর খুলে বসতে হবে? আগে নিজের মাথাটা পরিস্কার করেন, পরে জ্ঞান দিতে আসবেন। ধারা তৈরি করতে হবে না, ধারা তৈরি করে দেয়া আছে, যা মোটামুটি অশিক্ষিতরাও বুঝলেও আপনার মতো বিশেষ প্রতিভাবান মূর্খের পক্ষে বোঝা সম্ভব না।
এত দ্বীন বোঝেন যে একেবারে আমাকে জ্ঞান দেওয়া শুরু করলেন, তো যখন রাসূলের (সাঃ) প্রিয় সুন্নাত দাড়ি নিয়ে মস্করা করলেন তখন কি ঈমান টেবিলের ড্রয়ারের সযত্নে রেখে্ এসেছিলেন নাকি?
আমার দেয়া কৌতুক গুলো, তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম হাদীস না, কিন্তু এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচার আর দ্বীনের বিধান নিয়ে তামাশা এখানে করা হয়নি। "ঝাঁঝর বলে সুই কে তোর পিছনে ফুটো।" আগে নিজের ফুটো ঢাকেন, পরে অন্যেরটা ঢাকতে আসেন।
হ্যাঁ, এ কথার উত্তর দেয়ার ক্ষমতা আপনার থাকবে না, কেননা উত্তর দিলেই তো সব ভন্ডামি বেরিয়ে আসবে। তবে যদি মুরীদ করে নেয়া যায়, তখন তো কতভাবেই মা'রেফাত বুঝানো যায়, তাই না? দাঁড়ি নিয়ে কৌতুক করতে যার একটু দ্বিধাবোধ হয় না, সে আবার আসে অন্যকে দ্বীন শেখাতে!!! এখন বুঝা যাচ্ছে, গোলাম কাদীয়ানি মরলেও ওর ভূত আজও এমন অনেক লোকের উপর আসর করে "ছহীহ-শুদ্ধ মুনাফেক"-এর নতুন সংস্করণ তৈরি করে।
মনে কষ্ট নিয়েন না ভাই, জরুরী বিধায় একটু বক্র ভাষায় বললাম।
সরাসরি রাসূল (সাঃ থেকেই শিখে নিন কিভাবে কৌতুক করতে হয়।
সমস্যাটা বিবেচনার। আসলে আমার আগেই বুঝা উচিত ছিলো, বুঝতে পারিনি। তাই ভূলটা আমারই্।
পবিত্র কোরান অবশ্যই প্রতিটি কাজ সুসংহত ভাবে চায়, কোন সন্দেহপূর্ণ কাজ এলাউ করে না। কোরান মানুষকে শিক্ষা দেয় যেকোনো কাজকে সঠিক দলিল প্রমান দিয়ে বিশ্বাস করতে। সেখানে আমি কেন এসব হাদিসগুলো সন্দেহাতীতভাবে মেনে নেব ? এমনকি কোরান কখন তার বিদ্বান কাউকে মানার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করেনি, সবাইকে স্বাধীনতা দিয়েছে বিচার বিশ্লেষণ করতে ! সে সুত্রআনুসারে যে বিষয়গুলো স্পষ্ট এবং কোরআনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলোই আমি মানব। আপনি যদি কোরানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন কথা বা উক্তি দিয়ে রাসুলের হাদিসকে প্রমান করতে পারেন আমি অবশ্যই মানব ! হাদিস কখনো কোরানের বিরুদ্ধে যাবে না বরং সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। স্পষ্ট কোরানের বিধান মানুন হাদিসের প্রয়োজন কমবে
অথচ, আগের মন্তব্যে আপনি বলে বসেছেন ”যে গ্রন্থগুলোর নাম দিয়েছেন না, তাতে আর চেলে দেখার ইচ্ছা জাগবে না।” অর্থাৎ গ্রন্থগুলোর গ্রহণযোগ্যতা আপনার কাছে শূণ্যের কোটায়, বা আরো নিচে। হাদীস সম্পর্কে যথেষ্ঠ জ্ঞান নেই, আবার মন্তব্যের সময় একেবারে সরাসরি আঘাতমূলক! বাহ! ভালোই।
আপনার জ্ঞাতার্থে, উক্ত পোস্টে দেয়া গ্রন্থগুলোর মধ্যে ”শামায়েল ই মুহাম্মাদী” ইমাম তিরমীযির লেখা, যার মান নিয়ে এ যাবৎ পর্যন্ত কেউ টু শব্দ পর্যন্ত করতে পারেনি। ”মুসতাদরাক ই হাকীম” হাকীম আল নিশাপূরীর (রহ.) লেখা, যার সিংহভাগ হাদীসই বুখারী ও মুসলিম এর শর্তানুযায়ী সহীহ। ”সহীহ জামি” আল্লামা সূয়ূতীর (রহ.) লেখা, যার হাতে গোনা কয়েকটি হাদীস বাদে অন্যগুলোর ক্ষেত্রে কোন আপত্তি উত্থাপন হয়নি। ”আল ইসতিবাহ” ইমাম ইবনে আব্দুল বার (রহ.)-এর লেখা, যার গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে আহলে হক্ব আলেমদের কোন দ্বিমত নেই। অথচ আপনি, যিনি নিজের কথা মতেই হাদীস ইলমে অনভিজ্ঞ, কথার জোরে ঐ গ্রন্থগুলোকে একেবারে উড়িয়ে দিলেন! এই হলো যাচাই বাছাই, আর এই হলো বিচার বিশ্লেষণ ক্ষমতা!
সেই সুসংহত ভাবে করার পন্থা/পদ্ধতি বা উসূল টা কি? সেটা কি আপনি আবিস্কার করবেন? প্রতিটি আদেশ, অনুশাসন, আইন ও মাসআলা নির্ণয়ের সুনির্ধারিত পন্থা রয়েছে, যেটাকে উসূল আল ফিকাহ বলে। প্রতিটি চিন্তা/প্রশ্ন/সমস্যার সমাধান এই নির্ধারিত পন্থাতেই আসতে হবে। ইসলামে ”আমার মন চাইলো, আর আমি করলাম” টাইপের আজাইরা প্যাচালের কোন জায়গা নেই।
প্রথমত:
”রাসুল তোমাদের যা দেন তা গ্রহন কর এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক ।” [সুরা-হাশর, আয়াত-৭]
” সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর উপর, যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহর এবং তাঁর সমস্ত কালামের উপর। তাঁর অনুসরণ কর যাতে সরল পথপ্রাপ্ত হতে পার।” (সূরা আরাফ, আয়াত-১৫৮)
” যারা আপনার (রাসূলের) কাছে আনুগত্যের শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছে আনুগত্যের শপথ করে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে।” (সূরা ফাতহ, আয়াত: ১০)
”যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাস করে না, আমি সেসব কাফেরের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি।” (সূরা ফাতহ, আয়াত: ১৩)
”যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।” (সূরা নিসা, আয়াত: ৮০)
”আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত বার্তাবাহক। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। ” (সূরা আশ-শুআরা, আয়াত: ১০৭-১০৮, ১২৫-১২৬, ১৬২-১৬৩)
সর্বোপরি, ”তিনি মনগড়া কথাও বলেন না। তাতো ওয়াহী যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।” (সূরা নজম, আয়াত: ৩-৪) (একেবারে স্পষ্ট দলিল, রাসূল (সাঃ) যা কিছুই বলেন, সবই আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী বলেন।)
এই আয়াতগুলোর কি ব্যাখ্যা করবেন? এখানে তো সরাসরি রাসূলের (সাঃ) আনুগত্য ও অনুসরণের নিদের্শ দেয়া হচ্ছে, কোন দলীর আদিল্লা তাহকীক করার কোন সুযোগ বা উপায় দেয়া হয়নি।
দ্বিতীয়ত: কুরআনের কোন সূরায় বলা হয়েছে যে আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) কে বিশ্বাস করার আগে দলীল প্রমাণ দেখে নিতে হবে? একটি আয়াত দেখান দয়া করে।
তৃতীয়ত: উক্ত পোস্টের কোন বক্তব্য বা হাদীসটি কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক? অথবা অন্য কোন হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক?
চতুর্থত: কুরআনের আয়াত দ্বারা রাসূল (সাঃ)-কে অনুসরণ অর্থাৎ হাদীসের অনুসরণ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত। হাদীসের উপর মন্তব্য করতে হলে উক্ত হাদীস সম্পর্কে, হাদীসের রাবীদের সম্পর্কে, উসূলে হাদীস সম্পর্কে, সমার্থক বা বিপরীতার্থক হাদীস সম্পর্কে, আসমাউর রিজাল সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। (নুখবাতুল ফিকীর, পৃ:৭; জূদুল মুত’ইম, পৃ: ২৫; মিশকাতুল মাসাহীব, ভূমিকা অধ্যায়; নাসরুল বারী ফি শরহে বুখারী, ভূমিকা অধ্যায়)। সুতরাং, কোন এক ”আবদুল্লাহ” এসেই কোন হাদীস সম্পর্কে একটা মন্তব্য করে বসলো, সেটার দায়ভার একান্তই ও শুধুমাত্রই তার উপর বর্তাবে।
উক্ত পোস্টে এমন কোন কথাটি ছিলো যা কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক বা কুরআনের বিরুদ্ধে? যদি মুসলমান হন তাহলে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন, অন্যথায় এসব মিথ্যাচারের জন্য আল্লাহর কাছেই জবাব দিতে হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ইসলামের সবগুলো বিধান কি সরাসরি কুরআন দ্বারা সাবেত? যদি না হয়, তাহলে যেগুলো কুরআনে নেই সেগুলো কি বাদ দিয়ে দিতে হবে?
নিশ্চয়ই আপনিও মানেন, তাই না? মানেন ধরে নিয়েই দু’একটা প্রশ্ন রাখি-
১. নামায কয় ওয়াক্ত পড়েন? ৫ ওয়াক্ত নিশ্চয়ই। ৫ ওয়াক্ত ও এর সময়সীমা (ওয়াক্ত কখন শুরু ও শেষ) কি কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত? কোন আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে? যতটুকু মনে পড়ে কুরআনে সরাসরি সলাত শব্দের মাধ্যমে ”দিনের দুই প্রান্তে (সকালে ও সন্ধ্যায়) ও রাত্রের কিয়দাংশের কথা বলা হয়েছে।(হুদ-১১৪, বণী ইসরাইল-৭৮, ত্বহা-১৩০)। সূরা রূমে ৪টি সময়ের কথা (সকালে, সন্ধ্যায়, অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্ণ)েবলা হলেও সেখানে ”সলাত বা দণ্ডায়মান হওয়া” উল্লেখ করা হয়নি, বলা হয়েছে ”আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ করা” (সূরা রূপ-১৭-১৮)
২. কিভাবে পড়েন? ফযর ২ রাকাআত, যোহর ৪ রাকাআত, আসর ৪ রাকাআত ইত্যাদি (শুধু ফরজ টুকুই ধরলাম)। এই নিয়মটা কুরআনের কোন আয়াত দ্বারা প্রমাণিত?
৩.
এবার একটি মন্তব্য দেখুন ”নিঃসন্দেহে রাসূলের বাণী ও কর্ম কুরআনের ব্যাখ্যা ও বাস্তবিক প্রয়োগ। এ দুটিকে পৃথক করার কোন উপায় নেই। কুরআন জানতে, মানতে ও বুঝতে হলে অবশ্যই তা রাসূলের হাদীস ও সীরাতের আলোকেই করতে হবে। যদিও একটি সম্পদ্রায়কে দেখা যায় যারা রাসূলের সুন্নাহকে বাদ দিয়ে শুধু কুরআনের উপর আমলের জন্য মানুষকে আহবান করে। এরা নিজেদের আহলে কুরআন দাবী করে। নিঃসন্দেহে এই সব লোকগুলো চূড়ান্ত গোমরাহীতে লিপ্ত। রাসূলের বাক্য ও কর্ম জীবন্ত কুরআন। সুতরাং যে এ দুটিকে পৃথক করার চেষ্ঠা করলো সে নিঃসন্দেহে এমন এক গোমরাহীর মধ্যে পতিত হলো, যা তাকে উত্তপ্ত জাহান্নামের পথই দেখাবে।” (নাসরূল বারী ফি শরহে বুখারী, খন্ড:৯, কিতাবুত তাফসীর; আল ফাউজুল কবির-কুরআন ব্যাখ্যায় সুন্নাহর অনুসরণ আলোচনা; কাশফুল বারী ফি শরহে বুখারী, কিতাবুত তাফসীর)
আমরা কুরআন সুন্নাহ উভয়কে আঁকড়ে ধরতে আদিষ্ট হয়েছি, সুন্নাহর আলোকে কুরআনকে বুঝতে, জানতে ও মানতে আদিষ্ট হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তাই করার চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। এটি করতে আমাদের ৩০০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আহলে কুরআন ফেরকার নীতিমালার প্রয়োজন নেই।
এর সদুত্তর দেয়ার মতো মোক্ষম ভাষা আমারও জানা আছে। কিন্তু যদি প্রয়োগই করে দেই তাহলে আপনার আর আমার মধ্যে পার্থক্য কই? এই পার্থক্যটাই ধরে রাখতে চাই। তবে এতটুকু বলবো, তলা যে কার ফুৃটা তা দেখাই যাচ্ছে।
সবিশেষ- আপনরা আজারই ফিলোসফি আর লজিকের প্রয়োজন অন্তত আমার নেই, যার আছে তার উপর নিঃসন্দেহে প্রয়োগ করেন। ইসলামে এই ধরণের আজারই ফিলোসফি আর লজিকের এবং আপনার-আমার মতো মানুষের কথার মূল্য শূণ্যের কোটায়। মূল্য তখনই যখন কথার দলীলে কুরআন/হাদীস/আসার/নস এর উদ্ধৃতি থাকবে। সুতরাং, দয়া করে এইসব অহেতুক কথা বলে আপনার এবং আমার সময় নষ্ট করবেন না। যদি দলীল থাকে তো দলীলের আলোকে বলুন, দলীলের আলোকে যুক্তি দিন বা যুক্তি খন্ডন করুন। তথাপি আপনার যদি চালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, চালিয়ে যান। অহেতুক প্যাচালের উত্তর দেয়ার সময় ও সঙ্গতি আমার অন্তত নেই। দেখি ফাঁকা মাঠে কত গোল দিতে পারেন।
প্রথমতঃ নলেজের বিষয়ে আসছি, জ্ঞান বিষয়ে কঞ্চিটা যে কম ছিল না সেটার প্রতিক্রিয়ায় আমি ব্যথিত নই, বরং উৎসাহিত। আমি পূর্বেও বলেছি আমার জ্ঞান শূনের কৌটায় এবং এখনো বলছি। কারন প্রত্যেক বস্তুর দুটি গতিপথ থাকে যেটাকে বলতে পারেন ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া। এই গতিপথটিকে ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন শূনে অবস্থান করা। কারণ বস্তুর ধর্ম হল সে নিউট্রাল অবস্থানে থকে, উদ্দীপকের ক্রিয়াই তাকে পতিক্রিয়া দেখাতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি যখন ০ বিন্দু বা নিউট্রালে অবস্থান করব তখন আমার সামনে দুটি ওয়ে থাকবে। একটি ওয়ে অব থিঙ্কারস, অপরটি ওয়ে অব ম্যাটার। কিন্তু আমি যদি ০ বিন্দু থেকে এগিয়ে গিয়ে এ দুটির কোনটি গ্রহণ করে ফেলি তাহলে আমার সত্ত্বটি আইডিওলজিকেল। এই আইডিওলজিটা হতে পারে রাইট ওর রং। আমি যখন সত্য অনুসন্ধানী হব তখন আমার অবস্থানটা অবশ্যই হতে হবে নিউট্রাল/০। কোন একটি আইডিওলজিকে ধারণ করে সত্য অনুসন্ধান কঠিন। কারণ ঐ আইডিওলজির দ্বারা আমি বার বার বাধাগ্রস্থ হব। যেটার উৎকৃষ্ট প্রমাণ সামুদ জাতি সহ রাসুলের সময়কার কাফেররা...
They said: "Comest thou to us, that we may worship Allah alone, and give up the cult of our fathers? bring us what thou threatenest us with, if so be that thou tellest the truth!" (al-araf :70)
এখানে তারা তাদের পূর্বপুরুষের আইডিওলজিকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন কোন মতবাদ নিতে অস্বীকার জানিয়েছেন। আর আমার জ্ঞান শূনের কোটায় এই কারণেই। আমি ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি শুধু ইসলাম নয়, বেদ, উপনিষদ, ওল্ড টেস্টেটমেন্ট, নিউ টেস্টেটমেন্ট, রামায়ণ, মহাভারত, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, গ্রিক মিথলজি সম্পর্কে আমি পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছি। শুধু ধর্মই নয়, বিভিন্ন ধরণের ইজম নিয়ে আমি লেখাপড়া করছি। যতই পড়ছি মনে হচ্ছে আমি কিছুই জানি না। আর এই জানার অভিপ্রায় নিয়েই আমি ০/জিরো টুঁ ইনফিনিটির পথে হাঁটছি।
তাই বলে যে আমি হাদিস পড়িনি তা নয়। আমার মনে হয় কোন কিছু পড়ার ইচ্ছা না থাকলেই যে সেই বিষয় উপযোগিতা হারায় এমনটা বলা বোকামি। ধরুন আমি কার্ল মাক্সের ‘কমিউনিস্ট মেনুফেস্টো’ পড়ে তার আরেকটি গ্রন্থ ‘ডাস ক্যাফিটাল’ পড়ার প্রতি আগ্রহ হারালাম, তাই বলে কি গ্রন্থটি আমার কাছে অর্থহীন ? কখনই নয়, সময়ের প্রাসঙ্গিকটায় অবশ্যই আমি তার প্রতি আকর্ষিত হব। তার মানে আমার আগের কমেন্টের সাথে পরের কমেন্ট সরাসরি আঘাতমূলক নয় বরং সামঞ্জস্যপূর্ণ।
দ্বিতীয়তঃ আপনি বলেছেন ”শামায়েল ই মুহাম্মাদী” ইমাম তিরমীযির লেখা, যার মান নিয়ে এ যাবৎ পর্যন্ত কেউ টু শব্দ পর্যন্ত করতে পারেনি। কথার চাপে কথা বেরিয়ে আসাও কজ এন্ড ইফেক্টের ফল। ”শামায়েল ই মুহাম্মাদী” ”মুসতাদরাক ই হাকীম” ”সহীহ জামি” ”আল ইসতিবাহ” এগুলো বাদ দিন বুখারিও মুসলিম নিয়েই তো বিতর্কের শেষ নাই আমি আপনাকে তাদের অনেক গুলো হাদিসকেই পরস্পর বিরোধী হিসেবে দেখাতে পারব। ইভেন যেগুলো কোরানের সাথেও সাংঘর্ষিক। ব্যক্তিগত ভাবে বুখারি এবং মুসলিম শরিফের অনেক হাদিস পরস্পর বিরোধী। বুখারি শরিফের হাদিস নিয়ে কয়েক জন আলেমের কিছু সন্দেহ তুলে ধরছি...
ইমাম শাখাবি তার ফাথ-উল-মুঘিস গ্রন্থের ''ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম'' অধ্যায়ে লিখেছেন যে বুখারী গ্রন্থের ৪৩৫ হাদীস বর্ণনাকারীর মাঝে ৮০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। আর মুসলিম শরীফের ৬২০ বর্ণনাকারীর মাঝে ১৬০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিরাট বড় এক হাদীস স্কলার ও আলেমের সাথে পরিচিত হওয়া যাক। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী। বুখারী শরীফের সবচেয়ে বড় ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাথ-উল-বারী এর রচয়িতা। আমরা বর্তমানে যে আধুনিক ১০ খন্ডের বুখারী শরীফ দেখি সেটি মূলত এই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থ থেকেই ইমাম আসকালানীর ব্যাখ্যাগুলো বাদ দিয়ে সংকলণ করা হয়েছে। অর্থাত আধুনিক বুখারী শরীফের উৎস হচ্ছে ইমাম আসকালানী। ফাথ-উল-বারী গ্রন্থটি এতই বিশালাকার যে এখনো এর ইংরেজী অনুবাদ করা হয়ে উঠেনি। তবে মুল আরবী গ্রন্থটি অনলাইনে পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইমাম আসকালানী নিজেই সেই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে ইমাম বুখারীর অনেক হাদীসের সমালোচনা করেছেন। ইমাম আসকালানী ছাড়াও অন্য অনেক প্রক্ষাত আলেম যেমন ইমাম গাজ্জালীও বুখারী শরীফের হাদীসের সমালোচনা করেছেন
অনেকগুলো হাদীসের মধ্য থেকে উদাহরণ হিসেবে কিছু হাদীস তুলে ধরা প্রয়োজন যেখানে স্কলারগণ ইমাম বুখারী ও তার সংকলিত হাদীসের সমালোচনা করেছেন। উল্লেখ্য ইমাম আসকালানীর মূল গ্রন্থ পড়লে এমন আরও অনেক জাল হাদীস পাওয়া যাবে বুখারী গ্রন্থে। এর বাইরে তো বৈজ্ঞানিক ও কমন সেন্সের ভিত্তিতে ভুল হাদীসের অভাব নেই বুখারী শরীফে। তবে এই কমেন্টের উদ্দেশ্য ইমাম বুখারীকে হেয় প্রতিপন্ন করা নয়, বরং এটাই বুঝানো যে ভুল সবারই হতে পারে, বুখারীর হাদীস বলেই চোখ বুজে তা বিশ্বাস করার কারণ নেই।
১) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শারিক হযরত আনাস হতে রাসূলের মিরাজ সংক্রান্ত একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াত নাযিল হবার পূর্বে রাসূল (সা) কাবা গৃহে নিদ্রারত ছিলেন, তিনি স্বপ্নে দেখলেন তিনিজন ফেরেশতা তার নিকট এসে তার সম্মানের ব্যাপারে কথা বলে চলে গেলেন। দ্বিতীয় রাত্রিতেও একই ঘটনা ঘটল কিন্তু তৃতীয় রাত্রিতে স্বয়ং রাসূলকেই (সা) মিরাজে নিয়ে যাওয়া হল।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
২) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমানের মৃত্যুর পর বদর যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না। এবং হাররার যুদ্ধের পর হুদায়বিয়া যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না।
ইমামা আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন হাদীসটির ২য় অংশটাও ভুল।
৩) বুখারী শরীফের তাফসির অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শেষ বিচারের দিন যখন হযরত ইবরাহিম তার পিতাকে দেখবেন তিনি আল্লাহর কাছে আরজ করবেন, '' তুমি আমার কাছে ওয়াদা করেছিলে যে শেষ বিচারের দিন তুমি আমাকে দুঃখিত করবেনা। '' আল্লাহ উত্তরে বলবেন, '' অবিশ্বাসীদের জন্য আমি জান্নাত নিষিদ্ধ করেছি''।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
৪) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বর্ণনা করেন যে নবী (সা) বলেছেন, বিচার দিবসে যখন আল্লাহ দোজখীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন তখন জাহান্নাম বলবে আরও দাও। তখন আল্লাহ এক নতুন জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নাম আবারো বলবে আমি আরও চাই। তখন আল্লাহ আরও একটি জাতি সৃষ্টি করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করলে তাতেও জাহান্নাম পূর্ণ হবেনা। তখন আল্লাহ নিজের পা জাহান্নামের উপর রাখলে জাহান্নাম পূর্ণ হবে।
ইমাম আসকালানী ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে এবং হাফিজ ইবনে কাইয়াম, আবুল হাসান কুছবি এবং অন্যান্য হাদীস পন্ডিতগণ বলেছেনঃ
And the book will be placed, and you will see the mujrimoon (criminals, polytheists, sinners, etc.) fearful of that which is therein. they will say:”woe to us! what sort of book is this that leaves neither a small thing nor a big thing but has recorded it with numbers!” and they will find all that they did, placed before them, and your lord treats no one with injustice. (al-kahaf-49)।
এছাড়া আল্লাহ তায়ালা কোরানে নিজেই বলেছেন
That I will be fill hell with you (satan) and those of them (mankind) that follow you, together. (saad-85)
৫) বুখারী শরীফের আম্বিয়া অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত আদম ষাট ফুট লম্বা ছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
৬) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু মুসা বলেছেন যে আমাদের রাসূল খয়বরের দিকে যাচ্ছিলেন। তার পিছনের লোকেরা জোড়ে আল্লাহু আকবর বলে চিতকার করছিলেন। রাসূল তখন তাদেরকে চিতকার করতে নিষেধ করে স্বাভাবিক আওয়াজে আল্লাহু আকবর বলতে বলেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
৭) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত, খয়বরের যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে এক ব্যক্তি খুব সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছিল, আমাদের রাসূল (সা) বলেছিলেন সে জাহান্নামে যাবে।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
৮) বুখারী শরীফের মাযুকিরা ফিল আসওয়াক অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বলেছেন- ''আমি আল্লাহর নবীর সাথে বনু কাইনুকার বাজারে গিয়েছিলাম এবং তিনি সেথায় ফাতিমার বাগানে বসেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
৯) বুখারী শরীফের যাকাত অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেন যেঃ নবীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের মাঝে উম্মুল মুমীনিন সাওদা-ই সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন
১০) বুখারী শরীফের জানাইজ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ নবীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা শুনেছিলেন যে তার বাবা সিরিয়াতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন,
১১) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ খাবাইব বিন আদ্দি বদর যুদ্ধে হারিসকে হত্যা করেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন
১২) বুখারী শরীফের ফাযায়েল উল উসমান অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমান এক ব্যক্তিকে আশি বার চাবুক মেরেছিলেন।
উল্লেখিত হাদিস গুলো তুলে ধরার লক্ষ্য এই এই নয় যে আমি ইমাম বুখারিকে অসম্মান করছি। আমি শুধু বিতর্কগুলো সামান্য তুলে ধরছি এরকম আরও অনেক হাদিস দেখাতে পারব। এখানে ম্যাসেজ হচ্ছে যেখানে বুখারি নিয়েই যেখানে এত প্রশ্ন সেখানে অন্যান্য গ্রন্থ গুলোর কথা বাদই দিলাম। তাছাড়া উপরের বিতর্কগুলো সুন্নি আলেমগণের শিয়াদের গ্রন্থের হাদিসের কথা বললে তো মাথা ঘুরে যাবে। তাই আমাদের উচিত কোরানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হাদিসগুলোকে নিজের বিচারবিশ্লেষণ ক্ষমতা দিয়ে মান্য করা।
প্রশ্নটা আমাকে না করে নিজেকে করলেই উত্তর পেতেন। যেহেতু আমার উপর দ্বায়ভার চাপিয়েছেন সেহেতু বলছি... আপনি বলেছেন প্রতিটি আদেশ, অনুশাসন, আইন ও মাসআলা নির্ণয়ের সুনির্ধারিত পন্থা রয়েছে, যেটাকে উসূল আল ফিকাহ বলে। আমার প্রশ্ন এই ফিকাহের সমস্ত কিছুই নেয়া হয়েছে কি থেকে ? অবশ্যই কোরআন থেকে নিতে হবে নতুবা আমি কখনই মানবো না। যেহেতু ফিকাহ কোরআন আশ্রিত সেহেতু ফিকাহের নীতি নির্ধারকরা নিশ্চয়ই কোরআন এবং কোরআনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হাদিস থেকে নীতি নির্ধারণ করেছেন। এই নীতি নির্ধারকদের নিশ্চয়ই আল্লাহ্ নির্দিষ্ট বাইন্ডিং দিয়ে তৈরি করে দেন নি, তারা নিজেদের জ্ঞান, বিচার বিশ্লেষণ দিয়ে কোরআনকে বিশ্লেষণ করেই নীতি নির্ধারক হয়েছেন। তৈরি করেছেন বিভিন্ন মাজহাব। এখন আপনার জন্য কেন সেই সুযোগ থাকবে না ? আপনি কেন শুধু বসে বসে গিলবেন ? জ্ঞান কাজে লাগান দেখবেন আপনি গিলার পাশাপাশি উগড়ে দিতেও পারছেন। আল্লাহ্ কোরআন, আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন এবং চিন্তাশীলদের খুজচ্ছেন !
And We have indeed made the Qur'an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition? (Al-Qamar: 17,22,40)
এরকম করে চিন্তাশীলদের জন্য আল্লাহ্ কোরআনে অসংখ্য আয়াত নাযিল করেছেন। যারা কোরআনকে নিজের চিন্তা বিশ্লেষণ দিয়ে বুঝেবে।
Do they not then earnestly seek to understand the Qur'an, or are their hearts locked up by them? (47:24)
A Book, whereof the verses are explained in detail;- a Qur'an in Arabic, for people who understand;(41:3)
For We will send the she-camel by way of trial for them. So watch them, (O Salih), and possess thyself in patience!(54:27)
Nay, here are Signs self-evident in the hearts of those endowed with knowledge: and none but the unjust reject Our Signs.(29:49)
এছাড়া... Yaseen: 69, Al-Hashr: 21 Yunus: 61, Al-Hijr: 75, Al-Qamar: 40, An-Nahl: 11 Al-Jaathiya: 13, Az-Zumar: 42, আরও অনেক আয়াত আছে যেগুলোতে কোরআন নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছে।
কোরআন যখন আমাদের বিশ্লেষণে তাগিত দিচ্ছে তখন আমরা কেন বসে থাকব ? ইমাম হানাফি, শাফেয়ী, মালেকি, হাম্বেলি, জাফর সাদিকরা আমাদের মতই মানুষ। আল্লাহ্ কোরানে এমন কোথাও বলে যাননি। এদের পর আর নীতি নির্ধারক আসবে না। ইমাম হাম্বেলি’ই শেষ ইমাম এবং মাজহাব প্রণেতা।
যে বিষয় নিয়ে বিতর্ক আপনি কিন্তু সে বিষয়ে আমার কথার একমত পোষণ করেই ফেলেছেন ইস্লামে আজাইরা প্যাচালের যায়গা নেই।
তৃতীয়তঃ আপনি আমার কথাই বুঝতে’ই পারেননি নতুবা বুদ্ধিবিত্তিক সন্ত্রাস করছেন ! আমি বলেছি, এর মানে এই নয় আমি রাসুল বা তার হাদিসকে অস্বীকার করছি ! আমি ব্যক্তিগত ভাবে অবশ্যই এই আয়াত গুলোকে ১০০% বিশ্বাস করি এবং রাসুলের হাদিস মানতে বিন্দুমাত্র সঙ্কা করি না। তবে হাদিসটি যে সরাসরি রাসুল থেকে আসছে সে বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা আমার কর্তব্য। কারণ রাসুলের মৃত্যুর পর অনেক দরবারী আলেম তৈরি হয়েছিল। যারা নিজেদের ক্ষমতা টিকানোর জন্য রাসুলের হাদিসকে বিকৃত করে প্রচার করেছে। ইভেন এই ষড়যন্ত্রের সাথে তথাকথিত আনেক সাহাবীও জড়িত ছিলেন।
আপনি হয়ত আমার এই কথার বিরধিতা করতে পারেন। সাহাবিদের ব্যাপারে এরকম কথা !
তো আমি বলব... যেখানে আল্লাহ্ নবী পত্নিদের প্রসঙ্গে এই কথা বলেন... সেখানে সাহাবীরা দূরের ব্যাপার !
O Prophet! Say to thy Consorts: "If it be that ye desire the life of this World, and its glitter,- then come! I will provide for your enjoyment and set you free in a handsome manner. (33:28)
যেখানে শিয়া সুন্নির গ্রন্থের মধ্যে হাদিসের এত অমিল এবং পরস্পর বিরোধী হাদিস সেখানে আমি কোনটাকে মানবো ? অবশ্যই আমার নৈতিক দায়িত্ব প্রত্যেকটি হাদিস চুলছেরা বিচার বিশ্লেষণ করে মেনে নেয়া, অন্ধ ভাবে নয়।
কুরআনের কোন সূরায় বলা হয়েছে যে আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) কে বিশ্বাস করার আগে দলীল প্রমাণ দেখে নিতে হবে ? একটি আয়াত দেখান দয়া করে।
চতুর্থতঃ আমি কখনো বলিনি আল্লাহ্ এবং রাসুলকে মানতে হলে দলিল প্রমাণ লাগবে ! অপযুক্তি দিয়ে কথা ঘোরাতে অনেককেই দেখেছি কিন্তু সরাসরি উক্তি চেঞ্জ করতে দেখি নি যেটা আপনি দেখিয়েছেন। আমি বলেছি তার পরও আমি কিছু আয়ত দেখাচ্ছি যেগুলোতে আল্লাহ্ তার নিদর্শন দিয়ে অস্তিত্ব প্রমান করেছেন। মহান আল্লাহ্ বলেন...
Do ye not see that Allah has subjected to your (use) all things in the heavens and on earth, and has made his bounties flow to you in exceeding measure, (both) seen and unseen? Yet there are among men those who dispute about Allah, without knowledge and without guidance, and without a Book to enlighten them! (31:20)
When they are told to follow the (Revelation) that Allah has sent down, they say: "Nay, we shall follow the ways that we found our fathers (following). "What! even if it is Satan beckoning them to the Penalty of the (Blazing) Fire? (31:21)
Whoever submits his whole self to Allah, and is a doer of good, has grasped indeed the most trustworthy hand-hold: and with Allah rests the End and Decision of (all) affairs. (31:22)
But if any reject Faith, let not his rejection grieve thee: to Us is their return, and We shall tell them the truth of their deeds: for Allah knows well all that is in (men's) hearts. (31;23)
We grant them their pleasure for a little while: in the end shall We drive them to a chastisement unrelenting.31:24
If thou ask them, who it is that created the heavens and the earth. They will certainly say, "Allah". Say: "Praise be to Allah!" But most of them understand not. (31:15)
---- 31:26,27,28,29--- And
That is because Allah is the (only) Reality, and because whatever else they invoke besides Him is Falsehood; and because Allah,- He is the Most High, Most Great. (31:30)
And who does more wrong than one to whom are recited the Signs of his Lord, and who then turns away therefrom? Verily from those who transgress We shall exact (due) Retribution. (32:22)
এছাড়া আরও পাবেন সুরা বাকারা আয়াতঃ (১১৮,১১৯) (২১১)
আল্লাহ্ সত্তাগত প্রমাণ সরূপ একটা সূরাই (ইখলাস) নাযিল করেছেন
1.He is Allah, the One and Only;2. Allah, the Eternal, Absolute; 3.He begetteth not, nor is He begotten; 4.And there is none like unto Him.
এ ছাড়া আরও অনেকগুলো আয়াতে আল্লাহ্ নিদর্শন দিয়ে মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহা নাই।
পঞ্চমতঃ হাসি ঠাট্টা কৌতুক, নিশ্চয়ই মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট করে যার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে আল্লাহ্ কোরআনে বলেছেন...
Therefore, when thou art free (from thine immediate task), still labour hard, (94:7)
আল্লাহ্ তায়ালা বিভিন্ন সূরায় সময়ের কসম খেয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম সুরা আসর
1.By (the Token of) Time (through the ages),2. Verily Man is in loss
এবং কোরআনে সুরা মুমিনুনে বলা হয়েছে যারা অসার কার্যকলাপে লিপ্ত হয়নি তারা সফলকাম
1.The believers must (eventually) win through, 2.Those who humble themselves in their prayers; 3. Who avoid vain talk;
এর পরও অযথা সময় নষ্ট করা বোকামি।
ষষ্ঠতঃ কমেন্টের উপরের দিকে রাসুল এবং তার হাদিস সম্পর্কে আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। হাদিস সম্পর্কে না জেনে আমি কোন কথা বলিনি। উপরে বোধয় উল্লেখ করেছি হাদিস সম্পর্কে সংকীর্ণতায় ঝামেলা কোথায়। আরও লাগলে বলবেন প্রয়োজনে হাদিস সম্পর্কে একটা ধারাবাহিক লেখা চালিয়ে যাব।
অবশ্যই ইসলামের সবগুলো বিষয় কুরান দ্বারা সাবেত। কারণ আপনি যদি কোরআনকে মানেন তাহলে কোরানের এই উক্তিটি দ্বারা বিষয়টি প্রমানিতঃ
In whatever business thou mayest be, and whatever portion thou mayest be reciting from the Qur'an,- and whatever deed ye (mankind) may be doing,- We are witnesses thereof when ye are deeply engrossed therein. Nor is hidden from thy Lord (so much as) the weight of an atom on the earth or in heaven. And not the least and not the greatest of these things but are recorded in a clear record. (Yunus: 61)
সুতরাং এই বিষয়টি না মানলে আপনার ইমান থাকবে না। কোরআনে নেই এমন কোন বিষয় নেই। যদি খুজে না পাই সেটা আমাদের অক্ষমতা। এই আপনার জ্ঞানের শ্রী ? এত জানেন, আর কোরআন নিয়ে প্রশ্ন করেন ? হাদিসকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে কোরআনকে জলাঞ্জলি দিলেন ? আপনার মত জ্ঞানীদের আমি......... !!!
সপ্তমতঃ উপরের পুরো পোস্টটি’ই কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক যেখানে আল্লাহ্ বলেছেন
Therefore, when thou art free (from thine immediate task), still labour hard, (94:7)
এবং . Who avoid vain talk (23:3) he mast win through !
এরপর আর অসার ব্যাক্য প্রয়োগ করব না কারণ এটা নিন্দনীয়।
নামায কয় ওয়াক্ত পড়েন? ৫ ওয়াক্ত নিশ্চয়ই। ৫ ওয়াক্ত ও এর সময়সীমা (ওয়াক্ত কখন শুরু ও শেষ) কি কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত? কোন আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে?
অষ্টমতঃ নামাজ সম্পর্কে কোরআনে সুরা হুদে ৩ টি সময়
And establish regular prayers at the two ends of the day and at the approaches of the night: For those things, that are good remove those that are evil: Be that the word of remembrance to those who remember (their Lord):
বনি ইসরাইলে ২ টি সময়
Establish regular prayers - at the sun's decline till the darkness of the night, and the morning prayer and reading: for the prayer and reading in the morning carry their testimony.
সুরা তোহাতে ৪টি সময়ের কথা
Therefore be patient with what they say, and celebrate (constantly) the praises of thy Lord, before the rising of the sun, and before its setting; yea, celebrate them for part of the hours of the night, and at the sides of the day: that thou mayest have (spiritual) joy.
সুরা রোমে ৪টি সময়ের কথা উল্লেখ আছে
17.So (give) glory to Allah, when ye reach eventide and when ye rise in the morning;
18. Yea, to Him be praise, in the heavens and on earth; and in the late afternoon and when the day begins to decline.
এখন আপনি এই আয়াতগুলোকে ব্যাখ্যা করলে ৫টি সময় পেতে পারেন। যেমন সুরা রুমের মধ্যে ৪টি সময় ১। সন্ধ্যা ২। প্রভাত ৩। জোহর ৪। অপরাহ্ণ (আসর) এবং সুরা তোহাতে আমরা বাড়তি আরেকটি সময় পাই, আয়াতে বলা হয়েছে celebrate them for part of the hours of the night ৫। নাইট(রাত্র)
পাঁচটা সময় আসা করি পেয়ে গেছেন। এতেও যদি সন্তুষ্ট না হন তাহলে বলব হাদিস দেখুন, কারণ আমি কখনই হাদিসের বিরোধিতা করিনি বরং বলেছি পরিশুদ্ধতার পক্ষে বিচার বিশ্লেষণ করতে। নামাজ নিয়ে হাদিসগ্রন্থ গুলোর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। শিয়া সুন্নি সবাই নামাজকে ৫ অয়াক্তই মানে। এর পরেও যদি বলেন শিয়ারা ৫ ওয়াক্ত নামাজকে অনেক সময় ৩টা সময়ে পড়ে, তাহলে বলব আপনি দুই হজের দিকে তাকান তাহলে উত্তর পাবেন। দুই হজেও নামাজ ৩টা সময়ে পড়া হয়। জোহর আছর একসঙ্গে এবং মাগরিব এশা একসঙ্গে। এর বেশি বলতে পারব না। শিয়াদের গ্রন্থ পড়ুন জানতে পারবেন, তবে তারাও নামাজ ৫ওয়াক্ত এটা স্বীকার করে।
আর রাকাত অনুসন্ধানেও হাদিস দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে যাচাই করে দেখতে হবে কোন হাদিসগুলো সর্বজন স্বীকৃত।
আমি এই কথার সাথে পুরোপুরি একমত তবে, চোখ বন্ধ করে সবগুলো হাদিসকে মানতে রাজি নই। যা কেবল কোরানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেগুলোকে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানতে হবে।
এই কথাকেও বিনা দ্বিধায় মেনে নিলাম।
আপনার মত জ্ঞানী লোক আমার অনেক দেখা হয়ে গেছে যাদের তলা ফুটা
মশাই আপনি সেই ...... কঞ্চির ঢোকার জায়গায় বাঁশ ঢুকিয়ে দিয়েছেন আর পার্থক্য খুঁজছেন ? আবার কার তলি ফুটা সেটাও খুঁজছেন ! ৯০ ডিগ্রী এঙ্গেলে আমি কথা কমই বলি যা বলার সোজা চ্যাপ্টা... সেক্ষেত্রে টিপিকেল সেন্টিমেন্ট ইম্পরট্যান্ট না।
আপনার আশা বোধয় পূর্ণ হয়েছে আমি আমার জানা মতে কিছু প্রমাণ হাজির করেছি কোরানের আলোকে আশা করি উপকৃত হয়েছেন। আমি কখনো যুক্তিহীন প্যাঁচাল পছন্দ করি না। পিলসফি সব সময় যুক্তির উপর নির্ভর সুতরাং ফিলসফিকে অযৌক্তিক বলা কূপমণ্ডূকটা। আপনাকে ধন্যবাদ !!!
এত দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত। এই বিলম্বের কারণ- (১)বাবার ইন্তেকালের পর পরিবারের সব দায়িত্ব এসে পড়েছে আমার ঘাড়ে, পড়াশোনার পাশাপাশি এগুলোও দেখতে হয়। ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের অতিরিক্ত ব্যস্ততা এবং বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে এমন এক এলাকায় যেতে হয় যেখানে মডেম ঠিকমতো নেটওয়ার্ক পায় না, (২) এই ব্লগের উপর থেকে ক্রমশই মন উঠে যাচ্ছে। এখানে এসে সব পাঠশালার পড়–য়ারাও রীতিমতো বিশেষজ্ঞ (!) হয়ে ওঠেন, কিন্তু তাদের মহাযুক্তি ও জ্ঞানের অতিশায্যের (!) ডোজ অন্তত আমার হজম হয় না। (৩) এখানে বিশেষ কোন এক মতবাদের মানুষের আধিক্য, অন্যান্য চিন্তাধারার মানুষের প্রতি অনর্থক ও মূর্খতা মূলক আক্রমণ ও কটুক্তি দেখে এখানে থাকাটা সম্ভবত সহনশীল রুচীর কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়।
যাই হোক, আপনার বিশাল দর্শন ও দলিল সম্বলিত উত্তর খানা গতকাল লগইন করার পরপরই পড়লাম। পড়ার পর প্রথমেই আমার মনে যে ভাবনাটা আসলো যে, আপনাকে কেন যে এখনো দর্শনে নোবেল দেয়া হচ্ছে না !!!!এ দর্শন তো একেবারে একদিকে সক্রেটিস, রাসেল, মার্কস, ভলতেয়ার, অন্যদিকে গাজ্জালী, ইবনে তাইমিয়্যা আর কাসিম নানুতুবীর দর্শনকেও একেবারে ফেল মেরে দেয়!!!!!!! আপনার নোবেল না পাওয়া যতটা না হতবাক হতে হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি মনে কষ্ট পাচ্ছি................
যাই হোক, আপনার এই ”দর্শন”-এর বিপরীতে কিছু কথা বলার দূঃসাহস আর না দেখিয়ে পারছি না। দুই একটা তত্ত্ব সরাসরি মূল বই থেকে তুলে দিচ্ছি, নিজের কোন কথা মাঝখানে না ঢুকিয়ে-
"১৮ শতকের বিখ্যাত দার্শনিক ও শরীরতত্ত্ববিদ Pearce J. Thompson তার গবেষনামূলক ক্রোড়পত্র Knowing Natural Behavior of Human Mind: A study-তে মানব মস্তিস্ক ও চিন্তাধারার স্বাভাবিক দিকগুলো আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় ছিলো মানব মস্তিস্কে চিন্তাধারার নিরপেক্ষতা নিয়ে। এখানে এসে তিনি বলেছেন, “............. আমরা উপলব্ধি করতে পারলাম, এটা মানব মস্তিস্কের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই, যার ফলে একটি বিষয়ের উপর সে শুধুমাত্র তখনই নিরপেক্ষ থাকতে পারে, যখন সে এটা নিয়ে চিন্তা করে না। কোন বস্তু বা বিষয়ের উপর চিন্তা বা দৃষ্টিপাত করা মাত্রই নিজের অবস্থান অনুযায়ী ঐ বিষয় বা বস্তু সম্পর্কে একটি ধারণা তার মস্তিস্কে প্রাকৃতিক ভাবেই ফুটে ওঠে, ফলে সে বস্তুটিকে ধনাত্বক বা ঋণাত্বক ভাবে বিবেচনা করে। এক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে- ঐ বস্তু সম্পর্কে তার পূর্ব জ্ঞান, তার নিজস্ব চিন্তাধারা ও অনুমান ক্ষমতা.......”- সহজ বাক্যে বলতে গেলে, মানুষ শুধু তখনই নিরপেক্ষ যখন সে জানতে চায় না, অথবা যখন যে এমন শিশু যে এখনো চিন্তা করা শিখেনি।
এবার দেখি বিজ্ঞান নিউট্রালিটি বা নিরপেক্ষতা সম্পর্কে কি বলে। বিজ্ঞানের বইয়ের প্রথম দিকের সবকই হচ্ছে একজন বিজ্ঞানী কিভাবে কাজ করেন বা গবেষণা করেন। এক্ষেত্রে আলোচনা তুলে ধরবো বিশ্বখ্যাত প্রকাশনী ”Dummy Series”-এর ”Fundamental of Science for the Dummies” বই থেকে। একজন বিজ্ঞানীর কর্মপন্থা বর্ণনা করতে গিয়ে এখানে লেখা হয়েছে- ”বিজ্ঞানী প্রথমেই তার গবেষনার জন্য টপিক বা অবজেক্ট নির্বাচন করেন। অবজেক্ট বা থিসিস সিলেক্শনের পর সেটিকে পর্যবেক্ষন করে বিজ্ঞানী তার উপর একটি আনুমানিক ধারণা লাভ করেন। এরপর বিজ্ঞানী নির্ধারিত বস্তুর উপর প্রাথমিক পরীক্ষার উপাত্ত সংগ্রহ করেন......”- কাছাকাছি কথা আমাদের দেশের ৯ম শ্রেণীর পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম অধ্যায়েও দেখা যাবে। এখানেও বোঝা গেল, একটি বস্তু যখই সামনে উপস্থিত হয়, আমাদের মস্তিস্ক আমাদের বাধ্য করে সেটা সম্পর্কে একটা ধারণা সৃষ্টি করে নিতে।
সুতরাং, নির্বোধও হয়তো বুঝতে পারবে, নিউট্রালিটি বা নিরপেক্ষতা হলো এমন একটি মূলা, যা সমাজের একটি অংশ অপর একটি অংশের নাকের উপর ঝুলিয়ে রাখে নিজের স্বার্থ আদায়ের জন্য। তেমনি ভাবে, আমরা সাধারণত নিরপেক্ষতা বলতে যা বুঝাই তা মূলত ন্যায়পরতা বা একটির উপর অন্যটিকে ভারী হতে না দেয়ার প্রবণতা।
যদি আমি জ্ঞান অর্জনের কথা বলি, নিজেকে নিউট্রাল বা ০ অবস্থানে রাখলে আমার অবস্থা তাই হয়ে যাবে, যা চোখের সামনে অনেককে হতে দেখা যাচ্ছে, ”স্বঘোষিত মহাজ্ঞানী বাচক মূর্খ”। এর কারণ হলো, যখনই আমি জানতে চাইবো, ধরে নিলাম আমি খ্রিষ্টবাদ সম্পর্কে জানতে চাই- এই জানতে চাওয়া থেকেই আমার মনে খ্রিষ্টবাদ সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হলো- এটা একটা ধর্ম যা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে ইত্যাদি। এরপর আমি খ্রিষ্টবাদকে জানতে গিয়ে বাইবেল পড়লাম বা এ সম্পর্কে অভিজ্ঞ কারো সরণাপন্ন হলাম। এই পঠন বা শ্রবণের এক একটি শব্দ আমার মস্তিস্কে খ্রিষ্টবাদের একটি চিত্র তৈরি করবে। এই চিত্রটি নির্ভর করবে আমার চিন্তা শক্তি, পূর্ব জ্ঞান ও বিচার ক্ষমতা। ফলে যখনই আমি পড়তে থাকবো অথবা শুনতে থাকবো, উক্ত নিয়ামকগুলো আমার অজান্তেই একটা প্রক্রিয়া সৃষ্টির মাধ্যমে আমার মস্তিস্কে এই ধর্মকে নেগেটিভ বা পজেটিভ হিসেবে চিত্রায়িত করতে থাকবে। সুতরাং, ০ থেকে ইনফিনিটি শুনতে যতটা ভালো, প্রকৃতপক্ষে ততটাই মূর্খতা। ০ কখনো ফলাফল আনে না, ফলাফল আনতে হলে অবশ্যই নূন্যতম ১ এর প্রয়োজন হয়।
অবাক হলাম, যখন আপনি আপনার এই অসাধারণ, নোবেল প্রাপ্য দর্শনকে প্রমাণের জন্য কুরআনের এমন একটি আয়াতের আশ্রয় গ্রহণ করলেন, যার সাথে এর দূরদুরান্তেও কোন সম্পর্ক নেই। উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ কওমে আদের নিকট হুদ (আঃ)-এর দাওয়াত ও তাদের প্রতিক্রিয়ার কথা আলোচনা করেছেন (আয়াত ৬৫-৭২)। এখানে মূলত যা বুঝানো হয়েছে, কাফিররা কিভাবে নিজেদের কর্তৃত্ব ও বংশ মর্যাদার জন্য আল্লাহর আয়াতকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করতো। যদি পূর্বোক্ত কনসেপ্টের আলোকে আমরা কথাগুলোকে আলোচনা করতে চাই, তাও সম্ভব। খুব স্বাভাবিক ভাবেই, নবীর (আঃ) কথায় গুরুত্ব না দেয়া, নিজেদের কর্তৃত্ব ও বংশ মর্যাদার প্রণোদনা এই সবের প্রভাবে সেইসব কাফিরদের মস্তিস্ক হক্বের দাওয়াতকে তাদের কাছে নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করে। ফলে তারা গুরুত্ব না দিয়ে ঠাট্টা মস্করায় লিপ্ত হয়, আর মানুষ সেই বিষয়টি নিয়েই মস্করা করে যা সে গুরুত্ব দেয় না। আপনি চাইলেও আল্লাহকে নিয়ে মস্করা করতে পারবেন না. কারণ আপনি আল্লাহ কে গুরুত্ব দেন। আর এই গুরুত্ব-ই প্রভাবক হিসেবে আপনার মস্তিস্কে সেরূপ কোন চিত্র গঠনে বাধা সৃষ্টি করে।
বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে আপনি জানতে চান, একথা জেনে আমার খুব ভালো লাগলো। মানুষ মাত্রই সত্যকে জানতে আগ্রহী হওয়া উচিত। আরো ভালো লাগলো জেনে যে, ধর্মকে কোন মানুষের কথায় নয়, বরং ধর্মগ্রন্থের আলোকেই জানতে চেষ্ঠা করেন। কিন্তু যখই বেদ-উপনিষদের কথা বললেন, তখনই পেটে মোচড় অনুভব করলাম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও পালি বিভাগের এক অধ্যাপকের মুখে একবার শুনেছিলাম-” বাংলাদেশে সংস্কৃত ভাষা জানা লোকের পরিমান ১%-এরও অনেক কম। এর মধ্যে বেদ, উপনিষদ, পুরান, স্মৃতি ইত্যাদি আদি পুস্তক পড়ার মতো লোকের সংখ্যা উক্ত ১% এর ২৫%-এর ও কম। কেননা, সংস্কৃতের উপর যত বই পুস্তক পাওয়া যায়, তার মধ্যে এই গ্রন্থগুলো অন্যতম কঠিন ভাষায় লেখা।” তাই মনে করলাম, এই তো, পেলাম একজন দূর্লভ জ্ঞানী। নিশ্চয়ই মূল পুস্তক বাদ দিয়ে, শুধু অনুবাদ পড়ে ধারণা সৃষ্টি করার মতো কান্ডজ্ঞানহীন আপনি নন, তাই না। তো, দয়া করে যর্জু বেদের এই শ্লোকটির অর্থ একটু জানাবেন?
এবার আসি হাদীস সংক্রান্ত আলোচনায়। এই আলোচনা কায়েম করা মাত্রই আপনি যে মন্তব্য পেশ করেছেন, তার থেকে আমার বুঝতে বাকি রইলো না, এই ক্ষেত্রেও আপনি একজন অন্যতম ”শাইখুল হাদীস”; একেবারে ”শাইখুল হাদীস আল জামান”, আর আপনার মতো লোকের সাথে তর্ক করা আমার মতো নাদানের জন্য টাকা দিয়ে জাহান্নামে ঘর কেনার মতোই। তাও, দুঃসাহসের উপর ভর দিয়েই কিছু কথা লিখলাম; তার আগে আরেকটা বিষয় একটু বলতে চাই-
১৯৭০ সালে আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী কম্পিউটার ব্যবহারকে আরো সহজ ও সাচ্ছন্দ্য করার জন্য এক যুগান্তকারী পদ্ধতির আবিস্কার করেন- ”কপি-পেস্ট”। এই অসাধারণ আবিস্কারটি আমাদের দৈনন্দিন কম্পিউটার ব্যবহারকে বহুলাংশে সহজ করেছে, বিশেষ করে যারা আমরা লেখালেখি করি তাদের জন্য। তবে কিছু কিছু ব্লগার এই কপি-পেস্ট এ এমনই মজেছেন যে, আর্ন্তজালে পাওয়া প্রতিটি বস্তুকেই তারা ধ্রুব সত্য ধরে নেন এবং অপরের নিকট চালানও করে দেন কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই। এ পদ্ধতি বেশ কার্যকর, কিন্তু ততক্ষনই যতক্ষন না ঐ বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক জানা অপর একজন তার এই বিশেষ প্রতিভার(!) ১২টা বাজিয়ে ছাড়ে।
আপনি বলেছেন,
বাহ!!! আপনার এই আবিস্কারের জন্য এ পর্যন্ত কয়টা সম্মাননা পুরস্কার পেলেন? নাকি প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন করা হলো না!!!!
বলি জনাব, কোন কালে কি বুখারী শরীফ হাত দিয়ে ছুঁয়েও দেখেছেন? কওমি মাদ্রাসার তাইসির জামাতের (দ্বিতীয় শ্রেণীর) ছাত্ররা পর্যন্ত বুখারী শরীফের সংকলনের ইতিহাস ঠোঁটস্থ জানে, উপরের জামাতের তো কথাই নেই! ইমাম বুখারী (রহ.) তার জীবনকালে স্বীয় ”আল জামিউল সাহীহুল মুসনাদুল মুখতাসার মিস উমুরি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ওয়া সুনানিহী ওয়া আয়্যিমায়িহী” বা বুখারী শরীফ হতে মোটামুটি প্রায় ৯০,০০০ ছাত্রকে হাদীস শুনিয়েছেন। তাঁর নিকটতম ছাত্রদের মধ্যে আবু হাতিম, আর রাযী ও আল ফারাবরী পৃথক কলেবরে নিজেদের শ্রবণ ও অনুলিপী অনুসারে বুখারী সংকলন করেন। এমনকি ইমাম বুখারীর নিজ হাতে লেখা মূল "বুখারী শরীফ" এবং ”তাকমীল বুখারী” এখনো বিশ্বের বড় বড় লাইব্রেরিগুলোতে সংরক্ষিত আছে। আলহামদুল্লিাহ, আমাদের পাঠাগারেও ইমাম বুখারীর নিজ হাতে লেখা বুখারীর কয়েক পাতার ফটোকপি এবং তার ছাত্র আল ফারাবরীর হাতে লেখা সম্পূর্ণ বুখারীর ফটোকপি সংরক্ষিত আছে। এখানে এসে স্বচক্ষে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।
এর পর আপনি অবতারন করলেন ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) রচিত বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থ সম্পর্কে। মজার ব্যাপার হলো, যেই কিতাবের নামটাই শুদ্ধভাবে আপনার দ্বারা লেখা হয় নি, আপনি সাবলীল ভাবে সেই কিতাব থেকে একের পর এক দলিল দিয়ে যাচ্ছেন!!!!! নূন্যতম ৫ স্থানে আপনি ইমাম ইবনে হাজারের কিতাবটির নাম লিখেছেন ”ফাথ-উল-বারী”। জনাব, পড়তে না পারলে, কারো থেকে জিজ্ঞেস করে নিলে তো মহা পাপ হয়ে যায় না! ইমাম আসকালানী রচিত কিতাবটির নাম ” فتح الباري فاي شرح صحيح البخاري ” যার সংক্ষিপ্ত এবং প্রচলিত নাম ” فتح الباري ”, বাংলায় এর উচ্চারণ যথাক্রমে দাঁড়ায় “ফাতহুল বারী ফি শারহী সাহীহুল বুখারী” ও ”ফাতহুল বারী”, মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা যেভাবে উচ্চারণ লেখে (প্রতিটি শব্দ পৃথক রেখে) সেভাবে লিখলেও নামটি হয় ”ফাত্হ আল বারী ফি শারহী সাহীহ আল বুখারী”। ”থ” বর্ণটি এখানে আপনি কিভাবে আবিস্কার করলেন, সে গোপন রহস্য না হয় নাই জানতে চাইলাম, তবে মক্তব পড়–য়া বাচ্চারাও জানে, আরবী বর্ণমালায় ”থ” উচ্চারণের কোন বর্ণ নেই।
এবার আসি মূল আলোচনায়, অবশ্য ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর সনদে এই কথাগুলো বলে আপনি আমার কাজ সহজ করে দিয়েছেন। আপনার এই তথাকথিত জ্ঞানোৎসাহী, স্কলার টাইপ, মুজতাহিদ মার্কা অনুসন্ধীৎসু আবরণের নিচে যে কি পরিমানের নীচু মনের বিকৃত এক মানুষের বাস, যে নিজ গোড়ামি ও স্বার্থসিদ্ধীর জন্য স্বনামধন্য মুহাদ্দিসের নামে দাঁড়ি-কমাহীন মিথ্যা কথা বলতে নূন্যতম দ্বিধাবোধ বা লজ্জাবোধ করে না, সেই মুখোশ উন্মোচন আমার জন্য সহজ হয়ে গেল।
প্রথমে আলোচনার জন্য আমি এমন দুটি হাদীস বেছে নিলাম, যার মতন ও ব্যাখ্য উভয়ই সহজবোধ্য ও সংক্ষিপ্ত-
১. আপনি লিখেছেন
হাদীসটি অনুবাদের ক্ষেত্রেই যে মূর্খতা দেখানো হয়েছে, তাতে লেখক যে কি পরিমানে আরবী ভাষা সম্পর্কে ধারণা রাখে তা সহজেই অনুমেয়। হাদীসটিতে পরিমান হিসেবে ” ذِرَاعًا” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যার সর্ববিদিত ইংরেজী অর্থ “ পঁনরঃ” আর সোজাসাপ্টা বাংলা অর্থ ”এক হাত পরিমাপ”। ফুট বোঝাতে আরবীতে “ القدم” ব্যবহার করা হয়।
এবার আমি উক্ত হাদীস সম্পর্কে ইমাম আসকালানীর প্রকৃত মতামতটি হুবহু তুলে দিচ্ছি- মূল আরবীতেই দিলাত, কিন্তু আরবীর সাথে যে আপনার দূর-দূরান্তে কোন সম্পর্ক নেই, তা বুঝতে আমার বাকি নেই। তাই একেবারে সরল বাংলা অনুবাদ তুলে দিলাম। ইমাম আসকালানী স্বীয় কিতাবে হাদীসটি অবতরণের পর লেখেন- ”উক্ত হাদীসটি শাওয়াহেদ পর্যায়ের। কেননা বেশ কয়েকটি ভিন্ন সনদেও আমরা উক্ত হাদীসের কথাগুলো পেয়েছি। একাধিক শাওয়াহেদ থাকায় হাদীসটি শক্তিশালী ও দালীলিক পর্যায়ে উন্নিত হয়েছে।
আলোচ্য হাদীসে হযরত আদম (আঃ)-এর উচ্চতা ৬০ হাত পরিমান কথাটির ব্যাখ্যা নিয়ে মুহাদ্দিসদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইমাম যুহরী ও ইমাম বুখারীর মতো যাহরী মতবাদীগন এখানে হাত বলতে শাব্দিক ভাবে যে হাতকে বুঝায় সেটাই গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাবী সহ একদল মুহাদ্দীস এখানে এক হাত বলতে লম্বালম্বিভাবে এক হাত নয়, বরং আড়াআড়ি ভাবে একহাত পরিমান, এরূপ ৬০ হাত বুঝানো হয়েছে বলে মত দিয়েছেন। অপর দিকে হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ এই হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেন যেহেতু আরবীতে ” ذِرَاعًا” এক হাত পরিমান ও এক হাতের এক-চতুর্থাংশ উভয় অর্থই প্রচলিত, সেহেতু এখানে উক্ত শব্দের মাকসুদ বাহ্যিক এক হাত নয়, বরং এক হাতেরএক-চতুর্থাংশই বেশি সমীচিন।
তথাপি আমার মতে, প্রথমোক্ত মতটিই গ্রহণযোগ্য।”
একটু ভালো করে খুঁজে দেখুন তো, আপনার বর্ণিত শব্দগুলোর মধ্যে কোন একটিও এখানে আছে কি না?
২. আপনি লিখেছেন-
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
এই হাদীসটি পড়লে মনে হয় আবু হুরায়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আবু হুরায়রা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বরের যুদ্ধের পর। ইমাম বুখারী এই হাদীসটি লিখার সময় নিশ্চই পূর্ণ মনোযোগী ছিলেননা।
ইমাম আসকালানী স্বীয় কিতাবের বর্ণনায় যা বলেছেন, তা হলো, ”উক্ত হাদীসটি মুরসাল শ্রেণীর। কেননা, আবু হুরাইরাহ (রাযি.) উক্ত হাদীস বর্ণনাকালে মধ্যবর্তী কোন সাহাবী রাবীর সনদ ছাড়াই সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, যাতে ধারণা হতে পারে যে তিনি নিজেই এই ঘটনাটি দেখেছেন এবং শুনেছেন। কিন্তু আলেমগনের নিকট মশহুর ও প্রমাণিত মত হলো, আবু হুরাইরাহ (রাযি.) যদিও মক্কায় প্রাথমিক যুগেই হযরত তুফাইল ইবনুল আমরের (রাযি.) সাথেই মুসলমান হয়েছিলেন, কিন্তু ঈমান আনার পরবর্তীতে ইয়েমেন ফিরে যান। ফলে একাধারে বদর, উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধে তিনি অংশ নিতে পারেন নি। রাসূলুল্লাহ (রাযি.) যখন খায়বারে অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি মদীনায় আসেন এবং রাসূলের (সাঃ) অনুপস্থিতিতে মসজীদে নববীতে অবস্থান করেন। সুতরাং, অবশ্যই তিনি হাদীসটি অন্য কোন সাহাবার নিকট হতে শ্রবণ করে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু উক্ত সাহাবার নাম উল্লেখ না থাকায় হাদীসটি মুরসাল শ্রেণীভূক্ত হয়েছে। অবশ্য সাহাবীর মূরসাল হাদীস যে দলিলযোগ্য, এ বিষয়ে কোন মুহাদ্দিস দ্বিমত পোষণ করেন নি।”
এভাবেই প্রায় সবগুলো হাদীসের ব্যাখ্যায় আপনি ইমাম আসকালানীর নাম একের পর এক মিথ্যাচার করে গেছেন, শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। যদি সন্দেহ থাকে, আসুন, আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। উল্লেখিত হাদীসের সম্পর্কে লেখা বাক্যগুলো হতে কোন একটা সরাসরি ফাতহুল বারী থেকে দেখিয়ে দিন, তাহলে প্রকাশ্য লোকালয়ে আপনার পায়ের জুতা গলায় মালা বানিয়ে পরে ঘুরবো। কবে কোথায় আসবেন বলুন, সাথে নিয়ে আসুন আপনার ফাতহুল বারীর সেই বিশেষ সংস্করণ, আমরাও কিতাব সাথে আনবো। তবে মনে রাখবেন, এবং চিন্তা করে আসবেন, আমি যখন মুখ খুলি, আমার কথার সমর্থনে অবশ্যই দলীল, বাস্তব দলীল থাকে, এমন ভন্ডামি আর মিথ্যাচার মূলক দলীল না।
সুতরাং, আমি সরাসরি দ্ব্যর্ধহীন ভাবে বলতে পারি, ইমাম আসকালানীর নাম ভাঙিয়ে আপনি যে নির্লজ্জ ও জঘন্য মিথ্যাচার করেছেন, তার ফায়সালা হতে পারে- (১) হয় আপনি একজন মিথ্যুক, যে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে দাঁড়ি-কমাহীন মিথ্যা বলতে দ্বিধাবোধ করেন না, (২) আপনি একজন মহামূর্খ সুনামকামী, যার কিনা নিজের পড়ে দেখার যোগ্যতা নেই, কিন্তু পরনির্ভরশীলতার মাধ্যমে সুনাম কামাইয়ের লোভ অসামান্য, (৩) এমন একজন ব্যক্তি যে কোন কথা জানার পর তার বিশুদ্ধতা যাচাই না করে, শুধু নিজের পক্ষে পেলেই গলা ফাটিয়ে জানাতে থাকে, কুরআন-সুন্নাহর ভাষায় এমন ব্যক্তিকে সংক্ষেপে ”মুনাফিক” বলে। বিচারের দায়িত্ব আপনার উপরই ছেড়ে দিলাম।
এবার আপনার বিশাল জ্ঞানগর্ভ আলোচনার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন, অনেক হাদীস রয়েছে যা কুরআনের সাথে বা অপর হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক!!!! আগে জানতাম মূর্খতার সীমা থাকে, কিন্তু আপনি আসলেই আমার ধারণা পাল্টে দিলেন। এজন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।
এর উত্তরটার এমন একজন আলিমের লেখা দ্বারা দিবো, যার উদ্বিৃত্তি আপনি নিজেই দিয়েছেন। তিনি হলেন, আমিরুল মু’মীনিন ফিল হাদীস হযরত আহমাদ ইবনে তাইমিয়্যার (রহ.) প্রথিতযশা ছাত্র ও ভাস্করসম আলিম, শাইখুল ক্বলব ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম আল যাওযি (রহ.)। এই মহামানবের একটি অমূল্য গ্রন্থের নাম যা’দুল মা’আদ। উক্ত গ্রন্থে উপরোক্ত বিষয়গুলো আলোচনা করতে গিয়ে শাইখ বলেন, “.....মূলত আহকাম সম্পর্কিত আপাত দৃষ্টিতে যেসব হাদিসকে কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয়, তাহক্বিক করলে দেখা যাবে এ হাদীসগুলো হতে যেগুলো গ্রহণযোগ্য সনদে বর্ণিত সেগুলোর প্রায় সবগুলোই উল্লেখ্য আয়াতের অবতরণের পূর্বেই বর্ণিত। উদাহরণ স্বরূপ আমরা সহীহ বুখারীর কিতাবুত তাফসীরের “আল্লাহর বানী, হে ঈমানদারগন! মদ, জুয়া, প্রতিমাপূজা.....” অধ্যায়ে যাবির (রাযি.) হতে বর্ণিত হাদীসটি দেখতে পারি, যেখানে বলা হয়েছে, ”উহুদের যুদ্ধের দিন ভোরে কিছু লোক মদ পান করেছিলেন এবং তারা সবাই শহীদ হয়ে যান। এই মদ্যপান ছিলো তা হারাম হয়ে যাওয়ার পূর্বের ঘটনা।” স্বাভাবিক ভাবেই রাসূল (সাঃ) এ সম্পর্কে অবগত ছিলেন, কিন্তু তার নিষেধাজ্ঞা সূচক কোন বক্তব্য আমরা কোথাও পাইনি। অতঃপর যখন উক্ত আয়াত নাযিল হলো তখন মদ্যপান রহিত করা হলো।”
কিছুদূর গিয়ে তিনি বলেন, ”.............প্রচলিত আমলও পরবর্তিতে কুরআনের আয়াত অথবা হাদীস দ্বারা রহিতকৃত হয়েছে। যেমন, আমার নিকাহে মু’তার ক্ষেত্রে দেখি......”
অতঃপর তিনি উপসংহার টেনেছেন, ”.....সুতরাং, আমরা এমত পোষন করতে পারি যে, বাহ্যিক দৃষ্টিতে মনে হলেও, প্রকৃত পক্ষে কুরআন ও নির্ভরযোগ্য বর্ণিত হাদীসের মধ্যে কোন পরস্পরবিরোধীতা নেই। যেক্ষেত্রে আছে, সেখানে অবশ্যই একটি নাসিখ, অপরটি মানসূখ।”
শাইখের এই মন্তব্যের পর আর কিছু বলার প্রয়োজন থাকে না।
আসলেই, যদি কমনসেন্স কোথাও কিনতে পাওয়া যেন, আমি নিজ দায়িত্বে কিনে আপনাকে হাদিয়া দিতাম। অবশ্যই কুরআনে সবকিছু দেওয়া আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবকিছুই কি বিস্তারিত দেওয়া আছে? যদি থেকে থাকে তাহলে হাদীসের দরকার কি, আর রাসূল পাঠানোরই বা কি দরকার?
আচ্ছা, এক কাজ করেন, সরাসরি কুরআন থেকে নামায পড়ার পদ্ধতিটা একটু বর্ণনা করেন তো।
নিশ্চয়ই এখন উস্তাদ নারাজ হয়ে যাবে, আর মুখ থেকে বের হবে আযাইর যুক্তির প্রলাপ!!!! জনাব, এই মুজতাহিদের খোলসের মূর্খতা ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। কুরআন অবশ্যই মানুষের প্রয়োজনের সবকিছুই বর্ণনা করে। কিন্তু এর বাচন ভঙ্গি সংক্ষিপ্ত ও ইঙ্গিত মূলক। যদি বিস্তারিত আলোচনা করতে হতো, তাহলে কুরআনের আয়াত সাড়ে ছয় হাজার না হয়ে সাড়ে ছয় কোটি হতে হতো। এভাবে সংক্ষিপ্তরূপে অবতরণের কারণেই ব্যাখ্যার জন্য হাদীস প্রয়োজন। আর সেটাই আমরা করি, সুন্নাহ, সীরাত ও আসারের আলোকে কুরআনকে বুঝার চেষ্ঠা করি, যে সহজ বিষয়টি আপনার অসাধারণ মেধার গোবরের স্তুপে প্রবেশ করবে না, এটাই স্বাভাবিক।
অতঃপর কুরআনের বহু আয়াত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, অনর্থক কথাবার্তায় স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা। যে আয়াত গুলো এসেছে, এর কোনটির সাথেই আমার দ্বিমত নেই। অযথা সময় নষ্ট করা, অযথা কথা বলা অবশ্যই ইসলামে শক্তভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু ইসলাম কি মানুষকে রোবট হয়ে যেতে বলেছে? কুরআন কি বলেছে নূন্যতম বিশুদ্ধ ও মার্জিত বিনোদনও মুসলমানরা করতে পারবে না? অযথা সময় নষ্ট করা আর নির্মল বিনোদনের মধ্যে যে পার্থক্য আছে, তা আপনার উবর্র মস্তিস্কে ঢুকবে না বলেই মনে হয়। তবে, এ পর্যন্ত আমার কোন একটি দলীল খন্ডন করতে পেরেছেন? প্রমান করতে পেরেছেন এগুলোর একটাও যঈফ? জাল তো দূরের কথা। যদি প্রমাণ না করতে পারেন, তাহলে বলতে হবে কিসের ভিত্তিতে আপনি এদুটো কে মূল্যায়ন করবেন? যদি হাদীস গুলো যঈফ বা জাল হলো, তাহলে তো কথাই নেই, কিন্তু যদি গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে রাসূল (সাঃ) কি কুরআন বিরুদ্ধ আচরণ করেছিলেন নাকি !(নাউজুবিল্লাহ)
সবচেয়ে বড় কথা, এত জ্ঞান থাকার পরও নিজে কেন অযথা কৌতুক পোস্ট করে সময় নষ্ট করতে গেলেন? এটাও তো বাজে কথা, সময়ের অপচয়ের মধ্যে পড়ে। নাকি ঐ সময় টুকুতে নিজের ঈমান ড্রয়ারে রেখে দিয়েছিলেন? আবার যে দোষ নিজের মধ্যে আছে, তার জন্য অন্যের সমালোচনা করেন কোন আক্কেলে?
পিলসফি, ফিলসফি-
ফিলোসফি আসলেই যুক্তির উপর নির্ভর করে, তাই ইমাম গাজ্জালিও যুক্তি দিয়েছেন। আর এরিস্টটলও যুক্তি দিয়ে পৃথিবীকে থালার মতো, সূর্যকে পৃথিবীর তুলনায় ছোট আর পৃথিবীর চারদিকে ঘূর্ণায়মান প্রমান করেছেন। আর সেই যুক্তি গোগ্রাসে গিলেছে আপনার মতোই কিছু চিন্তাশীল মহামানবেরা। যারা একদিকে তো যুক্তির কথা বলে, কিন্তু সেই যুক্তি খাটানোর বা পরখ করার নূন্যতম যোগ্যতা টুকুও রাখে না।
জনাব, আমার সাথে যেহেতু কথা বলেছেন, তো জেনে রাখা ভালো-আমি মানুষের সাথে বেশি কথা বলতেই ভালোবাসি না, তর্কও না। তবে একান্তই যদি দিতে হয়, তাহলে কঞ্চি না, সরাসরি বাঁশই দেই, তাও একেবারে প্রতি ইঞ্চিতে গিট্টা ওয়ালা বাঁশ। আর বাঁশ যে কিভাবে দিতে হয়, তাও জানা আছে; ঢোকার জায়গা ছোট হলে কিভাবে ফেড়ে ঢুকাতে হয় তাও জানা আছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন