Day Dreaming খুচরো বচন Day Dreaming রেনেসাঁ, মার্কসিজম, এক্সিস্টেনসিয়ালিজম এবং নতুন সম্ভাবনা।

লিখেছেন লিখেছেন চক্রবাক ২১ মে, ২০১৪, ০৮:১০:৩৭ সকাল



মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা আমরা কে’না শুনেছি কিন্তু এই বর্বরচিত অধ্যায়টি কোন সমাজের প্রেক্ষাপটে ঘটেছিল তা সম্পর্কে আমরা আদৌ কনসাস না। মধ্যযুগে আরবে/মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসের দিকে আমরা যদি তাকাই তাহলে, বলতে হবে মুসলিমদের স্বর্ণযুগ ছিল মধ্যযুগ। যে সময়টাতে তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি উৎকর্ষতা সাধন করছিল। গির্জার বর্বরতাকে পুঁজি করে মধ্যযুগকে ঢালাও ভাবে বর্বর যুগ বলে মুসলিমদের উৎকর্ষতাকে ঢাকার অভিপ্রায় ইউরোপীয় বুদ্ধিবিত্তিক সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই না। গির্জার ক্ষমতায়নের সময়ে মানুষের আত্মার অবদমনে এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্রমহ্রাসমান ধারার রুটকে সচল করতে ইউরোপীয় দার্শনিকদের জাগরণ, গির্জার বিরুদ্ধে আন্দোলন, ধর্মের গণ্ডি টপকিয়ে নিজেকে ঈশ্বরের স্থানে উপস্থাপনেই রেনেসাঁর যাত্রা।

মধ্যযুগে যখন গীর্যার অর্থ-সম্পদ এবং ক্ষমতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তখন বিষয়টি গীর্যার নেতৃবৃন্দের মাঝে রাজনৈতিক ও চারিত্রিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ একারণেই খ্রিষ্টিয় পনের শতকে গীর্যার সংস্কার একরকম অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ এই সংস্কারের বিষয়টি গীর্যার অনেক সদস্যও সমর্থন করেছিলেন৷ মধ্যযুগে গীর্যার দ্বন্দ্ব এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিলো যে, গীর্যা সংস্কারে স্বয়ং গীর্যার বহু কর্মকর্তাও বাধ্য হয়েছিলেন ৷

পঞ্চদশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত ধর্মযাজকদের উৎপাতের পর যখন কিছু রেশনাল বুদ্দিজিবিদের প্রোটেস্টের দ্বারা বেপকভাবে বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতা সাধিত হতে থাকে, তখন ইউরোপীয়রা ভেবেছিল এইবার বুঝি তাদের মুক্তি এল রেনেসাঁর মাধ্যমে।

রেনেসাঁর ফলে যখন অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং টেকনোলজি উম্মুক্ত বিকাশমান তখন পুঁজিবাদের রমরমা প্রসারে ইউরোপীয় সমাজ দিনদিন বস্তুগত উন্নতি সাধন করতে লাগলো, আর মূল্যবোধ থেকে দূরে সরে যেতে লাগলো। আমরা জানি প্রত্যেক মানুষের মধ্যে একটা রুট আছে যেটার অবস্থান নিউট্রাল তার দু’পাশে আছে সমস্যা এবং শৃঙ্খলা। আমরা যখন শৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হই তখন সমস্যা তখন ক্রমশই দুরুত্ব বাড়ায়, একি থিওরিটাও ভিন্নতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যার ফলশ্রুতিতে তাদের সমাজ কাঠামোতে বিরাট পরিবর্তন সাধনে শুরু হল ইনইকুয়ালিটি। একি জাহাজে তিনটি স্তরের মানুষ বেড়ে উঠতে থাকল কেবিন, চেয়ারকোচ এবং ডেক। মার্ক্সবাদের ভাষায় যেটা হল বুর্জুয়া, পেটি বুর্জুয়া, পলিটারিয়েট শ্রেণী। বুর্জুয়ারা তখন শ্রমিকদের শুধুমাত্র শ্রমের প্রোডাক্ট ছাড়া আর কিছুই ভাবতনা। শোষণ বঞ্ছনার স্বীকার হত তারা। রেনেসাঁর এই বর্বরোচিত উত্থানের ফলে আমরা দায়ী করতে পারি গির্জাগুলোকেই। তাদের ঈশ্বর সম্পর্কে এই কুপমুন্ডূকতাকেই বস্তুবাদীদের ধর্ম সম্পর্কে বৈরি ধারণার স্রষ্টা বলতে পারি। যার ফলে রাসেল সহ অনেক দার্শনিকরা ধর্মকে মানুষের চিন্তাশক্তির দৈন্যতার ফসল মনে করতেন।

ইউরোপে ঐ দোদুল্যমান সময়টাকেই কাজে লাগিয়ে মার্ক্স তার মতবাদ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তার মূল কথা ছিল, উৎপাদনের উপকরণের সামাজিক মালিকানা এবং অর্থনীতির একটি সমবায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, এছাড়াও একই সাথে এটি একটি রাজনৈতিক মতবাদ ও আন্দোলন যার লক্ষ্য হচ্ছে এই ধরনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ এটি এমন একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে সম্পদ ও অর্থের মালিকানা সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন শুরু হয় দুই ধরনের সামাজিক সাংস্কার ইউটোপীয় সমাজতন্ত্র ও বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। তার এই বিপ্লবিক তত্ত্বে মোজে সোশালিস্টরা মার্ক্সকে তাদের ঈশ্বর হিসেবে গন্য করে। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, মার্ক্সও একটি যায়গায় বিমুখ ছিল যেটা হল ধর্ম। ফলশ্রুতিতেই তাদের এই মতবাদ মানুষের মূল্যবোধকে বিকিয়ে পুঁজিবাদরে আরেকটি নতুন ভার্সন সুশৃঙ্খল পুঁজিবাদী কাঠামো তৈরি করল। উৎপাদন শক্তি তত্তের দ্বারা সমাজতন্ত্র মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়েছিল। একান্তভাবেই প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থায় আস্থাশীল এবং সমাজিক ও মানুষকে কেবল মাত্র যন্ত্রহিসাবে দেখতে শুরু করে। আর এর কারণ ছিল কেন্দ্রীয় তত্তের কঠোর পরিকল্পনা এবং প্রয়োগ। এই পরিকল্পনাটি ও ছিল উপর থেকে চাঁপিয়ে দেয়া। এই যান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা মানুষের সৃজনশীলতা, স্থানিয় সম্ভাবনা ও উৎপাদনের স্বাভাবিক গতি কমিয়ে দেয়। এর সাথে সাথে রাষ্ট্রেও কর্নধাররা প্রতি বিপ্লবে সমস্যাকে বৈজ্ঞানিকভাবে বুঝতেই পারেন নি। যেটা মানুষকে দিল সুধূমাত্র বস্তুগত সিদ্ধি অর্জন। মার্ক্স মানুষকে বস্তুগত সত্ত্বা ছাড়া আর কিছুই ভাবতোনা, তারা মনে করত মানুষ বস্তুর প্রোডাক্ট আবার বস্তুতেই তাদের নিঃশেষ। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি ঈশ্বর সেখানে নিখোঁজ। সোবিয়েতে বিপ্লবের পরে সমাজতন্ত্রিরা মসজিদ, মন্দির, গির্জাগুলোতে হামলা চালানো, মানুষের মূল্যবোধের উপর আঘাত এবং নতুন মোড়কের পুঁজিবাদের বিস্তারের ফলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠল এবং সোবিয়েত ইউনিয়নে বিপ্লব ফল করলো। সৃষ্টি হল নতুন দেশ রাশিয়া। যেখানে প্লেটো মানুষকে স্প্রিচুয়াল সত্ত্বা হিসেবে কল্পনা করে সেখানে মার্ক্স মানুষকে এনিমাল বৈ অন্যটা ভাবে না। আর তার তত্ত্বটাও মানুষকে কে ধীরে ধীরে যান্ত্রিক রোবটে পরিণত করে। তারা হারিয়ে ফেলে ভালবাসা, সততা, মূল্যবোধ, নৈতিকতা- আর সে জাগাটায় স্থান নেয় বস্তু। শুরু হয় বস্তুগত উৎকর্ষতার প্রতিযোগিতা, ব্যর্থ হলেই শুরুহয় সুইসাইড সহকারে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা। সমস্যাগুলোর প্রকটে বিভিন্ন ফিলোসোফাররা চিন্তিত হয়ে পড়েন সমাজ নিয়ে, কারণ সমাজতন্ত্র দ্বারা সব সমস্যার সমাধান করা আধোও সম্ভব নয়। বরং ইনইকুয়ালিটির সৃষ্টি করা সম্ভব।

সমাজে এমন অবস্থাকে কেন্দ্র করে বিংশ শতাব্দীতে সৃষ্টি ফ্রিডরিখ নীটশে, জঁ-পল সার্ত্র্, মার্টিন হাইডেগারদের নতুন সম্ভাবনা তত্ত্ব অস্তিত্ববাদ। অস্তিত্ত্ববাদের কথা, নীতিমালা মানুষের কাছে একটা সময়ে কর্তব্য হিসেবে গৃহীত হয়েছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের কাছে। যেখানে উনিশ শতকের জীবন দর্শন অভিজাত শ্রেণীর জন্যই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ ছিলো। এই অভিজ্ঞতাবাদ এককথায় সাধারণ মানুষের অস্তিত্বকে স্বীকার করেছে। মতবাদ তাত্ত্বিক বিষয়ের বিপরীতে জাগতিক বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করে। অস্তিত্ববাদী সম্প্রদায়ের প্রায় সব দার্শনিকই ব্যাক্তিসত্তার পূর্বে সাধারণ সত্তাকে স্বীকার করার বিরোধী। এবং তাদের মতে, ব্যাক্তিসত্তা সার্বিক সত্তার পূর্বগামী। নৈতিকতা বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে অস্তিত্ববাদীরা অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক। অস্তিত্ববাদ মুলত দুইটি শ্রেণীভূক্ত যথাঃ আস্তিক্যবাদী ও নাস্তিক্যবাদী। সাঁৎরে মনে করেন একটি গাছের ছারা কিংবা একটি মুরগীর বাচ্ছা যখন ছোট থাকে তখন আমরা এই কথা কল্পনা করতে পারি যে বড় হয়ে তাদের আচরণ কেমন হবে, মুরগী ডিম দিবে না বাচ্ছা দেবে, গাছের ফল কেমন হবে। কিন্তু একটি শিশুকে আপনি ছোট বেলায় দেখে আপনি আঁচ করতে পারবেন না বড় হয়ে সে কি হবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ?? তাই মানুষ এনিমেলের মত বস্তুগত সত্ত্বা নয় তাদের নিজস্ব একটা সত্ত্বা আছে যেটাকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজের ব্যক্তি সত্তাকে বিকশিত করে। আর এটাই অস্তিত্তের ধারণা। বস্তুবাদের ফলে মানুষের মূল্যবোধ হারিয়ে যাওয়ায় বস্তুগত উন্নতির লক্ষে তারা নানা ধরনের অন্যায় কাজকে পরিচালনা করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। তাই মানুষের মধ্যকার সামজিক নিরাপত্তাহীনতা, ভয় উৎকন্ঠাজনিত ইত্যাদি সমস্যার কথাকে অস্তিত্বের সংকট বিবেচনা করে অস্তিত্ববাদ। অধিবিদ্যা ও যুক্তিশাস্ত্রে সত্তা সম্বন্ধে বলেছেন এমন কাজ সম্পাদন করতে হবে যা সামাজিক অবস্থা সহযোগী। বুস্তুগত প্রবিদ্ধিকে ঠেকাতে তারা বস্তুবাদী দার্শনিকের বিপরীতে ভাববাদী দর্শনকে নতুনভাবে বিকশিত করার কথা বলেছেন।

জাঁ পল সার্ত্রে সামাজিক সমস্যা সমাধানে বলেন অধিবিদ্যক ধারণার আদতে কোনো প্রয়োজনই নেই কারণ তা মানুষের জীবনে সুখ পরিপূর্ণভাবে প্রদান করে না। মানুষের জন্য দরকার নিজের অস্তিত্বকে স্বীকার করা। অস্তিত্ব স্বীকার হলেই মানুষের জীবনে সত্য অর্জিত হয়। কারণ মানুষ সবসময়েই মূলত স্বাধীন। স্বাধীনতাই মানুষকে সাহায্য করে সবকিছুকে চিনতে, ভাবতে ও অর্জন করতে। সার্ত্রে তার নানা সাহিত্য কর্মে উপন্যাসে দেখিয়েছেন একটি সমগ্রের বিবেচনাহীনতার কাছে ব্যাক্তিমানুষ কতই না অসহায়! তিনি মনে করেন এই মানবতাবাদ পৃথিবীতে অস্তিত্বশীল মানুষের জন্য হতে পারে চুড়ান্ত মানবতার। ব্যাক্তি যদি তার অস্তিত্ব বিষয়ে সচেতন থাকে তবে তাকে শোষন করা সহজ নয়। সাঁৎরে তার বিং এন্ড নাথিংনেস গ্রন্থে সত্ত্বার সর্বাত্মক স্বাধীনতার কথা বলেন, যেটাতে সামষ্টিক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়। আমরা যদি অস্তিত্ববাদ কে একটু ভালো ভাবে দেখি তাহলে দেখতে পাব ব্যক্তি তার স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষে যখন তার সর্বচ্চো সত্তাকে কাজে লাগায় তখন সমাজে আরেকটি সত্ত্বার স্বার্থতে আঘাত লাগতে পারে। যেহেতু মানবিক সত্ত্বা একটি শৃঙ্খলিত নির্ভরতা সূত্রে আবদ্ধ। আর স্বভাবতই মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হতে পারেনা। কারণ দুই বা ততোধিক আত্মা মিলে একটি নতুন সত্ত্বার সৃষ্টি করে যেটি হয়ত নতুন গুনে গুণান্বিত। যদি সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি তার সতন্ত্র ইচ্ছার উপর কর্তৃত্ব চালায় তখন সমঝতার পথ অবরুদ্ধ হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মানুষের অন্যের প্রতি ভালবাসা, সম্প্রিতি, সহযোগিতা, আইনের অবক্ষয় তৈরি হয়। মোট কথা সমাজ পরিণত হয় দ্বন্দ্বাত্তিক একটি কাঠামোতে।

তাই স্বভাবতই সমাজে শৃঙ্খলার জন্য প্রয়োজন হয় নতুন কাঠামোর, আর সেটি হচ্ছে ইসলাম। ইসলামের সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ধারণা বর্তমানে অনেক দার্শনিককেই নতুন করে ভাবাচ্ছে। কারণ যখন কোন সার্বভৌম সত্ত্বার দ্বারা কোন কাঠামো তৈরি হয় সেটা আমাদের মত নির্ভরশীল সত্তাকে ভাবানো কতটা অযৌক্তিক ? প্রতিটি মানুষের সত্ত্বাগত বিশিষ্ট হল তারা তার স্রষ্টা সম্পর্কে জানার অভিপ্রায়। যখন সে তার স্রষ্টা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যায় তখন তাকে সত্ত্বার নিগুঢ়তা ক্রমেই আকৃষ্ট করতে থাকে। মানুষের ওরিজিন এবং ডেসটিনেশনই ঠিক করে দেয় তার এক্টিবিটি কেমন হবে। তাই প্রথমেই মানুষের প্রয়োজন ঈশ্বর সম্পর্কে ধারণা নচেৎ এক সময় তার বিশ্বাসের জাগাটায় ফাটল ধরতে থাকে। তখন তার এক্টিবিটি ঈশ্বর কেন্দ্রিক না হয়ে বস্তু কেন্দ্রিক হয়। যেটাকে ইসলামের ভাষায় শিরক বলা হয়। ঈশ্বর সম্পর্কে নড়বড়ে ধারণা সমাজে শৃঙ্খলা সৃষ্টির অন্তরায়। আমরা আমাদের অস্তিত্ব কি কখনো কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কল্পনা করতে পারি ? আনেক বস্তবাদি মার্কসিস্ট বলেন মানুষ নাকি এমনিতেই সৃষ্ট, তাতে কোন কার্জকারণের প্রয়োজন হয় না। আমি তাদের প্রশ্ন করব তারা কি এমন কোন কার্জ দেখাতে পারবে যেটার পেছনে কোন কারণ ছিল না ? তারা ইন্দ্রিয়ের বাইরে কোন কিছু কল্পনা করতে পারে না। কিন্তু তারা কি তাদের ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করবেন ? আর যদি করেই থাকেন তাহলে সেটাতো বিজ্ঞান বিরোধী ! তারা যদি মনে করেন ঈশ্বর মানুষের কল্পনা শক্তির দৈন্যতার ফসল/ ভয়ভীতির কারন তাই ঈশ্বরের অস্তিত্ব আমাদের কল্পনার বাইরে। তাহলে আমি তাদের প্রশ্ন করবো আপনারা চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিকে তাকান, যেটা আবিস্কৃত হয়েছে মানুষের রোগ ও মৃত্যু ভয়ের থেকে বাঁচার জন্য, তাহলে আমরা কি চিকিৎসা বিজ্ঞানকে অস্বীকার করতে পারি, যে শুধুমাত্র ভয়ের কারনেই সৃষ্ট ? এই সব অনেক প্রশ্নের ধারাকে টপকে ঈশ্বর সবসময় টিকে আছেন এবং থাকবেন। যেহেতু আমার আলোচ্য বিষয় ঈশ্বরকে প্রমান নয় তাই আর ব্যখ্যায় না গিয়ে, কোরআনকে মতবাদ হিসেবে উপস্থাপন করছি যেটা মানুষের সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে। সামাজিক, রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক এবং স্প্রিচুয়াল বিষয়ে সমস্ত তর্কের উর্ধে। আসুন করান পাঠ করি এবং তার নিগুঢ়তাকে উপলব্ধি করতে শিখি। তাহলে আমরা সমাজকে নতুন আঙ্গিকে সাজাতে পারবো।

***আশা করছি আগামী লেখায় ঈশ্বর সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করবো।

বিষয়: বিবিধ

১২৬৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

224057
২১ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫০
হতভাগা লিখেছেন :


প্রায় পুরো পোস্টটাই তো প্রথম পাতায় চলে এসেছে ।

কেন এমন হয় ?
২১ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
171429
চক্রবাক লিখেছেন : এটা তো আমিও বলতে পারছি না। Surprised
২১ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫২
171431
চক্রবাক লিখেছেন : এখন আবার ঠিক হয়ে গেছে !

224078
২১ মে ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
২১ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
171430
চক্রবাক লিখেছেন : ধন্যবাদ Talk to the hand
224682
২২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
আহমদ মুসা লিখেছেন : গির্জার বর্বরতাকে পুঁজি করে মধ্যযুগকে ঢালাও ভাবে বর্বর যুগ বলে মুসলিমদের উৎকর্ষতাকে ঢাকার অভিপ্রায় ইউরোপীয় বুদ্ধিবিত্তিক সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই না।
সুন্দর এবং সঠিক কথাটিই বলেছেন।
২৪ মে ২০১৪ রাত ১০:০৪
172750
চক্রবাক লিখেছেন : আমাদের প্রায়োগিক দিকটা না-খুব ধীর গতির, তাই সুন্দর হলেও অতটা সুন্দর নয়। আপনাকে ধন্যবাদ !!Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File