চার ছক্কা হই হই তেল গ্যাস গেল কই ?
লিখেছেন লিখেছেন চক্রবাক ২৪ মার্চ, ২০১৪, ০২:২৯:৫৫ দুপুর
বাংলাদেশি জাতির যে, নুন্যতম জাতীয়তাবোধ নেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পুঁজিবাদী সংস্কৃতি আমাদের যে ভোগবাদের চরম শিখরে ঠেলে দিয়েছে তাও আমরা বুঝতে পারছি না। অন্তত পুঁজিবাদীরাও নিজেদের স্বার্থটা ভাল করে বোঝে কিন্তু আমরা বাংলাদেশিরা নিজেদের স্বার্থ কিভাবে আদায় করতে হয় সেটাও বুঝিনা কেবল কাতলা বোয়ালরা ছাড়া। স্বার্থ যে হারাচ্ছে সেটাই তো জানি না !
চার ছক্কার তালে তালে আমরা নাচচ্ছি আর বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানি গুলো আমাদের তেল, গ্যাস লুণ্ঠন করে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সংস্থা স্যান্টোস্ এবং সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জ্জির সঙ্গে একটি যৌথ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ যে চুক্তির ফলে বাংলাদেশের লাভ তো হবেইনা বরং প্রচুর ক্ষতির সম্মুক্ষিন হবে।
এর পর বিদ্যুৎ... গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের এ বর্ধিত মূল্য ঘোষণা করে। চলতি মাসের শুরু থেকেই এটি কার্যকর হিসেবে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত মহাজোট সরকারের আমলে ছয় দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। জানুয়ারিতে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটল। প্রশ্ন হল, কেন এত ঘন ঘন দাম বৃদ্ধি? এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে পিডিবি যুক্তি দিয়েছে, অপচয় ও চাহিদা কমানোই তাদের লক্ষ্য। তবে সত্য হল, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূল্য সমন্বয় করার জন্যই মূলত দাম বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে। বস্তুত গত পাঁচ বছর ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকার রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভর করে আসছে। উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রের সিংহভাগই তেলচালিত। ফলে এসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও অনেক বেশি। তাছাড়া রেন্টাল ও কুইক রেন্টালকে সহায়তা করতে গিয়ে সরকার বিপুল অংকের টাকা ঋণ করেছে, যার একটি বড় অংশ ব্যয় করা হয়েছে কেবল ভর্তুকি বাবদ। পাশাপাশি রেন্টাল খাতে অপচয় ও দুর্নীতিরও জোরালো অভিযোগ আছে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে রেন্টাল বিদ্যুতের দায় চাপানো হল গ্রাহকদের ওপর। এটা অযৌক্তিক ও অন্যায়। কিন্তু আমাদের কোন আন্দোলন নেই !! আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরা নাচচ্ছি ফ্ল্যাশ মোবের তালে তালে...
হতাশার কথা হল আমি যখন পাঁচবারের ফুটবল বিশ্বকাপ চ্যম্পিওন ব্রাজিলের দিকে তাকাই তখন দেকতে পাই ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ আয়জনের ফলে তাদের শিক্ষা খ্যাতে বরাদ্দ কম হওয়ায় তারা ব্যপক ভাবে আন্দলনে নেমেছিল, আর সেই আন্দলনে খেলোয়াড়রাও সংহতি জানিয়ে ছিল। কোন একটি প্ল্যাকার্ডে লিখা ছিল
একজন নেইমারের চেয়ে একজন শিক্ষকের মূল্য অনেক বেশি !আর আমাদের আন্দোলন হল কোমর ধোলানোর আন্দোলন, ফ্ল্যাশ মোবের তালে তালে।
কিছু চিত্র দেখুন...
১।
২।
৩।
৪।
৫।
বাংলাদেশে তার উল্টো চিত্র দেখুন।
১।
২।
৩।
৪।
৫।
বাকিটা আপনাদের হাতে ! হে বাংলাদেশি জাগো
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৪ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পোস্টে প্লাস++++++++++++
বিদ্যুত নিয়া কথা বলবেননা।
আর রেকর্ড দিয়া পেট ভরাবেন।
বুঝলেন।
রেকর্ড টাও কই পেলাম !! হংকং সাথে হেরে যে রেকর্ড গড়লাম সেটা দিয়ে তো আর পেট ভরে না। আমরা মাটির মানুষ পেট ভরতে হলে মাটিসিক্ত শস্যদানা চাই, আর সেটাই যদি কেড়ে নেয়া হয় তো আমাদের স্বাধীনতা কই। সংবিধানের মৌলিক আধিকার লঙ্ঘন করার জন্য কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে ?
এই আপনারাই চাননা দেশে টি-২০ হোক।
আপনার নব্য রাজাকার।
কি বলবেন ভাই রাজাকার ট্যাগ তো পেয়ে গেলেন। হায় স্বাধীনতা!
আপনি এগিয়ে যান ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন