বাবার প্রতি খোলা চিঠি...!
লিখেছেন লিখেছেন চক্রবাক ১৬ জুন, ২০১৩, ০৭:৩৮:২৭ সন্ধ্যা
.....................বাবা !!!
শতবর্ষের শৃঙ্খলিত আশার নবমৃত্যু তোমার আত্মিক ব্যঞ্জনা মাত্র।হৃদয় স্খলিত রিক্তেরবেদন তাঁর প্রতিদান স্বরূপ।শৃঙ্খল আত্মাকে উশৃঙ্খল করার প্রয়াসমুক্ত কলঙ্কিত ছোঁয়ায় বিরক্ত করবনা ।শুধু শুধু অধিকার রচনায় তোমার শ্রবণাধিকার লঙ্গন করতে চাই না। শুধু এটুকুই জানি লিকলিকে বেড়ে উঠা শারীরিক ব্যঞ্জনায় তোমার আর্থিক শক্তিকে আজ বড়ই মিস করছি।স্তব্ধতায় স্পন্ধিত হচ্ছি প্রতিটি মুহূর্ত,পেতে চাইলাম তোমার নিবিড় নৈকট্য।এটা বোধকরি সহজাত।আমি পাই নি হয়তবা না পাওয়ার ব্যর্থতাই ফিরিয়ে দিচ্ছে ২য় নৈকট্যে। জানি না পাওয়ার আশায় আমায় যততুকু ব্যথিত করেছে তার পিছনে হয়তবা ৩য় শক্তির হাত জড়িত।তুমি জান তোমাকে শুধু এই দিনটিতেই মনে পড়ে না প্রতিতি মুহূর্ত তোমার সেই শুভ অশুভর দ্বন্দে ক্ষত বিক্ষত আমি।তবে কেন ঘটা করে আসন নাড়াচ্ছি ? তুমি ভালো করেই জান কল্পনার সাথে বাস্তবের মিল,বাস্তবতাই তার প্রয়াস ঘটিয়েছে। সম্প্রসারিত হয়ার অভ্যাস বোধহয় অলীকের’ই। লাগাম ধরবোনা কল্পনার জাল বুনে যখন তুমি ক্লান্ত হবে আমি বোধ করি সেখান থেকেই বুনব...,ছিঁড়বো না-সে অভ্যাস বোধ হয় তুমি’ই শেখাওনি,নইলে বোধকরি কুড়ালটা তোমারি পদপৃষ্ঠে’ই আঘাত হানত।পাওয়া না পাওয়ার গানিতিক হিসেবে যাবনা,হিসেবে আমি বরাবর’ই কাঁচা হারার শঙ্কা আছে বৈকি। নিজের অজান্তেই জয়কে প্রাধান্য দেই।বোধ করি এটার গুরুও তুমি।তুমি আসলে’ই অনেকটা আলাদা তাই হয়ত ওভাবে চেনা হয়ে উঠেনি।সৃষ্টিকর্তার শৈল্পিক প্রতিভা তোমার আচরণে যতটুকুই প্রভাব ফেলুক’না কেন... তার প্রয়াস প্রায়গিকতার মাঝেই সিমাবদ্ধ ছিল এটা বলবনা। বাই্যিকতার আড়ালে বাকরুদ্ধতা বা প্রকাশের ভঙ্গি যা’ই হোক।আমি কিন্তু অস্বীকার করছি না তোমার বাই্যিক বিয়োগের অকৃত্তিম মলিনতা।ধূসর ক্ষণটি আমাকে এখনও পিঁড়া দিয়ে যায়... তোমার সে স্তব্ধ স্মৃতি,মলিনতা,বাস্তবতা। জানিনা আজ কেমন আছো,হয়তবা শারীরিক সক্ষমতা-অক্ষমতা তোমার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু তুমি কি জান? সেটাকে ধরে রাখার অভিনয় আমাকে শুধু নিপুণ অভিনেতাই বানায়নি-বানিয়েছে ভালো দর্শকও। ভূমিকায় ২য় টার আধিক্য’ই বিদ্যমান। বিদ্যমান আদর্শই তোমাকে এখনও মনে রাখিয়েছে। আমি জানি না আমার ভূমিকা তোমাকে কততুকু খুশি করেছে। জানার আকাঙ্খাও বৃথাই। তোমার চলে যাওয়া আমি কেন জানি মেনে নিতে পারিনি। স্রষ্টার উদ্দ্যশ্য হয়ত ঐ’দিনই পূরণ করতে পেরেছিলে। কিন্তু আমি পারিনি তোমার সেই অনাভিধানিক স্নেহ পরম ভাবে অনুধাবন করতে। আকাঙ্খার দাবানলে পুড়ছি এখনো হয়তবা অভিমান টুকুর এই সিমাবদ্ধ কেন্দ্রকে আমার কেন্দ্রিভুত সিমাবদ্ধ ইচ্ছা শক্তির দ্বারা মানিয়ে উঠতে পারছি না।এটা স্বাভাবিক বৈকি। জান বাবা...! তোমার সেই১৫ বৎসরের গাধাটা আজ আঠারতে পদার্পণ করেছে,৩৮টি মাস সে তোমাকে কততুকু অনুভব করছে ? আত্মার সখ্যতায় হয়তবা আমার জানার ইচ্ছাটুকু সুপ্ত ছিল। রন্ধ্র কুটিরে সুপ্ত প্রাণহীন দেহটা আজ বড়ই অক্ষম উদ্দ্যমতা নামক শব্দটাকে স্পর্শ করতে ভয় পাই বৈকি।তবুও প্রাণটি কেন জানি... আজ সক্ষমতা চায়। জানো বাবা...কিছুদিন ধরে তোমাকে ডাকতে খুব ইচ্ছা করছিল তুমি’কি টের পেয়েছিলে আমার সেই বাকরুদ্ধ প্রয়াসটুকু ? তুমি কি সাড়া দিয়েছিলে সেই ডাকে...? তা আজও অজানা। তবে এটুকু হয়ত জেনেই গেছি,যে-নিথর দেহ একবার সক্ষমতা হারায় তা ফিরে পাওয়া অসম্ভবের পর্যায়ভুক্ত। তার প্রাণের উদ্ধমতাই মানুষের মাঝে বেঁছে থাকে। হয়তবে প্রাণটিকেই সঙ্গ দেয়ায়’ই ব্যস্ত থাকব ফেলে রেখেআসা দেহটার স্পর্শ স্বাদ ক্রমেই অনুগামি হবে। ...এর চেয়ে বেশি প্রাপ্তি স্বীকার করবনা,পাছে হারাবার ভয়।
ইতি,... তোমার আলটুসে গাধাটি
বিষয়: বিবিধ
১৪১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন