পড়াশুনার পদ্ধতি
লিখেছেন লিখেছেন হিললোল ১৮ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৪৯:১৩ রাত
ছোট্টবেলা থেকেই পড়াশুনার অতিচাপ্ -পড়াশুনাটাকেই একটা অতি বিরক্তির বিষয়ে পরিণত করেছে । কিন্তু এটাই অনেক আনন্দের হতো যদি আমরা নতুনকে জানতে পারছি - এ আনন্দটা পেতাম । যাই হোক, আতেলের মতো কিছু উপদেশ দিতে ইচ্ছা করছে ।
প্রথমেই যে বিষয়টা বলতে চাই, আপনি নিজেকে আগে যাচাই করুন. আপনি কতটুকু মুখস্ত করার ক্ষমতা রাখেন, কত সময়ে । আপনি কতটুকু বিশ্লেষণের ক্ষমতা রাখেন । এটা আপনার পরিকল্পনায় কাজে লাগবে । ধরুন আপনি ভালো মুখস্ত রাখতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ইতিহাস, ডাক্তারি ইত্যাদি বিষয়ে ভালো করবেন । আপনি গনিতে ভালো হলে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভালো করবেন ।ইত্যাদি.
দ্বিতীয়ত: আপনার সিলেবাসকে আপনি আপনার সময়, সামর্থ অনুসারে ভাগ করে নিন । মনে রাখবেন, প্রতিটি মানুষের ধরণ, সুযোগ আলাদা. তাই রুটিন ও আলাদা হতে বাধ্য ।
তৃতীয়ত: আপনার টপিকটা পড়ার আগেই আপনি আগে ওই সম্পর্কে আপনার ধারণা প্রকাশ করুন নিজের কাছেই । তাহলে দেখবেন আপনার মধ্যেকার জ্ঞানটাকে আপনি আচ করতে পারলেন । এরপর মিলিয়ে নিন । দেখে নিন আপনি টপিকটির কত কাছে বা দুরে । যে টুকু জানা ছিলনা , সেটুকু কে যুক্তির ভিত্তিতে দাড় করানোর চেষ্টা করুন । তাহলে দেখবেন মনে থাকবে । মনে রাখার জন্য বিভিন্ন ছড়া, আদ্যক্ষর ব্যবহার করতে পারেন । তবে যুক্তি দ্বারা মনে রাখলে সেটা টেকসই হয়.
চতুর্থত: টপিকটাকে আপনার মতো করে সাজিয়ে নিন-ছোট ছোট ভাগে । যেমন একটি রোগ : কাদের হয়, কিভাবে হয়, কি দিয়ে হয় এভাবে আলাদা আলাদা মনে রাখলে অনেক কিছুই আপনার মনে থাকবে.
সর্বোপরি, প্রতিটি নতুন জিনিস জেনে সুবহানাল্লাহ পড়ুন, জানা জিনিস রিপিট হলে, জানার জন্য আলহামদুলিল্লাহ পড়ুন. দেখবেন বরকত হচ্ছে.
বিষয়: বিবিধ
১৭৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন