সোহাগী জাহান তনু: বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের একমাত্র ভরসাস্থল শেষ করার জন্যই কি বলি হলো: এক ঢিলে অনেক পাখিও শিকার হলো!!

লিখেছেন লিখেছেন শোয়াইব জিয়া ২৯ মার্চ, ২০১৬, ০৯:৪৩:২০ সকাল





ঘটনা সকালের জানা। বিচারের দাবি হচ্ছে। আরো কতো কি?? তবে আমি বিচার চাইনা। কার কাছে বিচার চাইবো? কে বিচার করবে?? কোথায় ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে??? আদালত কি আছে?? আছে কি ন্যায় বিচারক???? শেষ বিচারের দিনে, মহান বিচারপতির দরবারে তনু বিচার পাবে। ইহাই আমার দৃড় বিশ্বাস। ইহাই সত্য। এ দুনিয়ার কোথাও তনুর জন্য আদালত বসবেনা।

এবার আসি মূল কথায়:

১.

“আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার

বুকের ব্যাথা বুকে চাপাইয়া আমি নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।”

ঘটনা ঘটেছে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে। ঘটনাস্থলের আশপাশ সিসি ক্যামেরা দ্বার বেষ্টিত। ক্যান্টনমেন্টের যেই গেইটের কাছে লাশ পওয়া যায়, সেটি সেদিন কোন এক অজানা কারণে বন্ধ ছিলো। এতো বেশী নিরাপদ এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হবার এতোদিন পরও অপরাধ কিংবা অপরাধী ধরা চোঁয়ার বাইরে। লাশ এক জায়গায়। এর একটু আগে একটু চুল। এর একটু আগে ওর মোবাইল। যেটি কিছুক্ষণ আগে বন্ধ ছিলো। এর একটু আগে তার জুতা। যেনো একটি নাটক। এমন এক স্থানে এসব হয়েছে যেখানে ২/৩ মিনিট পরপর সেনা টহল হয়। আরো তথ্য বের হয়েছে, তাকে কয়েক জন মিলে নির্যাতন করেছে নিরাপদ কোন বলয়ে। মৃত্যু নিশ্চিৎ করে তবে লাশ ঐ স্থানে নিয়ে রেখেছে। ক্যান্টনমেন্টের মতো জায়গায় মৃতদেহ এক স্থান হতে অন্য স্থানে নেওয়া কারো অজান্তে। তা কি করে সম্ভব???

সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অন্যতম রক্ষক। তাদের ক্যান্টনমেন্ট যখন অনিরাপদ, যেটা সবচেয়ে বেশী নিরাপদ থাকার কথা। তখন একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দাড়ায়; প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ কতটুকু নিরাপদ???

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুল ভিত্তি বিডিআর বিদ্রোহ নামক এক পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছিলো। এবার তনু ট্রাজেডির মাধ্যমে কি অশিষ্ট যা ছিলো তাতে আঘাত করা হলো? সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। হতে পারে সেনাবাহিনীর কিছু লোকবল ব্যবহার করে গোটা সেনাবাহিনীকে ব্ল্যাকমেইলিং করা হয়েছে।

২.

সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যখন সারা দেশ উত্তাল হয়ে উঠছে ঠিক তখনি এই ঘটনা। একজন হিজাবী মহিলার উপর নির্যাতন। এদেশের মানুষ ধর্মিয় বিষয়ে খুব বেশী আবেগপ্রবণ। আরো একজন হিজাবী তরুণী। স্বাভাবিকভাবেই কেঁদে উঠবে মুসলমানের মন। মিডিয়া ও মানবাধিকারের স্লোগানধারীদের নিরবতা। আরো উস্কে দেবে সবাইকে। রাষ্ট্রধর্মের দাবি এর মাঝেই হারিয়ে যাবে এমনো পরিকল্পনা কেউ করতে পারে।

৩.

প্রতিটি জাতিকে শেষ করার জন্য পৃথিবীতে একটি অস্ত্র সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয়েছে। তা হলো যৌনতা ও নারী। কোন জাতিকে যদি ধ্বংস করার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদের মাঝে যৌনতা ছড়িয়ে দিন। নারীদের উম্মুক্ত করে দিন। সেই জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। হারিয়ে ফেলবে নিজেদের মনোবল ও সাহস।

তনু ট্রাজেডির পর কিছু সুশীলকে বলতে দেখা গেলো: হিজাব নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পারেনা। ঘটনার আগেই দেশের দুটি নামকরা স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুল কথাই হচ্ছে নারীকে উম্মুক্ত করে দাও। মনে হচ্ছে সব একিই সূত্রে গাঁতা......

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ধর্ষণ। যে ব্যাধি অধিকমাত্রায় আছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। তনুর পর আরো দু'জাগায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে খুব কমই অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে। ক্যান্টনমেন্টের মতো এলাকায় এমন ঘটনা ঘটিয়ে অপরাধীকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখে কি এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে: যৌনতাকে এদেশে সহজ লভ্য করা হচ্ছে। ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যৌনতা। অপরাধীদের আরো বেশী অপরাধ সংঘটিত করার জন্য উস্কে দিচ্ছে?

৪.

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অন্যতম রক্ষক। এদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ করা গেলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো বিশাল দেশের পেটে থাকা বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা হারাবে। এদেশে যৌনতা ও উম্মুক্ত নারী এখনো অনেক কম শুধুমাত্র ধর্মিয় অনুশাসনের কারণে। এদেশের মানুষের ভারত বিরুধী মনোভাবের কারণও ইসলাম। আজ তাহাই টার্গেট।

মুছে দাও ইসলাম।

দ্রুত যৌনতা ছড়িয়ে পড়বে।

জাতি তখন আত্মমনোবল হারাবে।

.

শেষ করে দাও সেনাবাহিনী।

আর যৌনতা যদি এই বাহিনীর মাঝে ছড়ানো যায় কথাই নেই।

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিমিষেই শেষ করে দেওয়া যাবে।

পরিশেষে বলা যায় তনু ট্রাজেডি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। তা শুধু একটি ধর্ষণ কিংবা হত্যা নয়। এক ঢিলে অনেক পাখি শিকার। একটি স্বাধীন-স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর আঘাত। যার বলি আমার আপনার বোন তনু!

আসুন! আওয়াজ তুলি:

তনু হত্যার বিচার চাইনা।

আমার আপনার ফাঁসি চাই।

জাগুক বিবেক জনতার,

সামনে গভীর অন্ধকার!

নোট: ২৬মার্চে লিখা। গতকাল রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে করা রীট খারিজ করা হয়েছে........

বিষয়: বিবিধ

১১৬৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

363969
২৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
হতভাগা লিখেছেন :
সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অন্যতম রক্ষক।


0 এরা কি কখনও যুদ্ধ করেছে ? এরা শুধু লেফট রাইট করতে জানে ।
দেশে এদের তেমন কোন কাজই করতে হয় না । দেশের ক্রিমটা এদের জন্যও বরাদ্দ থাকে ।

এরা মুখিয়ে থাকে কখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নাম আসবে । মূলত মিশনে যাবার লোভেই সেনাবাহিনীতে পোলাপানরা যায় ।

সেখানে এদের তেমন কোন কাজ কি করতে হয় ? বিবদমান দুটি দলের কাইজ্যা ঠেকানোর জন্য তারা কাজ করতে যায় , যুদ্ধ করতে না । আর পরোক্ষভাবে এরা পরাশক্তিদের লুটতরাজেরই পাহারা দিতে সেখানে যায় ।

আজ যদি মায়ানমার বা নেপাল বাংলাদেশ আক্রমন করে বসে দেখা যাবে দেশের সেনাবাহিনীর আগে কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতারাই মাঠে নেমে গেছে ।

চিন্তা ভাবনা করতে করতে ফিল্ডে নামতে উনাদের ৬ মাসও লেগে যেতে পারে।
364018
২৯ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি ভালো লাগলো সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অন্যতম রক্ষক। তাদের ক্যান্টনমেন্ট যখন অনিরাপদ, যেটা সবচেয়ে বেশী নিরাপদ থাকার কথা। তখন একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দাড়ায়; প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ কতটুকু নিরাপদ? ধন্যবাদ আপনাকে
364021
২৯ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৪:২০
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File