প্রিয় ব্লগার!
লিখেছেন লিখেছেন শোয়াইব জিয়া ১৩ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৩৪:৩৯ বিকাল
১.
তোমরা এদেশের নাগরিক! সংবিধান তোমাদেরকে অধিকার দিয়েছে, যে অধিকার প্রত্যেক নাগরিককে দিয়েছে........ তোমাদের অধিকার বেঁচে থাকার! ন্যায় বিচার পাওয়ার.... নিরাপত্তা চাওয়ার! আরো অনেক অধিকার!!! এদেশের সংবিধান একটি অধিকার দিয়েছে মুক্তচিন্তা চর্চার....... তবে এই অধিকারের কিছু সীমারেখাও নির্ধারণ করেছে........ কোন সাম্প্রদায়িক মুক্তচিন্তা চর্চার অধিকার সংবিধান দেয়নি... স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে ধর্মিয় অনুভূতিতে প্রভাব পড়ে এমন কিছু চর্চা!!!
২.
এদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। এদেশে মাটি ও মানুষ খুব বেশী ধর্মপ্রাণ। যাদের সংবিধান, মহা গ্রন্থ আল-কোরআন। যার ব্যাখ্যা হলো সুন্নাহ। আমাদের দেশের মানব রচিত সংবিধান সংবিধান তোমাকে যে সকল অধিকার প্রদান করেছে তার চেয়েও বেশী অধিকার দিয়েছে ইসলাম। কারণ ইসলাম এমন একটি বাস্তবধর্মী জিবন ব্যবস্থার নাম যেটা গোটা মানবজাতির কল্যাণ নিশ্চিত করেছে। যেখানে আইনবিভাগ সকল ধর্মমতের জন্য সমান..... যেখানে তুমি অন্যায় করলে তোমার মুসলিম পরিচয় তোমার অপরাধকে মুছতে পারেনা...... তুমি ভিন্নধর্মী হলে তোমার উপর অন্যায় অচরণকারী মুসলিম হলেও বিচারের রায় তোমার পক্ষে যাবে!!!
৩.
কিছুদিন হতে দেখতে পাচ্ছি.... তোমাদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন স্থানে নির্মম হামলা হচ্ছে। তোমাদের কিছু সহযোদ্ধা নির্মম হত্যার শিকার হচ্ছে। তোমরা অতংকের মাঝে দিনাপাত করছো। আর তোমাদের হত্যাকারীদের স্পষ্ট পরিচয়ও আমাদের জানা নেই! আরো গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যারাই টার্গেট হচ্ছে তারা সবাই প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ গণজাগরণ মঞ্চের সাথে জড়িত। উত্তাল সেই দিন গুলির সাক্ষী!
৪.
আমরা দুঃখিত! আমরা এমন এক দেশের নাগরিক যেখানে সংবিধান আছে প্রয়োগ নেই। তোমাদের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার সহ সকল অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। ঠিক ধর্ম নিয়ে তোমাদের অতিকথন নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বও সরকারের। এই নিয়ন্ত্রণ করাটাও তোমাদের অধিকার। এদেশের সংবিধানে তোমাদের অধিকার উল্লেখ থাকলেও সরকার তোমাদের অধিকার নিশ্চিত করেনি। এজন্যই আমরা দুঃখিত! কারণ আমরাও এদেশের নাগরিক। এমনো একদিন আসতে পারে যখন আমাদেরও অধিকার খর্ব হতে পারে।
৫.
আগেই বলেছি, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। তোমাদের বিভিন্ন ব্লগ তাদের অনুভূতিতে আঘাতও করেছে। তোমাদের ব্যাপারে তারাও ক্ষুব্ধ। তবে তাদের সকলই ধর্মিক। তারা ধর্মপ্রাণ। কোরআন ও সুন্নার বাইরে তারা যায়না। ইসলাম কাউকে বিনা বিচারে শাস্তি দেয়না। অপরাধ প্রমানিত হওয়ার আগপর্যন্ত কারো দিকে ইসলাম আঙ্গুল তোলেনা। বরং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। অপরাধ প্রমানিত হলে একমাত্র রাষ্ট্রই শাস্তি কার্যকর করতে পারে।
আজ আর ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেই। নেই খিলাফার সোনালী সময়। যদি থাকতো! তোমাদের এমন বিনাবিচারে, নির্মমভাবে আক্রান্ত হতে হতোনা। সেই সোনালী মানবদের এ অনুসারীরাও তোমাদের অধিকার খর্ব করতে পারেনা।
৬.
এসব যখন আমরা সামনে নিয়ে আসি তখন আমাদের সামনে দুটি বিষয় চলে আসে:
ক. তোমাদের দিয়ে শাহবাগের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। যারা করিয়েছে তাদের কাজ তারা আদায় করেছে। এখন তাদের কাছে তোমাদের প্রয়োজনীয়তা শেষ। তোমরাই একমাত্র তাদের সকল অপকর্মের জীবন্ত স্বাক্ষী। তাই তোমাদের সরিয়ে দিতে হবে...... এবং সরিয়ে দিচ্ছে...... জনিনা তোমাদের আর কতোজনকে এমন নির্মমতার স্বীকার হতে হয়।
খ. তোমাদের ব্লগ ছিলো ইসলামকে টার্গেট করে.... সুতরাং একটি যুক্তি দাড় করানো যায়..... তোমাদের হত্যাকারী মুসলমান..... রব তোলা যাবে... দেশ ইসলামি জঙ্গিবাদে ভরে যাচ্ছে..... তাদের প্রতিরুধ করতে হবে.... ইহাই একমাত্র সরকার যাহারা জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে পারে!
শেষে বলবো, একটি দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রের তোমরা বলি হলে। এক ঢিলে তাদের কয়েকটি পাখিও শিকার হলো!
ভালো থেকো ব্লগার!
ভালো রেখো দেশ!
আমরা তোমরা সবাই মিলে সোনার বাংলাদেশ!!
বিষয়: বিবিধ
১০৯১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো রেখো দেশ!
এটা করতে গেলে যে তাকে ঝামেলায় পড়তে হবে বা অনেকগুলো বাঁধা পার হয়ে আসতে হবে - এটা তারা ভালভাবেই জানে ।
তারা এটাও বুঝে যে নিজের বন্ধু বান্ধব , আপন জন এর ঘরে সে যেভাবে ঢুকতে পারবে একজন মন্ত্রী বা সাংসদের ঘরে সে সেভাবে ঢুকতে পারবে না ।
এই নিয়ম গুলো কি মুক্তমনারা জানে না ?
ভালভাবেই জানে । তারা এটাও বুঝে যে বর্তমানে ইসলাম ধর্মকে পঁচানো একটা হিট ট্রেন্ড এবং বিশেষ করে কোন মুসলিম নামধারী মুসলিম বা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট সমাজে থেকে যদি মুসলিমদের নিয়ে ব্যঙ্গ করা যায় এবং এর ফলে কোন হুমকি আসে তাহলে পশ্চিমা দেশে তার আশ্রয় লাভের একটা সুযোগ চলে আসবে ।
বস্তুবাদী এসব অবিশ্বাসীরা কোন জীবিত , এক্সিস্টিং , ধারে কাছে থাকা ক্ষমতাবান লোককে কখনও ঘাটাতে সাহস পায় না ।
এটা তারা করে যাকে না দেখেই বিশ্বাসী মুসলমানেরা বিশ্বাস করে সেই মহান আল্লাহকে নিয়ে এবং তার নবী-রাসূলদের ও ইসলামকে নিয়ে ।
তাদের এহেন কাজের তাৎক্ষনিক কোন প্রতিক্রিয়া বা শাস্তি আল্লাহর তরফ থেকে না পেয়ে তারা মনে করে যে তারা সঠিকই আছে । এমনটা নবীদের আমলে কাফেররাও করতো ।
কিন্তু আল্লাহর বিচার মানুষের ধারনারও বাইরে । আল্লাহর পাকড়াও বেশ কঠিন ।
শাস্তি যত দেরিতে আসবে তা ততই কঠিন হবে কাফেরদের জন্য ।
আল্লাহ, আপনি এদেরকে হেদায়েৎ দান করুন , আর এরা যদি হেদায়েতের যোগ্য না হয় তাহলে তাদেরকে কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন - আমিন।
ধন্যবাদ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন