সত্যকো মিথ্যা দিয়ে ঢাকার প্রবনতা.....

লিখেছেন লিখেছেন আবদুল হাদি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৬:৪২:৪২ সকাল



সবাইকে আস্সালামুআলাইকুম,১৯শে সেপ্টেম্বর আমার একটি পোষ্ট ছিলো,"বর্তমান সরকার মারাত্বক(জয়ের ভাষায়)উন্নতি করেছে"।তিনদিন পর পোষ্টটি অজানা কারনে hide/delete হয়ে যায়।যদিও এই hide/delete যে কারো জন্য অনুৎসাহের কারন,তার পর ও আজ আবার বসছি.......

ছোট বেলা থেকে আমরা সবাই পড়েছি honesty is the best policy সততাই সর্বৎকৃষ্ট উপায়, always speak the truth সদা সত্য কথা বলিবে, never tell a lieকখন ও মিথ্যা বলবেনা,to tell a lie is a great sin মিথ্যা বলা মহাপাফ... এটাই ছিল আমাদের আপনাদের তথা পৃথিবীর মানুষের সুশিক্ষার ভিত্তি।

কিন্তু আজ আমরা কি দেখছি, বর্তমান (আওয়ামী)সরকার মিথ্যাকে রাষ্ট্রিয়ভাবে প্রতিষ্ঠার হীন প্রছেষ্টা চালাচ্ছে।এই সরকার ইসলামের অনুসারীদের কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করছে।"কোরআন পুড়িয়ে কি ইসলামের খেদমত করা যায়??" এ কথা আওয়ামী লীগের ইসলামের মূলধারায় যারা কাজ করছে তাদের অভিযুক্ত করে,যাদের জীবন মরন ইসলামের জন্য তাদের অভিযুক্ত করে।

অথচ কোরআন পুড়িয়েছে পান্জাবী পরে আওয়ামী যুবলীগের নেতা কর্মিরা এ কাজ করেছে,পত্রিকায় ছবি ও এসেছে। আওয়ামীরা মিথ্যা বা খারাপকে রপ্ত করতে বেশ পটু।তারা হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলসের তত্বকে ভালোভাবে রপ্ত করেছে,তার মূল কথা হলো একটা মিথ্যাকে বার বার বল্লে তা মানুষের কাছে সত্য হতে পারে....

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকার প্রবনতা কোনো সমাজ বা রাষ্ট্যের জন্য কল্যানকর হতে পারেনা,কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ বাংলাদেশে সরকারিভাবে তা চলছে।

১।

কক্সবাজার টেকনাফ বৌদ্ধমন্দিরে হামলা

এটা সরকারি দলেন নেতা কর্মিদের পরিকল্পনায়,দলীয় লোকদের দ্বারা জামাতী লেবাসে (পান্জাবী পরিয়ে) ঘটানো একটি ঘটনা।বিভিন্ন মিডিয়াতে ছবিসহ এসেছে।এতে পরিস্কার ১৮ দলীয় জোটকে ফাসাঁনো জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়।

২।

দেশে বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা

এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা হয় ভাংচুর হয় এবং এটাকে ইসলাম পন্থিদের উপর চাপনোর অপচেষ্টা চালায়। হামলাকারী যখন ধরা পড়ে দেখা যায় সরকারী দলেরই নেতা কর্মী। আর তখন দলের হাই কমান্ড থেকে বলা হয় সে অপ্রকৃতস্থ বা মানসিক ভারসাম্যহীন।

৩।

শহীদ মিনারে হামলা

ঠিক একই ভাবে সরাকারী দলের লোকদের মাধ্যমে ঘটানো হয় বি এন পি জামাত ইসলামীকে ফাসানোর জন্য। ধরা পড়ার পর বলা হয় মানসীক ভারসাম্যহীন।

৪।জাতীয় মসজিদের কার্পেটে আগুন

এটা ও সরকারী নেতা কর্মী তথা বাম রামদের সাজানো একটি নাটক। তারা জাতীয় মসজিদের কার্পেটে আগুন দিয়ে তা ইসলাম পন্থিদের উপর চাপায়(যাদের জীবন মরন ইসলামের জন্য)।

৫।

বায়তুল মোকাররমের পাঠাগারে কোরআন শরীফে আগুন

ঢাকার স্থানীয় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ঘটানো হয় এটা প্রমানীত।আর্থাৎ সরাকারী দলের লোকদের দ্বারা ঘটানো হয় প্লান করে।ইসলাম পন্থিদের ফাসানোর জন্য। আজ প্রধান মন্ত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে এটাকে রেফরেস্স হিসাবে ব্যাবহার করছে, "কুরআন শরিফ পুড়িয়ে কি ইসলামের খেদমত করা যায়"।

৬।

পাঁচ ই মে শাপলা চত্তরে হামলা ভাংচুর

বিভিন্ন মিডিয়াতে এসেছে সরকার হেফাজতের শাপলা চত্তরের পোগ্রামে ভাংচুর করার জন্য কয়েক হাজার লোককে ট্রেনিং দিয়ে পান্জাবী তোফ পরিয়ে প্লান করে নামায়।এসব অপকর্ম করার জন্য।

৭।লংমার্চে লাশ ফেলে ও মিথ্যাচার

বিভিন্ন মিডিয়াতে এসেছে লাশের পরিসংখ্যান কেউ বলছে এক হাজর কেউ দুই হাজর কেউ দুই হাজার পাঁছশত কেউ বলছে আর ও বেশী।যদিও সরকারী পুলিশ বলচে ১৩জন!!! দেশবাসী ভিডিও ফুটেজে দেখেছে অনেক অনেক বেশী। আর আমাদের প্রধান মন্ত্রী বলেছে,ভিডিও ফটেজে এগুলো লাশ নয় রং মেখে শুয়ে ছিলো।"আউযুবিল্লাহিমিনাস সাইতোয়ানির রাজিম" বিতাড়িত শয়তান থেকে ফানাহ চাই। প্রধান মন্ত্রীর কি জঘন্য মিথ্যাচার এবং জাতীর সাথে প্রতারনা।

৮।

যারা সত্য প্রকাশ করতে চায় তাদের কন্ঠরোধ

সেদিন কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়া ঘটনা প্রকাশরত ছিলো দেশ ও জাতীর তথা ঈমান ইসলামের পক্ষে। বিশেষ করে ইসলামীক টেলিভিশন এবং দিগন্ত টেলিভিশন।দুটোরই সস্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারীভাবে। এখানেই শেষ নয় মানবাধীকার সংস্থা অধিকার ও কিছু রিপোর্ট করে এবং জরিফ করে ৫ই মে শাপলা চত্তরের ঘটনার ব্যাপারে,সেখানে ও সরকার করে হস্তক্ষেপ অধিকারের সাধারন সম্পাদককে (আদিলুর রহমান শুভ) করে গ্রেপতার এবং রিমান্ডে নির্দেশ দেয়।

৯।

আলেম ওলামাদের যারা ইসলামের জন্য নিবেদিত যাদের জিবন মরন ইসলামের জন্য তাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগে গ্রেপতার এটাও এক জগন্য মিথ্যাচার নয়কি??

১০।

যুদ্ধাপরাধ এটা একটা solve issue ।১৯৫জন যুদ্ধপরাধী সিলেক্ট করে(যাদের প্রত্যেকই ছিলো পাকিস্তানী)ও বঙ্গবন্ধু তাদের ক্ষমা করে দেন,দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছেন বাঙ্গালী জাতী জানে কিভাবে ক্ষমা করতে হয়।কিন্তু আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর একটা নন ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে আলেম ওলামাদের হেনস্থা করা এটা ও জাতীর সাথে জগন্য মিথ্যাচার নয় কি??

আমরা জানি সরকার দলীয়ভাবে নির্বচিত হলেও নির্বচিত হওয়ার পর দেশের সকল মানুষের সরকার হয়।দেশের সকল মানুষের জান মালের নিশ্চয়তা তথা দেশের সকল মানুষে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের দায়ীত্ব হয়ে দাড়ায়।কিন্তু আজ আমরা দেখছি সরকার সত্যকে পদদলিত করে নিজ স্বাথের প্রয়োজনে সকল মানুষের লাশের উপর দিয়ে হলেও যেন আবার ক্ষমতায় আসার জন্য বদ্ধ পরিকর।

তাই সবার প্রতি আবেদন,আসুন আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্যকে সমর্থন করি। আর সবচাইতে বড় সত্য হচ্ছে কোরআন ও ইসলাম।এই দেশ ৯০% মুসলমানের দেশ।আর মুসলমানের বিশ্বাস হচ্ছে পরকালে প্রতিটি কর্মের হিসাব আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দিতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

২০২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File