"আব্বার হালিরে বিয়ে করুম যে করুম"

লিখেছেন লিখেছেন আবদুল হাদি ২৪ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৪৯:৫৪ সকাল

সুস্থ সবল সকল মানুষের নীতিবোধ বিবেচনাবোধ প্রায় একরকমই হয় বা কাচাকাচি হয়।বেশী পার্থক্য হয়না আর এই নীতিবোধ দারাই মানুষ পরিচালিত হয়। যে ভালো ছাত্র সে সবার কাছে ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিত,যে ভালো প্লেয়ার সে সবার কাছে ভালো প্লেয়ার হিসেবে পরিচিত।ভালো গায়ক সবার কাছে ভালো।ভালো মানুষ সবার কাছে ভালো। তদ্রুপ ধার্মিক মানুষ সবার কাছে সস্মানিতো ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।কাজে কর্মে ও তারা ভালোর নজির রাখেন।আমাদের দেশের আলেম ওলামারা ও সেরকম নজির রেখেছেন। আলেম ওলামার অন্যায় করেনা, ঘুষ খায়না, ঘুষ দেয়না, চুরি, ডাকাতী, রাহাজানী, চিনতাই, খুন, বদমায়েশী, টেন্ডারবাজী, ব্যাংক লুট/কেলেঙ্কারী, শেয়ার মার্কেট লুট/কেলেঙ্কারীর মত এসব অপকর্মের সাথে জড়িত নন। কারন তারা আল্লাহকে ভয় করে। তারা জানে দুনিয়ার জীবনের সকল কর্মকান্ডের হিসেব দিতে হরে আখেরাতে আল্লাহর আদালতে।

"আব্বার হালিরে বিয়ে করুমযে করুম"এটা ছিলো একটা লুজ/পাগলের প্রলাপ। কোনো এক দুষ্ট ছেলে শিখিয়েছিল,আর পাগল প্রায় এটা বলে বেড়ায়।

আজকে আমাদের দেশের সরকারের অবস্থা ও ঠিক সেরকম।বাম রামরা তথা ইসলাম ইসলামী মূল্যবোধের দুষমন,মানবতা মানুষ্যত্বের দুষমন,আলেম ওলামার দুষমন(বামরাম)রা সরকাকে শিখিয়েছে "যুদ্ধাপরাধ"।সরকার আজ বাম রামদের সুরে সুরে আলেম ওলামাদের যারা আজ ইসলামের মুল ধারায় নেতৃত্বে আছে, তাদের আজ "যুদ্ধাপরাধী" হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

কিন্তু দেশের মানুষ আলেম ওলামাদের ভালোবাসে,ভালো জানে এবং জনপ্রতিনিধী হিসেবে নির্বাচিত ও করেছে। হাদিসে আছে, "আলেমরা হচ্ছে আম্বিয়াদের উত্তর সূরী"। তাই আলেম ওলামার প্রতি এত ভালোবাসা।প্রয়োজনে একজন আলেমের কিছু হলে হাজার হাজার মানুষ জিবন দিতে রাজি এবং জিবন দিতেছেও কারন অন্যায়র প্রতিবাদ করা ঈমানদারের ঈমানী দায়ীত্ব।

তাই দেশের সরকার বাহাদুরকে বলবো, অনেক হয়েছে,এবার থামেন! না হয় আপনাদের নিশ্চিহ্ন হবার জন্য এটাই(যুদ্ধাপরাধ ইস্যু)যথেষ্ট হবে।

দেশের ইসলাম প্রিয় জনতার প্রতি আবেদন,আসুন সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাই সক্রিয় অংশগ্রহন করি।



বিষয়: বিবিধ

২৫৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File