প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি খোলা চিঠিঃ

লিখেছেন লিখেছেন ফ্রিডম অব স্পিচ বিডি ১৭ জুলাই, ২০১৩, ০৮:২১:৪৪ রাত

এখানে ক্লিক করে দেখুন ছবিসহ ফেবু পোষ্ট

::::::::MHS::::::::

মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আসসালামু আলাইকুম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপনার দল 'জাতীয়তাবাদী দল' এর সাথে রাজনৈতিক প্রয়োজনে জোটবদ্ধ একটি সংগঠন। দলটি তাদের সাবেক আমীর ও সেক্রেটারীকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়ায় জামায়াত চলতি পবিত্র রমজান মাসেও হরতাল ডেকেছে। যেহেতু জামায়াত আপনাদের সাথে রাজনৈতিকভাবে জোটবদ্ধ, সেহেতু আপনাদেরও উচিত ছিলো এই হরতালে সমর্থন জানানো। কেননা আপনারাও নিশ্চিত যে, এটি বিচারের নামে একটি প্রহসন। আপনারা হয়তো ভূলে গেছেন, ১৮ দলের ডাকে সকল হরতালে জামায়াত সক্রিয় ছিলো। এমনকি আপনাদের ডাকা হরতালেও সবসময় জামায়াত নৈতিক সমর্থন দিয়ে এসেছে। কিন্তু জামায়াতের এই চরম ক্রান্তিলগ্নে জামায়াতের হরতালে আপনাদের সমর্থন দেয়া তো দূরের কথা, জামায়াত নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রহসনের বিচারের বিরুদ্ধে সামান্যতম নিন্দাটুকুও করেননি। শুধু কি তাই? আপনাদের কেন্দ্রীয় অনেক দায়িত্বশীল পর্যায়ের নেতাদের মুখ থেকে বাংলাদেশের এক চতুর্থাংশ জনতার কলিজার টুকরো, জামায়াত ও শিবিরের সর্বস্থরের সমর্থকদের প্রিয় নেতা, ডাকসুর সাবে জিএস, যে কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে আপনি আন্দোলন করছেন, পৃথিবী নন্দিত সেই কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতির আবিস্কারক, ভাষা সৈনিক, নব্বইয়োর্ধ জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আওয়ামী ট্রাইব্যুনালের দেয়া প্রহসনমূলক রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। আপনার দলের অনেক তৃণমূল কর্মীকে রমজান মাসে জামায়াতের ডাকা হরতাল নিয়ে সমালোচনা করতেও দেখা গেছে। মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী, আপনার কর্মীদের একটি বার জিজ্ঞেস করুন, পবিত্র রমজান মাসে যদি আপনি অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার উপর ৯০ বছর কারাদন্ড চাপিয়া দেয়া হতো, ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হতো, আপনার নেতাকর্মীরা কি ঘরে বসে থাকতো?

কোটি কোটি মানুষের প্রিয় এই নেতাকে আপনিও একবার কারাগারে নিক্ষেপ করেছিলেন। কই, তাই বলে তো আপনি যখন আওয়ামী জালিমদের দ্বারা গৃহচ্যুত হয়েছিলেন, জামায়াত নিন্দা না করে বসে থাকেনি? আপনাকে যখন জেলে পুরে আপনার কতিপয় অসাধু চামচাদের দিয়ে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করলো ফখরুদ্দিন ও মইনুদ্দিন, কই জামায়াত তো বসে থাকেনি? আপনার দলের ইলিয়াস আলীকে যখন গুম করা হলো, জামায়াত কি একটি বিবৃতিও দেয়নি? তারা কি প্রতিবাদ সমাবেশ করেনি? আপনার দলের ফারুককে যখন ডিসি হারুন কাপড় খুলে মারপিট করলো, জামায়াত কি নিন্দা জানায়নি? সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে আপনার দলের পক্ষ থেকে দেয়া ৫ জন প্রার্থীকে জয়ী করতে কি জামায়াত রাতদিন পরিশ্রম করেনি?

বলুন? জবাব দিন?

জানি এর জবাব আপনার কাছে নেই। আপনারা অদৃশ্য সূতোয় বাঁধা। নাস্তিকদের গনজাগরণ মঞ্চ যখন শাহবাগে বসেছিলো, তখনও কিছুদিনের জন্য আপনার দল মুখে কুলুপ এটে বসেছিলো। আবার আপনার দলেরই কোন কোন নেতা এই গনজাগরণকে প্রকৃত অর্থেই 'তারুণ্যের উচ্ছাস' বলে অভিহিত করেছিলেন। পরবর্তীতে যখন দেখলেন সবই ধোঁয়া, দেশের কোটি কোটি মুসলিম তৌহিদী জনতা রুখে দাঁড়ালো নাস্তিকদের, তখন ঠিকই আপনারা সূর পাল্টিয়েছিলেন। কথা বলেছেন শাহবাগের বিপক্ষে।

মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী, জামায়াতে ইসলামী কারো বিবৃতি নির্ভর কোন দল নয়। এরা রাজপথে কারো সাহায্য নেয়নি কখনো, আজও তাদের কারো সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কেননা তারা বিশ্বাস করে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই তাদের সাহায্য করবেন। তাই আপনার প্রতি আমি আল্লাহর এক অধম বান্দাহর অনুরোধ, দয়া করে আপনার অতিকথনপ্রিয় নেতাদের জিহ্বা সামলাতে বলুন। অতিরিক্ত কথা বলার পরিণতি কখনোই ভালো নয়। আপনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনি। আপনার উচ্চতা আপনি ধরে রাখুন। চাটুকারদের স্থান দেবেন না। অন্যথায় ১/১১র মতোই এরা আবার মাইনাস ফর্মূলার দিকে এগিয়ে যাবে। আল্লাহ্‌ আমাদের সকলের সহায় হোন। ফি আমানিল্লাহ।

কার্টেসীঃ http://www.fb.com/fosbd

::::::::MHS::::::::

মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আসসালামু আলাইকুম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপনার দল 'জাতীয়তাবাদী দল' এর সাথে রাজনৈতিক প্রয়োজনে জোটবদ্ধ একটি সংগঠন। দলটি তাদের সাবেক আমীর ও সেক্রেটারীকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়ায় জামায়াত চলতি পবিত্র রমজান মাসেও হরতাল ডেকেছে। যেহেতু জামায়াত আপনাদের সাথে রাজনৈতিকভাবে জোটবদ্ধ, সেহেতু আপনাদেরও উচিত ছিলো এই হরতালে সমর্থন জানানো। কেননা আপনারাও নিশ্চিত যে, এটি বিচারের নামে একটি প্রহসন। আপনারা হয়তো ভূলে গেছেন, ১৮ দলের ডাকে সকল হরতালে জামায়াত সক্রিয় ছিলো। এমনকি আপনাদের ডাকা হরতালেও সবসময় জামায়াত নৈতিক সমর্থন দিয়ে এসেছে। কিন্তু জামায়াতের এই চরম ক্রান্তিলগ্নে জামায়াতের হরতালে আপনাদের সমর্থন দেয়া তো দূরের কথা, জামায়াত নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রহসনের বিচারের বিরুদ্ধে সামান্যতম নিন্দাটুকুও করেননি। শুধু কি তাই? আপনাদের কেন্দ্রীয় অনেক দায়িত্বশীল পর্যায়ের নেতাদের মুখ থেকে বাংলাদেশের এক চতুর্থাংশ জনতার কলিজার টুকরো, জামায়াত ও শিবিরের সর্বস্থরের সমর্থকদের প্রিয় নেতা, ডাকসুর সাবে জিএস, যে কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে আপনি আন্দোলন করছেন, পৃথিবী নন্দিত সেই কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতির আবিস্কারক, ভাষা সৈনিক, নব্বইয়োর্ধ জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আওয়ামী ট্রাইব্যুনালের দেয়া প্রহসনমূলক রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। আপনার দলের অনেক তৃণমূল কর্মীকে রমজান মাসে জামায়াতের ডাকা হরতাল নিয়ে সমালোচনা করতেও দেখা গেছে। মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী, আপনার কর্মীদের একটি বার জিজ্ঞেস করুন, পবিত্র রমজান মাসে যদি আপনি অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার উপর ৯০ বছর কারাদন্ড চাপিয়া দেয়া হতো, ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হতো, আপনার নেতাকর্মীরা কি ঘরে বসে থাকতো?

কোটি কোটি মানুষের প্রিয় এই নেতাকে আপনিও একবার কারাগারে নিক্ষেপ করেছিলেন। কই, তাই বলে তো আপনি যখন আওয়ামী জালিমদের দ্বারা গৃহচ্যুত হয়েছিলেন, জামায়াত নিন্দা না করে বসে থাকেনি? আপনাকে যখন জেলে পুরে আপনার কতিপয় অসাধু চামচাদের দিয়ে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করলো ফখরুদ্দিন ও মইনুদ্দিন, কই জামায়াত তো বসে থাকেনি? আপনার দলের ইলিয়াস আলীকে যখন গুম করা হলো, জামায়াত কি একটি বিবৃতিও দেয়নি? তারা কি প্রতিবাদ সমাবেশ করেনি? আপনার দলের ফারুককে যখন ডিসি হারুন কাপড় খুলে মারপিট করলো, জামায়াত কি নিন্দা জানায়নি? সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে আপনার দলের পক্ষ থেকে দেয়া ৫ জন প্রার্থীকে জয়ী করতে কি জামায়াত রাতদিন পরিশ্রম করেনি?

বলুন? জবাব দিন?

জানি এর জবাব আপনার কাছে নেই। আপনারা অদৃশ্য সূতোয় বাঁধা। নাস্তিকদের গনজাগরণ মঞ্চ যখন শাহবাগে বসেছিলো, তখনও কিছুদিনের জন্য আপনার দল মুখে কুলুপ এটে বসেছিলো। আবার আপনার দলেরই কোন কোন নেতা এই গনজাগরণকে প্রকৃত অর্থেই 'তারুণ্যের উচ্ছাস' বলে অভিহিত করেছিলেন। পরবর্তীতে যখন দেখলেন সবই ধোঁয়া, দেশের কোটি কোটি মুসলিম তৌহিদী জনতা রুখে দাঁড়ালো নাস্তিকদের, তখন ঠিকই আপনারা সূর পাল্টিয়েছিলেন। কথা বলেছেন শাহবাগের বিপক্ষে।

মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী, জামায়াতে ইসলামী কারো বিবৃতি নির্ভর কোন দল নয়। এরা রাজপথে কারো সাহায্য নেয়নি কখনো, আজও তাদের কারো সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কেননা তারা বিশ্বাস করে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই তাদের সাহায্য করবেন। তাই আপনার প্রতি আমি আল্লাহর এক অধম বান্দাহর অনুরোধ, দয়া করে আপনার অতিকথনপ্রিয় নেতাদের জিহ্বা সামলাতে বলুন। অতিরিক্ত কথা বলার পরিণতি কখনোই ভালো নয়। আপনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনি। আপনার উচ্চতা আপনি ধরে রাখুন। চাটুকারদের স্থান দেবেন না। অন্যথায় ১/১১র মতোই এরা আবার মাইনাস ফর্মূলার দিকে এগিয়ে যাবে। আল্লাহ্‌ আমাদের সকলের সহায় হোন। ফি আমানিল্লাহ।

কার্টেসীঃ http://www.fb.com/fosbd

বিষয়: বিবিধ

১৪৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File