ওয়েলকাম ব্যাক- "বা...ক...শা...ল"

লিখেছেন লিখেছেন ফ্রিডম অব স্পিচ বিডি ২০ মে, ২০১৩, ০১:০৪:৪৮ রাত

এখানে ক্লিক করে ফ্রিডম অব স্পিচ বিডি'র ফেসবুক পেজ এর সাথে থাকুন

১৯৭২ সনে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল মিডিয়া বন্ধ করে শুধু নিজের নিয়ন্ত্রিত ৪ টি পত্রিকা চালু রেখে বাকশাল ঘোষণা করেছিলো। দেশে একটি মাত্র দল ছাড়া বাকী সব দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলো। বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়াম লীগ (বাকশাল) ছাড়া অন্য কোন দল কেউ করলে তাকে হত্যা করা হতো। চালু হয়েছিলো "এক নেতার এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ" শ্লোগান। নিজের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব দিয়ে গঠন করেছিলো "রক্ষীবাহিনী"। কিন্তু শেষ রক্ষা কি রক্ষীবাহিনী করতে পেরেছিলো? পারেনি। এটিই ইতিহাস। এ থেকে সকল একনায়কদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ।

আজ ৪০ বছর পর তারই সন্তান শেখ হাসিনা নিজের মতের বিরোধী সকল দলকে একে একে জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে কোনঠাসা করে শেষ পর্যন্ত পিতার পথেরই অনুসারী হলেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম সামরিক হত্যাকান্ড ঘটালেন। সেনাবাহিনীর বাছাই করা ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে কৌশলে বিডিআরে পোষ্টিং দিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের নাটক সাজিয়ে হত্যা করলেন। আর সৈনিক পর্যায়ে যারা তার মতের বিরোধী ছিলো, তাদের সেসব হত্যাকান্ডের মামলায় সাজানো আসামী বানিয়ে জেলে পুরে দিলেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রথমে জামায়াতে ইসলামীকে টার্গেট করে এগিয়ে যেতে যেতে এক পর্যায়ে সকল দলের আলেম উলামাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন। দেশের শীর্ষ নাস্তিকদের দিয়ে শাহবাগে নাটকীয়ভাবে ফাঁসির দাবি উত্থাপন করিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন ২ বারের নির্বাচিত পার্লামেন্টারিয়ান জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাজানো ট্রায়ালে ফাঁসির রায় দিলেন। যখন শাহবাগে আন্দোনের নামে নাটকরত নাস্তিকদের পরিচয় পরিস্কার হয়ে উঠলো, তখন দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম, ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে সর্বস্থরের আলেম সমাজ তাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুললেন। আন্দোলনের ১ম দিনই দেশজুড়ে নিরীহ মুসল্লীদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষন করলো হাসিনার লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী। এতে শহীদ হলেন ৭ জন মুসল্লী। দিনটি ছিলো ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৩। আহত হন প্রায় ১০ হাজার। ২৮শে ফেব্রুয়ারী যখন আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণা হলো, সাথে সাথে দেশের লক্ষ লক্ষ আবাল বৃদ্ধ বনিতা রাজপথে নেমে আসলেন। নির্বিচারে গুলি করা হলো তাদের উপর। ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারী ২ দিনে শহীদ হলেন মহিলা ও শিশুসহ ১৬৮ জন নিরীহ মুসলমান। এটিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর সর্ববৃহত গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন। আর শেখ হাসিনার দল আওয়ামীলীগ সর্বশেষ গণহত্যা ঘটালো মতিঝিলের শাপলা চত্বরে। রাতের আঁধারে নির্বিচারে গুলি ও গ্রেনেড হামলা করে ঘুমন্ত ও জিকিররত অজ্ঞাত সংখ্যক আলেম ওলামাকে হত্যা করলো তারা। হত্যার পর প্রমাণ গোপন করতে গোপনে সরিয়ে ফেললো অসংখ্য লাশ। বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে দেশপ্রেমিক ইসলামপ্রিয় জনতার প্রিয় মিডিয়া দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করলো তারা। আর এর মাধ্যমেই মূলত পূর্ণ হলো মিডিয়া দলনের ষোলকলা। সর্বশেষ আজ তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করলো। উন্মোচিত হলো বাকশালের নতুন রুপ। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে অত্যন্ত কৌশলের সাথে নিস্ক্রিয় করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। যা বিএনপি চেয়ারপার্সন নিজেও বুঝতে পারেননি। দেশের আপামর জনতা এমনকি বিএনপির তৃণমূলের কর্মীরাও হাসিনা সরকারের এরকম কঠোর অবস্থান তৈরী করতে পারার পেছনে বিএনপির আন্দোলন বিমূখতা ও তৃণমূল নেতৃত্বের কোন্দল নিরসনে ব্যার্থতাকেই দায়ী করছেন।

সবশেষে পবিত্র কোরআন'এ আল্লাহর দেয়া একটি বাণীই ভরসা-

"জা....আল হাক্ব। ওয়া যাহাক্বাল বা....ত্বিল। ইন্নাল বা....ত্বিলা কা....না যাহু...ক্বা....।"

বিষয়: বিবিধ

১৯৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File