কি অপরাধ শিবির সভাপতির............

লিখেছেন লিখেছেন হিমালয় ২৪ মে, ২০১৩, ০৯:৫৮:৩৭ সকাল

গত কিছুদিন পূর্বে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর দিন তাকে আদালতে উঠিয়ে চাওয়া হয় রিমান্ড। আদালত তার 18 দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে । শুরু হয় রিমান্ড নামের নির্যাতন। এভাবে কয়েক দফা রিমান্ডের পর গত ২১মে দেখলাম তাকে কয়েকজন পুলিশ কোলে করে আদালতে হাজির করছে।তিনি হাটতে পারছেন না তার পরেও তার পায়ে ডান্ডা বেড়ী ।তার সমস্ত দেহটা যেন নির্যাতনের শিকার ।শরীরের কোন অংশ বাদযায়নি নির্যাতন থেকে । কি অপরাধ তার? কেন এবং কি তথ্যের জন্য তাকে এভাবে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে? তার অপরাধ কি বাংলার হাজার হাজার পথ ভোলা ছাত্রকে ইসলামের কথা বলা? তার অপরাধ কি ইসলাম বিরোধী , দেশ বিরোধী শাক্তির বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিকের দায়িত্ব পালন করা ? তার অপরাধ কি দেশের ছাত্রদেরকে আদর্শ দেশপ্রেমিক হিসাবে গড়ার স্বপ্ন দেখান ? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কি ? যদি বলি এগুলো তার অপরাধ তাহলে প্রশ্নজাগে আমরা কোথায় বাস করি? কোন অমুসলিম মুসলিম রাষ্ট্রে? আমাদের রাষ্ট্রপতি কি মুসলিম নন? আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি মুসলিম নন? আমাদের মন্ত্রী পরষেদে একজন মুসলিম মন্ত্রীও কি নেই ? আমাদের কি একজন এমপিও নেই যিনি বলবেন তোমরা যে মানুষটিকে নির্যাতন করছ সে কোন অপরাধী নয়। সে যা করেছে তা একজন মুসলমান হিসাবে, একজন ঈমানদার হিসাবে সে তার দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র।

আমাদের পদ্মা সেতুকে যারা গিলে খেল, কবর দিল আমাদের পদ্মা সেতুর স্বপ্নকে তাদেকে তো গ্রেফতার করলেন না। ছাত্রলীগের অনেক নেতা আমাদের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রীদেরকে ধর্ষন করেছে তাদের জীবনের প্রদিপটিকে চিরতরে নিভিয়ে দিয়েছে। যা পত্রিকার পাতায় পাতায় চিত্রিত হয়েছে । কই তার জন্যতো কোন মামলা হলনা । গ্রেফতার হলনা কোন আসামী ।ইডেন কলেজের ছাত্রীদেরকে জোর করে বাসায় এনে মন্ত্রী, এমপিরা সারারাত তাকে ব্যবহার করেছে যার জন্য ছাত্রীরা মহাসরক অবরোধ করেছে । আলোচিত হয়েছে সারা দেশে এবং বিদেশে কিন্তু তার কোন তদন্ত বা কোন মামলা করা হয় নি । শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি কি তার চেয়ে বড় অন্যায় করেছে ? কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এর শতশত ছাত্রীকে ধর্ষন করা , জোর করে বাসায় নিয়ে রাত্রী যাপন করার চাইতে যদি আল্লাহর দ্বীনের দায়িত্ব পালন করা বড় অ্ন্যায় হয় তাহলে আমাদের মন্ত্রী- এমপিদের কাছে ন্যায় কোনটি ? ধর্ষন করা,ইপটিজিং করা, টেন্ডারবাজি করা?এই যদি হয় আদর্শ তাহলে ছাত্রশিবিরের লক্ষ লক্ষ জনশক্তি কি করবে? সামনে তাদের কোন রাস্তাটি খোলা আছে? তারা পাচ্ছে না আইনি লড়াই করতে কারন আইন চলে মন্ত্রীদের ইশারায় । মিছিল মিটিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের নেতাকে মুক্তির জন্য হরতাল দিলে গুলিকারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় নামামাত্র গুলি করে হত্যা, কারণ একজনকে হত্যা করতে পারলেই প্রোমোশন। ইতিমধ্যে শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে তাদের দাবি আদায় করতে গিয়ে। তাদের দাবিকি আদায় হয়েছে? সরকারকি শুনেছে তারা কি বলতে চায়।সরকার তা করেনি।সরকার শুধু গ্রেপতার করেছে আর রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে দিনের পর দিন। একজন দুজন নয় বরং হাজার হাজার নেতাকর্মীকে । তাহলে তারা কি করবে? তারা কি সারা দেশে সন্ত্রাসি কর্মকান্ড চালাবে?সরকার কি তাদেরকে একটি জঙ্গি সংগঠন হওয়ার প্রেরনা জোগাচ্ছে? উপায় না পেয়ে কি তারা গেরিলা সংগঠন হিসাবে নেতার মুক্তির জন্য লড়বে ?ইতিমধ্যে ফেসবুকে অনেক দাবি দেখা গেছে যে প্রিয় নেতাকে মুক্ত করার জন্য যা প্রয়োজন তাই করতে প্রস্তুত সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। তারা শুধু অপেক্ষায় আছে কখন কেন্দ্র থেকে নির্দেশ আসবে ।কখন তারা তাদের দায়িত্বশীলকে মুক্ত করার জন্য ময়দানে জীবন বাজি রাখার যুদ্ধে অবতীর্ন হবে। কারন তাদের প্রিয় নেতাকে অমানুষিক ভাবে নিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হবে আর তারা বসে বসে আঙ্গুল চুষবে তা হতে পারে না। তাদের এখন নৈতেক দায়িত্ব যেভাবেই হউক প্রিয় দায়িত্বশীলকে মুক্ত করা। আমরা চাই সরকারের বোধদয় হউক । তাদের বুঝ আসুক যে তারা যা করছে তা হচ্ছে অন্যায় । শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে মুক্তি দিয়ে সংগঠনটির সকল কর্মীর কষ্টকে লাঘব করুক । এবং সংগঠনটিকে যেন কোন ধ্বংশাত্বক সিদ্ধান্তনিতে বাধ্য হতে না হয়। আল্লাহ আমাদের সকলকে ন্যায়ের উপর থাকার তাওফিক দিন। আমীন

বিষয়: বিবিধ

১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File