বাংলাদেশ হিজড়া দল ও এর চ্যায়ারপার্সন সমীপে খোলা চিঠি
লিখেছেন লিখেছেন অধরা ০৮ মে, ২০১৩, ১২:৩৯:৫৭ রাত
জানাব,
অনেকে আপনাকে আদরের সহিত গোলাপী বেগম বলে ডাকলেও আমি আপনাকে এই নামে সম্বোধন করতে পারলাম না বলে দুঃখিত (হাজার হলেও আপনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী)। তবে যে কথাটি সন্মানের সহিত বলতে চাই, আপনি এবং আপনার দল এই মুহূর্তে কৌশলের ছদ্ধাবরনে বহুমুখী নীতি, মীর জাফরী নীতি পরিহার করে পৌরুষ না দেখালে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন এটা সুনিশ্চিত।
যে মানুষের কথায়-আচরনে, ভেতরে-বাহিরে দিশা পাওয়া যায় না যে সে ছেলে না মেয়ে তাকে আমরা হিজড়া বলি।আর যার নাই, বা থেকেও নাই তাকে বলি ক্লীব।
আর যার এধরনের কোন সমস্যা নাই তবুও ভং ধরে তাকে বলি চাতুরী, সোজা বাংলায় মীর জাফরী। আর মীর জাফর রা সব সময় সুবিধা নিতে চায়, কিছু সময়ে তা পায়ও। কিন্তু ইতিহাস বলে সময় ফুরালে লাথি খেতে দেরি হয় না।
আপনার দলকে আমি এই বিশেষ বিশেষণে ভূষিত করতে বাধ্য হলাম কারন, ইদানিং কালে আপনার দল সব বিষয়ে নিজেদের অতিমাত্রায় সুবিধাজনক অবস্থানে রাখতে গিয়ে কোন পক্ষের কাছেই আস্থাশীলতার জায়গা অর্জন করতে পারছেনা।
যুদ্ধাপরাধীদের অভিযোগে জামাত নেতাদের যে বিচার হচ্ছে সে ব্যাপারে আপনার কোন জোড়ালো বক্তব্য নাই, যদি চান তবে জোড় গলায় বলুন, আর না চাইলে সেটাও বলুন।এই রুপ হিজড়ামী বন্ধ করুন।আপনাদের আন্দোলনের জন্য যদি জামাত-শিবির প্রয়োজন হয় তবে তাদের নেতাদের মুক্তি দাবী করুন আর যদি গন জাগরন মঞ্চ কে পেতে চান তবে সাঈদী-নিজামীর ফাসি চান।
আপনার এই নির্লিপ্ততা যেমন জামাত-শিবিরের উপর দমন পিড়নে সরকার কে সাহস জোগায় তেমনি আপনার ঐই পাতলা আচল তাদের কে প্রতিবাদী হতে, ধংসযজ্ঞ চালাতে উতসাহ দিলেও চুড়ান্ত ফল ভোগ করতে দেয় না।তাই আপনার দল যেমন শাহাবাগীদের কাছে এক বিষফোড়া, তেমনি জামাত শিবিরের কাছে কচু পাতার মেরুদন্ডের মত, কখন সামান্য বাতাসে ল্যাদায়ে দেবেন, ক্যালায়ে দেবেন কেউ জানে না।
৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম কে আপনি সমর্থন দিলেন কিন্তু সুশীল সমাজের প্রতিবাদেই আপনি তাদের ১৩ দফা কে অস্বীকার করলেন, বিষয়টা সাংঘর্সিক। আবার ৫মে তাদের সমর্থন করলেন, তাদের খাবার দিতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিলেন। এমন হুংকার দিলেন, এমন আচল বিছিয়ে দিলেন যে হেফাজত নিরাপদ আশ্রয় মনে করে সাড়া জীবনের তরে মতিঝিলে সরকারের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে সরকারী বাহিনীর গোলা বৃষ্টির মধ্যেও থেকে ১৩ দফা বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখতে লাগলেন।দুই দিনের ক্লান্তিতে যে সমস্ত ইসলাম প্রিয় শিশু –কিশোর বৃদ্ধ(যারা কেউ হয়তো স্বক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে কখনো জ়ড়িত ছিল না)আপনার নেতা- কর্মীর উপর বিশ্বাস করে শেষ রাতে একটু ঘুমিয়েছিল তারা হয়তো আর জেগে ঊঠতে পারে নি, তারা অনেকে শেষ রাতে সেখানে আপনার সূর্য সৈনিকদের দেখে নাই। তারা হতদ্দ্যোম হয়ে দেখেছে, আপনি কথা রাখেন নাই, কথা রেখেছে সৈয়দ আশরাফ।
আপনার এই পদক্ষেপ আমাদের কেবল পলাশীর আম্র কাননের কথাই মনে করে দেয়। আপনি যদি মীর জাফরের মত আশা না দেখাতেন, আপনার নেতা-কর্মীরা যদি বাড়ীতে কিংবা অফিসে না থেকে কেবল মাত্র মতিঝিলে বসে থাকতো তাহলে সরকার এই অভিযান এভাবে চালাতো কিনা সন্দেহ ছিল, তাহলে হয়তো হেফাজতের কর্মকৌশল অন্য রকম হতে পারতো, হয়তো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে তারা অন্যভাবে মোকাবেলা করতো।সরকার যদি রাতের আধারে হত্যা করে পাপ-পূণ্যের দাবীদার হয় তবে সেখানে আপনার ভাগ আমি আর কেউ কে দিয়ে পাপী হতে পারি না।
আপনি আবার হরতাল দিয়েছেন, কিন্তু এখানেও আপনার বাহিনীরে খুজে পাওয়া যাবে না। কেবল মাঝে হয়রান হবে সাধারন মানুষ, আপনি কি জানেন হরতালেও আমাদের অফিস করতে হয়, এই দিন অফিস না করলে আমাদের চাকরী হারাতে হয়? আপনি হরতাল দেন কিন্তু কোন দাবী আদায় হয় না তবে এই হুংকারের মানে কী? এখন যদি সতর্ক না হোন তবে মনে রাখবেন, মানূষ কিন্তু নেড়ী কুত্তার হুংকারে ভয় পায় না।
আজ এত নেতা কর্মী গুম হয়, খুন হয়, জেলে পুরে রাখে কিন্তু আপনারা নির্লিপ্ত। এই ক্লীবিয় আচরনের জন্য তাই এখন তা আপনার ঘাড়ে সাওয়ার হয়েছে।
পরিশেষে বলি আত্বপরিচয় বুক ফুলিয়ে প্রকাশ করুন,সু নির্দিষ্ট কর্মকৌশল প্রকাশ করে তাতে অটুট থাকুন। এতে অন্তত এক পক্ষকে পাশে পাবেন। নইলে এক সময় কোন গোষ্ঠিই আর আপনাদের বিশ্বাস করে আপনার পাশে দাঁড়াবে না।এই সমাজ হিজড়াদের কে মুল ধারার মানূষ মনে করে না, বরং তাদের একটূ বিচ্ছিন্ন করে রাখতেই পছন্দ করে। আপনি কি তাদের মত শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া জাতীয়তাবাদী দল কে সমাজ বিচ্ছিন্ন দেখতে চান??
বিষয়: বিবিধ
১২৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন