পতাকার প্রচলন

লিখেছেন লিখেছেন নিশান শাহীন ০২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:৪০:৫১ রাত





কবে থেকে পতাকার প্রচলন হলো সে তথ্য সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে এটা ঠিক যে, লড়াইয়ের ময়দানে সৈন্যবাহিনীর নিজেদের প্রয়োজনে পতাকা প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। ফৌজকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় জমায়েত করার জন্যে জায়গাটা নির্বাচন করে সেখানে একটা লাঠির মাথায় এক টুকরো রঙিন কাপড় বেঁধে সেটাকে পুঁতে দেয়া হতো। আর তাই দেখে নিজ নিজ দলের ফৌজরা একত্রিত হতো।

ঝাণ্ডার এরকম ব্যবহার প্রথম পাওয়া যায় সেকালের আসিরীয় আর পারসিকদের মধ্যে। মধ্যযুগে পতাকার ব্যবহার প্রায় নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কাপড় দিয়ে তৈরি ঝাণ্ডা প্রথম ব্যবহৃত হয় রোম সাম্রাজ্যে, তারা ব্যবহার করতো আয়তাকার বস্ত্রখণ্ড বর্শার ডগায় বেঁধে।

পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো জাতীয় পতাকা যায় ১২১৮ সালে ডেনমার্কে আর ১৩৩৯ সালে সুইজারল্যান্ডে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পতাকা বেছে নেয়ার পর অন্যত্রও এর প্রচলন শুরু হয়। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের পর সেই দেশের অধিবাসীরা সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা প্রতীক চিহ্ন সম্বলিত পতাকার ব্যবহার আরম্ভ করে। ১৮০৫ সালে ইতালীয়দের নিজস্ব পতাকা দেখা দিল। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ক্রমে ক্রমে ইউরোপের সব দেশেই পতাকার উদ্ভব হয়েছিল। আমেরিকার ইন্ডিয়ানা রাজ্যে ২২ মার্চ, ১০৮০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পতাকা ওড়ানো হয়, যার আকার ছিল লম্বায় ১২৫ মিটার বা ৪১১ ফুট, চওড়ায় ৬৪ মিটার বা ২১০ ফুট আর ওজন ছিল ৭ টন।

আর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাস তো তোমাদের জানাই আছে। সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রঙ বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রঙ উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত পতাকার উপর ভিত্তি করে এই পতাকা নির্ধারণ করা হয়, তখন মধ্যের লাল বৃত্তে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল, পরবর্তীতে পতাকাকে সহজ করতেই মানচিত্রটি বাদ দেয়া হয়।

বিষয়: বিবিধ

১২৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File