ইসলামের জন্য আন্দোলনকারী ভাইদের প্রতি No Scope to Ignore

লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী িখলাফত ১৬ মে, ২০১৩, ১২:২৭:২৮ রাত

সৎপথের পথিকদের প্রতি আল্লাহর রহমত ও শান্তি বষির্ত হোক। সন্দেহাতীতভাবে আজকে মুসলিম উম্মাহর বজ্রকন্ঠ কাফির-যালিমসহ ইসলামের বিরুদ্ধবাদীদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে দিয়েছে। তাকবীর ধ্বনিতে বার বার কেঁপে উঠছে তাদের মসনদসমূহ। দেরিতে হলেও এই আন্দোলনে তারা ভীত ও প্রকম্পিত। মুসলিম উম্মাহর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (স) প্রতি ভালোবাসা এবং ইসলামের দুশমনদের প্রতি ঘৃণার প্রবলতায় আতঙ্কে আছে তারা। কিন্তু, আমাদের যে বিষয়টি বুঝতে হবে তা হল, ইসলাম এবং উম্মাহর স্বার্থে জ্বলে উঠা এই আগুন যেন কোনভাবেই যালিম সাম্রাজ্যের ফায়দার উৎস হয়ে না দাঁড়ায়। কাফের মুশরেকদের পদলেহি হাসিনা-খালেদার দলীয় স্বার্থে ইসলামের এই আবেগকে ব্যবহার করবেন না। হাসিনা বা খালেদার বিজয় কখনই ইসলামের বিজয় নয় বরং তাদের বিজয় আমেরিকা-ব্রিটেন-ভারতের বিজয়। কারণ তারা উভয়ে একই মুদ্রার দুই পিঠ এবং তারা উভয়েই বাংলাদেশে আমেরিকা-ব্রিটেন-ভারতের স্বার্থের্ রক্ষক এবং মুসলিমদের শত্রুদের বন্ধু। আমাদের বুঝতে হবে দীঘর্সময় পর পাওয়া এই আন্দোলনের সূচনা আমাদের নিকট আল্লাহ কতৃর্ক রহমতস্বরূপ; যা কোনভাবেই যাতে ইসলামের শত্রুদের পক্ষে চলে না যায়। আওয়ামী-বিএনপির জাহেল সরদারেরা আল্লাহ’র আয়াত সমূহকে বিন্দুমাত্র মূল্য দেয় না। হাসিনা-খালেদা বা অন্যান্য পুতুল শাসক দ্বারা গণতান্ত্রিক এই কুফর শাসনব্যবস্থা ক্রমাগতভাবে আমাদের ন্যায়-বিচারের নামে কাঁচকলা দেখিয়ে যাচ্ছে এবং জেনেশুনে এই কুফরের মাঝে প্রবেশ অবশ্যই ইসলামে সম্মত নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে সেই জীবনব্যবস্থা যা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, আমাদের ভাইদের হত্যা করে, আল্লাহ্‌ (সুবHappy এর পরিবর্তে মানুষকে হালাল-হারাম তৈরি করার অধিকার দেয়। তথাকথিত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে প্রাণপ্রিয় রাসুল (স)এর ভালবাসায় ভরপুর মুসলিমদের হৃদয়কে একের পর এক ক্ষত-বিক্ষত করে। গত ৫ই মে মধ্যরাতে জালিম হাসিনা সরকার কিভাবে এবং কত সহজে অসংখ্য উলামাকে নাৎসি কায়দায় হত্যা করল!মূলত হাসিনা হল আমেরিকা-ভারতের একনিষ্ঠ দাস। এই কুফর শাসনব্যবস্থা ও যালিমের কাছে ন্যায়-বিচার দাবি করা, ময়লা কাঁদার মাঝে পরিষ্কার পানযোগ্য পানি অনুসন্ধানের মতই বোকামী বৈ আর কিছু নয়। সুতরাং, যালিমের ও গণতন্ত্রের কাছে যুলুমের ও ইসলামের বিচার না চেয়ে যালিম শাসক ও এসব শাসক তৈরির কারখানা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা উৎখাত করুন। রাসুল (স) কখনো বাতিল শক্তির কাছে ইনসাফ প্রার্থনা করেননি। সুতরাং, ১৩/১৪টি দাবি নয়, মরক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া পযর্ন্ত জেগে উঠা খিলাফতের তথা ইসলামী রাস্ট্রব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটিমাত্র দাবিই আজ মুসলিম উম্মাহর প্রাণের দাবি। কারণ খিলাফত ইসলাম ও মুসলিমদের রক্ষাকারী নয় বরং এটা হচ্ছে ঢালস্বরুপ ও দূবের্ধ্য নিরাপদ এক দূর্গ।সু্তরাং অবিলম্বে দালাল-খুনী-যালিমের শাসনব্যবস্থা গনতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবী তুলুন। একমাত্র খিলাফত এবং খলিফাই আপনাদের সমস্ত ইসলামিক দাবী বাস্তবায়ন করবে যা তার উপর আল্লাহ’র থেকে প্রদত্ত ফরজ।আপনারা খিলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আরও বেগবান করুন এবং যে কোন আলোচনা ও যে কোন সমস্যার (সামাজিক, অথর্নৈতিক, রাজনৈতিক)সমাধান হিসেবে খিলাফতকে তুলে ধরুন।আপনাদের ভাই, পুত্র, বাবা, আত্মীয় কিংবা যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আছেন তাদেরকে উদাত্ত আহ্‌বান করুন তারা যেন খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহরীর এর কাছে ক্ষমতা অর্পণ করে। ভয়াবহ কষ্ট থেকে পরিত্রাণের আশায় তারা তীর্থের কাকের মত আপনাদের পথ চেয়ে বসে আছে।একমাত্র হিযবুত তাহরীর-ই খিলাফত রাষ্ট্রের খসড়া সংবিধান প্রকাশ করেছে এবং ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনায় পুরোপুরী প্রস্তুত।বাংলাদেশ যেন হয় আসন্ন খিলাফায়ে রাশিদার প্রথম রাজধানী।

হে সম্মানিত আলেম-ওলামারা/শিক্ষকবৃন্দ,

রাসুল (স) এর উত্তরসূরী হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাই আমি আপনাদের আমানতস্বরূপ সজাগ করছি যে, খুব বেশি দেরি হয়ে যাবার আগেই জনগণের সামনে উন্মোচিত করে দিন যে, খিলাফত আর গণতান্ত্রিক শাসন ও শাসকদের পাথর্ক্য। আপনারা যদি মুসলিম উম্মাহ্‌র সামনে কুফরকে উন্মোচিত না করেন, তাহলে আপনাদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌র সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন। যালিমদের ভয় করার কিছুই নেই। বিপদ-আপদ-ভয় শয়তানেরই নিছক ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই না। তাছাড়া ভয়ের অধিকতর যোগ্য কি আল্লাহ্‌ নন? জেনে রাখুন, এ অবস্থার পরিবতর্ন ততক্ষণ পযর্ন্ত সম্ভব নয় যতক্ষণ পযর্ন্ত না আগে যেভাবে সমাধান হয়েছিল ঠিক একইভাবে সমাধান না করা হয়-নবুয়্যতের আদলে খিলাফায়ে রাশেদাহ্ প্রতিষ্ঠিত না হয়। সুতরাং খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগকারীদের সাথে যোগ দিন, তাদের সমথর্ন করুন। একমাত্র খিলাফতই কুরআন, রাসুল (স), উম্মাহ্ ও তার সম্মান রক্ষা করবে এবং যালিমদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। আসুন, আমরা পথে, মাঠে, ঘাটে, খুতবায়, ক্লাসে খিলাফতের আওয়াজ তুলি। নিশ্চয়ই, আমাদের নিজেদের ক্যারিয়ার, পোষ্ট, নিরাপত্তার চেয়ে কুরআন ও রাসুল(স) কে বেশি ভালোবাসি। মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা আল্লাহর সাথে তাদের কৃত ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছে। তাদের কেউ কেউ জীবন দিয়ে তাদের দায়িত্ব পূর্ণ করেছে আর অনেকে তাদের দায়িত্ব পূর্ণ করার প্রতীক্ষায় রয়েছে।তারা তাদের ওয়াদায় কোন পরিবর্তন করেনি। (সূরা আল আহযাব : ২৩)

(Coordinated))

বিষয়: বিবিধ

১২২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File