জিপিএর ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শিক্ষার্থীদেরআজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকার কলেজ অধ্যক্ষদের বৈঠক
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল জাব্বার ১৪ মে, ২০১৩, ০১:৪৬:৪২ দুপুর
একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় এবার বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসছে না। এবারো জিপিএর (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) ভিত্তিতে কলেজে ভর্তির পদ্ধতি বহাল থাকছে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করা এবং মেধাবীদের সুযোগ করে দিতে শীর্ষ কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে আজ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকার নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। কলেজের অধ্যক্ষদের সুপারিশ ও পরামর্শ গ্রহণ শেষে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাউশির মহাপরিচালক এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, এবার ভর্তির ক্ষেত্রে গত বছরের ভর্তির নীতিমালাকে কিছুটা যুগোপযোগী করা হয়েছে। আগামী ১০ জুনের মধ্যে ভর্তির কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে। ১ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। গত বছর সারাদেশে প্রায় ৭০০ কলেজ অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিল। অন্য কলেজগুলোতে সনাতন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল। এবার অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
জানা গেছে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সব বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৪৩ পয়েন্ট ধরে ক্রমান্বয়ে ৪০ পয়েন্টপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিজ্ঞান বিভাগে সম পয়েন্ট অর্জনের বিষয় নিষ্পত্তির জন্য সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে ৫ পয়েন্ট প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাতে সমস্যা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ ও রসায়ন বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট অগ্রাধিকার পাবে। একই ভাবে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত এবং বাংলা বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে। এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট পয়েন্ট এক হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত এবং বাংলা বিষয়ে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে। তাতেও নিষ্পত্তি না হলে সংশিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে প্রার্থীদের পারস্পরিক মেধাক্রম সংগ্রহ করে প্রার্থী বাছাই করবেন।
টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে খুদেবার্তা পাঠিয়ে আবেদন করতে হবে। একজন আবেদনকারী একাধিক কলেজে অথবা একই কলেজের একাধিক গ্রুপের একাধিক শিফটে আবেদন করতে পারবে। জানা গেছে, নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। ভর্তির সব কার্যক্রম যথাসম্ভব অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ৯ মে চলতি শিক্ষাবর্ষের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এ বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেও স্বস্তিতে নেই উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা কি হচ্ছে, পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মিলবে কিনা, এ অনিশ্চয়তায় ভুগছে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা। কোথায় ভর্তি হবে- এ নিয়ে দিশাহারা হয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজগুলোতে ভর্তির ফরম সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৮ জন। এরমধ্যে সব বোর্ডে মেধাবীর তালিকাও কম নয়। এবার পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ হাজার ২২৬ জন। শুধু এই মেধাবীদের আসন করে দেয়ার মতো শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ও দেশের বড় শহরগুলোতে নেই।
জানা গেছে, ঢাকার কলেজগুলোর মধ্যে ভালোমানের কলেজ হিসেবে পরিচিত নটর ডেম কলেজে ২ হাজার ১৪০টি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৯৯০টি, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬৫০টি, ঢাকা কলেজে ১ হাজার ১০০টি, হলিক্রস কলেজে ৪৯০টি, ঢাকা কমার্স কলেজে ৯০০টি, সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ৪৭৫টি, বদরুন্নেছা কলেজে ৮২০টি, ঢাকা সিটি কলেজে ১ হাজার ১৮০টি এবং রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে ৪৫৫টি আসন আছে। এছাড়া লালমাটিয়া গার্লস কলেজে ৬১৫টি, মতিঝিল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩২টি, ঢাকা বিজ্ঞান কলেজে ৩৭০টি, বিএএফ শাহীন কলেজে ৬০৬টি, তেজগাঁও কলেজে ৪০২টি, শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজে ১৯৯টি, রাইফেলস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫৬৫টি, অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৯৮টি, সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে ১৪০টি, নবকুমার ইন্সটিটিউশনে ১০০টি, এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১০৩টি, সরকারি বাংলা কলেজে ৯৭২টি, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় ইউনিভার্সিটি কলেজে ২০৭টি, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০৯টি, সেন্ট যোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩৪টি, নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজে ২১৪টি, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬০টি, সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ৬৭১টি, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৬৫১টি, শেরে বাংলা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩০৯টি, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে ১ হাজার ৪৮৫টি এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে ৫১৪টি আসন রয়েছে।Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন