পথ হারাচ্ছে বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন মেফতাউল ইসলাম ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৪:৫০ সকাল
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে পঞ্চম দফা অবরোধের পর বিরোধী দলীয় নেত্রী আর হরতাল ও অবরোধের মত কট্টর কর্মসূচী না দিয়ে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা গণতন্ত্রের জন্য ঢাকা অভিযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ ঘোষণার পর দেশের জনগণ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। দেশের মানুষ বন্দীদশা থেকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও মুক্তি পেয়েছে। বিরোধী দলীয় নেত্রীও বুঝতে পেরেছেন জনগণকে জিম্মি করে রেখে সরকার পতনের আন্দোলন সফল হবে না। জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলে কোন আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখে না। তাই সকল পর্যায়ের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে ঢাকা অভিযাত্রার ঘোষণা দিয়ে অনেকটাই দুরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী। এখন দেখার বিষয় সরকার এই আন্দোলনে বাঁধা দেয় কিনা? এর পূর্বেও বিরোধী দল কয়েকবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিলে সরকারি দল অঘোষিত অবরোধের সৃষ্টি করেছিল। নাশকতার এড়ানোর ছলে মহাসমাবেশের পূর্ব দিন হতেই সকল ধরনের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এবারো তেমনটি করার পরিকল্পনা যদি থাকে তাহলে সেটি সরকারের অসহযোগিতাপূর্ণ আচরণ বলেই বিবেচিত হবে। এতে বিরোধী দল ক্ষিপ্ত হয়ে আবার হরতাল ও অবরোধের ঘোষণা দিতে পারে। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই সরকারের উচিৎ হবে বিরোধী দলের বক্তব্য শোনা।
তবে ইদানিং সরকারের কণ্ঠেও কিছুটা নমনীয়তার আভাস মিলছে। কিছুদিন পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও আলোচনা চলতে থাকবে এবং আলোচনা ফলপ্রসুু হলে সংসদ ভেঙ্গে আবার নির্বাচন দেয়া হবে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন প্রশ্নে অটল থাকলেও আলোচনার পথকে রুদ্ধ করে দেননি। এ ঘোষণার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, দশম জাতীয় সংসদ হবে একটি স্বল্পমেয়াদী সংসদ। কিন্তু একক নির্বাচন না করে সরকার যদি নির্বাচনের পূর্বেই সমঝোতার উদ্যোগ নিত তাহলে সেটি তাদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতো। প্রশ্নবিদ্ধ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুন্ন হবে। বিশেষত, একক নির্বাচন করার কলঙ্ক বর্তমান বিরোধী দল ও স্বৈরাচারি এরশাদ পূর্বেই সৃষ্টি করেছিল, এখন সেই কলঙ্ক আওয়ামীলীগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
ধারনা করা হচ্ছে, বর্তমানে আওয়ামীলীগ কর্তৃক অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে একই সাথে দেশ ও দেশের বাইরে সমানভাবে প্রশ্ন উঠবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েল্থ ও যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা, অর্ধেকেরও বেশি প্রার্র্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া এবং সব দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকরা না আসায় সরকারের শেষ ভরসাটিও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। পশ্চিমারা তাদের এ কঠোর অবস্থানের মাধ্যমে এটাই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, সরকারের এই একক নির্বাচনে তাদের ন্যূনতম সমর্থন নেই। একটি লোক দেখানো নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষকের প্রয়োজনীয়তা নেই, এটা পশ্চিমারা ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে। অবশ্য, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্বাচনে বিদেশী সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষরা না আসায় উদ্বিগ্ন নয় তারা। বিদেশী পর্যবেক্ষক আসা বা না আসা পর্যবেক্ষন সংস্থার নিজস্ব ব্যাপার বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এ দায়সারা বক্তব্য শুনে আমরা হতবাক না হয়ে পারিনা। একটি যেনতেন নির্বাচন করাই শুধু নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা, নির্বাচনী আচরণবিধি তৈরি করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে শৃঙ্খলা মেনে চলতে বাধ্য করা, সকল দলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, নির্বাচনের বৈধতার প্রশ্নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানদন্ড নিশ্চিত করাও যে তাদের কাজ, এটা মনে হয় নির্বাচন কমিশন ভুলেই গেছে। তাই নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের না আসা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন যে বক্তব্য দিয়েছে তা তাদের অপরিপক্কতার পরিচয় বহন করছে।
নির্বাচন কমিশন যাই বলুক না কেন, এবারের নির্বাচনে বিদেশী প্রতিনিধিরা না আসা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীনরা। দৃশ্যত কূটনৈতিক চাপকে গুরুত্ব না দিলেও ভেতরে ভেতরে এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন সরকার ও আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের নেতারা। একমাত্র ভারত ছাড়া কোন দেশই আওয়ামীলীগের পক্ষে কথা বলছেনা। ফলে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনের পূর্বেই মিত্রহীন হয়ে পড়ছে আওয়ামীলীগ। নির্বাচনের পরে রাতারাতি সমঝোতা না হলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবরোধের মত বিষয়টিও বিবেচনা রাখছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। আর এমনটি ঘটলে বাংলাদেশ যে কতখানি পিছিয়ে যাবে তা আমার কল্পনার বাহিরে।
এদিকে নির্বাচনের তারিখ ক্রমেই ঘনিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত কোন নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অবশ্য, অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনী আমেজে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। আবার যেসব আসনে নির্বাচন হবে সেখানেও দলীয় প্রার্থীদের কোন নির্বাচনী প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা বরং নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ছে। অবশ্য এর জন্য দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে দায়ি করা হচ্ছে। তাই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে দেশে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। সেনাবাহিনী নামানোর মাধ্যমে হয়তো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো যাবে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশও তৈরি যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে একক নির্বাচন হবে সেখানে সুষ্ঠু পরিবেশেই বা কি আবার ভুতুরে পরিবেশই বা কি? ধরলাম, সেনাবাহিনী নামানোর কারণে নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই হবে না, ভোট গণনায় কারচুপি হবে না, অস্ত্র ঠেকিয়ে কোন প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হবে না, কিন্তু যেখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বির মার্কাই থাকবে না সেখানে সেনাবাহিনী থাকা বা না থাকা অবান্তর নয় কি? অবশ্য, ‘না ভোট’ দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে সেনাবাহিনী নামানোর প্রাসাঙ্গিকতা কিছুটা থাকতো। জনগণের স্বতস্ফূর্ত না ভোট প্রদানে যাতে কেউ বাঁধার সৃষ্টি না করে সেটা নিশ্চিত করতো সেনাবাহিনী।
সরকারের অবস্থান হতে বোঝা যাচ্ছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে তারা কোনভাবেই পিছু হটবে না। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তীতে কি ঘটতে যাচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ‘সমোঝতা হলে আবার একাদশ নির্বাচন হবে’, কিন্তু সমঝোতা কতদিনে হবে, কিভাবে হবে তাও স্পষ্ট নয়। যতদিন সমঝোতা হবেনা ততদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা কি চলতেই থাকবে? দুষণীয় রাজনীতির কবলে পড়ে মানুষের জীবন কি বিপন্ন হতেই থাকবে? এ বিষয়গুলোর স্পষ্ট ব্যাখ্যাও এখন আমরা মেলাতে পারছিনা। শুধু অনুমান করতে পারছি, সমঝোতা না হলে দেশ নরকের পথে যাত্রা করবে।
ইতিমধ্যে দেশের বারোটা বেজে গেছে। অর্থনীতিতে একের পর এক দুঃসংবাদ আসতে শুরু করেছে। সম্ভাবনাময়ী উঠতি একটি দেশ পরিণত হচ্ছে ব্যর্থ রাষ্ট্রে। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন এখন দিবাস্বপ্ন বলেই বিবেচিত হচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা যেন বাংলাদেশ থেকে দৌড় দিয়ে পালিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন। দেশী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ তো দুরের কথা, ব্যবসা চালু রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে। উদ্বেগজনক অবস্থার কারণে বিনিয়োগ চলে যাচ্ছে আফ্রিকাসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে। এমনকি প্রতিবেশি মিয়ানমারের চেয়েও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কম হয়েছে। বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সালে মিয়ানমারে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২.২৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২.২০ বিলিয়ন ডলার। অথচ একই সময়ে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে ১.২ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে কঙ্গোয় বিনিয়োগ হয়েছে ২.৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ঘানা, লাইবেরিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া ও উগান্ডায় বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩, ১ দশমিক ৪, ৫ দশমিক ২, ১ দশমিক ৭ এবং ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে যেখানে বিনিয়োগ ক্রমাগতভাবে কমছে, সেখানে ঔসব দেশে ক্রমাগতভাবে বিনিয়োগ বাড়ছে। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীদের আকর্ষিত করতে বাংলাদেশ আফ্রিকার দেশগুলোর চেয়েও পিছিয়ে পড়ছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের দুরে সরিয়ে দিচ্ছে। ক্ষমতার পালাবদলকে কেন্দ্র করে প্রতিবারই সৃষ্ট সংকট বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস এনে দিয়েছে। হরতাল, অবরোধে ত্যক্ত-বিরক্ত বিনিয়োগকারীরা বিকল্প খুঁজে নিচ্ছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের লাইফব্লাড গার্মেন্ট শিল্প ভয়ানক প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছে। ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী নিয়মিত পোশাক সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কাঁচামালের সংকট ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় ক্রেতারা যদি স্থায়ীভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে পোশাক শিল্প বড় ধরনের সংকটে পড়বে। ক্রেতারা ইতিমধ্যেই ভারত ও চীনে বিকল্প বাজারের কথা ভাবছেন। এ বিষয়ে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলছেন, সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা হল দেশে এখন যে রাজনৈতিক সংকট চলছে তা সমাধানের কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। বাইরের বিশ্বও মনে করে, এই সংকট আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাই যদি হয়, তবে পোশাক শিল্প মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। এতে করে পোশাক খাতে কর্মরত ৪০ লাখ শ্রমিক বিশেষ করে মহিলা শ্রমিকরা পথে বসে যাবেন।
একটি দেশ তখনই এগিয়ে যাবে যখন সে দেশের রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ দেশ পরিচালনায় দুরদর্শিতার পরিচয় দেবে। শাসকগোষ্ঠীর প্রজ্ঞাই জাতিকে আলোর পথ দেখাবে। কিন্তু কোন দেশের শাসকগোষ্ঠীই যখন দিকভ্রান্ত নাবিকের মত আচরণ করে তখন সে জাতির কপালে কি ঘটতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় স্বার্থের বাহিরে কোন চিন্তাই করতে পারছে না। দলীয় স্বার্থকে টিকিয়ে রাখতে দেশীয় স্বার্থের কোন পরোয়াই করছেনা রাজনীতিবিদরা। একটি দল বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় জনগণের পক্ষে কথা বলছে, সরকারের কর্মকান্ডের যৌক্তিক-অযৌক্তিক সমালোচনা করছে, কিন্তু নির্বাচনের পর সেই বিরোধী দলই যখন ক্ষমতাসীন হয় তখন তারা জনগণের কথা ভুলে যায়, অপরপক্ষের সমালোচনাকে মন্দ চোখে দেখে। আসলে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখন পর্যন্ত অপসংস্কৃতিতে পরিপূর্ন। তাই ভালো ও গুণী ব্যক্তিদের রাজনীতিতে আসার প্রবণতা এখানে খুবই কম। তবে কতিপয় ভালো ব্যক্তি দেশকে কিছু একটা দেওয়ার প্রত্যাশায় রাজনীতিতে আবির্ভূত হলেও হিংসাত্মক ও দলীয় রাজনীতির কারণে শেষ পর্যন্ত হার মানেন। এভাবেই দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে পচন ধরেছে তা কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা, বরং ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। কিন্তু এই মুহুর্তে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পচন থামাতে একটি কার্যকর এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন খুবই বেশি।
বিষয়: রাজনীতি
১১৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন