পাকিস্তানের নতুন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি।

লিখেছেন লিখেছেন মেফতাউল ইসলাম ১৫ মে, ২০১৩, ০৭:১৮:৩৪ সকাল



অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেশকিছু সহিংস ঘটনার মধ্যে দিয়ে মোটামুটি সফলভাবে পাকিস্তানের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ। পূর্ব অনুমান অনুযায়ী, ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়ে ৩য় অবস্থানে এসেছে এবং তার দল প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে। তবে এজন্য তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে জোট বাধতে হবে। পাঁচ বছরের ব্যর্থতার গ্লানি, দুর্নীতির অভিশাপ আর নেতৃত্ব সংকটে ক্ষমতাসীনরা গতবার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এলেও এবার তাদের ভরাডুবি ঘটেছে। তবে তাদের সাফল্যের বিষয়টি হচ্ছে তারা অনেক চড়াই উৎরাই আর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে তাদের মেয়াদ শেষ করতে সক্ষম হয়েছে। যা পূর্বে কোন নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার পারেনি। অনেকেই ধারনা করেছিল জারদারির নেতৃত্বাধীন পিপিপি হয়তো পূর্বপ্রথা অনুযায়ী তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেনা। কিন্তু সে ধারনা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পিপিপি ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে এখন তারা অন্য একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিচ্ছে। পাকিস্তানের দীর্ঘ ৬৬ বছরের ইতিহাসে এবারই কোন গণতান্ত্রিক সরকারের শাসনের মেয়াদ শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন একটি গণতান্ত্রিক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরিত হতে যাচ্ছে। এক কথায় পাকিস্তানে নতুন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সৃষ্টি হয়েছে।

পাকিস্তানী জনগণের ভাগ্যে গণতন্ত্রের স্বাদ খুব বেশি জোটেনি। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তাদের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে সামরিক শাসনের অধীনে। তাই জনগণের মধ্যে একধরনের সামরিক শাসনপ্রীতিও গড়ে উঠেছে। অতীতে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, পাকিস্তানের তরুণ সমাজের অধিকাংশ মানুষ মনে করে সামরিক শাসনামলেই তাদের দেশ ভালো ছিল। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সর্বদা জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত বলেও তাদের বিশ্বাস। নির্বাচিত জারদারি সরকারের আমলে সরকারের মেরুদন্ডহীনতায় জনগণের সামরিক বাহিনীর প্রতি আস্থা আরো বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু জনগণ সামরিক বাহিনীকে শ্রদ্ধা করলেও চাননি যে আবার সামরিক শাসন ফিরে আসুক। গণতান্ত্রিক উপায়েই একটা বিশাল পরিবর্তনের জন্য তারা অপেক্ষা করছিল। আর তাদের এই পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুর্বার জনসমর্থন গড়ে তুলেছিলেন পিটিআই এর ইমরান খান। এজন্যই এবারের নির্বাচনে ইমরান খান এত ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন।

ইমরান খান পাকিস্তানের রাজনীতিতে অনেকটাই নবীন। ১৯৯৬ সালে তেহরিক-ই-ইনসাফ নামে একটি রাজিৈনতক দল গঠন করেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে তার দল মাত্র একটি আসন পেয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচন তিনি বয়কট করেছিলেন। এরপর তিনি রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হয়েছিলেন। জারদারি সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি আর অকর্মণ্যতার সুযোগে তিনি সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে সহজেই জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছিলেন। আর তার উপযুক্ত ফল পেলেন এবারের নির্বাচনে। এবারের নির্বাচনে তার দল পেয়েছে ২৯টি আসন। যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। আবার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তালেবান অধ্যুষিত খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় সেখানে প্রাদেশিক সরকার গঠন করতে যাচ্ছে পিটিআই।

তবে উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের মত পাকিস্তানের জনগণও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বাহিরে যেতে পারেনি। জনগণ পূর্বে দু’বার নির্বাচিত নওয়াজের মাঝেই আবার আস্থা খুঁজে পেয়েছে। নওয়াজ ধৈর্য্যরে সাথে এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার আগে ১৯৯০-৯৩ এবং ১৯৯৭-৯৯ সাল পর্যন্ত দু’দফা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নওয়াজ। তবে কোনোবারই মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি। দ্বিতীয়বারে পারভেজ মোশাররফ এর দ্বারা উৎখাত হওয়ার পর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিলো তাকে। এরপর তাকে সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিলো। আজ নওয়াজ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। অন্যদিকে পারভেজ মোশাররফ কারাগারে বন্দি। তবে নওয়াজ পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে বক্তব্যের মাধ্যমে বিষেদাগাঢ় না বাড়িয়ে অতি সন্তর্পণে প্রচারকার্য চালিয়েছেন। ফল হিসেবে পেয়েছেন ১৩০টি আসন এবং অর্জন করেছেন তৃতীয়বারের মত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা। তিনিই পাকিস্তানের একমাত্র প্রবাদপুরুষ যিনি তৃতীয়বারের মত মসনদ দখল করতে যাচ্ছেন।

তবে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নওয়াজের পিএমএল-এন। সরকার গঠন করতে কমপক্ষে ১৩৭টি আসন দরকার। তাই তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে জোট বাঁধতে হবে। তবে সেটা খুব কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে না।

এবারের নির্বাচনে বেহাল দশা লক্ষ করা গেছে পিপিপির। যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের মাটিতে ড্রোন হামলার অনুমতি দেয়ায় তালেবানদের আক্রোশ ছিল পিপিপির প্রতি। পিপিপির সমাবেশে তালেবানের আক্রমনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় খুব বেশি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদে আসীন থাকায় জারদারি দলের পক্ষে প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ফলে দন্ডের কান্ডারি হয়েছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো। কিন্তু তালেবানীদের আক্রমণের ভয়ে তিনি শেষপর্যন্ত দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন।

অন্যদিকে পিপিপির ঘাড়ে চাপা পড়েছিল পাহাড়সম ব্যর্থতা। ২০০৮ সালে জারদারি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পাকিস্তানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ভয়ানকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। সরকার এগুলো দমনে মেরুদন্ডহীনতায় পরিচয় দিয়েছে। আবার শাসকগোষ্ঠীর সীমাহীন দুর্নীতি ছিল চোখে পড়ার মত। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জারদারি পাকিস্তানে চরম দুর্নীতিবাজ হিসেবে খ্যাত। দুর্নীতিবাজ হিসেবে তিনি পাকিস্তানে ‘মিস্টার টেন পার্সেন্ট’ নামে খ্যাত। এমনকি তার মন্ত্রিসভায় ক্লিন ইমেজের কোন মন্ত্রী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব হ্রাস, দারিদ্র দুরীকরণে তার সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তান পৃথিবীর ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে। আর এ কারনেই গতবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনজয়ী পিপিপি এবার পেয়েছে মাত্র ৩৩টি আসন।

জারদারি সরকার পাকিস্তানকে যে অবস্থায় রেখে গেছেন সেখান থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধার করা এত সহজ নয়। বিশেষত সন্ত্রাস এবং জঙ্গিদের দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাল মেলানো, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল করা অত্যন্ত কঠিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকগন। এমতাবস্থায় নওয়াজ সরকারের সামনে কয়েকটি সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ সম্বন্ধে আলোকপাত করা হল। ১. সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ দমনই হবে তার সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে এটার উপর। নির্বাচন-পূর্ব বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে নওয়াজ শরীফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সম্মত নন; বরং তাদের সঙ্গে সমঝোতায় আগ্রহী। তালেবানের প্রতি অনেকটা নমনীয় মনোভাব পোষণ করায় পিএমএল-এনের জনসভায় জঙ্গিদের আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তীতে তিনি কতটুকু তালেবানদের প্রতি সহনীয় থাকতে পারবেন তা প্রশ্নের সম্মুখীন। কেননা বাস্তববাদী রাজনীতি অনেক কঠিন। এখানে অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার সুযোগ থাকেনা। তাছাড়া জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিলে তা স্বয়ং পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্যই হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ২. জঙ্গিবাদ দমনে অনীহা প্রকাশ করলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলার বিপক্ষে অবস্থান নিলে তার সরকারের সাথে মার্কিন সরকারের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পাকিস্তানী জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ড্রোন হামলা প্রয়োজন। অন্যদিকে পাকিস্তানের জনগণ ড্রোন হামলার কট্টোর বিরোধী। এটা তাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম আঘাত বলে মনে করে থাকে। এরূপ পরিস্থিতিতে জনগন, তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মানিয়ে চলতে নওয়াজ সরকারকে চরম বিপত্তির মধ্যে পড়তে হবে। ৩. সামরিক বাহিনী এবং বিচার বিভাগের সাথে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রেও নওয়াজকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। ১৯৯৯ সালে এ সামরিক বাহিনীই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এখনো অনেক শক্তিশালী। পর্দার আড়াল থেকে তারা অনেক তৎপরতা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত জারদারি সরকারের আমলে আমরা সামরিক বাহিনীর প্রতাপশালী ভূমিকাই দেখেছি। আবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টও অনেক শক্তিশালী। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতেখার আহমেদ এ বছরের ডিসেম্বরে অবসর নিলেও তার উত্তরসূরীরাও প্রতাপশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই এই প্রবল প্রতিপত্তির অধিকারী এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা খুব সহজ হবে না। ৪. পাকিস্তানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। শুধু জারদারি নয় খোদ নওয়াজের দলের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। টিআইপির দুর্নীতি র‌্যাংকিংয়ে ১৭৬টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ৩৩তম। তাই এ দুর্নীতির ভয়াল থাবা হতে দেশকে রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন। ৫. বিদ্যুৎ খাতে দেশটির অবস্থা শোচনীয়। শহরে দৈনিক ৯ ঘন্টা এবং গ্রামে দৈনিক ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রীষ্মে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে পাকিস্তানে। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে দেশের শিল্প-কারখানাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ ঘাটতি মেকাবেলা করা হবে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ৬. পাকিস্তানের অর্থনীতিতে এখন দুরাবস্থা চলছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই বললেই চলে। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কখনোই পাল্লা দিতে পারেনি। দেশটির মূল্যষ্ফীতির পরিমাণ ৮ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। তাছাড়া ২০০৮ সালে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়া বাবদ ২.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবছর ফেরত দিতে হবে। তাই অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটিয়ে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করাই এখন নওয়াজের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ৭. প্রতিবেশি দেশ ভারতকে পাকিস্তান সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে। দেশদু’টির মাঝে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সবসময় উত্তপ্তকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। তবে ধারনা করা হচ্ছে নওয়াজের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালোই হবে। ভারতও নওয়াজকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, নওয়াজ ভারতের সাথে পাল্লা দিয়ে পারমানবিক বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিলো। সুতরাং নওয়াজকে ভারতের মিত্র ভাবা খুব বেশি যৌক্তিক নয়। তাই ভারতের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক রক্ষা করা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে গণ্য হবে। ৮. বেলুচিস্তান সংকট নওয়াজের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। বেলুচরা স্বাধীনতার জন্য উগদ্রীব। নওয়াজের আমলে বেলুচদের দাবি আরো প্রকট হতে পারে। তাদের মোকাবেলা করতে না পারলে পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিভক্তি আবার দেখা যেতে পারে।

যাহোক, পাকিস্তান গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় ফিরে এসেছে এটাই পাকিস্তানী জনগণের জন্য বড় পাওয়া। বিশেষত, পিপিপি সরকার ক্ষমতা ত্যাগের পর সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার কোন গণতান্ত্রিক দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হবে কিনা এটা নিয়ে বিশ্ববাসীর মনে একটি উদ্বেগ কাজ করেছিলো। আপাতত সে উদ্বেগের অবসান ঘটলো। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় স্বচ্ছ নির্বাচন পরবর্তীতে পাকিস্তানের শাসনক্ষমতার পালাবদল ঘটতে যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত পাকিস্তানের প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসে পিপিপির মত সফলভাবে পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেন নাকি পূর্ব রেকর্ড অনুযায়ী মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই আবার মসনদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১২৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File