“রিসালা-ই-নূর” এর প্রাথমিক পাঠ পরিচিতি

লিখেছেন লিখেছেন রামির ০৬ জুলাই, ২০১৪, ০১:১৫:৩৩ রাত

‘রিসালা-ই- নূর’ ও বদিউজ্জামান নূরসীঃ

ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা স্কলার বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী এবং তার বিখ্যাত এবং একমাত্র সংকলন “রিসালা-ই- নূর” বিশ্বব্যাপি ইসলামি পুনর্জাগরণবাদী আন্দোলনে নিয়োজিত কর্মীদের নিকট এক নামে পরিচিত। বাংলাদেশের ইসলাম-ইন্সপায়ার্ড আন্দোলনের কর্মীদের নিকট একটু দেরীতে হলেও সাঈদ নুরসী এবং তার “রিসালা-ই-নূর” পরিচিতি লাভ করেছে। এক্ষেত্রে জনাব মূহাম্মদ কামরুজ্জামান লিখিত বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসীর জীবনীগ্রন্থ এক অনন্য দলিল । এছাড়াও মাওলানা একে এম নাজির রচিত “যুগে যুগে ইসলামি জাগরণ” এবং মাওলানা আব্দুস শহীদ নাসিম লিখিত “ইসলামি আন্দোলনের তিন পথিকৃত” বইয়ে বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসীর জীবনী সংক্ষেপে অথচ পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচিত হয়েছে। তবে এ সকল বইয়ে সাঈদের জীবনী ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও “রিসালা-ই-নূর” এর বিষয়গত এবং গঠনগত দিকটি কিছুটা উপেক্ষিত হয়েছে।

‘রিসালা-ই-নূর’- রচনা যেখানে শুরুঃ

বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী। জন্ম ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দ (১২৯৮ হিজরী )। মৃত্যু ১৯৬০ সালের সালের ২৩শে মার্চ (২৫শে রমাযান ১৩৭৯ হিজরী)। ১৯১৪ সালে ১ম বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হলে তিনি সরকারের অনুমতিক্রমে এক মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করে যুদ্ধ শুরু করেন এবং শত্রুবাহিনীর হাতে বন্দী হয়ে রাশিয়ায় ২ (দুই) বছর জেলে বন্দী ছিলেন। পরে সেখান থেকে পলায়ন করে তুরস্কে ফেরত আসেন। তুরস্ক ফেরত এসে তিনি বিরোচিত সম্বর্ধনায় সংবর্ধিত হন। পরবর্তীতে মুসলমানদের পুনর্জাগরণবাদি আন্দোলনে কাজ করায় তাকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় জেলে এবং নির্বাসনে কাটাতে হয়।

সাঈদ বদিউজ্জামানের ভাষায়, তাঁর জীবনের দুটি প্রধান ভাগ হচ্ছে- যুদ্ধ পূর্ববর্তী এবং যুদ্ধ পরবর্তী । যুদ্ধ পূর্ববর্তী জীবন কে তিনি নিজেই আখ্যায়িত করেছেন ‘পুরাতন সাঈদ’ হিসাবে এবং যুদ্ধ পরবর্তী জীবন কে আখ্যায়িত করেছেন ‘নতুন সাঈদ’ হিসাবে।

জেল এবং নির্বাসন জীবনের ধারাবাহিকতায় ১৯২৬ সালে তাঁকে বারলা নামক এক ছোট্ট গ্রামে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে তিনি নির্বাসিত ছিলেন প্রায় আট বছর । সেখানে অবস্থানকালেই অর্থাৎ ‘নতুন সাঈদ’ হিসাবেই তিনি শুরু করেন “রিসালা-ই-নূর” এর মূল অংশের রচনার কাজ।

রিসালায়ে নূর এর বিষয়গত ও গঠনগত সূচীঃ

“রিসালা-ই-নূর” শব্দ-বন্ধটি মূলত আরবী শব্দ। এর প্রকৃত নাম হচ্ছে Risale-i Nur Külliyati । আর ইংরেজী হচ্ছে Treatise of Light। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘আলোকিত নিবন্ধসমূহ’ বা ‘আলোর পংক্তিমালা’ বা ‘পথনির্দেশক আলো’। এটি মূলত আরবী এবং অটোম্যান তার্কিশ ভাষায় লিখিত। এটি ১৪ খন্ডের এক সংকলন।১

“রিসালা-ই-নূর” প্রায় ৬০০০ হাজারের অধিক পৃষ্ঠা সম্বলিত একটি রচনা সংকলন। এতে রয়েছে প্রায় ১৩০ এর অধিক প্রবন্ধ (ট্রিটিজ বা রিসালা)। এসব রচনার কোনটি ২-৩ পৃষ্ঠা আবার কোনটি ৮০-৯০ পৃষ্ঠাব্যাপি। এ রচনাগুলোকে বিষয়বস্তু অনুসারে মূলত চারটি / পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয় (সংকলনভেদে কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন)। ২

এ পর্যন্ত এটি বিশ্বের প্রায় ৫২টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ইংরেজী ভাষায় রয়েছে এর একাধিক অনুবাদ সংকলন। অন্যতম দুটি ইংরেজি অনুবাদ সংকলনের ১টি হচ্ছে আলী উনাল (Ali Ünal) এবং অন্যটি হচ্ছে শুকরান ভাহিদী (Sükran Vahide) এর । তবে ইংরেজী সংকলনে “রিসালা-ই-নূর” এর সবটুকু অনুদিত হয়নি। কিছু কিছু অংশ বাদ রেখে মূল বিষয়গুলো অনুদিত হয়েছে।৩

ইংরেজী অনুবাদানুসারে প্রধান প্রধান ভাগগুলো হচ্ছেঃ ৪

১। the words (কথামালা)

২। the rays (আলোকরশ্মিমালা)

৩। the letters (চিঠিসমূহ)

৪। the flashes (ক্ষণদ্যুতিকামালা) এবং

৫। the sign of miraculousness (অলৌকিকত্বের নিদর্শনসমূহ) (বা the Damascus sermon- কোন কোন সংকলনে)

কথামালা শিরোনামে রচিত অংশে প্রায় ৩৩টি অধ্যায় রয়েছে এবং সব মিলে এর পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় ৭৮৬। আলোকরশ্মিমালা শিরোনামে রচিত অংশে রয়েছে ১৫টি অধ্যায় যার প্রতিটি আবার কতগুলো সাব-চ্যাপ্টারে বিভক্ত এবং এর মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা ৬৮৫। চিঠিপত্র শিরোনামে সংকলিত অংশে ৫৪১ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে প্রায় ২৯টি চিঠি। ক্ষণদ্যুতিকামালা (the flashes) শিরোনামে ৪৫৬ পৃষ্ঠা জুড়ে সংকলিত হয়েছে ৩৩টি ফ্লাস। সর্বশেষ অধ্যায়ে ২৭৭ পৃষ্ঠাব্যাপি আলোচিত হয়েছে কুরানে বর্ণিত বিভিন্ন রহস্যাবৃত ঘটনাবলী যাতে বর্ণিত হয়েছে মহান রবের শ্রেষ্ঠত্ব এবং অনন্যতা।

বাংলা ভাষায় ’রিসালা-নূরঃ

বাংলা ভাষায় এ পর্যন্ত “রিসালা-ই-নূর” এর কোন অনুবাদ সংকলন প্রকাশিত হয় নি। তবে তার্কি ফেরত টেলিকম সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার জনাব সালাহ উদ্দীনসহ আরো কয়েকজন ‘রিসালা-ই-নূর’ বাংলায় অনুবাদের কাজ করছেন এবং এগুলো বিষয়ভিত্তিক ভাবে পুস্তিকা আকারে প্রকাশের চেষ্টা করছেন। তাঁর ভাষ্য মতে, এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০-৮০০ পৃষ্ঠার অনুবাদের কাজ শেষ হয়েছে যা কম্পোজের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকাশিত পুস্তিকার একটি হচ্ছে- রমযানের তাৎপর্য এবং মিতব্যায়িতা ও শুকরিয়া৫। এছাড়াও চিকিৎসাশাস্ত্র সম্পর্কিত অংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও, http://saidnur.com এই ওয়েবসাইটে অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায় ‘রিসাল-ই-নূর’ কিছু অংশ বাংলা অনুবাদ করা রয়েছে। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো- এর অনুবাদক হিসাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) তবারক হোসেন বেগ এর নাম যিনি কিনা রিসালায়ে নূর ট্রাস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ এর সাথে সম্পর্কিত মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘রিসালা-ই-নূর’ নামটি কেন?

“রিসালা-ই-নূর” নামটি সাঈদ বদিউজ্জামানের নিজস্ব চয়ন। কেন তিনি এ নামটি চয়ন করেছেন তার অনেক কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। এসব কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- নূর গ্রামে ছিল উনার জন্ম, মরহুম মায়ের নাম ছিল নুরিয়া, তাঁর প্রিয় শেখের নাম ছিল নুরি, ছাত্রদের মধ্যে যারা তাঁকে অনেক বেশি ভালবাসত তাদের কয়েক জনের নাম ছিল নুর ইত্যাদি।

‘রিসালা-ই-নূর’ এর লিখন পদ্ধতিঃ

“রিসালা-ই- নূর” এর আলোকিত চিঠি বা প্রবন্ধসমূহ মূলত ১৯১০ থেকে শুরু করে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রচিত। “রিসালা-ই-নূর” অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রন্থ যা লেখকের নিজ হাতে সরাসরি রচিত নয়। এর পুরোটাই শ্রুতিলিখন। তিনি ডিক্টেট করতেন এবং তাঁর ছাত্ররা তা শুনে শুনে লিখতেন। পরে লিখিত কপি সাঈদ নিজ হাতে কারেকশন করে দিতেন।

সাঈদের সময় তখনো বই প্রকাশের উন্নত সিস্টেম সহজলভ্য ছিলনা। ফলে সেগুলো হাতে হাতে লিখিত হতো এবং পরে পড়ার জন্য বাইরে চালান করা হতো। বাইরে সাঈদের শত শত অনুসারীরা এগুলো আরো কপি করে অন্যদের নিকট প্রচার করতেন। এ ধরনের হাজার হাজার ছাত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, যুবক, বৃদ্ধ সকলেই অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। বিশেষ করে ইসপার্টা অঞ্চলে ঘরে ঘরে রিসালায়ে নূরের কপি তৈরি হতো। বদিউজ্জামানের অনেক ছাত্র এ সময় সাত-আট বছর বাড়ির বাইরে কোথাও যেতেন না। তারা ৭/৮ বছর যাবত শুধু রিসালায়ে নূরের কপি তৈরি করতেন। সাউ নামক একটি গ্রাম ‘নূর স্কুল’ বলে পরিচিতি লাভ করেছিল।

প্রিন্টিং কপিঃ

এখানে হাজার হাজার কলম ব্যস্ত ছিল রিসালায়ে নূরের কপি তৈরিতে। বছরের পর বছর এভাবে রিসালায়ে নূরের কপি হাতে লিখে প্রচার হতে থাকে। বলা হয়ে থাকে, “রিসালা-ই-নূর” এর এমন কপির সংখ্যা প্রায় ৬ লাখে পৌছেছিল। এদিক দিয়ে এটি যুগের এক বিস্ময়ও বটে। ১৯৪৬ সালে সাঈদের ছাত্রদের নিকট প্রথম কপি করার মেশিন আসে এবং ১৯৫৭ সালে প্রথম এর প্রিন্টিং কপি বাজারে আসে।

এ সময় সাঈদ নূরসীর করা মন্তব্য ছিল- “রিসালা-ই- নূরের এই তো উৎসবের সময়। আমার কর্তব্য শেষ। এইতো সেই সময় যার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম।এবার আমি ফেরত যেতে পারি।”

'রিসালা-ই-নূর’ কেন রাজনৈতিক আলোচনা মুক্তঃ

“রিসালা-ই-নূর” এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি রাজনৈতিক আলোচনা মুক্ত । তিনি বলতেন “আমি শয়তান ও রাজনীতি থেকে মুক্তি চাই”। এর অর্থ এই নয় যে, তিনি মনে করতেন, ইসলামে রাজনীতি নেই। আর এর প্রমাণ মেলে যখন ১৯৫০ সালে তুরস্কে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হয় তখন তিনি তাঁর ছাত্রদের আদনান মেন্দারেসের পক্ষে ভোট করার অনুমতি দেন।

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে যখন এই বই লিখা শুরু করেন তখন তার্কিতে তিনি মানুষের যে প্রধান সমস্যা অনুধাবন করেছিলেন তা ছিল- জনগণের মৌলিক বিশ্বাস বা ঈমানের অভাব। ১৯২৪ সালে খিলাফাত ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলার পর সেখানে আরবী বর্ণমালার পরিবর্তে ল্যাটিন বর্নমালা চালু করা হয়, আরবীতে আযান দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়, কুরআন আরবীর পরিবর্তে ল্যাটিন হরফে লিখার ব্যবস্থা করা হয়, সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ইসলামি শিক্ষার ব্যবস্থা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী ইউরোপে শুরু হওয়া এনলাইটেনমেন্ট আন্দোলনের যে সেকিউলার দর্শন তা মুসলিম বিশ্বে সম্প্রসারিত হয় এবং তাওহীদ, একত্ববাদ ও রিসালতের বিরুদ্ধে নাস্তিকতাবাদকে ব্যাপক ভাবে উস্কে দেয়। মুসলিম বিশ্ব অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে এক বিধ্বংসীকর অবস্থায় নিপতীত হয়। মুসলিম বিশ্বে ইসলাম উপেক্ষিত হতে শুরু করে। ইসলাম ধর্ম পালন না করা তরুণ সমাজের মধ্যে এক ধরণের ফ্যাশন হিসাবে দেখা দেয়।

তাই সাঈদ বদিউজ্জামান নুরসী মনে করতেন, সরকারের সাথে ক্ষমতার সংঘর্ষে না গিয়ে প্রথমে মানুষের চিন্তা জগতের পরিশুদ্ধি প্রয়োজন। প্রয়োজন ইসলামি দর্শনের যে মৌলিক বিশ্বাস ও নীতিমালা তার প্রচার-প্রসার এবং আলোচনা। মুসলমানদের নিকট ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের যে আবেদন তা তুলে ধরতে পারলেই অন্য সব কিছু ধীরে ধীরে এবং ক্রমান্বয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। তাই তিনি কৌশলগত কারণেই দ্বীন প্রচারের এই মাধ্যম কে বেছে নিয়েছিলেন বলা যায় আ ছিল সময়ের দাবি। আর তাঁর এ কৌশল যে তুরস্কের প্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত ছিল তুরস্কের পরবর্তী অবস্থাই কিন্তু তার স্বাক্ষ্য দিয়েছে এবং দিচ্ছে।

‘রিসাল-ই-নূর’ কি কোন তাফসীর?

“রিসালা-ই-নূর” কি একটি তাফসীর গ্রন্থ নাকি অন্য কোন বই? এই বিষয়টি আলোচিত এবং বিতর্কিত। কেউ বলেন তাফসীর কেউ বলেন তাফসীর নয়। আবার কেউ বলেন এটি কালাম শাস্ত্র কিংবা সুফিবাদের উপর লিখিত শাস্ত্র। তবে তাফসীর, কালাম শাস্ত্র কিংবা সুফিবাদের উপর লিখিত পুস্তক যাই হোক না কেন, এ বিষয়ে সবাই একমত যে, স্টাইল এবং ম্যাথোডোলজিতে অবশ্যই এটি ইউনিক এবং না প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্যের মত। এটি এক অনন্য ভঙ্গিতে লিখা। তাই কেউ কেউ এ বইটি এবং এর লেখক সাঈদ বদিউজ্জামান কে “বেদি” (Bedi- তার্কি ভাষায়) উপাধিতে আখ্যায়িত করেন। কারণ আভিধানিকভাবে বেদি শব্দের অর্থ হচ্ছে- এমন কোন ‘রাইটার’ বা ‘রাইট-আপ’ যা তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল এবং মৌলিক। এটি কোন নমুনা বা মডেল ছাড়াই উদ্ভাবিত এবং এটি পুরানো কোন কিছুর অনুসৃত নয়।

তাই বলা হয়ে থাকে “রিসালা-ই-নূর” তাফসীর হলেও প্রচলিত তাফসীর গ্রন্থের মত ‘word by word’ বা ‘verse by verse’ ভিত্তিক তাফসীর নয় বরং এটি থিমাটিক এ্যাপ্রোচে লিখিত একটি বিষয়ভিত্তিক তাফসীর। তবে মজার বিষয় হলো, “রিসালা-ই-নূর” এর লেখক সাঈদ বদিউজ্জামান স্বয়ং এর প্রবন্ধগুলোকে সময়ের মুজাদ্দিদ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে (পেন ম্যাগাজিনের উদ্ধৃতি)-

Imam Bediuzzaman defines the Nur treatises mostly as ‘the mujaddid (restorer) of this age’; ‘a semantic interpretation and commentary of the Qur’an’, sometimes as ‘a kalam discipline’, and sometimes ‘a path which takes the man from the external world to the internal realm’ like Sufism.

পাঠ অনুসন্ধানঃ

পেন ম্যাগাজিনে ১৮-০৯-২০১৩ এবং ১৬-১২-২০১৩ তারিখে প্রকাশিত ইদরিস তুজুন লিখিত “রিসালা-ই- নূর” এর পরিচিতি বিষয়ক রচনাটি বেশ তথ্যবহুল যা দু’পর্বে প্রকাশিত। আগ্রহী যে কোন পাঠক সরাসরি পড়ে ফেলতে পারেন (পার্ট- ১ এবং পার্ট-২)৬ । তাছাড়া ‘রিসালা-ই-নূর’ এর পূর্ণাংগ ইংরেজী কপি যে কেউ এই ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোড করতে পারবেন। http://www.nur.gen.tr/en.html#leftmenu=Home&maincontent=haber&id=239)

*********************

তথ্য-নির্দেশনাঃ

১। উইকিপিডিয়া

২। http://www.thepenmagazine.net/risale-i-nur-the-concept-and-how-to-benefit-from-it/

৩। (https://www.dur.ac.uk/sgia/imeis/risale/downloads/)।

৪। http://www.erisale.com/index.jsp?locale=en#content.en.205.7

৫। বুকশেলফ লাইব্রেরীর ফেসবুক পেজে।

৬। http://www.thepenmagazine.net/risale-i-nur-the-concept-and-how-to-benefit-from-it/ এবং http://www.thepenmagazine.net/the-risale-i-nur-the-concept-content-and-how-to-benefit-from-it-2/

বিষয়: বিবিধ

২৮৬৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242119
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:১৫
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো যদি আমি জামাতই না
242126
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৪৭
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : কোথায় হয় পাঠ চক্র ?
242384
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:০৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File