আশ্রাফুল, অতঃপর? এভাবেই কি একে একে ধসে যাবে আমাদের সাফল্যের স্বর্নচূড়াগুলো! … … … …
লিখেছেন লিখেছেন মহিবুল ইসলাম ফারুক ০২ জুন, ২০১৩, ০৩:৪৫:২৬ দুপুর
… … … …
আশ্রাফুলের দুটি হাত যখন ব্যাট ধরতো তখন এদেশের ১৬কোটি মানুষের ৩২কোটি হাতই যেন ওর দুটি হাতের সংগে মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ব্যাট চালাত। আনন্দ ধ্বনিতে আন্দোলিত হত বাংলার আকাশ বাতাস। গর্বে ফুলে ওঠত প্রতিটি বাংগালীর বুক। নিষিদ্ধ গন্দম খাওয়ার আগে একবারও কি সে ভাবেনি বাংলার মানুষের নির্মোহ সেই ভালবাসার কথা? একটি মুহুর্তের জন্যও কি কেপে ওঠেনি তার যুবক-অন্তর! হায়, ৩২কোটি হাতে নিঃসংকোচে কলংকের চিহ্ন একে দিল আমাদের প্রিয় আশ্রাফুলরা!
আসলে অভাব নয় লোভের সাগরে ভেসে ভেসে পাপের ব-দ্বীপে কখন যে ওরা পৌছে গেছে তা আমরা টেরও পাই নি।
আমাদের আশা ও স্বপ্ন'রা এভাবেই মরে যায়, ধসে যায় সফলতাগুলো! কংক্রিটের ফাউন্ডেশন যথাযত শক্ত না হবার কারনে রানাপ্লাজা যেমন ধসে পড়েছে তেমনি মনুষ্যত্ব আর নৈতিক মূল্যবোধের ফাউন্ডেশন যথাযত সুদৃঢ় না হবার আগেই গড়ে ওঠেছিল ওদের খেলোয়ারী সাফল্যের ইমারত; একারনেই ধসে পড়ল আশ্রাফুলরা। অর্থাৎ মানুষ হবার আগেই এদেশে যেমন রাজনীতিক,আমলা,ডান,বাম,আস্তিক,নাস্তিক,ধার্মিক ইত্যাদি হয়ে ওঠার যে বিপদ-বিপর্যয় সর্বত্র, এদের ক্ষেত্রেও তাহাই ঘটেছে। আয়ের সংগে সংগতিহীন অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ে এদেশের রাজনীতিক, আমলা, ব্যাবসায়ীরা একেই সফলতা মনে করে দ্বিধাহীন সাচ্ছন্দের জীবন গড়েন। আশ্রাফুলদের মত টগবগে যুবকরাও এই বিধ্বংশী ধারার বাইরে যেতে পারেনি। তাই কিছুটা কষ্ট পেলেও আমি নিজে খুব একটা অবাক হইনি, তবে আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেটি ভীষন আঘাত পেয়েছে;সমীকরন মেলাতে পারেনি বলে।
আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে …
মানুষ হতে হবে এই যার পণ?
বিষয়: বিবিধ
১২১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন