পহেলা বৈশাখ বিতর্কঃ অভাজনের ভাবনা।

লিখেছেন লিখেছেন মহিবুল ইসলাম ফারুক ০৫ মে, ২০১৩, ০৬:৩১:৫৯ সকাল



ার্টিফার্স্ট নাইট, ১লা এপ্রিল-এপ্রিলফুল আর ১লা বৈশাখকে একই পাল্লায় মাপার প্রবনতা ইদানিং লক্ষ্য করা গেছে। আসলে এমন সাধারণীকরনের কোন যথার্থতা আছে কি? আবার এক পা এগিয়ে কেউ বিজাতীয় ও ইসলাম বিরোধী বলে বিষোদগার করতেও কার্পন্য করছেননা। জ্ঞাণী-গুণী, আলেম-ওলামাগন কি ভাবছেন তা বিশদ জানার সুযোগ আমার হয়্নাই। তবে আমার ধারনা থার্টিফার্স্ট, ১ লা এপ্রিল আমাদের বাংগালী সংস্কৃতির অংশ নয় বরং ১০০% বিজাতীয় কিন্তু ১লা বৈশাখ পুরোই ব্যাতিক্রম। এটি আমাদের বাংগালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ই অংশ। এর দীর্ঘ ইতিহাসের সাথে বাংগালী মুসলিম, বাংগালী হিন্দু উভয়ের ই একটা কার্যকর সম্পৃক্ততার তথ্য রয়েছে। কাজেই এটি বিজাতীয় নয় মোটেও। এছাড়া, ইসলাম মৌলিক আকিদা-বিশ্বাসের পরিপন্তী নয় সমকালীন আরব সমাজের এমন অনেক রীতি-রেওয়াজকে এব্জর্ব করতে মোটেও দ্বিধা করেনি।ক্ষেত্র বিশেষে সমকালীন ঐতিহ্যিক রীতি-রেওয়াজের কিছু অসংগত দিক বাদ দিয়ে অর্থাত রিফাইন করেই সেটিকে গ্রহন করে নিয়েছে। ক্বাবা শরিফ তাওয়াফের ক্ষেত্রে উলংগ-বেহায়াপনাকে অপসৃত করেছেন কিন্তু তাওয়াফকে বাতিল করেন নি রাসুল(স)। বিয়ে-শাদীর প্রচলিত রীতিকেও পুরোপুরি বাতিল করেন নাই। আসল কথা হল ইসলামের মূল বিশ্বাস ও ফর্জিয়াতের সংগে সাংঘর্ষিক না হলে কোন জাতীয় ঐতিহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানকে ঢালাও ভাবে ইসলাম বিরোধী বলার সুযোগ নেই। ১লা বৈশাখ ত সেরকম ই একটি বিষয়। প্রশ্ন আসে অশ্লীলতা-অশালীনতার সংশ্রবের। ভেবে দেখুন আমাদের মুসলিম সমাজে বিয়ে-শাদী ও ঈদে অপচয় আর অশালীনতার সংশ্রবের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে কোথায় চলে গেছে।কাজেই তর্কের খাতিরে কথা নাবাড়িয়ে উপলব্দিশীল হৃদয় নিয়ে আসুন ঐতিহ্যকে লালন করি শালীনতাবোধ বা যার যার ধর্মের গন্ডি না ভেংগেই, নির্দোষ বিনোদনে সৌহার্দ আর সম্পৃতির বন্ধন গড়তে।

বিষয়: বিবিধ

১৩০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File