বাঘ এর কাছে ছাগল এর বাচ্চা বর্গা
লিখেছেন লিখেছেন চিরল পাতা ১৫ মে, ২০১৩, ০৪:০৯:০৮ বিকাল
১৯৯৭ সালেই ৮-ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে "নারী নীতি" নামক এই নীতিটি প্রথম ঘোষিত হয়৷নীতিটিতে বাংলাদেশের নারীদের সাংবিধানিক নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল৷ যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ও অবহেলিত এদেশের বৃহত্তর নারী সমাজের ভাগ্য উন্নয়ন করা৷
নীতিসমূহ নিম্নরূপ ঃ
-----------------------------
১। জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করা ।
২। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ।
৩। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা ।
৪। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা ।
৫। নারীকে শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসাবে গড়ে তোলা।
৬। নারী সমাজকে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা ।
৭। নারী পুরুষের বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন করা ।
৮। সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিমন্ডলে নারীর অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করা ।
৯। নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন দূর করা ।
১০। নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি বৈষম্য দূর করা ।
১১। রাজনীতি, প্রশাসন ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে, আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া এবং পারিবারিক জীবনের সর্বত্র নারী পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা ।
১২। নারীর স্বার্থের অনুকূল প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আমদানী করা এবং নারীর স্বার্থ বিরোধী প্রযুক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা ।
১৩। নারীর সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য উপযুুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা ।
১৪। নারীর জন্য উপযুক্ত আশ্রয় এবং গৃহায়ন ব্যবস্থায় নারীর অগ্রাধিকার নিশ্চিত কর।
১৫। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সশস্ত্র সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত নারীর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা ।
১৬। বিশেষ দুর্দশাগ্রস্ত নারীর চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা ।
১৭। বিধবা, অভিভাবকহীন, স্বামী পরিত্যাক্তা, অবিবাহিত ও সন্তানহীন নারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ।
১৮। গণ মাধ্যমে নারী ও মেয়ে শিশুর ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরাসহ জেন্ডার প্রেক্ষিত প্রতিফলিত করা ।
১৯। মেধাবী ও প্রতিভাময়ী নারীর সৃজনশীল বিকাশে সহায়তা দেয়া ।
২০। নারী উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়ক সেবা প্রদান করা ৷
-------------------------------
১৯৯৬ সালের ১২ ই জুন জাতীয় নির্বাচনের সময় দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে এই নীতির বাস্তবায়ন হবে । উনাদের সরকারের প্রথম ৫ বৎসর গেলো ফলাফল শূন্য, দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়ে এই ৪ বৎসর শেষও এই নীতির জিকিরও হয়নি নারীদিবস ছাড়া । বরং উনার দল এর ছেলেদের হাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে দেশ এর নারীগণ অত্যাচারিত/ লাঞ্ছিত হয়েছেন । যার প্রমাণ আমি আর দিলামনা, কারন কাহিনী কারই অজানা নয় । কিন্তু কেও যদি দেখেও,জেনেও অন্ধ আর বয়রা হবার ভান করে থাকে সেটার দায়ভার আমারতো না ।
আজ এই ১০ম বৎসরের শেষ ভাগে এসে হেফাজতের ১৩ দফা দেখে তাঁদের হারানো সৃতিশক্তি ফেরত এসেছে । তাঁদের হটাৎ করে মনে পড়ে গেছে যে, বাবার হত্যার বিচারের বাহানা তো আর দেয়া যাবে না, যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারও শেষ, এবার কি ? তখন তাঁদের চোখ পড়েছে নারীনীতির দিকে। বাহ, চমৎকার, ভালই বাহানা ।
এবার আপনি ভাবুন, সরকার এই নারীনীতি দিয়ে কি কি পরিবর্তন আনবেন দেশের ? উনাদের ঘটানো নারী ঘটিত অঘটন এর সংখ্যা আজ কতো ?
বাঘের কাছে ছাগলের বাচ্চা বর্গা আর কতোবার দেবে এই দেশবাসী ?
বিষয়: বিবিধ
১৪২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন