ঐশি নামের মেয়েটা কি আমাদেরকে কোন শিক্ষা দিয়েছে ?
লিখেছেন লিখেছেন এস এম ইমদাদুল ইসলাম ১৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:১৭:৫১ বিকাল
মা বাবার কোল একটা শিশুর গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক মক্তব/বিদ্যালয় । আমরা বাবা মায়েরা আমাদের আদরের সন্তানকে সেই মক্তব/পাঠশালা থেকে পাশ করিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছি বলেই ঐশিদের জন্ম হচ্ছে। বাবা মায়েরা ঘুম থেকে উঠুন । প্রাথমিক কাজ করা শুরু করুন । না হলে এরকম আরো ঐশি আসছে তেড়ে -----------। হ্যা, আমি বলব, ঐশি নামের মেয়েটা আমাদেরকে এই শিক্ষাটাই আপাতত দিয়েছে । এধরনের ঘটনা যখন ঘটে তখন প্রায় সব ধরনের মিডিয়াই সোচ্চার হয়ে ওঠে । অনেক দামী দামী কথা আমাদেরকে মধ্য রাতের অতিথিরা শোনান । জ্ঞান গর্ভ অনেক রকম থিওরি আমরা শুনি । জ্ঞানের কথা শুনতে ভাল লাগে । কিন্তু অবাক হয়ে যাই কীভাবে দিনে দিনে প্রতিটি ঘরে ঘরেই অসংখ্য ঐশি তৈরী হচ্ছে, সেই খোঁজ খোদ সন্তানদের বাবা মায়েরাই রাখেন না। বাবা মায়েরা তার সন্তানদের কতটা অনিরাপদ করে লালন পালন করছেন, তা কি তারা চিন্তা করেন ? একটু বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, ক'জন বাবা মা তার সন্তানকে নীতি শিক্ষা দিয়েছেন ? ক'জন মুসলমান বাবা মা তার সন্তানকে আল্লাহর কালাম শিক্ষা দিয়েছেন ? তারা নৈতিকতা শিখবে কোত্থেকে, এ কথা ক'জন বাবা মা ভেবেছেন ? আমরা কিসের জোয়ারে এভাবে গা ভাসিয়ে দিয়েছি ? কি পেয়েছি আমরা ? কি আমাদের লক্ষ্য ?
অবাক হলাম , একদিন সময় টিভিতে মাইক্রোফোনের সামনে স্কুলের বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরা বলছে,
" কেন নয় ? আমার যদি কয়েকটা বয় ফ্রেন্ড না থাকে তো, আমার অন্য বান্ধবীরা তো আমাকে বলবে, আনস্মার্ট ! খ্যাত ! ।"
মা বাবারা কতটা অন্ধ হলে তার সন্তান এ রকম কথা বলতে পারে ?
আমাদের সমাজে পরিবারে বাবা মায়ের চোখের সামনেই সন্তানরা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে ,কেবল পর্দা কি জিনিষ, কেন পর্দা করা জরুরী, এটা না বোঝার কারণে । পর্দাকে কেবল মাত্র একটা লেবাস মনে করার কারণে । পর্দা নিয়ে বাবা মায়ের মুর্খতার কারণে । আমাদের বাবা মায়েরা যেমন মুর্খতায় পর্যবসিত, তেমনি আমাদের মিডিয়াগুলোও পর্দা নিয়ে যাচ্ছেতাই বলে থাকে । কিন্তু এই মিসকিনগুলো জানেই না আসলে মানব জাতির জন্য পর্দা করা কি জন্য, কতটা বিজ্ঞান সম্মত, কতটা নিরাপদ এবং কতটা আধুনিক । এই মিসকিনরা ধর্মীয় শিক্ষা নিজেরা তো করেই না, জানেনা এবং যারা জানবে, তাদেরকেও নানাভাবে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে , ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে ।
একটা উদাহরণ দেইঃ-
২০ বছর বয়সী শ্যালিকার মুখটা টিপে দুলাভাই আদর করছে তারই স্ত্রীর সামনে, খালাতো ভাই খালাতো বোনের গাল টিপছে খালাম্মার সামনেই , মা বাবার সামনেই হর হামেশা এরকম অবাধে চলছে টিপা টিপি । আমাদের বুদ্ধিজীবিরা এতক্ষণে হয়তো ক্ষেপে গিয়েছেন, বলছেন, এই ব্যাটা তেতুল তত্বের লোক । না, না জনাব । আপনার জন্য এই লেখা নয় । আপনি নাক সিটকান, যা খুশী বলেন, আমার আপত্তি নাই । আমার কথা আর একজন ঐশির মা বাবার জন্য । কেননা এই সব ছোটখাট বিষয়ে গুরুত্ব না দেয়ার কারণে বড় বড় অঘটনই ঘটছে । অথচ আমরা এব্যাপারে একেবারেই উদাসীন । ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষা নেবার উপদেশ কেউ দিলেই তাকে জামাত, তালেবান, মৌলবাদী, অশিক্ষিত-কাটমোল্লা বলে উপহাস করা আমাদের সমাজের বিশেষ করে থিসিস করা সুশীলদের একটা বদ অভ্যাস আছে । যাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাবে আমাদের সমাজে উছৃংখল তরুন তরুনী বেড়ে উঠছে । আজ ঘুরে দাঁড়াবার সময় হয়েছে । সকল বাবা মাকে বলছি, আপনারা ঘুম থেকে জাগুন । থিসিসধারীরা আপনার সন্তানের সর্বনাশের পথ থেকে উদ্ধারের কোন পথ বাতলে দেবার পথও যেমন জানে না, তেমনি সর্বনাশ হয়ে গেলে এদের থিওরী শোনা ছাড়া আপনাদেরও আর কোন কাজে আসবে না। প্রথমে আপনার সন্তানকে আপনার ইসকুল থেকে পাশ করান । আপনিই ভেবে দেখুন সেই ইসকুলটা আপনি কোন পদ্ধতিতে পরিচালিত করবেন । এই ভাবনার জন্য খুব বেশী পন্ডিত হবার দরকার নেই । আপন আপন হৃদয়ের সিলেবাসই বলে দেবে আমাদের কী করনীয় ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন