কারা এই তেহরীকে তালিবান (TTP) ??????
লিখেছেন লিখেছেন জাতির চাচা ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:০০:৫২ দুপুর
তেহরীকে তালিবানের ইতিহাস জানার পুর্বে আমারদেরকে পাকিস্তানের ফাটা এলাকার একটু ধারণা রাখা প্রয়োজন ।fata এর এলাকা ২০০০ সালের হিসেব অনুযায়ী এর জনসংখ্যা হচ্ছে ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৭০ জন । অপরপাশে আছে আফগানিস্তান ।এই পাহাড়ি হয় । পাকিস্তানের অন্যান্য চার প্রদেশের মতো এখানে মুখ্যমন্ত্রী হন না , তাহলে অতি সহজেই তেহরীকে তালিবানকে চিনতে পারবো ।
১৮০৩ সালে শাহ আব্দুল আযীয মোহাদ্দিসে দেহলবি রাহ. ভারতবর্ষকে দারুল হরব ঘোষণা করে যখন ফতোয়া দেন, তখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদের সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভি রাহ. সারাভারত সফর করে মুজাহিদ সংগ্রহ করেন । জিহাদে অংশগ্রহণ করে । (দেখুন, জীবনের খেলাঘরে / মাওলানা মুহিউদ্দীন খান আবুল মনসুর আহমদ)
পরবর্তীতে এদেরকে নিয়ে তিনি পাকিস্তানের বর্তমান অঞ্চল বাছাইয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যে এই অঞ্চলের মুসলমানরা এখানেই বালাকোটের লড়াই হয় , এতে শাহ সায়্যিদ আহমদ রাহ. , মাওলানা শাহ । মাওলানা বেলায়েত আলী এবং মাওলানা আব্দুল্লাহ সাদিকপুরি রাহ. এর নেতৃত্বে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ অব্যাহত রাখেন । রেশমী রুমাল আন্দোলনের সময় দেওবন্দের কৃতিসন্তান শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দি রাহ. তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন । শায়খুল ইসলাম হোসাইন আহমদ মাদানি রাহ. তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতেন ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইংরেজরা সীমান্তের এই মুজাহিদদের হামলায় ক্লান্ত হয়ে এই এলাকা ত্যাগ করে ।
উল্লেখ্য , ইংরেজরা যে কয়েকবার আফগানিস্তানে রামধোলাই খেয়েছে , কাশ্মীরের যে অংশটুকু বর্তমানে পাকিস্তানের অধীনে আছে, এর উদ্ধারের জন্যে নি ।
রাশিয়া যখন আফগানিস্তানে সৈন্য সমাবেশ করল তখন এরাই আফগান মুজাহিদদেরকে জান-মাল , অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিল ।
তখন পাক প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের আমলে কাবায়েলিনেতা তখন সুফি মোহাম্মদের জামাতা বর্তমান টিপিটি প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহ আফগানে জিহাদের উদ্দেশে যান , দেশের ফেরার পর তাকে মোশাররফ কারাগারে পাঠায় ।
এই মোশাররফই আমেরিকা চিত্তঅর্জনে শরীয়াহ আদালত বন্ধ করে দেওয়া হয় । আফগান জিহাদে যাওয়া , মুজাহিদদের ।
তারা চিন্তা করে দেখলেন , পারভেজ ক্রুসেডারদেরকে সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে , তাদেরকে আফগান জিহাদে যেতে বাধা দিচ্ছে , আফগান মুজাহিদদেরকেও তারা উপায়ান্তর না দেখে অস্ত্র হাতে নিলেন আত্মপ্রকাশ ঘটে তেহরীকে তালেবান পাকিস্তানের । তারা বলে , আমাদের যুদ্ধ দুই - পাকিস্তান শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করা যার উপর পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা যে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ।
২০০৭ সালে যখন লাল মসজিদ ট্রাজেডি ঘটে তখন তাদের দাবির যৌক্তিকতা আরো বেড়ে দেন । তখন পাক সরকার তাদের বিরুদ্ধে সৈন্য মোতায়েন করে এবং ঘোষণা করে , 'নির্মুল না করা পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে । কিন্তু এতে বরং পাক । যোগ দেন নৌ-বাহিনী থেকে ।
অবশেষে পাক সরকার তালেবান নির্মুলে ব্যর্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠে ।
পরে পাক সরকার আবার তাদের সাথে গাদ্দারি করে ।
— হানীন ইলদারম ভাইয়ের লেখা
http://w.bab-ul-islam.net/showthread.php?t=22721
বিষয়: বিবিধ
৩১০৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ সব হল নৃশংস একটি ঘটনাকে জায়েজ করার কূটকৌশল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন