পেশোয়ারে হামলাঃ আসল ঘটনা কি ? (তালেবানের ফুল স্টেটমেন্টসহ )

লিখেছেন লিখেছেন জাতির চাচা ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:২৫:০১ সকাল

শোকে স্ত্বব্ধ পাকিস্তান । শুধু পাকিস্তান না গোটা বিশ্ব শোকে স্ত্বব্ধ । যেমনটা হয়েছিলো মালালাকে হামলার পর । হ্যা আমিও কষ্ট পেয়েছি ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে হত্যার জন্য ।

কিন্তু আসল ঘটনা কি ? কেনো টিটিপি হামলার জন্য স্কুলকে বেছে নিলো ?

আধুনিক সমাজের মোডারেট মুসলিমের ব্যাখ্যা হবে " তালেবান শিক্ষা বিরোধী, বাচ্চারা শিক্ষিত হয়ে আধুনিক জীবন যাপন করুক এটা তালিবান চায় না"

কিন্তু আমার মতো মৌলবাদীর কাছে এই যুক্তির কোন দাম নেই । তালেবানেরা শিক্ষা বিরোধী নয় । তালেবানদের সাথে এমন ব্যাক্তিও আছে যাদের সমকক্ষ কমই আছে ।

আসুন এবার জানি আসল ঘটনা কি ?

বিঃদ্রঃ আমি এই ঘটনার জন্য বিবিসি,সিএনএন,রয়ার্টাস এর সংবাদ বিশ্লেষণ করবো না ।আমি করবো টিটিপির অফিসিয়াল বিবৃতিঃ

পেশোয়ারে হামলা সম্পর্কে TTP-র অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

গতকাল সকালে তেহরীকে তালিবান পাকিস্তানের ছয়জন ইস্তিশহাদী সদস্য (ফিদায়ী), পাকিস্তানের পেশোয়ারে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত, কঠোর সিকিউরিটি জোনে অবস্থিত একটি স্কুল এন্ড কলেজে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। (যেখানে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখা হয়)

তারা সেখানে উপস্থিত আর্মি অফিসার এবং তাদের যুবক ছেলেদেরকে হত্যা করেন। এই যুবক ছেলেরাই ভবিষ্যতে তাদের পিতার পদে আসীন হয়ে, পাকিস্তানে সীমান্তবর্তী অসহায় গোত্র (FATA এলাকার) এবং সারা দেশজুড়ে পারিচালিত সেনা অভিযানে অংশ নিতো। এজন্যই তাদেরকে গড়ে তোলা হচ্ছিল।

ছবির ক্যাপশন: আর্মি অফিসারদের আঠার এবং পঁচিশ বছরের সন্তানরা ‘মাসুম’ শিশু...!! কিন্তু সোয়াত ও ওয়াজিরিস্তানের মাসুম বাচ্চারা তবে সন্ত্রাসী কেন...??

এই ইস্তিশহাদি হামলা (ফিদায়ী অপারেশন) পরিচালিত হয়েছে মুহতারাম খলীফা ওমর মানসুর হাফিযাহুল্লাহর অধীনে। তিনি তেহরীকে তালিবান পাকিস্তানের সামরিক শাখার দায়িত্বশীল এবং ‘হালকায়ে পেশওয়ার দাওরায় আদম খাইলের’ যিম্মাদার।

অভিযান চলাকালীন পুরো সময়টাই তিনি (খলীফা ওমর মানসুর) মুজাহিদদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন। অনবরত দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।

এই হামলা অংশগ্রহণ করেছে ছয় জন ‘ফিদায়ী’। এরা সবাই ছিলো এম.এস. জি.এর সদস্য। এটা তেহরীকে তালিবানের বিশেষ শাখা। এই শাখার সদস্যরা বিশেষ অপারেশনেই শুধু ব্যবহৃত হয়।

একজন কর্নেল, গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক ডজন অফিসার, দুইশরও বেশি সামরিক অফিসার এবং তাদের যুবক ছেলেরা নিহত হয়েছে।



ছবির ক্যাপশন: এসএমজি গ্রুফের জানবাজ বীরগণ, ইসলামের বীর সেনানি, তেহরীকে তালিবানের সামরিক শাখা এবং “হালকায়ে আদম খাইল পেশোয়ারের দায়িত্বশীল মুহতারাম খলীফা ওমর মানসুর (হাফিযাহুল্লাহ)ও তাদের সাথে আছেন।

পাকিস্তানের নাপাক সৈন্যরা বিগত ছয় বছর ধরে, পাকিস্তানর সীমান্তবর্তী গোত্রগুলোর ওপর যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে কত নিরপরাধ, অসহায় গরীব মুসলমান শহীদ করেছে, তার হিসাব কি কেউ রেখেছে?

‘রাহে রাস্ত, রাহে নাজাত, শের দিল, যরবে আযব ও খায়বর-সহ আরো বিভিন্ন নামে যে অসংখ্য অভিযান চালানো হয়েছে, কত হাজার হাজার মুসলিমকে শহীদ এবং কত লাখ মুসলমানকে ঘরছাড়া করা হয়েছে তার হিসাব কি কেউ রেখেছে?





ছবির ক্যাপশন: হে নাপাক সৈন্যরা! বলো তো এই মাসুম শিশুদের কী অপরাধ ছিলো? (প্রথম সারি)।

এরা মানুষ হিসেবে পরিচিত হওয়ার যোগ্য নয়? মিডিয়া কেন তাদের ক্ষেত্রে সরব হয়ে ওঠে না? (দ্বিতীয় সারি)




ছবির ক্যাপশন: তের বছর ধরে চলে আসা পাক সেনাদের এই বর্বরতার পরও কোনও মুসলমানের কি তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা জায়েয হবে?

পাকিস্তানি সেনারা মুজাহিদদের বাপ-ভাইদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে শহীদ করে দেয়। এ অহরহই ঘটছে। তার মেরে ফেলার পর লাশগুলোও ফেরত দেয় না। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ফেলে দেয়। চলতি বছরেই শুধু ছয়শরও বেশি নিরপরাধ মানুষকে গুপ্তভাবে শহীদ করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এই নারকীয়তার প্রতিবাধ কেউ করে না।



ছবির ক্যাপশন: শুধু এই বছরেই ছয়শরও বেশি নিরপরাধ মানুষ শহীদ হয়েছে। এসব ঘটেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে বন্দী থাকাবস্থায়। এই মাযলুম শহীদদের অপরাধ কী ছিলো তা কি কেউ কোনও দিন জানার চেষ্টা করেছিলো?



ক্যাপশন: বেলুচিস্তান থেকে কাবায়েল পর্যন্ত পঞ্চাশ হাযারের চেয়েও বেশি নিখোঁজ মানুষের স্বজনরা আর কতদিন আহাজারি করে বেড়াবে?এই স্বজনহারা মানুষদের ব্যথা পাক জেনারেলরা তখনই বুঝবে, যখন তারাও তাদের স্বজনকে হারাবে

তেহরীকে তালেবান পাকিস্তান বারবার পাক সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে, এই ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ না চালাতে বলে এসেছে। সরকারকে নিখোঁজদের লাশ হস্তান্তর করতে বলেছে, কিন্তু কোনও পক্ষই এসব আবেদনে কান দেয় নি।

সরকার এবং সেনাদের দ্বারা পরিচালিত পাশবিক হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে, বাধ্য হয়েই তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।

আমরা সামরিক বাহিনী পরিচালিত স্কুল এন্ড কলেজকে টার্গেট করেছি। আমরা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের ওপরই হামলা করেছি।

পঞ্চম পৃষ্ঠা:

তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এই অভিযানের মাধ্যমে, পাকিস্তান সরকার এবং সেনা কর্তৃপক্ষকে এই পয়গাম দিচ্ছে যে:

১. তালেবানের বিরুদ্ধে অপারেশনের নাম দিয়ে FATA এলাকার মুসলিমদের সন্তান হত্যা করা, এই মুহুর্তে বন্ধ করতে হবে।

২. গোপন এজেন্সীগুলোর হাতে বন্দী মুজাহিদদের নিরপরাধ নিকট আত্মীয়-স্বজনদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে, তাদেরকে হত্যা করার প্রক্রিয়া এই মুহুর্তে বন্ধ করতে হবে...

৩. মুজাহিদদের পরিবারভূক্ত নারীরা যাদেরকে নিরাপত্তা বাহিনী বন্দী করে রেখেছে তাদেরকে এই মুহুর্তে ছেড়ে দিতে হবে।

তা নাহলে তেহরীকে তালেবান পাকিস্তান পুরো দেশে আর্মি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর (পুলিশ) সাথে জড়িত প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণের লক্ষ্য বানাতে বাধ্য হবে।

আমরা সাধারণ মুসলিম জনগনকেও এ কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে তারা যদি আর্মি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান থেকে অতি শীঘ্রই পৃথক হয়ে যান, নয়ত কোন ক্ষতি হলে এর জন্য আমরা দায়ী থাকব না।

মুহাম্মদ খুরাসানী,

অফিসিয়াল মুখপাত্র,

তেহরীকে তালেবান পাকিস্তান।

বাংলা স্টেটমেন্টের লিংকঃ http://justpaste.it/iheq

মুল উর্দুর লিংকঃ http://justpaste.it/TTP-Ur



এবার আসুন কিছু সংবাদ মাধ্যমের কিছু কথা যা আপনার নজরে পরে নি তা দেখিয়ে দেইঃ

নিম্নোক্ত লেখাটি মফস্বলের বাসিন্দা ভাইয়ের ওয়াল থেকে নেওয়া

আর আপনারা পাকিস্তান তালেবান এর যে সদ্য কৌশলকে নিয়মিত কৌশল বলে চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে অনুরোধ করব রয়টার্সের রিপোর্ট টি পড়ূন, “So far the Taliban have targeted mainly security forces , military bases, and airports . but attacks on civilian targets with no logistical significance are relatively rare. অর্থাৎ তালেবানরা মূলত সিকিউরিটি ফোর্সে , আর্মি বেইস, এবং এয়ারপোর্টের উপর হামলা করে থাকে কিন্ত কোন কারণ ছাড়া সাধারণদের উপর হামলা করা তাদের পক্ষ থেকে খুবই কম হয়ে থাকে”।

আপনার ভাষার সাথে রাশিয়ার অন্যতম নিউজ মিডিয়া Rtও একমত পোষন করেনি। তারাও উল্লেখ করেন, এখানেও উল্লেখ করা হয় যে, স্কুলে আক্রমণ করা হচ্ছে তালেবানদের নতুন কৌশল তারা সাধারণত সিকিউরিটি চেক পয়েন্ট , পুলিশ স্টেশন , নিরাপত্তা বাহিনী ইত্যাদি স্থানেই হামলা চালিয়ে থাকে। এর সাধারণত সাধারণরা যেন আক্রান্তগ্রস্ত না হয় এরকমভাবেই হামলা চালিয়ে থাকে”।

অর্থাৎ এটা সম্পন্ন নতুন কৌশল যা পরিচালনা করতে তারা বাধ্য হয়েছে, তাদের ভাষায়, “We selected the army’s school for the attack because the government is targeting our families and females,” “ we want them to feel the pain”

অর্থাৎ, আমরা আর্মিদের দ্বারা পরিচালিত স্কুলকে এজন্য টার্গেট করেছি যে সরকারও আমাদের শিশু এবং মহিলাদেরকে হত্যার জন্য টার্গেট করে। এ হামলা তাদেরকে ব্যাথা অনুভব করানোর জন্য”।

আবার একদলকে দেখলাম তারা লিখছে যে, তারা পাকিস্তান তালেবানের এরকম অঘোষিত হামলাকে পছন্দ করে না। কিন্ত আসল বিষয় হল, এটা কোন অঘোষিত হামলা ছিল না।রয়টার্সের ভাষায়, “The Pakistani Taliban have vowed to step up attacks in response to a major army operation against the insurgents in the tribal areas. অর্থাৎ তালেবানের উপর পাকিস্তানি আর্মির অভি্যানের ফলাফল হিসেবেই এ হামলা চালানো হয়।

তারপরও তালেবান মুজাহিদদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যে, সেখানে যেন শুধুমাত্র আর্মি সদস্যদের উপরই টার্গেট করে হামলা চালানো হয় শিশুদের উপর নয়। কিন্ত পরিস্থিতি যা বলছে, এটা চালাতে গিয়ে হয়তবা তাদের হাতে কিছু সংখ্যক শিশুও মারা যেতে পারে। কিন্ত রয়টার্স উল্লেখ করে , A local hospital said the dead and injured were aged from 10 to 20 years old.

অর্থাৎ যাদেরকে টার্গেট বানানো হয় তাদের প্রায় সবার বয়সই দশ থেকে বিশ বছর এর মধ্যে।

এছাড়াও আরো বিষয় হল, রয়টার্স তার প্রথম রিপোর্টে উল্লেখ করে যে, It was not clear whether some or all of the children were killed by gunmen, suicide bombs or in the ensuing battle with Pakistani security forces trying to gain control of the building . অর্থাৎ এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে, সব শিশুরা গানম্যানদের দ্বারা নিহত হয়েছে নাকি সুইসাইড হামলা এর দ্বারা নিহত হয়েছে নাকি পাকিস্তানি আর্মির সাথে ভবন দখল এর জন্য যে লড়াই করা হয় সে লড়াই এর সময় নিহত হয়েছে”।

Channel 4 এ যে রিপোর্ট টি দেওয়া হয় সেখানে তালেবান মুখপাত্র এর সাক্ষাতকারটি একটু বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয় সেখানে, এ হামলার কারণ হিসেবে বলা হয় “ We will take more such extreme steps if the army did not stop operation and the killing of our prisoners” আমরা এরকম আরো হামলা চালাবো ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের উপর পাকিস্তান আর্মির হামলা বন্ধ না হবে আর আমাদের বন্দীকৃত ভাইদের হত্যা করা বন্ধ না হবে।

আরো উল্লেখ করা হয়, ““ The tehrik-e-taliban Pakistan had taken this extreme step to take to target the army school to revenge . We will target every institution linked to the army unless they stop operations and the extra judicial killing of our detainees.” The Taliban spokesman said. অর্থাৎ আমরা ঐ সমস্ত ইনস্টিটিউশন কে টার্গেট করব যেগুলো আর্মিদের সাথে জড়িত। আর নয়ত তাদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে অপারেশন এবং আমাদের বন্দী ভাইদের কোন বিচার ছাড়াই হত্যা করা বন্ধ করতে হবে।

Now families of the security forces should also feel the pain like our people. Our detainees are being killed and their bodies are thrown on roads” khorasani said. আমাদের মানুষগুলোর মত এখন সিকিউরিটি ফোর্স এর সদস্যদেরও এ ব্যাখা বুঝে আসবে। যেখানে আমাদের সদস্যদেরকে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।

এছাড়াও The Daily beast পত্রিকা তালেবান এর আর একজন কমান্ডার এর সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করে , সেখানে সে হামলার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “ The parents of the army school are army soldiers and they are behind the massive killing of our kids and indiscriminate bombing in North and South Waziristan.” “To hurt them at their safe haven and homes- such an attack is perfect revenge.” তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয় , “ But the children are innocents, I asked . What about them, I asked ? এর জবাবে বলা হয় “ What about our kids and children,” “ These are kids of the U.S. backed Pakistani army and they should stop their parents from bombing our families and children.” “Those kids are innocent because they are wearing a suit and tie and western shirts ? But our kids wearing Islamic shalwar kamiz do not come before the eyes of the media and west.”


পাকিস্তানের উপজাতীয়দের সাথে সরকারের সংঘর্ষ

নতুন না । এটি অনেক পুরাতন এবং এটির জন্য দায়ী পাকিস্তান সরকার । এর পিছনে মূল কলকাঠি নেড়েছে সি আই এ । পাকিস্তানী উপজাতী এলাকাতে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন ছিল না এবং এখন নেই । এটি কবিলা শাষিত অঞ্চল । আর আফগান তালিবানের বন্ধু , বিপদের সময় সমস্ত মুজাহিদিনদের জন্য নিরাপদ ঘাটি ।

আর এটিই আমেরিকার জন্য বড় প্রবলেম । তাদের পথের অনেক বড় বাধা এই টিটিপি ।

টিটিপির সফলতাঃ

*আফগানিস্তানের সি আই এ এর উপর সবচেয়ে বড় যে হামলাটি হয় যার নাম অপারেশন খোস্ত সেটির মূল হাত এই পাকিস্তানি তালেবানের ।

* আমেরিকার কনভয় গুলোতে হামলার মূল শক্তি এই পাকিস্তানি তালেবানেরাই

* আল কায়েদা গঠন হয়েছে এই উপজাতী এলাকাতেই ।

* ওসামা বিন লাদেনকে বিপদের সময় ভায়ের মতো বুকে টেনে নিয়েছে এই পাকিস্তানি তালেবানই ।

আর একারনে পাকিস্তানি তালেবানের উপর আফগান তালেবানের চেয়ে বেশী ক্ষোভ আমেরিকার ।

একের পর এক ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এদের বিরুদ্ধে ।সবচেয়ে বেশি ড্রন হামলা হয় এই পাকিস্তানি তালেবানের উপরই ।

সময় সংকটে পাকিস্তানি তালেবানের সাথে সেনাবাহিনির বিরোধের শুরুটা লিখতাম, তবে লিখার ইচ্ছা আছে শীগ্রই

পাকিস্তানি তালেবানদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে না পেরে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে শত্রুরা । তার মধ্যে বিভিন্ন জন্সমাগমে হামলার পর মিডিয়া দিয়ে তা তালেবানের নামে চালিয়ে দেওয়া , বিভিন্ন মসজিদে হামলা চালিয়ে তালেবানের দোষ দেওয়া । কিন্তু এ ব্যাপারে তালেবানের স্টেটমেন্ট প্রকাশ করে না মিডিয়া ।

পেশোয়ারে এই ঘটনার স্টেটমেন্ট ও পুরোটা প্রকাশ করেছে এরকম একটা মিডিয়া দেখলাম না ।

বিষয়: বিবিধ

২৯৫৮ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

295419
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০৩
যা বলতে চাই লিখেছেন : আল্লাহ তাআলা সবাইকে হেফাজত করুণ। দ্বীনের খেদমতে সঠিক ভূমিকা রাখার তাওফিক দিন। আমিন।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৭
238910
জাতির চাচা লিখেছেন : আমিনApplause
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
238925
জাতির চাচা লিখেছেন : কারা এই তেহরীকে তালিবান (TTP) ??????

http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/5799/jatircaca/59176
295420
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৭

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : মাশাআল্লাহ!! এতেই প্রমান হয়ে গেল- আল্লা, মোহাম্মদ এবং ইসলামের ভবিষ্য উজ্জল।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৭
238909
জাতির চাচা লিখেছেন : তোর গলা কেটে উজ্জলতা বৃদ্ধি করা হবে
Liar
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৮
238911
ছালসাবিল লিখেছেন : =D বাহ বাহ Applause মাশাআল্লাহ বলা শিখেছো
লাভইউ কুটুকুটু Love Struck
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
238916
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৫
238934
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ছালসাবিল ভাই, এতো সু-সংবাদ। হাল ছাড়বেন !! মাশাআল্লাহ বলা শিখেছে, বাকিটা ও হবে ।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২১
239019
জাতির চাচা লিখেছেন : বিয়া মোবারক Tongue Tongue
295430
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৯
ছালসাবিল লিখেছেন : মাকারু ওয়া মাকারাল্লাহ
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
238924
জাতির চাচা লিখেছেন : কারা এই তেহরীকে তালিবান (TTP) ??????

http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/5799/jatircaca/59176
295431
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : আসল সত্যটা জানতে পাড়লাম ধন্যবাদ । গভীর ষড়যন্ত্র চলছে Rose Rose
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০২
238923
জাতির চাচা লিখেছেন : কারা এই তেহরীকে তালিবান (TTP) ??????

http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/5799/jatircaca/59176
295437
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৯
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : যাই হোক, এই দরণের হামলা কখনো Acceptable না। ইসলাম Accept করে না।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৬
239021
জাতির চাচা লিখেছেন : এটা ব্যাখা বিভিন্নভাবে দেওয়া যায় । কায়িদাতুল জিহাদের সম্মানীত আমির শায়খ আইমান আল জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ উনার "জিহাদের সাধারন দিকনির্দেশনা" নামক বার্তায় এধরনের হামলা থেকে মুজাহিদ দের দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু আসল ব্যাপার হলো , এক স্থানে বসে আরেক স্থানের পরিবেশ বুঝা দুস্কর । টিটিপির টার্গেট শুঢু সেনাসন্তান হলে ১ জনই এনাফ ছিলো ।

প্রত্যেকটি ঘটনা পিছনে হয় ভুল না হয় আরেকটি ঘটনা থাকে । এখনে কি হয়েছিল আল্লাহই ভালো জানেন ।

তবে এই ঘটনা ভবিষ্যত বিশ্বের ইতিহাসে মোড় চেংঞ্জ করে দিবে বলে মনে হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৭
239022
জাতির চাচা লিখেছেন : কারা এই তেহরীকে তালিবান (TTP) ?????? http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/5799/jatircaca/59176 পড়ার অনুরোধ থাকলো
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৪২
239090
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ৭ম শতকে মুসলমানরা যখন দুর্বার গতিতে ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক তখন কিছু নামদারি মুসলমান( আসলে মুনাফেক) সেটার লাগাম টেনে ধরেছিল। এর পর ১৪০০ সালের দিকে কিছু মুনাফেকের জন্য ইউরোপে মুসলমানদে রেনেসাঁর সূর্য অকালে অস্তমিত হয়ে যায়।
আজ আবারও, যখন ইউরোপ জুড়ে মুসলমানদের রেনেসাঁর সোনালী সূর্য উদিত হয়ার সন্ধিক্ষণে, ঠিক তখন চরমপন্থি SISI এবং তালেবান নামক কিছু গোষ্ঠী নিজেদের অজান্তেই, কাফেরদের হাতের কিড়ণক হিসাবে কাজ করছে। রুখে দিচ্ছে ইসলামের বিজয়।
১/১১ যতই না ক্ষতিকর ছিল তার চেয়েও ১০ গুণ দেশি উপকার করেছে। কিন্তূ সিসি এবং তালেবানদের এই সব আত্নঘাতি কর্ম কান্ড তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে। সেনা ক্যাম্পের ভিতরেই যখন ডুকতে পেরেচ, তখন নিষ্পাপ শিশুদে না মেরে, পারলে আমেরিকান সেনাদের উপর হামলা করতে পারতে। সেটাই হত বীরপুরুষের কাজ কিন্তু তা না করে কাপুরুষের মত নিরীহ শিশুদের ------ ছি ছি ছি----- তোমাদের মুসলমান বলতে আমার আপত্তি আছে।
295439
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৭
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৭
239023
জাতির চাচা লিখেছেন : ধন্যবাদ
295457
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : আমারও তাই মনে হয়। যেমন হয়েছিল সেনাবাহিনী কর্তৃক লাল মসজিদ দখল করতে গিয়ে সেখানে সেনাবাহিনীর হাতে অনেক নারী শিশু ও মাদ্রাসার ছাত্র নিহত হয়েছিল সেনাবাহিনীর হাতে। এখানেই তাই হযেছে মনে হয়। তবে আপনার বিশ্লেষনটি ভাল লাগল।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩০
239024
জাতির চাচা লিখেছেন : এই ঘটনায় একটা ঘটনা অষ্পষ্ট যে টিটিপির হাতে কয়জন মারা গেছে আর পাক বাহিনীর হাতে কয়জন । ভবন পূর্ণদখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে অবশ্যই স্টুডেন্ট নিহত হয়েছে
295476
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৪
আল সাঈদ লিখেছেন : অন্ধকারে থাকলে আমেরিকার এই কুটনীতি বোঝা কঠিন হবে আর নিজেরা নিজেরাই ধ্বংস হবে।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩২
239025
জাতির চাচা লিখেছেন : আমেরিকার কূটনীতি বোঝার জন্য আমরা রয়ার্টস কিংবা সি এন এন এর মুখাপেক্ষী নয় । আর যদি ভাবে ১৫০ কোটি মুসলমান সবার ঈমানী চেতনা ঠিক আছেতবে ভুল ভাবছেন
295492
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
239026
জাতির চাচা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
১০
295534
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটা ক্যাডেট কলেজ নয়। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল। ক্যাডেট কলেজ হলেও এই হত্যাকান্ড সমর্থনযোগ্য হয়না। এরা কোন অপরাধ করেনি। এদের পিতারা অপরাধ করেছে বা এরা ভবিষ্যতে করবে কোন যুক্তি হতে পারেনা।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
239027
জাতির চাচা লিখেছেন : এটা ব্যাখা বিভিন্নভাবে দেওয়া যায় । কায়িদাতুল জিহাদের সম্মানীত আমির শায়খ আইমান আল জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ উনার "জিহাদের সাধারন দিকনির্দেশনা" নামক বার্তায় এধরনের হামলা থেকে মুজাহিদ দের দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু আসল ব্যাপার হলো , এক স্থানে বসে আরেক স্থানের পরিবেশ বুঝা দুস্কর । টিটিপির টার্গেট শুঢু সেনাসন্তান হলে ১ জনই এনাফ ছিলো ।

প্রত্যেকটি ঘটনা পিছনে হয় ভুল না হয় আরেকটি ঘটনা থাকে । এখনে কি হয়েছিল আল্লাহই ভালো জানেন ।

তবে এই ঘটনা ভবিষ্যত বিশ্বের ইতিহাসে মোড় চেংঞ্জ করে দিবে বলে মনে হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
239028
জাতির চাচা লিখেছেন : কারা এই তেহরীকে তালিবান (TTP) ?????? http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/5799/jatircaca/59176 পড়ার অনুরোধ থাকলো
১১
295920
২০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১৬
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : চাচা আপনাকে ধন্যবাদ। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অজানা প্রশ্নের উত্তর আপনার লেখাতে উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে আরো গভীরে গিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা সময়ের দাবী রাখে। এসব ঘটনাগুলোর পেছনের ব্যাগ্রাউন্ট এবং পটভূমি জানা না থাকলে সাধারণ নবীন পাঠক এবং দর্শক মাত্রই বিভ্রান্ত হয়ে যা মুখ দিয়ে আসে তাই বলে তালিবানদের কর্মকান্ডের ঘৃণাভরে ধিক্কার দিতে থাকবে।
বিগত ষাট বছরের পাক আর্মির গঠন ও তাদের ইতিহাস এবং তাদের নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে নবীন প্রজন্মকে জানতে দেয়া হচ্ছে না।
আমাদের দেশেও এক ধরণের ধুর্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবি আছে যারা ৭১ সালের পাক আর্মির কিছু নরঘাতকের গনহত্যা চালানোর ঘটনাগুলোকে বাইপাস করে তাদের এদেশীয় কোলাবরেটরদের দু’চারজনের কথিত বিচারের নাটক সাজিয়ে পাক আর্মির নরহত্যার ইতিহাসকে বেমালুম ভূলিয়ে দিয়ে তাদের কৃত অপরাধের দায়ভার নিরাপরাধ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর চাপিয়ে দেয়ার দেশের ক্ষমতাচর্চাকারীরা সব কিছু লেজেগোবরে অবস্থা সৃস্ট করেছে।
তালিবানদের হামলাটি নিঃসন্দেহে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা। কিন্তু যারা যে কারণে এসব নিষ্ঠুরপন্থা বেচে নিচ্ছে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলছে না। খ্রীস্টান ঘরে জন্ম নেয়া রহস্যময়ী বালিকা মালালা ইউসূফজাই এর ব্যাপারে যুগের ধাপটওয়ালা মিডিয়াগুলো যেভাবে হৈ চৈ শুরু করে থাকে সেভাবে পৃথিবীর অন্যন্যা অঞ্চলের মৌলিক ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত শিশুদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করে।
১২
297196
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৩৩
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মানুষের বোধের জায়গাটি যদি সব কিছু বিশ্লেষনের যোগ্যতা না রাখে, তাহলে তাকে বুঝানো বড়ই কষ্ট। ইসলাম সম্পকে অশিক্ষিত মুসলানরা ইসলামের জন্য আত্মঘাতী জনগোষ্ঠী। দু"খজনক হল, মুসলিম নামে শিক্ষিত লোকগুলো ইসলামের চেয়ে মার্ক লেলিন মা্ওসেতুঙ আর এ্যারিষ্টটলকে নিয়ে বেশী গবেষনা করায় ইসলামের অপুর্নাঙ্গ জ্ঞান নিয়ে ইমানদারীর সাথেই ইসলাম বিরোধী কাজ করে। আজকের পাকিস্তান বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব মুসলিম দেশের নাধারী শাসকরা কেউ প্রাকটিসিং মুসলমান নয়। এরা আমেরিকার উলঙ্গ সভ্যতা প্রতিষ্ঠায় পোষ্য দালাল। তাই মুসলমান হয়্ওে তারা যখন বলে হুজুরেরা খারাপ তখন মিডিয়া সেটাইসে সত্য মনে করে। আফগানিস্তান, পাকিস্তানে ঘটিত সমস্যা একই সুত্রে গাথা। ব্যারাকের আর্মিদের অধিকাংশই জানোয়ারের চেয়ে কোন অঙশে উত্তম নয়। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File