গ্রেট সালাদিনের ফিলিস্তিন জয়
লিখেছেন লিখেছেন জাতির চাচা ১৪ জুলাই, ২০১৪, ০৬:৪৩:৩৬ সন্ধ্যা
সুলতান সালাহউদ্দিন আয়ুবী দৃঢ় কন্ঠে ঘোষনা দিলেন, যারা ফিলিস্তিন অভিযানে আমার সহযোগী হবে না তাদের আমি স্বাধীন থাকতে দিবো না ।
সুলতান ফিলিস্তিন পুনরুদ্ধার করার ব্যাপারে বলেছিলেন , আমি অবশ্যই ফিলিস্তিন পুনরুদ্ধার করবো তবে আমার ভয় হচ্ছে আমাদের পরবর্তী মুসলিম শাষকেরা তা রক্ষা করতে পারবে না । তারা থাকবে নামে মুসলিম কিন্তু চিন্তা করবে খ্রীষ্ট্রানদের মাথা দিয়ে ।তারা থাকবে মুসলিম নেতা কিন্তু খ্রীষ্ট্রানদের পা চাটাকেই পূন্য মনে করবে ।
>>> দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ রনবীর ,কাফেরেরা আজও যাকে ভীতির সাথে স্মরন করে সেই গ্রেট সালাদিন ফিলিস্তিন জয়ের জন্য সরাসরি যান নি । তিনি বিচক্ষনের মতো তার তলোয়ার ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন সেইসব আমীর ওমরা দিকে যারা ঈমান বিকিয়ে খ্রীষ্ট্রানদের সাথে চুক্তি করে মদ নারী নিয়ে বসেছিলেন (বর্তমান মুজাহিদদের দিকে তাকালেই দেখা যায় তারা ফিলিস্তিনের ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন , তাদের অস্ত্র সেইসব দেশের তাগুতের উপর উঠেছে যারা ঈমান বিকিয়ে ক্রুসেডারদের কাছে ধর্না দিয়ে আজাদীর জিন্দেগী চাইছে )
সুলতান তার মুষ্টিমেয় সৈন্য নিয়ে দূর্বার বেগে আঘাত হানলেন সেই সমস্ত আমীর ওমরার রাজ্যের উপর যারা খ্রীষ্ট্রানদের সাথে আপোষ করেছিলেন । হলব ,মুশেল সহ ছোট বড় সকল দূর্গ জয়ের পড় ,নিজের ঘরবারি সুরক্ষিত করলেন এরপর তিনি নজর দিলেন ফিলিস্তিনের দিকে । তার দৃষ্টি অত্যান্ত বিচক্ষন ছিলেন যেটা প্রত্যেক ঐতিহাসিকই স্বীকার করেন । তিনি বিষধর সাপকে ঘরে রেখে বিষহীন সাপকে মারতে যান নি । তার দৃষ্টিতে এইসব ওমরার দল বিষধর সাপ ।ঘরের শত্রুই বড় শত্রু ।এই গাদ্দারদের জন্য যদি তিনি লড়াই না করতেন তবে যে ইসলামী মুজাহিদেরা প্যারিসের প্রাচীর থেকে ফিরে এসেছিলে তারা পুরো ইউরোপেই উড়াতো কালিমার নিশান । কিন্তু আফসুস ঘরের শত্রুদের দমন করতেই সুলতানের অর্ধেক জীবন পেরিয়েছে ।
>> আল্লাহর কসম আজও যারা ফিলিস্তিন মুক্ত করতে চায় তাদের সুলতানের পথই অনুসরন করতে হবে এবং সুলতানের চেয়ে অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে1* । ফিলিস্তিনি দূতাবাসে পাঁচশ টাকা ,অনলাইনে হাজার হাজার ইভেন্ট ,মানববন্ধন ,মিছিল করে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা যাবে না ।ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে প্রয়োজন একদল জিন্দাদীল মুজাহিদ যারা ঘরের শত্রুদের পরাজিত করে ঘর সুরক্ষিত করে ফিলিস্তিনের দিকে নজর ফিরাবে2* । যারা আজও বলেছেন যে আমাদের সময় এখন ঐক্যের বিভেদ ছেড়ে এক হয়ে কাফেরের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত ,আল্লাহর কসম আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন মুনাফিক গাদ্দারদের সাথে ঐক্য কিংবা তাদের ছেড়ে দেওয়ার ফল দেখে নিন (আপনাদের জন্য ইতিহাস একটি উত্তম শিক্ষা) । ঘরের শত্রুকে দুধ কলা দিয়ে ফিলিস্তিন জয়ে বের হবেন না ।কোন লাভ হবে না ।ফিলিস্তিন মুসলিম বিশ্বের অন্য কোন এলাকার মতো না যে কয়েকশ ফিদায়ি হামলা আর ছোট একটা বাহিনী দিয়ে জয় করবেন । এটা আমাদের যেমন পবিত্র স্থান তেমনি ইহুদী খ্রীষ্ট্রানদের জন্য পবিত্র স্থান । ঘটনা প্রবাহ বলে দেয় এটির বিরুদ্ধে যেকোন কঠোর হামলাতেই ধর্মের ধোয়া তুলে খ্রীষ্ট্রানেরা ক্রুসেড ঘোষনা করবে এবং এক যোগে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়বে । আপনি আগুনের উপর হাত দেওয়ার আগে দেখে নিন হাতটিতে প্রতিষেধক লাগানো আছে কিনা3* ।সুলতান ছিলেন এরকম বাস্তবতাবাদী যার ফলে মুষ্টিমেয় সৈন্য নিয়ে ঘরের গাদ্দারদের দমন করে ফিলিস্তিনকে জয় করেছিলেন ।এটাও জানা আবশ্যক ফিলিস্তিনের উপর হামলার জন্য সুলতানকে কতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে ।তবে ইনশাআল্লাহ খোরাসানের (আফগানিস্তান ) বাহিনীর জন্য রয়েছে সুসংবাদ । তারাই জয় করবে ফিলিস্তিন 4*
1* খ্রীষ্ট্রানেরাও লড়াই করবে জীবন বাজি রেখে ।ইহুদীরাও । তারা জানে এ এমন একটা লড়াই যেটাতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে । ইহুদীদের গ্রন্থে এটিকে লড়াই বলা হয়েছে ।এবং এর জন্য ফিলিস্তিনে গাছ লাগাতে বলা হয়ে যেন গাছের আড়ালে থেকে তারা যুদ্ধ করতে পারে ।
মুসলিমদের বড় ত্যাগ স্বীকার করতে হবে কারন সালাদিনের প্রায় সম শক্তি (অস্ত্র) থাকার পর অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে সেখানে বর্তমানে মুজাহিদ বনাম ক্রুসেডের অস্ত্র (0.5 -100 প্রায়) ।
2* বর্তমান সময়ের দিকে তাকালে দেখা যায় একটি দল এই কাতারে পড়ে । যারা সেই সকল গাদ্দার রাষ্ট্রনেতা ,রাষ্ট্রের বাহীনির বিরুদ্ধে লড়াই করে ফিলিস্তিনের পথ সহজ করেছে ।সেটা হলো গ্লোবাল জিহাদের আন্ডারের সকল দল ।
3* আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই , ইবনে সাদেক (মুহাম্মদ বিন কাসিম যাকে পালানোয় সহায়তা করেছিলেন ) , আবুল কাসেম (স্পেন) , মীর জাফর (বাংলা) সহ হাজারো গাদ্দারের নাম উল্লেখ করা যায় ইতিহাস থেকে ।এছাড়াও বর্তমান যুগে সমস্ত গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রধান ,সৌদি বাদশাহ সহ সকল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী ওমরা ।
4*আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত , “রাসুল(স) বলেছেনঃ”খোরাসানহতে কালো পতাকা ধারী লোক বের হবে যাদেরকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না যতক্ষন না তারা বায়তুল মোকাদ্দাসে বিজয় পতাকা ওড়াবে।”
এছাড়াও গ্লোবাল জিহাদের ব্যাপারে আরো বিভিন্ন সংশয়ের উত্তর পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন cacablog1.wordpress.com
বিষয়: বিবিধ
১৯১৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন