মুজাহিদদের জীবনীঃ ১
লিখেছেন লিখেছেন জাতির চাচা ৩১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৫৮:১৩ সন্ধ্যা
মুজাহিদদের জীবনীঃ ১
শহীদ আম্মার আল-ওয়াইলিঃ একজন দৃঢ় মুজাহিদ
আম্মার আল-ওয়াইলি তাঁর জীবনের খুব ছোটবেলা থেকেই জিহাদের রাস্তায় পথ চলা শুরু করেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন ইয়েমেনের মুজাহিদীনদের একজন আমীর যিনি সা’দার অঞ্চলে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প খোলার জন্য শাইখ ওসামা কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
এটাই সেই জায়গা যেখানে এই যুবক তাঁর জীবনের শুরুর দিকের দিনগুলো কাটিয়েছেন। তিনি যৌবনে আফগানিস্তানে গিয়েছেন এবং সেখানে বছরব্যাপী ভাইদের সাথে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ও যুদ্ধ করেছেন।
আম্মার অস্ত্রের মাঝে বড় হয়েছেন এবং ভাইয়েরা স্বীকৃতি দিয়েছেন যে অস্ত্র ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে তিনি সবচেয়ে উত্তম ছিলেন। যুদ্ধক্ষিত্রে তিনি ছিলেন সিংহ। তাঁর কোন মৃত্যুভয় ছিলো না। তিনি এতই বিশ্বস্ততার সাথে অস্ত্র চালনা করতে পারতেন যে, মনে হত গ্রেনেড লাঞ্চারের স্টীলের শক্ত পাত, মর্টার অথবা বিমান বিধ্বংসী কামান তাঁর হাত হতে রেহাই পাবার জন্য কাঁদছে।
তাঁকে জিনজিবার চারপাশের এলাকাগুলোতে শত্রুপক্ষকে দূর্বল করে সেখানে নিজেদের উপস্থিতির ক্ষিত্র প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। তিনি শত্রুপক্ষির উপর অনবরত মর্টার নিক্ষিপ করতেন, মেশিন গান আগুনের বৃষ্টিতে তাদের জ্বালিয়ে দিতেন, আর পি জি দিয়ে তাদের গতি রোধ করতেন, দিনে চার থেকে পাঁচটি অপারেশন চালাতেন। আম্মার একাই ছিলেন একটি সেনাবাহিনী। তিনি একাই শক্তহাতে সরকারী বাহিনীর প্রতিরোধবুহ্য ভেঙ্গে ফেলেন এবং শহরটাকে আক্রমনের জন্য প্রস্তুত করলেন। তিনি ছিলেন সক্রিয়, অনমনীয়, সাহসী এবং চরম দুঃসময়েও তিনি মেজাজ ঠান্ডা রাখতে পারতেন।
সম্মুখ সমরে আম্মার একটি বুলেট দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন যা তাঁর কণ্ঠনালী ভেদ করেছিল। ক্ষত নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত ভাইয়েরা তাঁকে বিশ্রাম নিতে বললেন কিন্তু তিনি অগ্রাহ্য করলেন। তাঁর কণ্ঠ ক্ষীন হয়ে আসছিলো, ক্ষত কঠিন রোগের রূপ নিচিছলো এবং এটা দেখে মনে হলো যে তা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছিলো। ভাইয়েরা তাঁকে বললেন যে তাঁকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে এবং তাঁর চিকিৎসা নেয়া উচিত কিন্তু তিনি রাজী হলেন না। কয়েকদিন পর আদেন আসার পথে জিনজিবার দিকে অগ্রগামী একটি বাহিনীর উপর যখন কামানের গোলা নিক্ষিপ করা হচ্ছিলো, একটি আমেরিকান ড্রোন মিসাইল তাঁকে ও তাঁর সহযোগী আবু জাফর আল-আদেনীকে আঘাত করে,ফলে তাঁরা শহীদ হয়।
আম্মার যৌবনে শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যে কয়েক বছর বেঁচে ছিলেন, তিনি যা করেছেন অন্যরা তা কয়েক যুগেও করতে পারতো না।
মহান আল্লাহ আম্মারকে দয়া করুন, তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং শহীদদের কাতারে শামিল হওয়ার তৌফিক দান করুন।
গুরাবা মিডিয়া ডট ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম থেকে সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১৩৬২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শহীদের মর্যাদা চাই আল্লাহ আমাদের কবুল করুন।
রসুল (সা) বার বার শহীদ হতে চেয়েছেন তাই মুসলিম হিসেবে আমিও চাই ইনশাআল্লাহ কবুল করার মালিক আল্লাহ।
শহীদ হতে চাই ইয়া আল্লাহ কবুল করো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন