হ্যাল্লো জানু. . . . . .
লিখেছেন লিখেছেন জাতির চাচা ২০ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:৩০:৩৭ দুপুর
- হ্যাল্লো , আর কতক্ষন দাড়ায়ে রাখবে ? আমার প্রায়ভেট শেষ । মোড়ে দাড়ায়ে আছি ।জলদি আসো ।
- এই যে হয়ে গেছে যাচ্ছি । আর একটু থাকো ।
ফোনটা কেটে ব্যাগে রাখতেই আবারও বেজে উঠলো ।
স্ক্রিনে দেখলো অভির নাম্বার ।
হঠাত্ রিনির মনে পড়লো আজকে অভির সাথে পার্কে যাওয়ার কথা ছিল । ওদিকে সুমনও ওয়েট করছে এদিকে অভি । রিসিভ করলো ,
- হাই রিনি । জানু আমি পার্কে এসেছি তুমি কোথায় ?
- থ্যাকংস জানু আমি যাচ্ছি একটু ওয়েট করো ।
ফোনটা কেটেই আবারও ফোন করলো সুমনকে ।
- হ্যালো জান সরি আমি যেতে পারছি না । আম্মু ফোন দিছিলো জলদি বাসায় যেতে বললো । মন খারাপ করো না প্লিজ ।
- ধূর দিনটায় মাটি । ওকে কাল মিস করবা না ।
- ওকে ।বাই ।
রিক্সা নিয়ে পার্কে আসলো রিনি । অভিকে খুজে নিয়ে নির্জনে বসলো । অনেক ইন্জয় করলো ।
ওদিকে সুমন রিনির সঙ্গে কথা শেষ করে ভালো না লাগায় পার্কে যেতে মনস্থির করলো ।
একটা গাছের নিচে বসে প্রকৃতি দেখছিল । হঠাত্ একটু দূরে দেখে একটা ছেলে একটা মেয়ে জড়াজড়ি করে বসে গল্প করছে । মেয়েটাকে রিনির মতোই মনে হচ্ছে । তবে শিউর হতে পারছে না । ফোনটা হাতে নিয়ে আবার থেমে গেলো ।
সুমন খুব ভালোবাসে রিনিকে । অনেক ভালোবাসে । সে কোনদিনই কল্পনায় করতে পারে নি রিনি অন্য একটা তাকে ফাকিঁ দিয়ে ছেলের সাথে . . . . নাহ আর চিন্তা করতে পারছে না । মাথাটা ঝিমঝিম করছে ।
উঠে পড়লো পায়ে হাটা পথে । চলে যাবে সে । ওদিকে রিনি এবং অভিও উঠে আসলো । একবারে মুখোমুখি ।
সুমনকে দেখেই রিনি বলে উঠলো আরে সুমন ভাই যে । কোথায় এসেছেন ?
সুমন ভারী গলায় বললো পার্কে এসেছি ।
রিনি সুমনকে বললো এটা (অভি) আমার কাজিন । অনেক দূরে থাকে । বেড়াতে এসেছে তাই আমাদের এলাকা দেখাচ্ছি ।
অভিকে বললো ভাইয়া এইটা হলো আমার বান্ধবীর ভাই ।
বিদায় নিয়ে উভয়ই চললো নিজ পথে ।
অভি ব্যাপারটা অবিশ্বাস করেনি কিন্তু সুমন বিশ্বাস করেছে বলে মনে হয় না । অভিকে বলেছে যদি তাকে ভাইয়া না বলতো তবে সবাই জানতো । অভি মেনে নিয়েছে যুক্তিটা ।
সুমনকে বলেছে যদি তাকে ভাইয়া না বলতো তবে অভি তার আম্মুকে বলে দিতে পারতো ।
সুমন শুধু শুনেছে । কিছু বলে নি । আর ভেবেছে হায় মেয়েরা এতোটা অভিনয় করতে পারে ? ?
অভি রিনির না হয় কাজিনই হয় কিন্তু তার চোখের সামনে অভি আর রিনির অন্তরঙ্গ মুহুর্তটা . . . . . . . .নাহ ভাবতে পারছে না সুমন ।
উঠে দাড়ালো সুমন । ফোন থেকে রিনির নাম্বার ডিলিট করলো আর সিমটা ভেঙ্গে ফেললো । বাজারে গিয়ে একটা নতুন সিম কিনে বাসার রাস্তায় নামলো ।
এশার আজান কানে পড়তেই অন্যরকম অনূভূতি হলো । সালাতের দিকে এসো আহবানে মনটা মসজিদে যেতে টানলো । অজু সেরে সালাতে গেলো । মহান প্রভুর দরবারে সেজদায় পড়ে ক্ষমা চাইলো ।
মসজিদ থেকে বেড়িয়ে সুমন অন্য মানুষে রুপান্তরিত হলো । এর পরেও রিনি যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্তু সুমন সাড়া দেয় নি । কারন সে সত্যপথে যাত্রা শুরু করেছে । যেপথে আছে শুধুই নির্মল শান্তি । আল্লাহর প্রত্যেক আদেশ মানার পরে যে প্রশান্তি পাওয়া যায় তা জাগতিক সকল শান্তিকে হার মানায় ।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন