সাবধানতা ,সতর্কতা ও আসন্ন অনলাইন যুদ্ধের আহ্বান ও এর ব্যাখা

লিখেছেন লিখেছেন জাতির চাচা ১১ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:৩৮:২৪ রাত

সাবধানতা ,সতর্কতা ও আসন্ন অনলাইন যুদ্ধের আহ্বান ও এর ব্যাখা

আসসালামু আলাইকুম । সম্মানীত ফেসবুকীয় ইসলামপন্থি ভাইস্তা ও ভাইস্তীরা তোমরা লক্ষ্য করেছ কিনা জানিনা তবে আমি একটা জিনিস খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করেছি সেটা হলো এখন অনলাইনে যুদ্ধ পরিস্থিতি এসে গেছে ।

এযুদ্ধ হবে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে । ওরাও মুসলিম আমরাও মুসলিম ।ওদের স্লোগান নারায়ে তাকবীর আমাদেরও তাই । ওদের বন্ধু নাস্তিক ও আওমীলীগ আমরা বন্ধুহীন ।

বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে নিশ্চয় ?

বেশ কয়েক মাস থেকে ধীরে চলার পর এখন জেগে উঠেছে এক শ্রেনীর নাস্তিক সার্পোটার কওমী নামধারী এক্টিভিস্ট । তাদের টার্গেট জাকির নায়েক ,মওদূদী ও জামায়াতে ইসলামীর কিছু বিতর্কিত বিষয় । যেটা ডেট এক্সপিয়ার । বিভেদ সূচনাকারী হিসাবে একজনকে টার্গেট করেছি । আর গ্রুপ টার্গেট করেছি দুইটা ।

ভাইস্তারা ! সবাই যখন ঐক্যবদ্ধ তখন এরা ফতওয়া দিচ্ছে নাস্তিকের চেয়ে জামায়াতে ঠেকানো জরুরী । Big Grin

নিজেদের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র পরিচয় দিয়ে সারাদিন এর ওর পিছনে খোচা মেরা বিভেদ বাড়াচ্ছে ।

এমতবস্থায় কিছু জামায়াত পন্থি এক্টিভিস্ট একা একা লড়ছে কিন্তু সুবিধা পাচ্ছে না । এরা লিংক ছড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক আকারে হট্টগোল করছে ।

তয় এমতবস্থায় ঐক্যের পক্ষের শক্তি হিসাবে আমি চুপ থাকতে পারলাম না । তাই সবার কাছে দুইটা প্রস্তাব দিচ্ছি

১। যুদ্ধ

২। আপোষ

কারনঃ যখন অঙ্গে ক্যান্সার ধরে তখন কেটে ফেলায় উত্তম । আর অপারেশনে ভালো হলে তো ভালোই ।

আজ দেখলাম এক নাস্তিক ও তথাকথিত সুশীলও তাদের সাথে যোগ দিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে লেগেছে ।

যাই হোক আর ছাড় নাই । কওমী ভাইদের কাছে শুধু কয়েকটা জিনিস বলতে চাই ।

আমিও মানি জামায়াতে অনেক ভুল আছে । এর চেয়ে কমভুলের দলও আছে । তবুও অন্যদের অপরিপক্কতায় জামায়াতকেই সাপোর্ট করতে বাধ্য হয়েছি ।

জামায়াত কওমীকে শত্রু ভাবে একথা মানতে আমি অপারগ । অন্ধ অনুসরন নয় জেনে বুঝে অনুসরন করুন ।

এই তথাকথিত কওমীদের নাস্তিকদের দালাল বলতে যারা অপারগ তাদের কাছে প্রশ্নঃ

১। নাস্তিক ইস্যু হাইড করে মওদূদী এবং জাকির নায়েককে নিয়ে বিভেদ তৈরি হলে এতে কার লাভ ?

২। ঐক্য ছিন্ন বিছিন্ন হলে কার লাভ ?

৩। শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়টা ভাইয়ের বিরুদ্ধে লাগালে কার লাভ ?

৪। তরুন প্রজন্মের মাথায় কচু ঢুকিয়ে কার লাভ ?

উত্তরঃ এথিস্টদের ।

আর যারা এথিস্টদের উপকার করতে গিয়ে মিল্লাতের ক্ষতি করে তারা আর যাই হোক দালাল ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না ।

আগেও বলেছি এখনও বলছি পথ দুটা । এক, সব বিভেদ মেনে নিয়ে ঐক্য । দুই , একবারে হক্কপন্থি একটি দল নিয়ে এগোনো ।

প্রথমটি থেকে দ্বিতীয়টি সম্ভব । আর ডাইরেক্ট ২য় টি অসম্ভব । কারন হক্কপন্থী দল কল্পনা ছাড়া সম্ভব নয় ।[ এটার সাথে একমত না হলে ইনবক্স প্লিজ ]

যার যেটা ইচ্ছা গ্রহন করুন । দায় আপনার ।

আর একটা কথা ইসলামের জন্য এবং ইসলামী স্বার্থরক্ষার জন্য নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে তরবারি চালাতে দ্বিধা করি না ।

সবার কাছে একটাই দাবি চাই ঐক্য । অথবা যুদ্ধ ।

অনেকে আমাকে বলে চাচা চরমনাইয়ের ব্যাপারে আপনি এত পোস্ট দেন আপনি আবার কেমনে ঐক্য চাইবেন ?

উত্তরঃ যে নিজেকে একবারে হক্কের দাবি করে প্রচার চালায় আর নিজে হক্কের উপর নেই তাকে আমি ছাড় দেই না । আর চরমনাইয়ের ব্যাপার প্রতিটি পোস্ট তাদের নেতাদের হাস্যকর দাবি অনুসারে লিখা ।এব্যপারে বিডিটুডে ব্লগে বিস্তারিত আছে ।

যা হবার হয়ে গেছে । শেষ সময়ে আবারও বলছি নিজেদের বিভেদ ভুলে ইসলামের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হোন । নইলে আমরা "Operation Secret War For Muslim Ummah" এর পক্ষ থেকে যুদ্ধ ঘোষনা করতে বাধ্য হবো ।

হয় শান্তি

নয় যুদ্ধ

বেছে নাও কোনটি নিবে ।

বিষয়: বিবিধ

১৫৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File