ভন্ডপীরের মুখোশ উন্মোচনে জাতির চাচাঃ পর্ব ৩ পরিচ্ছেদ ৩(চরমনাই) 'অতীব গুরুত্ব পূর্ন লেখা'
লিখেছেন লিখেছেন জাতির চাচা ০৮ জুন, ২০১৩, ১১:২৯:৩৬ রাত
ভন্ডপীরের মুখোশ উন্মোচনে জাতির চাচাঃ পর্ব ৩ পরিচ্ছেদ ৩ (চরমনাই) 'অতীব গুরুত্ব পূর্ন লেখা'
নামকরনঃ ইসলামী (শাষনতন্ত্র ) আন্দোলন বাংলাদেশ নামে চরমনাই পীরের এ দলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৭ সালে ।
নামটি খুবই তাত্পর্য ময় । বাংলাদেশের প্রত্যেক ইসলামপন্থি দলের নেতারা তাদের বক্তব্যে বলে তারা ইসলামী আন্দোলন করে । এমনকি জামায়াতে ইসলামীর অনেক বক্তব্যেও এরকম কথা পাওয়া যায় । যেমন , ইসলামী আন্দোলন করতে গেলে অনেক জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে হবে । আসলে তারা তাদের দলের নাম ইসলামী আন্দোলন দিয়ে এখান থেকে বাড়াবাড়ি ও বিভক্তির শুরু করেছে । সবাই বলে আমরা ইসলামী আন্দোলন করি । কিন্তু তারা কৌশলে এই নামেই দল তৈরি করে ফেললো !
অদ্ভুত দাবিঃ এই ব্যাপারটি অতীব গুরুত্ব পূর্ন ।চরমনাই দাবি করে তারাই একমাত্র ইসলামের প্রকৃত অনুসারি অন্যরা বিপথগামী । অত্যান্ত আশ্চর্যের বিষয় এই দাবিটি বাংলাদেশের কোন দলই দাবি করেনি একমাত্র চরমনাই ও আওমীলীগ ছাড়া । আওমীলীগের এক নেতাও একই দাবি করেছিল ।
আসুন পোস্টমার্টেম কি বলে । তারা কেমন প্রকৃত ইসলামের অনুসারিঃ পরিচ্ছেদ এক এবং দুইটা আগে পড়ে নিন । ওটাতে তাদের ভন্ডামি ষ্পস্ট উল্লেখ করেছি । সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তারা নিজেদের প্রকৃত ইসলামের অনুসারি দাবি করলে ইসলামের শত্রুদের দেখিয়ে দেওয়া পথে চলেন । (প্রথমে বলে নিই নিচের অংশটি একমাত্র চরমনাই এর জন্যই প্রযোয্য ।কারন এ অদ্ভুত দাবি অন্য কোন দল করেনি । এখানে কেউ জামায়াতকে টানলে দায়িত্ব আপনার)
চরমোনাইয়ের নেতৃবৃন্দ পশ্চিমাদের থেকে ধার করা কুফরী গণতন্ত্রকে দ্বীন ক্বায়েমের পদ্ধতি হিসেবেবেছে নিয়েছেন। যে গনতন্ত্রের মাধ্যমে এম.পিবা সংসদ সদস্যদের আল-কোরআন-সুন্নাহ বিরোধীআইন প্রণয়নের অধিকার দেয়া হয় যা সুষ্পষ্ট শিরকএবং কুফর। কারণ আল্লাহতায়ালাই একমাত্র আইন-বিধানদাতা। ভাল নিয়্যতে কোন কুফরী পথ অবলম্বন করলে তা জায়েয হয়ে যায় না বা এর গুনাহ থেকেও অব্যাহতি পাওয়া যায় না।
তারা এদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যপদ গ্রহণ করে আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রণয়নে শরীক থেকেছেন যা একটি বড় কুফরীযা একজনকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এই ‘শিরকের আখড়া’ – সংসদ ভবনে সদস্যপদ নেয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক কাজে বড় শিরক ও বড় কুফর রয়েছেঃ
যেমনঃ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবার সময় এই দেশের কুফরী সংবিধানকে সম্মান ও মান্য করার শপথ নিতে হয়।
THIRD SCHEDULE; [Article 148]; OATHS AND AFFIRMATIONS
“I, ……………………….., having been elected a member of Parliament do solemnly swear (or affirm) that I will faithfully discharge the duties upon which I am about to enter according tolaw: That I will bear true faith and allegiance to Bangladesh: And that I will not allow my personal interest to influence the discharge of my duties as a member of Parliament.
http://www.pmo.gov.bd/pmolib/constitution/schedule3.htm
অর্থঃ “আমি, ………, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শপথ করছি যে, আমার উপর আইনের মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্বসমূহ বিশ্বস্থতারসাথে পালন করিবো, আমি বাংলাদেশের প্রতি সত্যিকার বিশ্বাস ও অনুগত্য পোষণ করিবো, আমি আমার ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য সংসদ সদস্য হিসেবে আমার উপর অর্পিত কর্তব্যকে প্রভাবিত করবো না”।
এই শপথে দেখা যাচ্ছে যে, এদেশে প্রচলিত ব্রিটিশ-কুফরী আইন অনুযায়ী সকল দায়িত্ব পালন করার শপথ নেয়া হচ্ছে। আর সেই দায়িত্বের মধ্যে আছেঃ সংসদে বসে সবাই মিলে আইন রচনা করা। আর এই কুফরী সংবিধান অনুযায়ী সেটা যে কোন আইন হতে পারে, আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধীও হতে পারে। বরং এইকুফরী সংবিধানের ৭(২) ধারায় বলা আছেঃ
“জনগণের অভিপ্রায়ের পরমঅভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানেরসহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানিবাতিল হইবে।”
অর্থাৎ এই সংবিধান অনুযায়ী আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেয়াআইনও বাতিল হয়ে যাবে, যদি তা এই সংবিধান বিরোধী হয়।এর চেয়ে বড় কুফরী-শিরকী কথা আর কি হতে পারে!!! আর এটা সুস্পষ্ট যে, কেউ যদি কোন কুফরী আইনকে সম্মান করার ও মান্য করার শপথ নেয়, সেটাও একটা কুফরী কাজ। (লেখাটা তাদের দাবির অসরতা প্রমানে যথেষ্ট । কিন্তু এটাতে পাঠকদের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যবে । পরবর্তী পর্বে এটা বিশ্লেষন করবো ইনশাআল্লাহ)
জামায়াত বিদ্বেষীঃ মাওলানা মওদূদীর ভুল এবং বিএনপির সাথে জোটের কারনে চরমনাই আওমীলীগের চেয়ে বড় জামায়াত বিদ্বেষী । মওদূদীর ভুল ও মরহুম পীরের ভেদে মারফত বইয়ের অনেক ভুল একরকম এবং কোনগুলো আরও গুরতর । জামায়াত বিএনপির সাথে জোট বেধেছে বলে জামায়াতের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমেছে তারা । অথচ মরহুম আমিনীর বিরুদ্ধে টু শব্দ করতে সাহস করে নি । কারন এটা করলে তাদের ব্যবসায় মন্দা পড়তো । একটা ইসলামপন্থি দল হিসেবে জামায়াতের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল চরমনাই । যদি কোনদিন ইসলামপন্থিরা ক্ষমতা পায় তবে সেটার পতন হবে চরমোনাইয়ের দাড়া ।
আওমীলীগের সাথে গুপ্ত সম্পৃক্ততাঃ আওমীলীগের অনেক নেতা কর্মীর মতো বক্তব্য দেয় চরমনোইয়ের অনুসারীরা যেটা উপরে উল্লিখত ।
তাছাড়া ,
শান্তিপূর্ন মহাসমাবেশ
লংমাচঁ ,
রাস্তাঘাটে খোলামেলা পথসভা , প্রত্যেকটা ইসলামী দলের উপর খড়গহস্ত থাকার পরও চরমোনাইয়ের উপর নমনীয়তা কিসের পরিচয় বহন করে ? আমি ভাবি এটা ওলামালীগের গোপন রিলেশনশিপের মাধ্যমে আধুনিক শাখা ।
এটাতে আরও স্পষ্ট হবে ।
১৯৯১ =-চরমোনাই পীরের দল থেকে একজন পার্লামেন্ট নির্বাচন করে ( বরগুনার হিরু মিয়া ) এম পি হওয়ার সাথে সাথে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়।
আরও কিছু বাকী আছে আগামী পর্বে জানাবো ইনশাআল্লাহ ।
তথ্যসূত্রঃ গুগল ,সামু ,বিডিটুডে , ইনকিলাব , গুরাবা মিডিয়া
শেয়ার করার অনুরোধ থাকলো ।
আল্লাহ আমাদের তার সত্য সুন্দর পথে চলার তৌফিক দান করুন আমিন ।
মেনশন সহ যৌক্তিক কমেন্টের উত্তর দিবো ।
বিষয়: বিবিধ
২৫৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন