ভন্ডপীরের মুখোশ উন্মোচনে জাতির চাচাঃ পর্ব ২

লিখেছেন লিখেছেন জাতির চাচা ০৭ জুন, ২০১৩, ০৯:৪৬:৪৫ সকাল

ভন্ডপীরের মুখোশ উন্মোচনে জাতির চাচাঃ পর্ব ২

মাইজভান্ডারীঃ

তাদের তরিকাঃ

* বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ইমামূল আম্বিয়া নূরে মোজাচ্ছম রসূলে করীম (দঃ) এর প্রচারিতশানি-র ধর্ম ইসলামের বাণীকেবিশ্ব মানবতার শানি-র জন্য বিবর্তনিক ধারায় তদ্বীয় খলিফা খোলাফায়ে মাইজভান্ডারী আওলাদে রাসূল (দঃ) বা তদ্বীয় উত্তরাধিকারীগণের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে প্রিয়নবী (দঃ) এর বেলায়াত শক্তি বিতরণের মাধ্যমে ত্রাণ কর্তৃত্ব ও কর্ম কর্তৃত্ব (গাউছিয়ত ও কুতুবিয়ত) জারি রেখেছেন ।

* অধ্যাত্মবাদ ইসলাম ধর্মের এক মৌলিক অনুষঙ্গ। অধ্যাত্মবাদ বা সূফীবাদ চর্চার দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় কোরান ও হাদীসের মৌলিক শিক্ষাকে আশ্রয় ও আত্মস্থ করে কালের বিবর্তনে অনেক তরিকার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

* মাইজভান্ডার দরবার শরীফঃ গাউছুল আজম হযরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) এরখোদাপ্রদত্ত আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় আকৃষ্ট হয়ে মানুষ তার কাছে ভীড় জমাতে থাকে। এভাবে একসময়ের ছায়া ঘেরা নিভৃত পল্লীগ্রাম ‘মাইজভান্ডার’ হযরত কেবলার খোদাপ্রদত্ত গাউছিয়ত ক্ষমতার প্রভাবে পরিণত হয় ‘মাইজভান্ডার দরবার শরীফে’।

* মাইজভান্ডার দরবার শরীফে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) এর রূহানী উত্তরাধীকারী বা সাজ্জাদানশীলঃ হযরত গাউছুল আজম আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) ওফাতের পূর্বে তার প্রিয় নাতি হযরত দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) কে মাইজভান্ডারী (কঃ) তার দরবারের আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকার নির্ধারনের সময় যে কালাম করেন তা প্রনিধানযোগ্য। তিনি বলেন, “আমার ‘দেলাময়না’ বালেগ! দেলাময়নাই আমার গদিতে বসবে”। স্বর্তব্য যে, হযরত কেবলা তার নাতি হযরত দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) কে আদর করে ‘দেলা ময়না’ ‘দাদাময়না’ বলতেন।

* মাইজভান্ডারের দেয়ালে ওরা লিখে রেখেছে ( আমি স্রষ্টার গুনে গুনাম্বিত, তাই প্রকৃতির মত নিরব। গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী) {যে কেহ আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করিবে আমি তাকে উন্মুক্ত সাহায্য দান করিব। আহমদুল্লাহ মাইজভান্ডারী} ইত্যাদি।

* মাইজভান্ডারী পীর গোলামুর রহমানকে স্রষ্টার গুনে গুনাম্বিত দাবি করে আললাহর একত্ববাদ ( তাওহীদ ) কে অস্বীকার করতে দেখা গেল। এভাবে ইসলামের মূল বুনিয়াদের প্রথমটিকেই তারাভেঙে দিল। এরপর অঘোষিত ভাবে নিজেকে খোদা দাবি করে প্রধান পীর আহমাদুললাহ আলহাসানী ঘোষণা করেছে যে কেহ আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করিবে আমি তাহাকেউন্মুক্ত সাহায্য করিব।

* জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি তার বাপ - ভাই - দাদার দাবিকে হার মানিয়ে উল্লেখ যোগ্য অন্তত ৬টি দাবি করে বসল। যথাঃ -

১। * আমার দরবার আন্তর্জাতিক প্রশাসন অফিস; যেখান থেকে এই বিশ্ব পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত।

২। ** এই বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ আমি ই তো চালাই।

৩। *** এই বিশ্বে কখন কোথায় কি হয়েছে, হচ্ছে, হবে সব আমার জানা।

৪। **** আকাশের উপরে বসে আমি সৃষ্টির কাজ কর্ম দেখি; উপরের দিকে আললাহর সাথে কথা বলি।

৫। ***** দুনিয়ার সব কিছু আমি ভেঙে চুরে ঠিক করি। মাইজভান্ডার শরিফ হায়াতের ভান্ডার, রিজিকের ভান্ডার , দৌলতের ভান্ডার, ইজ্জতের ভান্ডার। সুত্র মাইজভান্ডারমাজার থেকে প্রকাশিত ( শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ( কঃ ) ফিতরাত ওসিফাত , নবম সংস্করণ ,

প্রিয় পাঠক , উপরের পয়েন্ট গুলোতে নিজস্ব বক্তব্য খুব কম । আপনারা ইসলাম সম্পর্কে জানলেই তাদের ভন্ডামি ধরতে পারবেন ।

তাদের মাজারের ভন্ডামিঃবাইরের জেলাগুলো থেকে বিশেষকরে ওরসের সময় হাজার হাজার মুর্খ মানুষ সেখানে জড় হয়। ঢোল তবলা বাঁশি বাজিয়ে নারি পুরুষ একসাথে নেচে গেয়ে মাতিয়ে তোলে। পীর কে সিজদা করে , মহিষ, গরু, ছাগল পীরের নামে জবাই করে। রাতে পীরের নামে জিকির করে। কোথায় নামাজ কোথায় কি। ধর্মচ্চুত এমন ভাবে হয়েছে যে, দুরদুরান্ত থেকে অনেক মহিলা আসে সন্তানের পাওয়ার আশায় । এসে কিন্তু অধিকাংশ মহিলা সম্ভ্রম নিয়ে ফিরে যেতে পারেনা। গভীর রাতে মাজার এলাকার বন জঙ্গল থাকে লোকে লোকারণ্য। পার্কের মত যুবক যুবতীর জোড়া দেখা যায় অস্বাভাবিজক অবস্থায়। এলাকার মানুষ তাদের পুকুরে কাটা দিয়ে রাখে যাতে পানি নষ্ট না করে। বিশ্বাস না হলে১০ ই মাঘ এসে তামাশা নিজ চোখে দেখার অনুরোধ থাকল। আমাদের প্রয়োজন গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।

তথ্যসূত্রঃ মাইজভান্ডারী ডট কম ,গুগল ,সামু ,বিডিটুডে ব্লগ

শেয়ার করুন ।

আল্লাহ আমাদের তার সত্য পথে চলার তৈফিক দান করুন । আমিন ।

বিষয়: বিবিধ

২০০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File