জীবন হতে নেওয়া.................. পর্ব - ১
লিখেছেন লিখেছেন এ,এস,ওসমান ৩০ মে, ২০১৫, ১২:৩৫:১০ রাত
রশিদ সাহেব তার চার ভাই সহ তার চাচাতো ভাইরা সবাই রাজশাহীর হেতম খা ই থাকে। সবারই নিজস্ব বাড়ী। রশিদ সাহেবের চার সন্তান। দুই ছেলে ডাবলু,শহীদ আর দুমেয়ে বাবলি আর তৃষ্ণা। ডাবলুর পর দুই মেয়ে তারপর শহীদ।
রশিদ সাহেব একটা ছোট খাট চাকুরী করেন। ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য ভর্তি করে দিয়েছেন স্কুলে।আবার নিজে সন্তানদের যত্ন নিতে পারেন না বলে রেখেছেন টিচার।
টিচার বলতে রশিদ সাহেবের বাসায় কিছু যুবক ছেলে লজিং থাকতো। ছেলেগুলো চরিত্রবান।পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে। আর যখন রাস্তা দিয়ে যেত তখন সবসময় মাথা নিচু করে যেত। পরে তিনি জানতে পারেন ছেলেগুলো শিবির করে।
ছেলে গুলো শুধু রশিদ সাহেবের বাড়িতেই লজিং থাকে না, থাকেন তাঁর বড় ভাইদের বাসায়ও।
প্রথম যখন তারা জানতে পারেন ছেলেগুলো শিবির করে তখন তার মেজ ভাই লতিফ কিছুটা আপত্তি করলেও রশিদ সাহেরের আশ্বাসে কিছু করেন নি।
লতিফঃ না, না রশিদ। ওরা শিবির করে।ওদেরকে আমাদের বাসায় রাখা যাবে না। তা ছাড়া আমি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সাপোর্টার।আমি কি করে ওদেরকে আমার বাসায় রাখি।
রশিদঃ ভাই দেখুন, ছেলে গুলো অনেক ভাল। ওরা চরিত্রবান।রাস্তা দিয়ে যখন ওরা হেঁটে যায় তখন ওরা আমাদের মেয়েদের দিকে কখনও তাকাও না।আবার বাড়ির কোন প্রয়োজনে ওদের সাহায্য চাইলেও ওরা হাসিমুখে এগিয়ে আসে।আমরা কি শুধু ওদের শিবির বলে বাড়ি হতে বের করে দিব!
লতিফঃ কিন্তু......
রশিদঃ কোন কিন্তু না ভাইজান। আপনি ওদের নিয়ে আর কোন আপত্তি করেন না। ওদের বাড়ির খবর তো জানেন।কেউই উচ্চবত্ত পরিবার হতে আসে নি। যদি আমরা ওদের পাশে যদি না দাড়ায় তবে কারা দাঁড়াবে? আপনি কি তাদেরকে বের করে দিতে চাচ্ছেন,যারা ইসলামকে ভালবাসেছে?
রশিদ সাহেবের এই যুক্তির কাছে লতিফ সাহেব হার মেনে ছিলেন। এ ঘটনার পর তাঁদের বাড়িতে শিবিরের ছেলেদের আনাগোনা আরও বাড়তে লাগলো আর শিবিরের ছেলেদের চরিত্র দেখে তারা মনমুগ্ধ হতে লাগলেন।
( চলবে )
বিষয়: বিবিধ
১৫১১ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটা সত্য ইতিহাস বলার চেষ্টায় আছি।
“যতই চরিত্রবান হোক। শুধু বাড়ি থেকে নয়, প্রয়োজনে পুলিশ ডেকে তাদের হাতে তুলে দেব? এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে দেশ থেকে বের করে দেব?” এই হল অবস্থা..!!
গাপতে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু ----বিশ্বাস করা যায় না?
দেখি ঘটনার মোড় কোন্ দিকে যায়?
মন্তব্য করতে লগইন করুন