ওরা কেন এমন........................
লিখেছেন লিখেছেন এ,এস,ওসমান ২৬ মে, ২০১৫, ০৮:১৯:১৯ রাত
সারা দিন ভার্সিটি আর মেসে বসে থাকতে থাকতে খুব বিরক্ত হয়ে গেছি। আজ আছরের নামাযের পর ভাবলাম একটু ধানমন্ডি লেক হতে ঘুড়ে আসি। তাই দোকান হতে একটা কোল ডিংক্স কিনে লেকের দিকে হাটতে লাগলাম।ভাবলাম লেকে বসেই আরামে ডিংক্সটা শেষ করবো।
লেকের তাকওয়া মসজিদের পিছনে লেকের পাশে এসে বসলাম।দেখলাম একজন বৃদ্ধ মহিলা ছিপ দিয়ে মাছ ধরছে আর দুটো ৬-৮ বছরের মেয়ে লেকের পানিতে খেলা করছে।আমি কোল ডিংক্সের মুখ খুলে বেশ আরামেই খাচ্ছিলাম। ডিংক্সও প্রায় শেষের দিকে ঠিক তখন পুকুর হতে একটা মেয়ে উঠে এসে বললো, ভাইয়া দেন না ( হয় তো আগে আমাকে খেয়াল করে নি) আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম।আমি ভাবলাম ওকে একবার জিজ্ঞাসা করি তুমি আমার আঁটো খাবে? পরে আর করলাম না। কারন জানি ও তাও খেতে চাবে।
মাগরিবের নামায পড়ে আসার সময় ফুট-পাতের দোকান হতে সিঙ্গারা খাচ্ছিলাম।দেখলাম একজন বয়স্ক মহিলা কুজো হয়ে হেঁটে হেঁটে ভিক্ষা করছে।আমাদের কাছে কোন ভিক্ষা না পেয়ে হতাশ হয়ে সামনে হেঁটে যেতে লাগলো।
আমিও সিঙ্গারা শেষ করে বাসার পথ ধরলাম।কিছু দূর আসার পর হঠাৎ খেয়াল করলাম ঐ মহিলা এবার আর কুজো হয়ে হাঁটছে না।এবার বেশ স্বাভাবিক ভাবে হাঁটছেন।
দুটো ঘটনা দুরকম।কেউ জন্মের পরই শিখে হাত পেতে খাওয়া।আর কেউ সামর্থ থাকার পরও ছাড়ে না হাত পাতা।
বিষয়: বিবিধ
১১৪০ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর সামর্থবানদের ভিক্ষা না দিয়ে কর্মের পরমার্শ দেওয়াই সঠিক কাজ।
এরকমই একজন বয়স্ক লোককে হাতেনাতে ধরে, "চাচা আপনিতো কুঁজা নন?"
"বাবারে বাঁকা না হলে, কেউ ভিক্ষা দেয়না।"
উনার সরল উত্তর।
এরপর থেকে আর এটা নিয়ে ভাবি না, বরং মায়া লাগে। বয়স্ক ভিক্ষুকরা বেশীর ভাগই বাঁকা হয়েই ভিক্ষা করে থাকেন।
আসলে ভিক্ষা অনেক মানুষের কাছে পেশা হয়ে গেছে।
আর সে যে কোন সমস্যাগ্রস্ত বা নেহায়েৎ রোগী নয় সেটাতো আপনি নিশ্চিন্ত নন?
কি আর বলার আছে আসলে হঠাৎ সঠাৎ কিছু হয়ে যায় পড়ে একটা আফসোস আসে।
তবে নিচের ভিডিও টা দেখে মানুষকে আর বিশ্বাস হয় না
https://www.youtube.com/watch?v=ntHjQfvQi8k
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
দোয়া রাখবেন।
?
ধন্যবাদ কম্যান্ড করার জন্য।
সবাই প্রতারনা করে । ওরাও করে । কেউ মানুষের অসহায়ত্বকে কাজে লাগায় ।ওরা মানুষের আবেগ ও করুনাকে কাজে লাগায় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন