হায় রে মুসলমান, নামাজ না পড়লেও পাকা ঈমান!!!!
লিখেছেন লিখেছেন এ,এস,ওসমান ১৪ মে, ২০১৫, ০১:১৯:৫০ রাত
কোথাও যদি গোবর পড়ে থাকে তাহলে সেখান হতে ততটা গন্ধ পাওয়া যায় না যতটা গোবরের উপর পারা দিয়ে এদিক ওদিক করলে পাওয়া যায়।আর ঐ গোবর গুলো হল নাস্তিককেরা। আমরা এই সকল নাস্তিককে নিয়ে যত বেশি মাথা ঘামাবো ওদের গা হতে তত বেশি দূর্গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাবে।
যখন নাস্তিকদের কোন পোষ্ট আমাদের চোখে পরে তখন আমরা আমাদের ফ্রেন্ডদের ডেকে এনে ওদের ব্লগ ভিজিট করতে বলি এবং নাস্তিকদের গালি দিতে বলি। যেন পরবর্তিতে ঐ নাস্তিক যেন আমাদের প্রিয় নবী (সা) কে নিয়ে বাজে কথা বলার সাহস না পায়। কিন্তু আমাদের কাজে কর্মে কি নাস্তিকরা চুপ মেরে যায়?
কখনই না। তারা আরও, নিজেদের ব্লগে ভিজিটর বেড়ে যাওয়ার উৎসাহ নিয়ে ব্লগ লেখে।আসলে আমরা না বুঝেই আমাদের ধর্মের ক্ষতি করছি।
কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা নিজেদের সেলিব্রেটি করার জন্য ইসলামকে নিয়ে বাজে কথা লেখে। যাতে মানুষের কাছে সহজেই সে যেন বিষয় বস্তু হয়ে পড়ে। আর আমাদের বোকামির কারনে হয়ে যায় সে সেলিব্রটি।
এবার আসল কথায় আসি, তাহলে নাস্তিকরা নাস্তিকতা করবে আর আমরা চুপ মেরে বসে থাকবো?
আসলে না, আমরা বসে থাকবো না। ইসলামে নাস্তিকদের শাস্তি অনেক কঠোর। কুরান,হাদিস আর সাহাবাদের জীবনী হতে পাওয়া যায়,যারা নবী করীম (সা) কে গালি দেয় তাদের মারধর কর।আর যারা আল্লাহ তায়ালাকে গালি দেয় তাদের কতল কর।মানে যারা আল্লাহকে নিয়ে বাজে কথা বলে তাদের হত্যা করার কথা বলা হয়েছে।
সুতরাং তাদের হত্যা করতে হবে। প্রমানঃ
তবে এই শাস্তিগুলো তখনই বাস্তবায়ন হবে যখন এ দেশে ইসলাম প্রতিষ্টিত হবে। তাই সবার আগে আমাদের ইসলাম প্রতিষ্টিত করতে হবে।
আমাদের শরীরে চুলকানি আছে। যখন চুলকানি বাড়ে তখন আমরা আচ্ছামতন চুলকায় কিন্তু ভুলেও ডাক্তারের কাছে যায় না টাকা লাগবে বলে।
হয় তো ভাবছেন, আমি এ কথা বলছি কেন? আসলে আমরা বাঙ্গালিরা লাফাতে পছন্দ করি। যখন নাস্তিকরা আমাদের প্রিয় নবী( সা) কে নিয়ে বাজে কথা বলে, মুসলমানদের হেয় করে।তখন আমাদের বিবেক গর্জে উঠে।মনে হয় যেন, "নাস্তিক রেটা তুই কই? তোরে হাতের কাছে পাইলে কাইটা ফেলামু"।কিন্তু যখন মসজিদ হতে আজানের ধ্বনি নামাযে যাওয়ার জন্য আহ্বান করে তখন আমরা সবচেয়ে কমন অজুহাত দেখায় আমার কাপড় নাপাক।
হায় রে মুসলমান, নামাজ না পড়লেও পাকা ঈমান।
প্রথমে আমাদের মন মানসিকতা পরিবর্ত করতে হবে। আজ আমরা;এই সমস্যা, ওই সমস্যা বলে বহিঃদেশের মানুষের কাছে চিৎকার করি।
আরে ভাই থামেন,সকল সমস্যার সমাধান হল ইসলাম।ইসলামকে বুকে ধারণ করলে সব সমস্যা চলে গেছে।
এবার আসি,আমি কেন চুলকানির কথা বলেছিলাম। যখনই আমি দেশে ইসলাম প্রতিষ্টার কথা বলেছি তখনই এক শ্রেণীর মানুষের চুলকানি শুরু হয়ে গেছে। আসলে তারা সুবিধাবাধী। যদি দেশে কোন রকম ভাবে একবার ইসলাম প্রতিষ্টা হয় তবে তাদের সকল দূর্নীতি পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
তারা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে চিল্লাবে,আবার দেশে ইসলাম প্রতিষ্টিত করতেও দিবে না। অনেকটা চুলনাকির সময় চুলকাবে কিন্তু টাকার ভয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে না।
এধরনের মন মানসিকতা নিয়ে কখনই নাস্তিক মুক্ত দেশ গড়া সম্ভব না। যদি না আমরা সামগ্রিকভাবে ইসলাম প্রতিষ্টীত করার চিন্তা না করি তাহলে আমরা হালের বলদ, বলদই থেকে যাবো।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
সবাই ইসলামের ভয়ে নামাজ আর লন্বা দাড়িরওলার লেজ ধরে বসে থাকবে? ছাগু কোথাকার।
মনে রাখবেন, আপনারা যে সকল সমস্যা নিয়ে টেলিভিশনে টক শো করেন সে সকলের সমাধান একমাত্র ইসলাম।
খুবই জঘন্যো কাজ! গালিগালাজ সবসময় রিটার্ন করে নিজের দিকে।
আপনি প্রথমে যে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, তা কোন গ্রন্থ থেকে কোট করেছেন তার উল্লেখ নেই কেন?
আমি প্রথম হাদিসটা মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকা হতে পেয়েছি ওখানেই হাদিসটা কোন গ্রন্থ হতে নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করে নি। আমি পত্রিকাটি লিংক নিচে দিয়ে দিচ্ছি
http://www.at-tahreek.com/may2013/article0501.html
মন্তব্য করতে লগইন করুন