স্কুল লাইফের পুরানো কিছু সৃতি
লিখেছেন লিখেছেন এ,এস,ওসমান ১৩ মার্চ, ২০১৫, ০৪:২১:৫২ বিকাল
স্কুল লাইফের বেশ কিছু ঘটনা এখনো মনের দরজায় নাড়া দেয়।ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা,স্কুল ফাকি দিয়ে মাঠে খেলা বা সবাই মিলে স্কুল পালানো সত্যিই অনেক মজাদার ছিল আমার স্কুল লাইফে। ক্লাস সিক্সে যখন হাই স্কুলে ভর্তি হলাম;দেখলাম আমার সেকশনে বেশ কিছু পুরানো ফ্রেন্ড ভর্তি হয়েছে।পুরানো ফ্রেন্ডদের নিয়ে রসাল্য গল্প আর নতুন ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা বেশ ভাল ভাবেই ক'দিনের মর্ধ্যে জমে উঠেছিল। যখন ক্লাসের সকল ফ্রেন্ডের মর্ধ্যে আমাদের সম্পর্ক গাঢ তখন একদিন চিন্তা করলাম আজ সবাই মিলে টিফিন পালানো যাক।যে চিন্তা সে কাজ >- আমরা ক্লাসের ৫০ জনের মর্ধ্যে ৩৫-৩৮ জন টিফিনের পর গুম হয়ে গেলাম কিছু পণ্ডিত পোলাপান আমাদের সঙ্গ না দিয়ে থেকে গেল ক্লাসে।যার ফলে পরের দিন আমাদের ক্লাসে অনেক বকা শূনতে হল।ছোট বলে এ যাত্রায় স্যারদের মারের হাত হতে বেচে যায়।কিন্তু আমরা নির্ভিক যে কারনে ক্লাস সেভেন,এইট,নাইন প্রতি বছরের নূন্যতম একদিন আমরা সফল ভাবে স্যারের মারকে ফাকি দিয়ে দলগত ভাবে টিফিন পালাতে সক্ষম হই।
যখন ক্লাস টেনে পড়ি তখন আমাদের ক্লাসের ক্লাস টিচার ছিলেন মকলেস ওয়ান স্যার (স্কুলে আরও একটা মকলেস নামে স্যার থাকায় আমাদের ক্লাস টিচারের নাম মকলেস ওয়ান )। স্কুলের মর্ধ্যে অনেক ডেঞ্জারাস স্যার।তার সময়ে আমরা স্কুল ফাকি দেওয়ারই চিন্তা করতাম না।
তো যায় হোক স্যার ক্লাস টিচার থাকা অবস্থায় আমি মর্ধ্যে একদিন ক্লাসে গেলাম না। পরেরদিন ক্লাসে যাওয়ার পথে আমি ভাবছি,আজ আমার উপর কি ঝড়টায় না,স্যার তুলবে। :/ তবে আমিও তার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি স্কুলের প্যান্টের নিচে দুটো প্যান্ট পড়েছি
স্কুলে যেয়ে শুনি ছেলে পেলে নাকি গতকাল টিফিন পালিয়েছে যদিও ছেলে পেলে টিফিন পালিয়েছে তবুও কিছু পণ্ডিত মশায় টিফিনের পর থেকে যাওয়ায় স্যারের কাছে টিফিন পালাতকের নেতাদের নামে নালিশ গেছে স্যার সকল ঘটনা শূনে প্রচুর ক্ষেপে আছেন আর গতকালই পণ্ডিত মশায়দের বলে দিয়েছেন,আজ যারা স্কুলে আসে নি তাঁদের আমি আগামীকাল কিছু বলব না। কিন্তু আজ যারা টিফিন পালিয়েছে তাঁদের খবর আছে।
আমি তো এই খবর শুনে সেই খুশি কিছুক্ষন পর অভিজিৎ এসে বলে দোস্ত কাল টিফিন পালিয়েছি আজ মকলেস কি যে করবে আমাদের। আমি নিজের খুশিতে মুচকি হাসি দিয়ে চুপ করে থাকলাম
যথাসময়ে স্যার ক্লাসে এসে গত দিনের টিফিন পালাতকদের দার করান। এর পর স্যারের জোড়া বেত আর পালাতকদের পশ্চাৎদেশ দুবার করে চুম্মনে আবৃত হল মজার বিষয় স্যারের বেত যখন অভিজিৎ এর পশ্চাৎদেশে প্রথম বার চুম্মনে আবৃত হল, তখন অভিজিৎ তার পশ্চাৎদেশ ঘষতে ঘষতে ক্লাসের দরজা দিয়ে বের হয়ে যেতে লাগলো স্যার তখন আবার হুংকার দিয়ে আগের জায়গায় নিয়ে এসে আবারও অভিজিৎ এর পশ্চাৎদেশে বেত চুম্মন করলো এবার বেচারা অভিজিৎ গলা কাটা মুরগির ন্যায় লাফাতে লাফাতে আর তার পশ্চাৎ দেশ ঘষতে ঘষতে আমার পাশে এসে বসে বললো, দোস্ত শিওর দাগ পড়ে গেছে আমি তখন বললাম হলেও হতে পারে দোস্ত। স্যার তোকে যে জোরে মারলো শুধু দাগ না কেটেও যেতে পারে তুই এক কাজ করিস বাড়ি যেয়ে আয়নায় দেখিস কেটে গেছে নাকি। কেটে গেলে মলম লাগাস।
অভিজিৎ আমার মজা নেওয়া দেখে বলল,হারামী তুই তো মার খাসনি, খেলে বুঝতি। আমি মুচকি হেসে বললাম,দোস্ত মারটা তো আমারই খাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে
বিষয়: বিবিধ
২৬৬৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন