বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী কিছু মুজিযা বা মিরাকল। আপনি ,মুসলমান হলে অবশ্যই পড়ুন........................
লিখেছেন লিখেছেন এ,এস,ওসমান ১৩ মার্চ, ২০১৫, ০৩:৪০:০৯ রাত
আল্লাহ তায়ালা মানুশকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য যুগে যুগে আমাদের মত মূর্খ জাতির নিকট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী বাসূল পাঠিয়েছেন। আর এসকল নবী রাসূল আমাদের আল্লাহ তায়ালার পথে ডেকেছেন।আমরা মূর্খ জাতিরা তাঁদের ডাকে সাড়া না দিয়ে প্রমাণ দেখাতে বলেছি। আর পরম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তা জানতেন আমাদের এই মূর্খমির কথা। যে কারনে তিনি নবী রাসূলের মাঝে দিয়ে দিয়েছিলেন কিছু মুজিযা।
এবার আসুন মুজিযা কি ?
মুজিযা- নবী ও রাসুলদের মাধ্যমে প্রকাশিত। স্থায়ী মুজিযা- যা নবীর মৃত্যুতে শেষ হয়ে যায় না। যেমন ইসমাইল (আঃ) এর পদাঘাতে সৃষ্ট পানির কুপ জমজম। পবিত্র আল কুরআন পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠতম মুজিযা।
অস্থায়ী মুজিযা- সুলাইমান (আঃ) এর তখত। যা বাতাসে উড়ে দেশ দেশান্তরে যেতে পারতেন। তার ইন্তেকালের পর তখতের সে গুনটি বিনষ্ট হয়েছে। দাউদ (আঃ) এর সূর। যার মর্ম সর্ব শ্রেণীর সৃষ্টিকুল শুনতে পারতো, মোহিত হত, মর্ম উপলব্ধি করতে পারতো।
মুসা (আঃ) এর লাঠি। যা সর্পে রূপান্তরিত হতে পারতো। বগলের নিচে হাত রেখে বের করার পর তা থেকে আলোর স্ফুরন বের হত। ঈসা (আঃ) মৃত ব্যক্তিকে “কুম বিইজনিল্লাহ” বললে সে জীবিত হয়ে উঠত। কথা বলতো। জন্মান্ধের চোখে হাত বুলালে সে চোখের জ্যোতি ফিরে পেত। ইবরাহিম (আঃ) অগ্নিকুণ্ডে শান্তিময় ঠান্ডা অনুভব করা। প্রভৃতি।
আল্লাহর অনুমোদন ক্রমে কিছু মুজিযা রাসুল গনের ইচ্ছা মত প্রকাশ করার অধিকার ছিল।
সুতরাং সবচেয়ে বড় মুজিযা হল মহাগ্রন্থ আল কুরআন।
কিন্তু বর্তমান সমাজের কিছু মুসলমান মহাগ্রন্থ আল-কুরাআন বাদ দিয়ে প্রকৃতির মর্ধ্যে আল্লাহ তায়ালার মুজিযা খুঁজছে।
আসুন তারই কিছু নমুনা দেখি......
সবচেয়ে বিখ্যাত মুজিযা বা মিরাকলটি দিয়েই শুরু করি। অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঘরে ঘরে নীচের ছবিটি বাঁধানো অবস্থায় শোভা পাচ্ছে:
এটি নাকি জার্মানির একটি খামারের ছবি–এর গাছগুলি আল্লাহ্র কুদরতে এমনভাবে আকৃতি নিয়েছে, যাতে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কথাটি পরিষ্কার ফুটে উঠেছে! এটি দেখে নাকি অনেক জার্মান নাগরিক মুসলমানও হয়েছে। তারপর জার্মান সরকার নাকি জায়গাটি বেড়া দিয়ে আড়াল করে দিয়েছে–আল্লাহ্র এই কুদরত দেখে আর কেউ যাতে মুসলমান হতে না পারে। অথচ আসল ঘটনা হল, এটি মোটেই বাস্তব কোন দৃশ্য নয়, বরং ডাঃ সাঈদ আল-খুদারি নামে এক মিশরীয় ব্যক্তির হাতে আঁকা তৈলচিত্র!
বক-ধার্মিকগণ উপরের গাছটিতেও ‘আল্লাহু’ লেখা খুঁজে।
আরও দেখুন অস্ট্রেলিয়ার এক বনে রুকুর ভঙ্গিতে থাকা গাছের ছবি: উপরে গাছের ছবিগুলি যদি আল্লাহ্র কুদরতই হয়, তবে নীচে দেখানো গাছের ছবিগুলির ব্যাখ্যা কী?
ঠিক আছে উপরের সব কিছু বিশ্বাস করলাম আল্লাহ তায়ালার মুজিযা। তাহলে এবার আসুন নিচের ছবি গুলোকে কি বলবেন
মানুষের মুখের আকৃতির গাছ
হাতির আকৃতির গাছ (কোন হিন্দু যদি এটি দেখে ‘গণেশ’ বলে দাবি করে, তবে আপনি কী বলবেন!
ব্যালে নর্তকীর ভঙ্গীতে গাছ
সিঙ্গাপুরের হনুমান গাছ (যা দেখে হিন্দুরা ‘হনুমানদেবের’ কীর্তি ভেবে ভক্তিভরে পূজা শুরু করেছে!)
এবার দেখুন মেঘের গায়ে ‘আল্লাহু’ লেখা মুজিযা বা মিরাকল
অথচ আপনি চাইলে আকাশের মেঘের গায়ে হাতি, ঘোড়া, গাছ, ইত্যাদি অনেক কিছু কল্পনা করতে পারেন। এরকম ‘মিরাকল’ দেখতে চান? তাহলে নীচে দেখুন: ১। গাড়ি আকৃতির মেঘ (এটি দেখে জাপানের টয়োটা কোম্পানি যদি নিজেদের ‘স্বর্গীয়’ বলে দাবি করে, তখন আপনি কি করবেন )
এবার দেখুন প্রাণীর গায়ে ‘আল্লাহু’ লেখা
উপরের প্রাণীর ছবিটি যদি আল্লাহ্র কুদরত হয়, তবে নীচের ছবিগুলি কার কুদরত?
গরুর গায়ে হিন্দুদের ‘ওম’ লেখা
গরুর গায়ে খ্রীস্টানদের ‘ক্রশ’ আঁকা
কেউ কেউ নাকি ছবিতে পাহাড়ের গায়ে অলৌকিক ‘আল্লাহু’ লেখা দেখতে পায়।
এখন পাহাড়ের গায়ে ‘ওম’ লেখা দেখে কি বলবেন??
এখন দেখুন এক পাকিস্তানি নাকি চাপাতিতে ‘আল্লাহু’ লেখা বলে দাবি করেছে।
তাহলে এক্ষেত্রে কি বলবেন ???
আবার ছবিটাতে সাগরের মাঝে পাথরের দ্বীপটি নাকি ‘সেজদারত
তাহলে এই ছবির ভালোবাসার প্রতীক ‘হার্ট’ আকৃতির দ্বীপটা দেখে যদি কেউ দাবি করে ১৪ ফেব্রুয়ারি 'ভালোবাসা দিবস' ইসলাম-সম্মত, তবে তাকে কী বলবেন???
সুতরাং এসকল ছবি শুধু মাত্রই প্রকৃতির খেয়াল বা দুষ্টু লোকের কারসাজি। সুতরাং এ সকল ছবি দেখে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কিছুই নেয়। মহান আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বড় মুজিযা হল আল কুরআন। যাহা আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর উপর নাজিলের সময়ও যেমন ছিল বর্তমানেও তেমনই আছে ভবিষ্যতেও তেমনই থাকবে।
যে কারণে আল্লাহ তায়ালা বলেন
‘নিশ্চয় আমি উপদেশ বাণী তথা কুরআন নাজিল করেছি এবং নিঃসন্দেহে এর হেফাজতকারী আমি নিজেই’ [সূরা আল-হিজর-৯]
সুতরাং এই কুরআনের মুজিযা জানার জন্য কুরআন আমাদের বেশি বেশী করে পড়তে হবে।
আল্লাহ আমাদের সকলকে কুরআনের মানুষ হওয়ার তোফিক দান করুন। আমিন
সূত্রঃ https://www.facebook.com/bangla.hadis
বিষয়: বিবিধ
২৯৬৩ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
সুন্দর ,সচেতনমুলক পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
জাযাকাল্লাহ....
বর্তমান যুগের মুমিনের এই হলো হাল
নামাজের খবর নাই, "মিরাকল"এ মাতাল-
সবই নাকি "তাক্বদীর", "হায় পোড়া কপাল"
সুরা ফাতিহাও পড়তে পারেনা, তর্কে বাচাল
ভাল বলেছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন