আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া, করিতে পারি নি চিৎকার.....................
লিখেছেন লিখেছেন এ,এস,ওসমান ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৫৮:১৬ বিকাল
২০০১ সাল ১৮ এপ্রিল ঠিক রাত ৩টায় ৪০০ জন সদস্যের একটা "বি,এস,এফ" এর যৌথ বাহিনী যখন ১৬ জন্য সদস্যের "বি ডি আর" এর বড়াইবাড়ি ক্যাম্পে হামলা করতে আসল তখন সেই ১৬ জন্য সদস্য বিন্দু মাত্র চিন্তিত না হয়ে দেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য জীবনকে বাজী রেখে "বি এস এফ" এর সাথে লড়াই করে তাড়িয়ে দিয়ে ছিল এদেশ হতে। আর সেই সাথে ইন্ডিয়ান সেনাদের, বাংলার বীরেরা দিয়ে ছিল অগণিত ইন্ডিয়ান সেনার লাশ। তখনই বুঝিয়ে দিয়েছিল এ বাংলার স্বাধীনতায় কেউ হাত দিলে সবার প্রথমে তাকে লাঞ্ছিত হতে হবে "বি ডি আর" এর হাতে।বাংলার সীমান্ত ততক্ষণ মুক্ত থাকবে যতক্ষণ তাদের শরীরে প্রাণ থাকবে।
উপরের ছবিতে ২০০১ সালের সীমান্তের যুদ্ধে বি ডি আর এর সশস্ত্র অবস্থান
উপরের ছবিতে ২০০১ সালের সীমান্ত যুদ্ধে বি ডি আর এর হাতে বি এস এফ এর আটককৃত সেনা
২০০৯ সালের ২৫ ফ্রেবুয়ারি,
কিছু মানব নামের পশুর উস্কানিতে "বি ডি আর" এর কিছু কুলাঙ্গার বিদ্রোহ করে।আর মেরে ফেলে দেশের ৫৭ জন জাতীয় বীরকে। যারা সীমান্ত রক্ষার জন্য ভারতের সাথে কোন প্রকার আপোষ করতে রাজি ছিল না। তৎকালীন সরকার আমাদের সেই জাতীয় বীরদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। সেই বীরদের অভাব আজও অপূর্ন্যই থেকে গেছে।
২০০৯ সালের ২৫ শে ফ্রেবুয়ারি নিহত ৫৭ বীরের কিছু অংশ
এখন "বি ডি আর" হতে "বর্ডার গার্ড" হয়েছে। নামের সাথে সাথে বদলে গেছে এই বাহিনীর কাজও। তারা আর দেশের সীমান্ত রক্ষা করে না।তারা এখন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিকেই ব্যস্ত।যার প্রমাণ ফেলানী হত্যা, সিমান্তকালীন গ্রাম হতে যুবককে তুলে নিয়ে যেয়ে উলঙ্গ করে মারধর সহ শত শত মানুষের সীমান্তে মৃত্যু। যে "বি এস এফ" বাংলার "বি ডি আর"কে দেখে সাত বার সালাম দিত,সেই ভারত আজ বাংলাদেশের "বর্ডার গার্ড" দেখে মনে করে ঘুমন্ত দারোয়ান।
গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’-(সিএমআরটি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মহাজোট সরকারের গত চার বছরে ২৫০ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ২০১২ সালে বিএসএফের হাতে খুন হয়েছেন ৪২ জন, ২০১১ সালে ৩৪ জন, ২০১০ সালে ৭৪ জন এবং ২০০৯ সালে নিহত হয়েছেন ৯৬ জন।
উপরের ছবিতে ২০০৯ সালে ৫৭ জন বীর সেনার মৃত্যুর পর হতে সীমান্তের অবস্থা ফেলানীর অকাল মৃত্যু
উপরের ছবিতে ২০০৯ সালে ৫৭ জন বীর সেনার মৃত্যুর পর হতে সীমান্তের অবস্থা বি এস এফ এর হাতে বাংলাদেশী নির্যাযিত যুবক
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাংলাদেশের জায়গায় চাষাবাদ করছে ভারতীয় খাসিয়ারা
আজ সেই ২৫ ফ্রেবুয়ারি। যে ফ্রেবুয়ারিতে ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল,ঠিক সেই ফ্রেবুয়ারিতেই দেশ বিক্রির চক্রান্তদের হাতে জীবন দেয় আপোষহীন সেই ৫৭ জন জাতীয় বীর। যাদের অবর্তমানে ভারতের "বি এস এফ" আজ সাহস পায় এ বাংলার জনগণের রক্ত নিয়ে খেলতে।আমরা সেই সকল বীরদের হারিয়ে শোকে পাথর।
আজ আমরা ঘৃণা করি এই "বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড"কে।যারা দেশের মানুষের জীবনের মূল্য দিতে পারে না।আমরা আবারও ফিরে পেতে চায় সেই "বি ডি আর" কে।যারা জীবনের বাজি রাখতে প্রস্তুত দেশকে বাহিরের শত্রু হতে।আমরা ফিরে পেতে চায় সেই ৫৭ জন বীর সেনাকে যাদের হুংকারে "বি এস এফ" লেজ গুটিয়ে পালাত।
বিষয়: বিবিধ
২১০৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাঙ্গালি স্বজনপৃতি হতে পারে কিন্তু ভাই এর প্রতিশোধ নিতে কখনও ভুলে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন