আল্লাহর পথে জিহাদ করার কারন।

লিখেছেন লিখেছেন আল আরিফ ইসলাম ০৫ মে, ২০১৩, ০১:১৬:৩৮ দুপুর

আমার এ লেখা গুলো উৎসর্গ করলাম হেফাজতে ইসলামীর সকল দ্বীনী ভাই-বোনদের।

একটু সময় নিয়ে পড়ুন,,,,,,,:

<¤> শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও

কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় "জিহাদ" <¤>

জিহাদ ইসলামের একটি মৌলিক ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মহানবী (সঃ) সাহাবী মুআয ইবনে জাবালের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন যে- ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মূল্সূত্র সালাত ; আর সর্বোচ্চ চূড়া জিহাদ। জিহাদ দ্বীন ইসলামের প্রাণশক্তি। >ীমানের মৌল ভাবধারা,

> ইসলামী জীবন বিধান বাস্তবায়ন,

> ইসলামী দাওয়াত ও আন্দোলনের পূর্নতা বিধান,

> ইসলামি জাতিসত্তা , জনগনের সার্বভৌমত্ব অর্জন ও সংরক্ষন।

> নিপীড়িত, নির্যাতিত ও বিপন্ন মানবতার মুক্তি সাধন।

> শত্রু ও আগ্রাসী শক্তির আঘাত থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা।

> অপসংস্কৃতি ও অশ্লীলতার বিরোদ্ধে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জিহাদের তাৎপর্য অপরিসীম।

পবিত্র কুরআন-হাদিসে জিহাদের ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।

আল্লাহ বলেনঃ ||| আর জিহাদ কর তাদের সাথে ( এই কুরআন) দ্বারা বর রকমের জিহাদ। ( সূরা আলঃ ফুরকানঃ ৫২) |||

সমগ্র শক্তি ও চ্যেষ্টা আল্লাহর পথে নিয়োগ করা ; জান-প্রাণ দিয়ে, ধন -মাল দিয়ে এবং মুখের শ্ক্তি প্রয়োগ করে নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদই ইসলামে জিহাদ নামে পরিচিত।

জিহাদ দুই প্রকারঃ

১। প্রকাশ্য জিহাদঃ

ইসলামের চির শ্ত্রু কাফির,মুশরিক , ইয়াহুদী ইত্যাদি যারা সর্বদা ইসলামকে দুনিয়া থেকে মুছে দিতে চায়। এই আল্লাহদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা আন্দোলন করাই হচ্ছে প্রকাশ্য জিহাদ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

||| হে নবী, কাফির ও মুনাফিকের বিরুদ্ধে জিহাদ কর ও তাদের প্রতি কঠোর হও। (সূরা তাওবাঃ৭৩) |||

২। অপ্রকাশ্য জিহাদঃ

ইবলিস ও কু-প্রবৃত্তি মানুষের চরম শত্রু। শতানের ফাঁদে পড়ে কু-প্রবৃত্তির তাড়নায় মানুষ গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়। এই চরম শত্রু ইবলিস ও নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাকে বাতিনী বা অদেখা জিহাদ হলে।

*জিহাদের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা *

আল্লাহর দ্বীন তথা ইসলামী জীবন ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতাকে ইসলামে সুস্থ ও বিকারমুক্ত রাখার জন্যই জিহাদের আগমন। আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় জিহাদ একটি মহৎ ইবাদত এবং বড় ফরজ কাজের মধ্যে একটি।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কালিমা বা বাণী সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্টার লক্ষ্যে বিশ্ব জাহানের কল্যান ও মুক্তির প্রতিনিধি বানিয়ে আমাদের উপর এ গুরু ও দায়িত্ব অর্পন করেছেন। যা আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে বলেনঃ

||| তিনি সেই মহান স্ত্তা-যিনি তার রাসূল (সঃ) কে পথের দিশা ও সত্য দ্বীন দিয়ে পাঠিয়েছেন, যেন তিনি তা সকল মতবাদের উপর বিজয়ী করতে পারেন। (সূরা আত-তাওবাঃ৩৩)

যখন ইসলাম বিরধী চক্র ইসলাম ও মুসলমানদের উপর আক্রমন করে , তখন দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম নর-নারী, শিশু-বৃদ্ধ ও সম্পদের নিরাপত্তা জন্য জিহাদে অবতীর্ণ হতে হয়।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

||| তোমাদের কি হয়েছে, তোমরা আল্লাহর পথে কেন যুদ্ধ করছ না ? অতচ অবস্থা এই যে , দুর্বল অক্ষম, অসহায় নির্যাতিত-বন্চিত পুরুষ, নারী ও শিশুরা ফরিয়াদ করে বলছে, হে আল্লাহ ! তুমি আমাদেরকে এই যালিম শাসিত দেশ থেকে বের করে নাও। এবং তোমার নিকট থেকে বন্ধু-পৃষ্ঠপোষক ও সাহায্যকারী পাঠাও।

(সূরা আন-নিসাঃ৭৫)

মানবতা রক্ষার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ বলেনঃ

তোমরা সশস্ত্র সংগ্রাম কর, যতক্ষণ না ফেতনা-ফাসাদ ও অশান্তি চিরতরে নির্মূল হয়ে যায় এবং দ্বীন এককভাবে মহান আল্লাহর জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। |||

(সূরা আল-আনফালঃ৩৯)

পারলৌকিক শাস্তি হতে মুক্তির ক্ষ্ত্রে মহান ,

আল্লাহ বলেনঃ

||| আমি তোমাদেরকে এমন একটি ব্যবসায়ের কথা বকে দেবো কি? যা তোমাদেরকে দোযখের কঠিন পীড়াদায়ক শাস্তি হতে মুক্তি দেবে? আর তা হচ্ছে..…। আল্লাহর পথে জিহাদ। ||| (সূরা সাফঃ১২)

আল্লাহ আরও বলেনঃ

||| যারা জিহাদ করবে। তোমাদের পাপ রাশি ক্ষমা করে দেবো এবং তোমাদেরকে জান্নাত প্রবেশ করাব। |||

(সূরা সাফঃ১২)

আল্লাহর সন্তোষ্টি লাভে ,

আল্লাহ বলেনঃ

||| আল্লাহর পথে কাতারবন্দী হয়ে জিহাদকারীদের আল্লাহ ভালবাসেন ||| (সূরা সাফঃ৪ )

উপসংহারে সবাইকে বলছি,

পরিপূর্ন ঈমানদার, মুসলমান হতে গেলে অবশ্যই আমাদের কুরআন-হাদিসের প্রতিটা আআয়াতের পুর্নাগ্ঙ সম্মান ও আমল করতে হবে। সুবিধা, সুখের বশে কিছু অংশ পালন করলাম আর স্বার্থ, অজ্ঞতা, কষ্টের ও ত্যাগের ভয়ে কিছু অংশ পরিহার / অসম্মান করে কেউ কখনও আল্লাহর খাটি অনুগত বান্দা হতে পারবে না না না না না। |||

হাসপাতাল থেকে....

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File