গণিতে মুসলিমদের অবদান--
লিখেছেন লিখেছেন মহাশয় ০৯ মে, ২০১৩, ০৫:৩৩:১৮ বিকাল
• ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮ -,৯ ইত্যাদি অঙ্কের পর যে ০ যোগ হয়ে যে ১০,২০,৩০,৪০,৫০, -৬০,৭০,৮০,৯০ সংখ্যা হয় তা ও মুসলমানদের আবিষ্কার। এটা আবিষ্কার করেছেন আবু জাফর মুহম্মদ মূসা আল খারিজমী। উনিই প্রথম বলেছেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে। তার আগে গণনা অনেক কঠিন ছিল। যেমন রোমান সংখ্যা। তাদের সংখ্যা ছিল এক, পাঁচ, পঞ্চাশ, একশ, পাঁচশ, এক হাজার, পাঁচ হাজার, ইত্যাদি। এই সংখ্যাগুলোর সাথে পরস্পরের যোগ বিয়োগ করে কাংখিত সংখ্যা নির্নয় করতে হত। যা অনেক বড় একটা ঝামেলার কাজ ছিল। আবার ইন্ডিয়ান সংখ্যা ছিল এক থেকে নয় পর্যন্ত, দশ থেকে একশ পর্যন্ত ছিল ....... -.... যা দিয়ে কাজ করা ও অনেক দুঃসাধ্য।। কিন্তু খারিজমী কর্তৃক শূন্য আবিষ্কারের পর থেকে হিসাব করা অনেক সহযতর হয়েছে।
• বীজগণিতের জনক কে? উত্তরঃ খারিজমী। বীজগণিত বা অ্যাজেবরা শব্দটা খারিজমীর লেখা একটা বই থেকে এসেছে। বইটির নাম ''কিতাবুল জাবির ওয়াল মুকাররা''। (জাবির থেকে অ্যালজেব্রা)
• তারপর আসা যাক, দ্বিপদী উপপাদ্য; দ্বিপদী উপপাদ্য দেন আবু বক্বর ইবনে হুসাইন আল কারাজি।
• পরবর্তিতে ওমর খাইয়াম এই দ্বিপদী উপপাদ্য নিয়ে আরো কাজ করেন। তিনি-ই দ্বিপদী উপপাদ্যের মাধ্যমে যেকোন সংখ্যার n তম রুট বের করার একটা পদ্বতি বের করেন।
• বীজ গণিতে ঘাত বা পাওয়ারের সিস্টেমটা কিন্তু আবু কামিল নামে একজন মসলমান গণিতবিদ চালু করেন।
• যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ এই চিহ্ন গুলিও মুসলমানদের দেয়া। এই চিহ্নগুলির আবিষ্কার করেছিলেন আবুল হাসান ইবনে আলী কালাসাদি।
• ত্রিকোণমীতির সুন্দর ব্যাখ্যা দানের জন্য মুহম্মদ জাবির আল হারানী ওয়াল বাত্তানী বিখ্যাত। উনি ত্রিকোণমিতির অনেক ফর্মুলা দিয়েছিলেন। যেমন tanA=sinA/cosA• tan এর টেবিলটিও কিন্তু মুসলমানদের আবিষ্কার। আবু জাফর মুসা ইবনে মুসা আল খারিজমি প্রথম এটি আবিষ্কার করেন। এই অ্যালগরিদমের ফর্মুলাটি প্রয়োগ করেই কম্পিউটারের ক্যালকুলেশনের লজিকটা তৈরী। এই থেকে বলা চলে অ্যাবাকাসকে কম্পিউটারে রুপ দানে মুসলমানদের অবদান অনেক বেশি।
শুধু ম্যাথেরটা তুলে ধরা হল। এখন যারা ব্রাইনারি, ট্রাইনারি শেখার চিন্তা ভাবনা করছেন তাদের বলছি, মুসলমানদের অবদান কিন্তু আপনাদের প্রোগ্রমিং এ কম না।।
কৃতজ্ঞতায়: Jainab Binte Zahash
বিষয়: বিবিধ
১২৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন