সুন্নিদের একটি ডাক ও আনুসাংগিক কিছু কথা:
লিখেছেন লিখেছেন মহাশয় ০৫ মে, ২০১৩, ০৩:৩৭:৫৩ রাত
কতগুলো মানুষ, কিছু ফেজবুক পেজ আর ক'টি ওয়েবসাইট অ-নে-ক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। হেফাজতে ইসলামসহ কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক ছাত্র-শিক্ষকের উপর চুড়ান্ত আক্রোশ নিয়ে জঘন্যভাবে কটুক্তি করছে ও হেফাজতের বিরুদ্ধাচারন করতে গিয়ে মূলত ইসলামের ব্যাপারে বিভ্রান্তি, মিথ্যাচার, অপবাদ ছড়িয়ে জন-মনে ইসলামের ব্যপারে একটি নেগেটিভ ধারনা বদ্ধমূল করে দিচ্ছে। এতে কে লাভমান হচ্ছে? সুন্নি আর কওমীরা নাকি অন্য কেউ?? এই চিন্তার সুযোগ নাই। মত বা আদর্শগত বিভেদের কারণে, ভিন্ন মতাবলম্বীদের নাস্তানাবুদ করতে ইসলামের অপমানকেও কথিত এই "সুন্নিরা" কিছু মনে করছেনা। তারা ইসলামের নামে, ধর্মের দোহাই দিয়ে কখনো ধর্মীয় গ্রন্থসমূহের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে, তথ্য বিকৃতি করে এমন এমন শব্দ, বাক্য আর পংতিমালা ব্যবহার করছে যাতে করে তারা সাধারন মুসলমানদেরও হাসির খোরাক হচ্ছে আর তাদের আলোচনায় তো বিদগ্ধ আলেম সমাজ কিংকর্তব্যবিমূঢ়!!! তাদের কেউ কেউ বলছে ভাস্কার্য স্থাপনে মানা করা, জোড় করে পর্দা করানো, সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম- এগুলো ইসলাম বিরোধী, আবার কেউ কেউ বলছেন আল্লামা আহমাদ শফী সাহেবসহ কওমীরা কাফের, মুরতাদ আর কেউবা বলছে ১৩ দফা নাকি ইসলাম পরিপন্থি এবং এই ১৩ দফাতে নবী (সা.)-এর ব্যাপারে কিছু নাই!!! (কত হাস্যকর প্রশ্নের উপস্থাপন)- যারা শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, হুমকী-ধমকির পরওয়া না করে ইসলামের অপমানের বিরুদ্ধে আল্লাহ-রাসূলে পক্ষে মাঠে নেমেছে তারা কিভাবে কাফের-মুরতাদ হয় আমার বুঝে আসে না। সুন্নি আলেমরা এইসব পাচ্ছে কোথায়, কোত্থেকে আর কেনই-বা এই আজগুবি খবর তৈরী করছে আমি চিন্তাও করতে পারি না। আল্লাহ ও নবী (সা.)-এর কথা বলতে গিয়ে যদি কাফের হয় তাহলে যারা তাদের পীরদের পরিত্রানদাতা, সাহায্যকর্তা ভাবে আবার কোথাও কোথাও নবীকে ছেড়ে আল্লাহ পর্যন্ত পৌছে দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে- তারা কি হবে??? এ তো বেনিয়াদের সময়ের টাকাখোর গোলাম আহমদ কাদিয়ানী আর আহমদ বেরলভীদের কথা বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদেরও অতিক্রম করা হীন-চক্রান্ত!!! বেনিয়ারা তো নাই- কিন্তু টাকার ব্যবহার কি এখনো রয়ে গেছে এবং এত নির্লজ্জভাবে? এখনো, এই সচেতনতা আর মিডিয়ার যুগেও টাকা ব্যবহার করে ধর্ম বিকৃতি আর ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মান-ইজ্জতহানী করার এত দালাল রয়ে গেছে?? দুনিয়ালোভী গাদ্দারদের গাদ্দারী কি কখনো শেষ হবার নয়??? এইসব ভাবতে সত্যিই কষ্ট হয়। বেদনায় নীল হয়ে আসে। বের হতে চায় তপ্ত জল। তবুও তারা থেমে নেই, তারা ছিল তারা আছে, তারা থাকবে--কিয়ামত পর্যন্ত তারা চলতে থাকবে এই ঘৃনিত আর আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই-দের পথে।
এমনি একটি গ্রুপ জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভাবে (T.V.-সহ) সুন্নিদের পক্ষ থেকে মুনাজারা (বাহাস)-এর আহবান করা হয়েছে। তাদের ভাষায় "ওয়াহাবী মউদুদীরা যেদিন বসতে চাইবে সেদিন তারিখ হবে। প্রশাসন থাকবে ও মিডিয়াতে সরাসরি সম্প্রচার হবে।"
কলবর বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ব্যাপরে অল্পই বলব যদিও ইহাই বিষয়বস্তু।
আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী আর আলী আকবর রেজবীর বাহাসের কথা মনে থাকলে কথিত সুন্নিদের আর লজ্জিত হতে ইচ্ছা করত না- যা ময়মনসিংহে জেলা সুপারের অধীনে হয়েছিল। হাট-হাজারীতে আজিজুল হক আল মাদানির সাথেও মুনাজেরা হয়েছিল এবং এমন অনেক জায়গাতে হয়েছে যেগুলোতে তথাকথিত সুন্নিরা লজ্জিত ছাড়া আর কিছই পায় নাই। ঐগুলোর লিংক যদিও নাই (আমার কাছে) তবে দেশে এইসব কিছু বাহাসের বই ও অডিও এখনো আছে। কিছু অডিও আমার কাছেও আছে। সুতরাং তাদের বড় বড় গলায় বাহাসের ব্যপারে না বলাই ভাল। আর ওলামায়ে কওমীদের এই সব বাহাসে অংশগ্রহণের অনিহার কারণ "তারা সুন্নিদের কাফের মনে করে না বরং তাদের সাচ্চা মুসলমানই ভাবে শুধু অসুস্থতার ঐ দিকটা বাদে। কারো ভাই অসুস্থ হলে ঐ ভাইকে যেরুপ ফেলে দেয়া যায় না সেভাবে আমরাও আমাদের অসুস্থ ভাইদের ফেলে দিকে পারি না।"-- আল্লামা শফী সাহেবের মুখে বলা আর আমার কানে শোনা যা তিনি ২০০৬ বা ২০০৭ সালে পল্টনে জে.এম.বি-দের বোমা হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে বলেছিলেন। কওমী আলেমদের এইরুপ মানসিকতা সত্ত্বেও তাদের সাথে মোকাবিলা (মুখের মাধ্যমে) করতে হয়েছে আর তারা বার বার লজ্জিত, লাঞ্চিত হয়েও এইকথা আবার মুখে আনে।
আমার কথা> অতীতের কথা যারা মনে রাখে না, নিজেদের যারা মহাপন্ডিত ভাবে, একই গো ধরে সবসময় পড়ে থাকে আর যারা কখনোই ভ্রান্ত-মতবাদ ত্যাগ করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করে রেখেছে তাদের থেকে দূরে থাকা ভাল নয়-কি?? কুরআনে এসেছে>''...... তারা পশুর মত, বরং তা থেকেও নিকৃষ্ট- তারা হল গাফেল।"
সবাইকে সকল প্রকার ভ্রান্ত আকিদা থেকে আল্লাহ হেফাজতে রাখুন। আমিন।
বি.দ্র.- আমি এইসব লিখতাম না কিন্ত তাদের অপ-প্রচারের কারণে......। সবাইকে ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন